নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুন্য মন্দির মোর

...

হাল্ক

যে জীবন দোয়েলের ফড়িংয়ের মানুষের সাথে তার কোন কালেই দেখা হয় না।

হাল্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুয়েটের পোলারা দেশের বাইরে কেনো যায়? আর যায়ও যদি, পোলাগুলা ফিরা আসে না কেনো?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২৩

ইঞ্জিনীয়ারদের জন্য দেশে কাজের পরিবেশ খারাপ। খারাপ বললে আসলে যথাযথ বলা হয় না। গায়ের চামড়া যথেষ্ট মোটা না হলে কারো পক্ষে দেশে চাকুরি করা সম্ভব না। বেসরকারি চাকুরিক্ষেত্রে মালিকপক্ষের যথেচ্চারিতা, নিম্নবেতন, দৈনিক দীর্ঘ সময় কাজ করা, বাজে ব্যবহার, অনৈতিক কাজকর্ম- সব কিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি মোটেই অনূকুল না। আর সরকারি চাকুরির অবস্থা আরো খারাপ। সরকারি জবে ক্যারিয়ার ডেভেলপের কোন সুযোগ নাই। সিনিয়রদের তেল মেরে চলতে হয়, ঘুষ খাওয়া সরকারি ইঞ্জিনীয়ারদের জন্য এক রকম বাধ্যতামূলক কেননা নইলে হয়রানির সম্মুখীন হতে হবে। যদি কেউ নাও খায়, তাকে অন্যদের খাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন এত লোকের দুর্নীতি খুজে বের করল, কিন্তু সেখানে ইঞ্জিনীয়ারদের সংখ্যা খুব কম। এখানে সবাই টাকার ভাগ পায়। কেউ টাকার ভাগ না নিতে পারে সেটা তার ইচ্ছা, কিন্তু অন্যদের অবৈধ টাকা উপার্জনে বাধা দিলে তার জীবন দুর্বিষহ করে দেয়া হয়।





এই আমিই ত বাংলাদেশের সরকারি আর বেসরকারি দুই ক্ষেত্রেই চাকুরি করে ফেললাম। যতটুকু দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে দুই সেক্টরেই চাকুরির পরিবেশ খুব খারাপ। পাশ করার পর আমার বারবার মনে হয়েছে, চাকুরি ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে টিউশনী করে জীবন চালাই।



বুয়েট থেকে পাস করে আসলাম। যখন আমার বন্ধুরা একে এক বাইরে চলে যাচ্ছিল, আমি বলেছিলাম, তোমার যেখানে সাধ চলে যাও আমি এই বাংলার পাড়ে রয়ে যাব।



বুয়েটের একজন অতি প্রিয় শিক্ষকের কাছে গিয়েছিলাম ক্লিয়ারেন্সে সই নেবার জন্য। তখন সদ্য পাস করেছি। উনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার রেজাল্ট কি? রেজাল্ট শোনার পর, স্যার আমাকে বার বার বলেছিলেন, দেশ ছেড়ে চলে যাও...ভাগো এখান থেকে। আমি স্যার এর কথা শুনি নাই। দেশে রয়ে গিয়েছিলাম।



যখন আমার একটা সরকারি চাকুরি হয়েছিল, আমি নিজের ঘরের কম্পিউটার অফিসে নিয়ে গিয়ে বসিয়েছিলাম। আমার যুক্তি ছিল, অফিসের কাজকর্মে সুবিধা হবে। সরকারি অফিসে দক্ষ লোকের বড় অভাব, তাই অফিসের বহু রিপোর্ট আমি স্বেচ্ছায় করে দিয়েছি, চিঠি লিখেছি, টাইপ করেছি। সেই আমিই দশমাস পরে ট্রান্সফার হয়ে অন্য অফিসে এসে প্রথম যে কথাটা বলেছিলাম তা হল, আমি বাংলা টাইপ পারি না।



পাস করার মাত্র দুই বছরের মাথায় আমি এখন জুনিয়রদের বুদ্ধি দেই , খবরদার দেশে থাকবে না। পাস করো আর প্রথম সুযোগেই বাইরে চলে যাও।





