![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তুষার। পড়ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে,পরিসংখ্যান বিভাগে।অত্যন্ত অলস একজন,পড়াশোনা ছাড়া সব কিছুতেই আগ্রহ। ধর্মবিশ্বাস নিরপেক্ষ ; জামাতকে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সব কিছুকেই ঘৃণা করি। হাটতে খুব পছন্দ করি। স্বপ্ন দেখি, গ্রাজুয়েশনের পর পুরা শহরটাই হেটে হেটে দেখব।তাতে যতদিন লাগে লাগুক। সামুতে প্রায় ৪ বছর। ব্লগ পড়ি, লিখি কম ।। ।। ।।
গতকাল আর আজকে পরীক্ষা ছিল। গত পরশু রাতের ঘটনা। শহিদুল্লাহ হলের রুমে বসে পড়তেসি। রাত ১টার মত বাজে। হঠাত কারেন্ট চলে গেলো । খাতা-পত্র বন্ধ করলাম।রুমমেট বড় ভাই বাইরে গেলেন। একটু পরেই শুনি উনার গলাঃ দেখে যাও , কোথায় যেন আগুন লাগসে।দৌড়াই রুমের বাইরে গেলাম। বারান্দায় দাড়ায় দেখি,দূরে আকাশে লাল আগুনের শিখা দেখা যায়। কিন্তু আগুন যে লাগসে কই সেইটাই বুঝতেসি না। ভাই বললেনঃ কই লাগতে পারে? পাশের রুমের এক বন্ধু বললো ঃ মনে হয় নীলক্ষেত - আজিমপুরের ঐদিকে । আমি বললাম, হল থেকে নীলক্ষেত দেখা যাবে??? আরেকজন বললো , মনে হয় মেডিক্যালের ঐদিকে । যাই হোক কিছুক্ষণ পরেই কারেন্ট চলে আসলো ।পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনলাম বইমেলায় শিবির পরিকল্পনা করে আগুন ধরাই দিসে। ( অবশ্য শিবির দিসে এইটা না বল্লেও চলে; এই ধরনের আকাম শিবির ছাড়া আর কে করবে??)
৫ ঘন্টার পরীক্ষা শেষে রুমে আসলাম।খেয়ে দিলাম ঘুম। উঠে জানতে পারলাম অন্য হল থেকে বেশ কিছু শিবির ধরা হইসে। এর মধ্যে একজন নাকি আমাদের ডিপার্টমেন্টের । যেহেতু তেমন চিনতাম না, তাই খুব বেশি খারাপ লাগে নাই। পড়ে অবশ্য জানলাম যে ওদের ফাইনাল চলতেসে। এবং সে ফাইনালে এটেন্ড করতে পারবে না। (জেল থেকে এক্সাম দিতে পারবে না।) অতয়েব এক বছর গ্যাপ। এবং শুধু তাই নয়, জেল থেকে বেরিয়ে সে কি করবে তাই অনিশ্চিত । আর যাই হোক, সে শিবির হোক বা না হোক,শিবির তকমা যখন জুটে গেছে; ওর কপালে খারাবি আছে। হলের কথা বাদ দিলাম; কোথাও গেলে তো সবাই বাকা চোখে তাকাবে; আঙ্গুল দিয়ে দেখাবে। এটা ভেবে একটু খারাপ লাগলো। হাজার হোক, নিজ ডিপার্টমেন্টের ছেলে। তবে সে শিবির করতো এটা ভেবে ঘৃণাও হল।
আমি হলে নিয়মিত থাকি না, তাই এদের সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না। রুমমেটরা গল্প করে, আমি শুধু শুনি। যা জানলাম, তার কিছু তথ্য হইলো ঃ
১। এরা নিয়মিত মাসোহারা পায়, আমাদের মত দ্বারে দ্বারে টিউশনির জন্য ঘুরা লাগে না।
২। লেখা-লেখি ,একাধিক আইডি চালানোর জন্য টাকা পায়।
৩।পাশ করা মাত্র চাকরির নিশ্চয়তা আছে, যা আমাদের মত সাধারন ছাত্রদের নাই।
