![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা টা আমার মনের খাদ্য, আপনার নিকট আমার লেখা মানেই অখাদ্য, আমন্ত্রণ অখাদ্য ব্লগে, ধন্যবাদ অখাদ্য পড়ার জন্য
এলার্ম বেজে চলছ অনেক ক্ষন, কিন্তু ঘুম ভাংছে না আবিরের, আবির স্বপ্ন দেখছ নুসারাত গান গাইসে, কি সুন্দর তার গলা, আবির মুগ্ধ হয়ে শুনছ সে গান, ঘুম থেকে উঠলো আবির, নাহ সে স্বপ্নে দেখেনি, মোবাইলের টোন বাঝছিলো, আবির রিসিব করলো হ্যা বলো
তুমি ঘুমাচ্ছ?
হ্যা কিছু বলবে?
না বলেই ফোন রেখে দেয় নুসারাত
আবিরের মনে পড়ে আজ না দেখা করার কথা, আবির ফোন ব্যাক করে নুসারাত কে, হ্যালো সরি আমি, আমার মনে আছে, আমি আসছি, আমি ঘুমাইনি, দুষ্টামি করছিলাম তোমার সাথে, প্লিজ রাগ করনা, এক নিঃশ্বাসে কথা গুলু বলে আবির
আবার মিথ্যা বলো? তুমি ঘুমাচ্ছিলে তোমা ভয়েস তাই বলে সমস্যা নাই আসো আমি যাচ্ছি
আচ্ছা বলে ফোন রাখে আবির, গোসোল সেড়ে একটা নিল রঙের হাফ হাতা শার্ট গায়ে দেয় আবির, উস্খুখুস্কু চুলে চিরুনি বুলানোর সময় নেই তার, যদিও সে কোনোদিন তার চুলে চিরুনি বুলায়নি, এই অবস্থায় আজ বে হয়েছে সে, প্রচন্ড শিত, কিন্তু শিতের কোনো চাদর নেয়নি আবির, আজ আবির ভালোবাসা পরিক্ষা করবে, নুসারাত একদিন বলেছিলো সে চাদর গায়ে দিতে পছন্দ করে, আজ যদি নুসাআত চাদর গায়ে আসে, যদি বলে চাদর টা নাও, তোমার হয়তো ঠান্ডা লাগছে, আবির বুঝে নিবে নুসারাত তাকে ভালোবাসে, যদি না বলে তাহলে? সেটাও ভেবে রেখেছে আবির না বললে নুসারাত এর সামনে ইচ্ছা করে হাত পা কাপাবে, এতে নুসারাত এর দৃষ্টি পরবে তার দিকে, আচ্ছা নুসারাত যদি তাকে চাদর দেয় তার মানেই কি নুসারাত আবির কে ভালোবাসে?
নাহ তা তো নাও হতে পারে, এটা তো মানবিক কারন ও হতে পারে, এর মাঝেই ভার্সিটি গেট চলে এসেছে রিক্সা
আবির ভাড়া পেইড করলো, ক্ষুদা লেগেছে তার, কিন্তু নাস্তা করার সময় নাই, আবির নুসারাত কে ফোন দেয়।
কই তুমি?
ফাষ্টফুডে আছি, ডান দিকের প্রথম টা তে আসো
আবির সেদিকেই যায়
একটা টেবিলে বসে আছে নুসারাত গায়ে কালো চাদর
আবির নুসারাতের সামনের চেয়ার টা তে বসে, নুসারাত কফি খাচ্ছে, গরম ধোয়া উড়ছে কফি থেকে,
লেট করেছো কত মিনিট? প্রশ্ন করে নুসারাত
বেশিক্ষন না ১১ মিনিট
হুম কিছু খাবে?
না পেট ভরা
মিথ্যা বলছো কেনো আবির? আমি তোমাকে ফোন দিয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়েছি, তুমি নাস্তা করার সময় পাওনি
না খেয়েছি
এবার হুঙ্কার করে উঠে নুসারাত আমি মিথ্যুক একদম পছন্দ করিনা।
না খাইনি,
কি খাবে?
যা ইচ্ছা অর্ডার করো
আমিও খাইনি তুমি অর্ডার করো
আমার তো পরটা খেতে হবে, এইখানে পাবোনা
চলো
কই?
রাস্তার মোড়ে যে হোটেল গুলা আছে সেইখানে খাবো
তুমি খাবে সেইখানে? আবির ভাবনায় পড়ে যায়, এই মেয়েটা কি রাস্তার হোটেলে খাবে? এরা তো অতি আধুনিং ভাবনায় পড়ে যায় আবির
খাবোনা কেন? আর কি ভাবছো না কিছুনা চলো বের হই
এতোক্ষনে শিত লাগছে আবিরের, আসলেই শিত লাগছে, একটা রিক্সা নিয়েছে আবির, মগবাজার যাবে, রিক্সা উঠে শিত টা আরো বেশি লাগছে, ইচ্ছে করে না রিতিমত শিতেই কাপছে আবির, কি ব্যাপার শিত লাগছে তোমার?
হ্যা লাগছে কিছুটা
শিতের কাপর আননি কেনো? বলেই রাগি চোখে নুসারাত তাকায় আবিরের দিকে
না মানে ভেবেছিলাম এতোডা শিত পরবে না তাই
চাদর টা খুলে নেয় নুসারাত, নাও এটা গায়ে দাও
না আমি ঠিক আছি, আর তাতে তোমার কষ্ট হবে বেশি
একটা কথা বলবো আবির?
বলো
আমার চাদর টা অনেক বড়, দুজনের হবেনা, তবু যদি চাও তাহলে একটু একটু করে দুজনেই চাদরের নিচে থাকি?