যে স্বপ্ন নিয়ে দেশে থেকেছিলাম তা আজ বড় বিবর্ন। চোখের সামনে বহু অন্যায় দেখলাম, বড় কষ্ট লাগে আমার দেশের ইঞ্জিনীয়ারদের দেখে। একটা খুব ছোট উদাহরন দেই। আইলার পরের সপ্তাহের ঘটনা। চারিদিকে আইলার ক্ষতি নিয়ে আলোচনা, ক্ষয়ক্ষতির বিবরন জানিয়ে রিপোর্ট পাঠাচ্ছি। একদিন দেখি আমার অফিসে দুইজন অফিসার খুশিতে ডগমগ। আইলার শেষে অনেক টাকার বরাদ্দ আসছে। এই আইলাই আমার কয়েকজন কলিগকে লাখপতি করে দিয়েছে। আর্ত মানুষের কষ্টকে পুজি করেও এরা টাকা কামাতে দ্বিধা করে না। আমার চোখের সামনেই ত সব ঘটল। আমি বাধা দিতে পারি নাই। অসহায় হয়ে বসে বসে এদের কাজকর্ম দেখলাম। নিজের ক্ষুদ্রতায় রাগ হয়েছে, বার বার মনে হয়েছে, আমার পাপের ভান্ড কি ভর্তি হচ্ছে না?





গত সপ্তাহে IELTS দিয়ে আসলাম। বাইরে চলে যাবার কাগজপত্র তৈরী শুরু করব। সত্য কথা বলি, আমার দেশে থাকতে বড় ইচ্ছে করে। দেশে থাকতে ইচ্ছে করে যখন দিন শেষে ছোটবোন দুইটাকে দেখি । শুক্রবার দুপুরে বাসার সবাইকে নিয়ে যখন এক সাথে খেতে বসি, তখন মনে হয়, এক জীবনে মানুষ আর কতটুকু পায়? আমি ত দেশেই ভালোভাবেই বেচে থাকতে পারি। বৃষ্টির দিনে অফিস কামাই করে ঘরে কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবি, এই বেশ ভালো আছি। কিন্তু এই সবই ক্ষনিকের জন্য। জীবনের অনিশ্চয়তা, দেশের কিছু মানূষের নীতি এবং কান্ডজ্ঞানহীন আচরনে বড় ভয় পাই।





পাস করার পর চাকুরি নিয়ে আমার যে হতাশা তার বিবরন লিখতে হলে পনের বিশ পর্বের একটা সিরিজ লিখতে হবে। সব কথা না বলি।



বাংলাদেশ একটা গরিব দেশ। গরিব হবার পরও অনেক টাকা খরচ করে আমাকে ইঞ্জিনীয়ার বানিয়েছে। দেশের প্রতি আমার একটা কর্তব্য আছে। এই সবই আমি জানি। তবুও কত দুঃখে যে আমার দেশ ছাড়তে ইচ্ছে করে সেটা আমার মত বুয়েট থেকে যারা পাস করে এসেছে তারাই বুঝবে। আমি জানি যদি আমি বাইরে যাই, আমি চোরের মত মাথা নিচু করে দেশ ছাড়ব। আমার বুকে কি আর দেশ ছাড়ার কষ্ট থাকবে না? কিন্তু কত হতাশা আর বেদনাকে আমি সঙ্গী করে নিয়ে যাব, তা শুধু আমিই জানি।



কত শুনলাম, বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীরা বড় বদমাশ। পড়াশুনা শেষ করেই দেশ থেকে উড়াল মারে। আমাদের ত আর কম গালি দেয়া হয় না। কিন্তু কেন যে উড়াল মারে, কেন নিজের চেনা জগতটা ছেড়ে অজানা দেশে পাড়ি জমায়-সেটা ত কেউ জানতে চায় না।