৪। এদের শিকর অনেক গভীরে । কলেজ থেকেই এরা টার্গেট করে রাখে। এইচ.এস.সি এর পরে যখন ছেলেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম বা বড় শহরে যায় তখন এরা তাদের মধ্যে দরিদ্র ও মেধাবিদের টার্গেট করে রাখে।তাদের থাকা-খাওয়ার খরচ দেয়, কোচিং দেয়। যারা চান্স পায়, তাদের ভর্তি খরচ দেয়।বিনিময়ে হাসিল করে ১০০% আনুগত্য। একটা কৃতজ্ঞতাবোধ তৈরি হয় শিবিরের প্রতি। তখন আর চাইলেও শিবির ছেরে আসতে পারে না।
সবই শুনলাম। তারপর একটা কথাই মনে পড়লো ঃ ব্যাক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ। টাকা দিক, আর যাই করুক; আমার জিবনের চেয়ে আমার দেশ অনেক মুল্যবান। কেউ যদি বলে "আগে নিজে বাচি,তারপর দেশ!" সেই দলে আমি নাই। সামান্য কটা টাকার জন্য আমি দেশকে গালি দিতে পারি না, মুক্তিযোদ্ধাদের গালি দেবার জন্য নিজেকে বেচতে পারি না। অদের দেওয়া লাখ টাকার চেয়ে আমার টিউশনির ৩০০০ টাকার মূল্য অনেক বেশি ।যারা দেশকে টাকার বিনিময়ে অবমাননা করে, জাতীয় পতাকাকে ছিরে ফেলে, শহিদ মিনার ভাঙ্গে ; তাদের যে আসলে কি করা উচিত তা আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে আসে না। শুধু এটুকুই বলতে পারি, তাদের মুখে থুথু, তাদের রক্তের উপর আমার অভিশাপ।
জামাত শিবির রাজাকার, এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়।
জয় বাংলা।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৫
htusar বলেছেন: এখন কি সেই লক্ষ লক্ষ নাস্তিককেও জবাই করা হবে???
আপনার ভাল জানার কথা, আপনার সগোত্রীয় ভাই-বেরাদরদের কাজ কিনা ।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১১
মিলটন শেখ বলেছেন: সরকারী বিশ্ব- বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রিদের সম্মান করি;বেসরকারিদের ঘৃণা করি। আমি মনে করি প্রাইভেটে যারা পড়ে তাদের বেশিরভাগই অপদার্থ,গাধা টাইপের,সরকারীতে পড়ার যোগ্যতা নাই তাই বাপের টাকায় ডিগ্রি কিনে। লেখকের এই কথা গুলা ভালো লাগে নি । তবে আজকের লেখাটা দারূণ হয়েছে ।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫০
htusar বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো ।
লেখকের কথা ধরার কিছু নেই। ধরে নিন এটা আমার নিজস্ব মতামত । নানা মুনির নানা মত - সবার সব কথা ভাল নাও লাগতে পারে;তাই না?
ভাল থাকবেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
টুটুল২০০৮ বলেছেন:
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫১
htusar বলেছেন:
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৩
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: পতাকা পুড়িয়ে আর শহীদ মিনার ভেঙ্গে ওরা প্রমাণ করলো যে ওরা আসলেই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
htusar বলেছেন: সহমত। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
মিশনারী বলেছেন: "এক রাজিব লোকান্তরে, লক্ষ রাজিব ঘরে ঘরে। "
"এক নাস্তিক লোকান্তরে, লক্ষ রাজিব ঘরে ঘরে। "
বাংলাদেশের নাস্তিকে একটি শ্লোগান, জামাত শিবির রাজাকার, এই মুহুর্তে বাংলা ছাড়।
জয় বাংলা।