![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা টা আমার মনের খাদ্য, আপনার নিকট আমার লেখা মানেই অখাদ্য, আমন্ত্রণ অখাদ্য ব্লগে, ধন্যবাদ অখাদ্য পড়ার জন্য
লোকাল বাসের ডান পাশের ঠিক ড্রাইভারের পিছনের সিটে বসে আছে আবির, গন্তব্য কলাবাগান, অনেক দিনের অভ্যাস প্রায় যায় আবির, কখনো একা, কখোনো দল বেঁধে, আড্ডা দিতে গান শুনতে, গান গাইতে, আজ সে একাই যাচ্ছে অনেক দিন পর একা খুব একা আবির, আজ পুরুনো বন্ধুর সাথে দেখা হবে তার, ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত তারা একসাথে পরাশুনা করেছে, অনিক এর রোল ছিলো এক আবির ২, ১ম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত এরাই ছিলো স্কুলের সেরা, কিন্তু বন্ধুত্ব টিকলো না বেশিদিন, অনিকের বাবা অনিক কে নিয়ে উত্তরা চলে এলো, আর দেখা হয়নি তাদের, পাশের সিটে বসা মুরুব্বি কাকার খুক খুক কাশির শব্দ খুব খারাপ লাগছে আবিরের, মনে হচ্ছে বুইড়া টাকে জানালা দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় সে, সম্ভব বলে মনে হচ্ছে, জানালা টার গ্লাস নেই, ঢাকা শহরের পুরাতন বাস গুলা অনেক টা এরকমই, তার ভিতর হরতাল গেঞ্জাম যে হারে হচ্ছে তাতে যে দেশের সব বাস পুড়ে যায়নি, পাবলিক যাতায়ত এর জন্য বাস পায় তাই বা কম কিসে, সুপারভাইজার ভারা নিতে এলো, আবির ভাড়া পরিশোধ করে তাকে জিজ্ঞেস করলো
মামা গ্লাস টা কই?
দেখতাছেন তো নাই,
হ তা দেখতাছি কিন্তু গ্লাস টা কই?
আরে মামা এইডা কি কন আপনে? নাই তো নাই দেখত্যাছেন না
আরে মামা আমি তোমারে জিগাইসি গ্লাস টা ভাঙ্গলো কেমনে?
মামা আমি আইজকা এক মাস এই গাড়িতে, এই গ্লাস টা দেখিনাই, আমি জানিনা কেমনে কি হইসে,
ও বলেই তার চশমা টা চোখে নিলো আবির,
ঘুম ভাঙ্গলো ললনার হাসির শব্দ শুনে, চোখ মেলে তাকালো আবির, পাশের সিটের সেই বিরক্তিকর খুক খুক ব্যাক্তিটি নাই, তবে এমন একজন বসেছে যাকে দেখে আবিরের গা জ্বলছে, মনে হচ্ছে একে জানালা দিয়ে ফেলে দিয়ে নয় তাকে দড়ি বেধে বাসের পিছনে ছেচড়িয়ে নিয়ে আসা উচিৎ
কি অসভ্য মেয়েরে বাবা, বাস ভর্তি এতো লোকজন তার মাঝে বসে খিল খিল করে হাসছে, উফ অস্থির যন্ত্রনা তো বাবা, এরা হল মেয়ে মানুষ, আপনি এদের নিয়ে কোথাও যেতেও পারবেন না, আবার না নিয়েও পারবেন না, সেটা ঠিক ছিলো কিন্তু এই অপরিচিত মেয়েটি তাকে মহাযন্ত্রনায় ফেলে দিলো বাস টি দড়িয়ে আছে এখন বনানিতে, তাহলে খুক খুক কই নেমেছে? লাষ্ট দেখেছিলো আবির খিলক্ষেত, এর পরে যে কোনো জায়গায় সে নামতে পারে, এটা বাংলাদেশ, আমেরিকা নয় যে একেক শ্রেনির লোক একেক এলাকায় থাকবে, এইখানে ধনি গরিব সবাই এক এলাকায় থাকে, শুধু তাদের দেমাগে বুঝা যায় এরা টাকার মালিক, আবির ব্যাগ থেকে ল্যাপটপ বের করলো, লোকাল বাসের যা সিট, নিজেই বসতে হয় দু পা এক করে, বাস নড়ছে না, প্রচন্ড জ্যাম, এইসময় একটূ ফেসবুক চালানো যাক, একঘেয়েমি টা কাটবে, মেয়েটাকে এখন আরো বেশি সুন্দর লাগছে, আড়চোখে তাকিয়ে দেখেছে আবির আরেক বার হ্যা মেয়েটা আসলেই সুন্দর কিন্তু তখন তার হাসিটা? না সেটাও ভালো ছিলো শুধু বাস ভর্তি মানুষের মাঝে বিধায় হয়তো আবিরের মেজাজ খারাপ হয়েছিলো, আর তাতেই বা তার মেজাজা খারাপ হবার কি আছে? এটা গনত্রান্তিক দেশ, এখানে যে যা ইচ্ছে করতে পারে, তাতে নিশ্চয় আবিরের উত্তেজিত হবার কিছু নাই, ভাবতে ভাবতে আবির লগ ইন করে, আবির এর মাঝে একটা ব্যাখা পেয়েছে, মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছেনা মেয়েটা