============================

বিপ্লব৯৮৪২ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

চালিয়ে যান । আরো পড়তে চাই ।

খবরদার বিদেশে বাঙ্গালী মালিকানা এবং বাঙ্গালি কলিগ আছে এমন জায়গায় কাজ নিবেন না ।ডিগ্রি শ্রেনিতে আগে বংকিমচন্দ্রের “তৈল” নামে এক প্রবন্ধ ছিল ।সরকারি অফিস আদালতে কিভাবে তার ব্যবহার হয় তা পড়ে শিক্ষাথীরা চাকুরীতে কাজে লাগাতে পারত।এখন শিক্ষাথীরা বইতে পড়ছে দুর্নিতিবিরোধি প্রবন্ধ , চাকুরি ক্ষেত্রে এসে দেখছে দুর্নিতিবান্ধব পরিবেশ ।দুই বৈপরিত্যে ক্ষেই হারিয়ে ফেলছে সবাই ।আমি শিক্ষাকমিটিকে অনুরোধ করব , সেই “তৈল” এবং দুর্নিতিবিরোধি প্রবন্ধ এর পরিবর্তে “ঘুষ খাও টিকে থাক” জাতীয় নতুন প্রবন্ধ চালু করতে ।যেন একজন মানুষ সরকারী চাকুরীতে ঢুকে নিজেকে সহজে খাপ খাওয়াতে পারে ।





================



জুমানজি১১ বলেছেন: আমি ২০০৭ এ পাশ করার সময় চিন্তা করেছিলাম...আর যাই হোক দেশে ছেড়ে যাবো না। ১২/১৫ হাজার বেতনের চাকুরীর জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছিলাম। ২ জায়গায় ইন্টেরভিউ ও দিলাম। সব ই ঠিক ছিল, যেই আমার রেসাল্ট দেখল, বল্লো তুমি ত এখানে থাকবে না। আমি শত যুক্তি দিয়ে বোঝালাম, লাভ হলো না।

শেষে ২ বছর বাইরে থেকে এম এস করে আসলাম। এবার ও নিওত ছিল দেশে কিছু করার। কিন্তু এখন অবস্থা আরো শোচনীয়, একবার বিদেশী সিল পরাতে এখন কেউ দাকেও না :( . বেশ কয়েক মাস ট্রাই দেয়ার পর এখন আবার চলে যাচ্ছি পি এইচ ডি করতে।



মাঝে মাঝে মনে হয় বুয়েটে পড়ে কি কোনো পাপ করলাম...কিংবা রেসাল্ট টা এক্টু উপরের দিকে না হলেই বোধ হয় ভালো হত। আবার মনে হয়, মেডিকেলে চান্স পেয়েছিলাম, অখানে পড়লে দেশে এট লিস্ট কিছু করার ওয়ে থাকত। বুয়েটে পড়াকালীন যে ভালোলাগাটা কাজ করত, সেটা এখন আর নেই, এখন শুধুই আক্ষেপ আর দূরে ঠেলে দেবার যন্ত্রনা। (এটা অবশ্য তাদের জন্য যারা দেশে থাকতে চায়)





==============

নুভান বলেছেন: যখন আমি লেভেল-৪ এর ছাত্র, তখন থেকেই পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজন সবাই বলতে লাগলো, এই পাশ করেই তো উড়াল দিচ্ছো। গর্বে মাটিতে আমার পা পরেনা, নিজ দেশেই নিজেকে প্রবাসী মনে হতে লাগলো। কিন্তু বাবা-মার ইচ্ছে ছিলো দেশে কিছু একটা করি। আবার ভয়ও ছিলো। কারন আমার এক আত্মীয় খুলনা বি আই টি(বর্তমান খুয়েট) থেকে পাশ করে পানিসম্পদ প্রকৌশলে চাকুরী নিলেন। আয়ারল্যান্ড থেকে মাস্টার্সও করে এলেন। সৎ মানুষ ছিলেন তিনি। তীস্তা ব্যারেজের কাজের সময় টেন্ডারবাজরা তাকে পিস্তল ধরে সামনে ২ লক্ষ টাকার বান্ডিল ফেলে দিয়ে বলে, হয় টাকা নিয়ে টেন্ডার দিবি নাইলে গুলি খেয়ে মরবি! অতঃপর চাকুরী ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশে পিএইচডি করে এখন শিক্ষকতা করছেন।