আবির সকাল বেলা তার কল্পনার থেকে একটু বেশি কিছু পেয়ে হেসে যাচ্ছে
কি ব্যাপ্যার হাসছো কেনো?
না মানে এমনি, আচ্ছা দাও
আরেকটু পাশাপাশি চেপে বসলো আবির আর নুসারাত, চাদর টাতে দুজন ঝরিয়ে আছে, নাহ ভালোই লাগছে আবিরের, একটা মেয়েলি ঘ্রান তাকে মাতাল করে দিচ্ছে, আবির কিছুই বলছেনা, বলার ভাষা পাচ্ছেনা সে, কি ব্যাপার চুপ করে আছো কেনো?
না মানে কেমন যেনো দেখাচ্ছে আমরা এক চাদরে আমি সেটাই ভাবছি
তো তাতে কি হইসে? মহা ভারত উল্টায়া গেছে? নাকি শিতা অসতি হইয়া গেছে? রেগে যাচ্ছে নুসারাত
নাহ তাকে রাগানো যাবেনা, খুব ভেবে চিনতে কথা বলতে হবে নুসারাতের সাথে, তাকে রাগানো যাবেনা এতো সিরিয়াস হয়ে, আগে জানতে হবে মেয়েটা কিসে কিসে রেগে যায়, আর তার রাগ ভাঙ্গানোর সিষ্টেম টাও জানতে হবে, এখোনো কিছুই জানেনা আবির, তাই রিক্স না নিয়ে আগে নুসারাত কে ছোটো ছোট কারনে রাগাতে হবে, আপাতত আবির কথা বলছে না দেখে নুসারাত রেগে যাচ্ছে, এখন কথা বলতে হবে আবিরের, কি বলবে ভাবছে সে, এর মাঝে নুসারাত কথা বলে উঠে।
আচ্ছা আমাদের যেদিন প্রথম দেখা হয়
হুম
সেদিন কি তোমার মনে হয়েছিলো আমি আসবো
হ্যা
আচ্ছা আমি যদি না আসতাম
হুম
আমি কি ভেবেছিলাম জানো?
না
শুনবে?
হুম বলো
ভেবেছিলাম আসবোনা, আচ্ছা না এলে তোমার কেমন লাগতো?
হুম
কি ব্যাপার আমার কথা শুনছো তুমি? নাকি নাহ?
কই শুনছি তো
তাহলে বলো আমি এতোক্ষন কি কি বলেছি, না হলে এরকম হু হা করছো কেন?
আবির ঝামেলায় পরলো সে শুনেছে কিন্তু , সে কিছুই বলতে পারবেনা, এই জিনিস টা পারেনা আবির, কোনো কিছু পুনরায় বলা, আবির বুঝতে পারছে না কি করবে
এই মামা থামো, নুসারাত রিক্সাওয়ালা কে থামাতে বলছে
আবির ভয় পাচ্ছে নুসারাত হয়তো এখন চলে যাবে,
আবির ও রিক্সা থেকে নামলো, আবির বুঝতে পারলো নুসারাত পাশে একটা হোটেল দেখে থেমেছে, এইখানে সব পাওয়া যায়, পরটা থেকে চাইনিজ, বাহ ভালই আবির একটু স্বস্তি পেলো এইখানে খাওয়া যাবে, এতে নুসারাতের কোনো সমস্যা হবেনা, আবির মাঝে মাঝে যেসব রেস্তোরাতে খায় সেইখানে গেলে নুসারাতের অবস্থা খারাপ হত, নুসারাত কে দেখেই বুঝা যায় উচ্চবিত্ত ফ্যামিলির মেয়ে, মধ্যবিত্ত একটা ছেলে তার প্রেমে পড়েছে ব্যাপার টা ভালো লাগছে না, আবিরের কাছেইদেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গিয়ে গড়ায়
আবির ডীম আর পরোটা নিলো, নুসারাত শুধু ভাজি আর পরোটা
নাস্তা শেষ করে বের হলো তারা, জাদুঘরে যাবে নুসারাত, আবির যাবেনা ভেবছিলো তবু আবির গেলো তার সাথে, অনেক কথার বিনিময়, ফুচকা খাওয়া, সব কিছুর মাঝেই আবির একবার ভালোবাসি বলতে চেয়েছিলো হয়নি বলা, হয়তো নুসারাত ও চেয়েছিলো, নুসারাতের কাজ কম্মে কেন জানি মনে হলো নুসারাত আবি কে ভালোবাসে, বলতে পারেনা, আবির আবার তার ভাবনাতে নিমগ্ন হলো, এর ভিতর নুসারাতের বাবা ফোন করেছে, চলে যেতে হবে
নুসারাত আজ আবিরের সাথেই যাবে, আবির নুসারাত কে রিক্সা ঠিক করে দিয়েছে, কিন্তু যাবেনা নুসারাত, নুসারাত বায়না ধরেছে আবির তাকে তার বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে আসবে
বাধ্য হয়ে আবির রিক্সায় উঠে বসলো, আবার চাদরের নিচে জরিয়ে আছে দুজন
আবির কল্পনা করে চলেছে ঠিক এই চাদরের নিচেই কি ভালোবাসার ঘর বুনা যায়?
নুসারাত কে নামিয়ে দিলো আবির, অনলাইনে কথা হবে আর বাসায় যেয়ে ফোন দিও বলেই একটা হাসি দিলো নুসারাত
আবির টাটা বলল রিক্সা ওয়ালা মামা এগিয়ে চলছে, আবির পিছন ফিরে তাকালো, নুসারাত ও তাকিয়ে আছে রিক্সার পানে
চলবে
©somewhere in net ltd.