উগ্র, মেয়েটা হয়তো অল্প শব্দ করেই হেসেছে যার কারনে আবিরের ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছে, মনে মনে হাসছে আবির, হ্যা মেয়েটা আসলেই সুন্দর, মেয়েটার নাম টা কি জিজ্ঞাসা করা যায়, কি নাম হতে পারে মেয়েটার? নিল একটা জামা পড়া তার নাম কি নিলাঞ্জনা? আরে ধুর নিল জামা পরলেই কি নাম নিলাঞ্জনা হবে নাকি? তার থেকে বরং একটা থিউরি ধরা যাক, মেয়েটার চুল গুলু আউলা ঝাউলা, হাতে একটা এন্ড্রয়েড ফোন, ঢাকার মেয়ে, কিন্তু নাহ যদি গ্রামের মেয়ে হত তাইলে লাইলি নাম টা কমন পরতো অথবা শিরিন, নাম নিয়ে ভাবার অবকাশ পেলোনা আবির, মনিটরে চোখ রাখতেই বিরক্ত হলো সে
আবার সে এক রিকুয়েষ্ট, আবির রিকুয়েষ্ট টা এক্সেপ্ট করেনি, যতবার এসেছে ঠিক ততবার নট নাও করেছে আবির, মেয়েটা ক্যানসেল করে আবার পাঠায়, উফ অসহ্য তাকে আজ ব্লক করবে ভেবেছে আবির, নাহ ব্লক করা হলনা, একটা ম্যাসেজ এসেছে, কি মিষ্টার রিকু এক্সেপ্ট করেন না কেন?
আসলে আমি অপরিচিত কারো রিকুয়েষ্ট এক্সেপ্ট করিনা সরি
আমি আপনার নামে সব জানি রিকু টা এক্সেপ্ট করবেন না কাঠের চশমা পরুম?
মানে কে আপনি? আচ্ছা আপনার সমস্যা টা কি? আপনার টা আমি এক্সেপ্ট করবোনা সেটা আমার ব্যাপার, আপনি এতো বেহায়া কেন?
মানে? এই ছেলে এই তুমি এখন বনানি তে আছো, তোমার বাম পাশে একটা মেয়ে বসে আছে, তার পিছনের পিছনে আরো ৩ টি মেয়ে বসা, ড্রাইভারের চুল লাল, তুমি বুঝতে পারছো আমি কে?
না মানে ইয়ে কে আপনি?
রিকু এক্সেপ্ট করো, আমি কে তা জানার দরকার নাই
রিকু টা এক্সেপ্ট করলো আবির
যাক করে যেহেতু ফেললো একটু দেখা যাক মেয়েটার টাইমলাইন ঘেটে রিসেন্টলি কোনো পোষ্ট থাকলে আর সেটা যদি এড লোকেশন দেওয়া থাকে, তাহলে মেয়েটা তার আশেপাশে কেউ, কিন্তু টাইমলাইনে ঢুকেই হতাশ আবির, মেয়েটা জাস্ট নাউ একটা লোকেশন ট্যাগ করেছে সেটা হল্যান্ড যাহ বাবা আবির ভেবেছিলো পাশে বসা মেয়েটা কাকতালিয় ভাবে কাজ গুলা করছে
চশমা টা খুলে পড়ে গেছে ল্যাপটপ এর উপর, আবির কিছুই চোখে দেখছেনা, চশমা টা হাতরে পেতে গিয়ে চশমা টা পরেছে নিচে, মেয়েটি উঠিয়ে দিলো ভাইয়া আপনার চশমা, আবিরের বন্ধু তখন অনলাইনে, মামা মোবাইল বাসায় রাইখা আইসি, নাম্বার টা দে ইনবক্সে, আমি তোর জন্য অপেক্ষা করছি, দোকান থেকে ফোন দিবো, আবির নাম্বার টা
দিলো তার বন্ধুকে,
চলবে
বি দ্রঃ আগের নিক এর পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়াতে আগের ব্লগ থেকে এই ব্লগে গল্প গুলু স্থানাতরিত করা হচ্ছে
১৪ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১০
হৃদয়ের স্পন্দন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পরের পর্বে আমন্ত্রন
২| ০৮ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
তুষার মানব বলেছেন: ভালো লাগলো
১৪ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১১
হৃদয়ের স্পন্দন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া, ভালো থাকবেন
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯
নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: দারুন।
প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ
১৪ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১১
হৃদয়ের স্পন্দন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১৬
সুমন জেবা বলেছেন: ভাই..
আপনার লেখার স্টাইল টা আমার হৃদয় স্পর্শ করছে ..
সত্যিই দারুন ..যে কারোরই হৃদয় স্পর্শ করবে .. keep it up...