আমি বেসরকারী চাকুরীর দিকে ঝুকলাম, সারাজীবন ঢাকায় থেকে গেলাম চিটাগাং-এ। শিফটিং ডিউটি, বেতন - নাই বা বললাম। তবুও স্বান্তনা ছিলো যে একটা দেশীয় প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করছি। কিন্তু যখন দেখি আমার বন্ধু যে কিনা পড়াশুনায় অনেক পেছনে ছিলো আজ চটকদার একটা প্রতিষ্ঠানে কাস্টমার কেয়ারের জব করে আমার দ্বিগুন কামাচ্ছে, তখন ঈর্ষাণ্বিত হইনি ঠিকই-শুধু মনে প্রশ্ন জাগলো, গাধার মত কেন এতগুলো বছর খাটলাম। সেটাও মানা গেল, মেজাজ চরমে পৌছালো আমাদের সবার (সেবার আমরা ৬ জন বুয়েট থেকে পাশ করে সে প্রতিষ্ঠানে জয়েন করেছিলাম) যখন দেখি অন্ডার মেট্রিক ভারতীয় অপারেটর আমাদের সাথে মাতবরী ফলাবার চেষ্টা করে। অভিযোগ করেও লাভ নেই জিএম, ডিজিএম নিশ্চুপ। যেহেতু তারা বিদেশী তাহলে তারা অবশ্যই বেশী জানে আমাদের থেকে ! ৬ মাস পর আমাদের বেতন বৃদ্ধির কথা ছিলো, বেতন বৃদ্ধি করল। কত জানেন? ১ হাজার টাকা মাত্র ! রাগে দুঃখে ৬ জন একসাথে রিজাইন দিয়ে চলে এলাম। এদের মধ্যে আমরা ৫ জন-ই এখন দেশের বাইরে ও ১ জন ইস্টার্ন রিফাইনারীতে জয়েন করেছে।



এখন বলুন, বিদেশে যেতে চাওয়া বা সেটেল্ড হবার ইচ্ছেটা কি অন্যায়? চেষ্টাতো কম করিনি দেশে থাকার জন্য, কিন্তু দেশ যে আমাদের চায় না।





============================

মুহম্মদ জায়েদুল আলম বলেছেন: এবার তাইলে আমার অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমি বুয়েটের না। শাহজালাল থেকে পাশ করা। ৪/২ এর পরীক্ষা শেষ হবার আগেই চাকরী পেয়ে গেলাম। র‌্যাংসটেল এ। দেশী কোম্পানী। জিপি,বাংলালিংক দেশের সব টাকা নিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং, দেশের জন্য কিছু একটা করতে হবে। আমাদের দেশের র‌্যাংকসটেল হবে ভারতের রিলায়েন্সের মতো দেশী কোম্পানী। একদিন জিপি, বাংলালিংক কেও আমরা কিনে নেবো। সবে মাত্র পাশ করে চাকরীতে ঢুকেছি। সুতরাং একটা কিছু করে সবাইকে চমকে দেবার জন্য মুখিয়ে আছি। আর দেশ দেশ করে প্রায় সবার মাথা খারাপ করে ফেলছি। সাথের বন্ধু বান্ধব দেশ ছাড়ছে। আমি ছাড়বো না। নিজেদের একটা বিলিং সলিউশন বানাবো। র‌্যাংকসটেলে ছিলেন জাকারিয়া স্বপন স্যার। তিনি সাহস করে নিজেদের একটা বিলিং সলিউশন দিয়ে র‌্যাংসটেল শুরু করেছিলেন। সেই সিস্টেমকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। দিন রাত কাজ করতাম। দারুন একটা বি,আই মডিউল করলাম। যেটা এখনকার ভালো ভালো সলিউশনের ও নাই। অথচ লাভ কি হলো? কিছুই না। দেখলাম কাজ না করে যারা কেবল উপরের মহলে তদবীর করে চলে, তারাই উঠি গেলো উপরে। দেশের প্রতি কাজের ইচ্ছে ততদিনে ধুলোয় মিশে গেছে।



এখন একটা ইন্টারনেশনাল বিলিং সলিউশনে কাজ করি। কিন্তু তারপরও বারবারই মনে হয়, আমরা বানিয়েছিলাম এমনই একটা সলিউশন যেটা কয়েকশ কোটি টাকা দিয়ে কিনে আনতে হয় বাইরে থেকে।

মন্তব্য ১৫৯ টি রেটিং +৯৮/-০

মন্তব্য (১৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২৬

হাল্ক বলেছেন: আজকে আমার বন্ধুর সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছে সমকাল এ। এর প্রেক্ষিতেই লিখলাম। মেধার যথাযথ মূল্যায়ন চাই

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২৮

হাসান শহীদ ফেরদৌস বলেছেন: Click This Link

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৪৩

হাল্ক বলেছেন: পড়লাম আপনার ব্লগ। ভালো লাগছে । আপনার মত শিক্ষক কিন্তু সংখ্যায় কম।



একই কথা, একই ইতিহাস ঘুরে ফিরে আসে। একেকটা ব্যাচ বের হয়, টিকে থাকার সংগ্রাম করে, এরপর দেশ ছাড়ে...

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৩৪

অলস ছেলে বলেছেন: হুমম

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৪৪

হাল্ক বলেছেন: আমিও হুমমম।

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৩৬

মুক্ত বয়ান বলেছেন: দেখছি ভাইয়া। লেখাটা আমিও দেখছি। আপনি চইলা যাইতেছেন?? যান যান.. সবাই যান গিয়া। :(

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৪৬

হাল্ক বলেছেন: চইলা যামু বললেই ত যাওয়া হয় না...

সুযোগ যদি থাকে দেশে থেকে যাব। :)

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৩৯

ওরাকল বলেছেন: হুম ......... তবু নিজের দেশ। পাশ কারার পর ২'৫ বছর চাকরি করেছি স্বনামধন্য বিদেশী এক সফটওয়ার ফার্মে। এখন আছি ইংলেন্ডে...১ বছরের স্কলার্শিপ। দিন গোনছি কখন কেলেন্ডারের পাতায় ২৩ শে সেপ্টেম্বর আসবে.... আবার ডানা মেলব সবুজ দেশটার জন্য। হ্যা বেশ কষ্ট হয় তবু যাখন নিজের বাসায় ফিরি সব কষ্ট ভুলে যাই.....।


দেশের আত্নিয়স্বজন ও এখানকার বাঙগালী শুভাকাংখীরা খেকে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে.......এখানকার আরামপ্রদ জীবনের চাইতে দেশে ফেলে আসা ছোট নীড় অনেক অনেক শন্তিময় আমার কাছে.....।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৪৮

হাল্ক বলেছেন: আপনি ফিরা আসেন। দেশে দক্ষ মানুষের বড় অভাব।

৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৪০

শ।মসীর বলেছেন: সত্য কথা বলি, আমার দেশে থাকতে বড় ইচ্ছে করে।- এই জন্যই আর ছাড়তে পারলমনা, কেউ ছাড়বে বললে মন খারাপ হয়ে যায় :(

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৪৯

হাল্ক বলেছেন: আপনার মত আমারো একই রকম লাগে। দেশ ছাড়তে ইচ্ছে করে না। :)

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৪২

জনৈক আরাফাত বলেছেন: সকালে ঘুম ভেঙ্গেই পেপারে এই নিউজগুলো দেখেছি। ভাল্লাগেনা। মূল্যায়ন নেই। চাপাবাজিও সেরকম পারিনা। পারিনা অসৎ হতে।

চলেই বোধহয় যাবো!

জানিনা।

আমাদের সবার বিশেষ করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের অনুভূতি মোটের উপর একই রকম।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৫০

হাল্ক বলেছেন: সিভিলের দেশে ভাত নাই। বিদেশে পালান ছাড়া কোন পথ ত চোখে দেখি না।

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৫৫

জটিল বলেছেন: শুভকামনা রইল ,
তবে খুবই ভাল হয় বিভিন্ন সময়ের অভিজ্ঞতাগুলো একখানে করে যদি সবাই নিজেই নতুনদের জন্যে ক্ষেত্র তৈরী করে দিতে পারে ।
ভাত কেউ কাউকে দেয়না , আদায় করে নিতে হয় :)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১৮

হাল্ক বলেছেন: আপনার কমেন্ট পেয়ে ভালো লাগছে। :)

দেখি কোথাও দাম টাম পাই কিনা।

৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৫৬

বিপ্লব৯৮৪২ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
চালিয়ে যান । আরো পড়তে চাই ।
খবরদার বিদেশে বাঙ্গালী মালিকানা এবং বাঙ্গালি কলিগ আছে এমন জায়গায় কাজ নিবেন না ।ডিগ্রি শ্রেনিতে আগে বংকিমচন্দ্রের “তৈল” নামে এক প্রবন্ধ ছিল ।সরকারি অফিস আদালতে কিভাবে তার ব্যবহার হয় তা পড়ে শিক্ষাথীরা চাকুরীতে কাজে লাগাতে পারত।এখন শিক্ষাথীরা বইতে পড়ছে দুর্নিতিবিরোধি প্রবন্ধ , চাকুরি ক্ষেত্রে এসে দেখছে দুর্নিতিবান্ধব পরিবেশ ।দুই বৈপরিত্যে ক্ষেই হারিয়ে ফেলছে সবাই ।আমি শিক্ষাকমিটিকে অনুরোধ করব , সেই “তৈল” এবং দুর্নিতিবিরোধি প্রবন্ধ এর পরিবর্তে “ঘুষ খাও টিকে থাক” জাতীয় নতুন প্রবন্ধ চালু করতে ।যেন একজন মানুষ সরকারী চাকুরীতে ঢুকে নিজেকে সহজে খাপ খাওয়াতে পারে ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১৯

হাল্ক বলেছেন: ঝাক্কাস কমেন্ট করেছেন। মূল পোষ্টে যুক্ত করে নিচ্ছি। :)

১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০২

মুহম্মদ জায়েদুল আলম বলেছেন: আমিও আপনার মত ভাবতাম। আর সবাই গেলে যাক। আমি যাবো না। কিন্তু এখন ??? বসে বসে বাইরের ভার্সিটির ফর্ম ফিলাপ করছি। ঠিক এই মুহূর্তেই । আর তখনি দেখি আপনি এই পোষ্ট দিয়েছেন। চলে যান। এখানে থেকে লাভ নেই। শুভ কামনায়।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২৫

হাল্ক বলেছেন: ভাই দেশে কোথাও শান্তি পাচ্ছি না।

১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৬

আঁতেল বলেছেন: ভাইরে ডলার পাউন্ড আর কুয়েতি দিনারের চিন্তা মাথায় ঢুকলে কি আর দেশের কথা মনে থাকে

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২৭

হাল্ক বলেছেন: যারা দেশ ছাড়ে টাকার জন্যে ছাড়ে না। দেশে ইঞ্জিনীয়ারদের আর যাই হোক, টাকার কমতি নাই। বিবেককে একটু পাশ কাটাতে পারলে, টাকাই টাকা।

১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৭

মুক্ত বয়ান বলেছেন: @সিজার ভাই: আপনিও চলে যাবেন??

১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১৪

মুহম্মদ জায়েদুল আলম বলেছেন: @মুক্ত: চেষ্টায় আছি। ভালো লাগে না এখানে। অনেক কষ্ট করেও তুমি এখানে উঠতে পারবে না, যেখানে দেখবে তোমার সামনেই অন্য একজন কোন কাজ না করেই উঠে যাচ্ছে।

১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২৬

একলব্য১৯৭১ বলেছেন: লেখাটা খুব ভাল লাগল ভাই! আসলেই তো,কম দুঃখে কি কেউ তার নিজের দেশ ছেড়ে যায়!

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৩২

হাল্ক বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য। :)

১৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২৬

সাগর ঢাকা বলেছেন: আপনার লেখা টা পরে মন টা খারাপ হলো ...নিজের কথা বলি...একটা সফটয়ার ফার্ম এ কাজ করি ,, যদিও ফার্ম টা বাইরের কাজ করে ..কিন্তু সেই দেশি এডমিন ...সেই কম বেতনে মানুষ রাখার চক্র রয়েছে . আপনার পরিবারের সাথে সময় কাটানো শুনে নিজের কথা মনে পড়ল..এই সারাদিন অফিস করে , বাস এ ঝুলে ,যখন বাসায় যাই ..মা যখন খেতে দেন , বাবা যখন বলে কেমন আছিস , ছোটো ভাই যখন আমার উপহারে খুশি হয় ...তখন জানেন , এই কষ্ট , হতাশা কিছু মনে হয় না ...কিন্তু যখন ৫/১০ বছর পর চিন্তা করি...কোনো ভবিস্যত দেখিনা...হয়ত আপনার মত ..আমিও একদিন এই ব্লগ লিখব ....ভালো থাকুন...৫/১০ বছর পর দেশ এ আসুন ....এই গরিব বাংলা আপনাদের দরকার , নইলে এই ঘুসখোর , অসাধু দের হাতে , সব শেষ হয়ে যাবে . তখন হয়ত নিজের কাছে নিজেকে আরো অপরাধী লাগবে ..

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৩৪

হাল্ক বলেছেন: আপনি আমার মনের কথাগুলো বলে দিয়েছেন।

১৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২৮

মেঘ রোদ্দুর বলেছেন: বৃষ্টির দিনে অফিস কামাই করে ঘরে কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবি, এই বেশ ভালো আছি।

দেশ ছেড়ে যেতে চাই না............তবু যেতে হয় :(

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৩৫

হাল্ক বলেছেন: উপায় নাই মেঘ, উপায় নাই। :(

১৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৩২

অক্টোপাস বলেছেন: আমার এক ক্লাসমেট, সিএসই থেকে পাশ করার পর চাকরির জন্য একটা সফটওয়্যার ফার্মে গিয়েছিলো ইন্টারভ্যু দিতে। স্যালারির কথা উঠলে বলে ৭ হাজার টাকার দেবে! X(( X(( X((

চিন্তা করেন অবস্থা! অথচ পাশ করার আগে সে ধানমন্ডিতে আইএসডি'র একটা স্টুডেন্ট পড়াইয়া পাইতো মাসে ৮ হাজার টাকা। যাইহোক, তার কিছুদিন পর সে প্রাইম ব্যাংকের আইটি ডিভিশনে ঢুকছে। এখন বলছে, ওখানে জব সুবিধার লাগছে না। সিনিয়র-জুনিয়র ইন্টারনাল পলিটিক্স আছে!

অবশেষে সে বাইরে যাবার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। হয়তো চলেই যাবে কখনো! :( :( :(

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৩৭

হাল্ক বলেছেন: আমি টিউশনী করে যা টাকা পেতাম, এখনো চাকুরি করে সেই টাকাই পাই। অবস্থা খুব খারাপ। টিকে থাকাই কষ্টকর হয়ে পড়ছে।

আপনার বন্ধুর জন্যে শুভ কামনা থাকলো।

১৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৪০

জুমানজি১১ বলেছেন: আমি ২০০৭ এ পাশ করার সময় চিন্তা করেছিলাম...আর যাই হোক দেশে ছেড়ে যাবো না। ১২/১৫ হাজার বেতনের চাকুরীর জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছিলাম। ২ জায়গায় ইন্টেরভিউ ও দিলাম। সব ই ঠিক ছিল, যেই আমার রেসাল্ট দেখল, বল্লো তুমি ত এখানে থাকবে না। আমি শত যুক্তি দিয়ে বোঝালাম, লাভ হলো না।
শেষে ২ বছর বাইরে থেকে এম এস করে আসলাম। এবার ও নিওত ছিল দেশে কিছু করার। কিন্তু এখন অবস্থা আরো শোচনীয়, একবার বিদেশী সিল পরাতে এখন কেউ দাকেও না :( . বেশ কয়েক মাস ট্রাই দেয়ার পর এখন আবার চলে যাচ্ছি পি এইচ ডি করতে।

মাঝে মাঝে মনে হয় বুয়েটে পড়ে কি কোনো পাপ করলাম...কিংবা রেসাল্ট টা এক্টু উপরের দিকে না হলেই বোধ হয় ভালো হত। আবার মনে হয়, মেডিকেলে চান্স পেয়েছিলাম, অখানে পড়লে দেশে এট লিস্ট কিছু করার ওয়ে থাকত। বুয়েটে পড়াকালীন যে ভালোলাগাটা কাজ করত, সেটা এখন আর নেই, এখন শুধুই আক্ষেপ আর দূরে ঠেলে দেবার যন্ত্রনা। (এটা অবশ্য তাদের জন্য যারা দেশে থাকতে চায়)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৪৬

হাল্ক বলেছেন: আপনার কমেন্টও মূল পোষ্টে যুক্ত করে দিচ্ছি।

১৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৫০

অক্টোপাস বলেছেন: আপনার এমন চমৎকার লেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন!

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

হাল্ক বলেছেন: ভুল করে আপনার কমেন্টের উত্তর দেয়া হয় নাই।

সরি। :)

২০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৫৮

কালের কুতুব বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

তবে, বুয়েট কি বাংলাদেশের একমাএ ইঞ্জিনীয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়? সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে গোটা দশেক আরও কোয়ালিটি ইঞ্জিনীয়ারিং স্কুল আছে দেশে। সেখান থেকেও ছাত্ররা অহরহ বিদেশে যাচ্ছে।
আপনি পোস্ট দিলেন সমগ্র ইঞ্জিনীয়ার কমিউনিটি আ্যড্রেস করে.....আর টাইটেলে আ্যড্রেস করলেন শুধু বুয়েট !!! আশাকরি ভেবে দেখবেন।

পোস্টে প্লাস।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৩

হাল্ক বলেছেন: আজকে ফেসবুকে কিছু গালি শুনছি ত বুয়েট এর পোলা বলে, সেই কারনেই শিরোনামে বুয়েট চলে আসছে।

এছাড়া, সমকাল শুধু বুয়েটের কথাই বলেছে আজ।

লেখার সময় ইঞ্জিনীয়ার ছাড়া আর কিছু ভাবি নাই। সব ইউনির ছাত্ররাই এক বিপদে পড়ছে।

এখন শিরোনাম পাল্টানোর কারন নাই। যারা ব্লগ পড়ার ইতমধ্যে পড়ে ফেলেছেন। :)

২১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০০

বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: :(
এখনো পাশ করি নাই, তবুও অনেকের কাছ থেকেই শুনেছি, আসলেই পরিবেশ নাই :(

আপনার বর্ণনা টাচ করল :(
কিন্তু কেন যে উড়াল মারে, কেন নিজের চেনা জগতটা ছেড়ে অজানা দেশে পাড়ি জমায়-সেটা ত কেউ জানতে চায় না।


জুমানজি ভাই এর কমেণ্ট এ প্লাস।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

হাল্ক বলেছেন: :)

পাস করার আগেই GRE এর প্রস্তুতি নিয়ে ফেলো।

২২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২১

কালের কুতুব বলেছেন: এখন শিরোনাম পাল্টানোর কারন নাই। যারা ব্লগ পড়ার ইতমধ্যে পড়ে ফেলেছেন।-----ঠিক।

তবে আমরা যারা প্রাইভেট ইউনিতে পড়েছি গালি আমাদেরকে বেশিই শুনতে হয়,যেহেতু এখান থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমানে ছাত্র বিদেশে যায়। আমরা নাকি বাইরে যাওয়ার জন্যই পড়ি। কষ্ট করে পড়াশুনা করে স্কলারশীপ নিয়ে বিদেশে পড়তে আসার সময়ও আমাকে বাকা কথা শুনতে হয়েছে, ভাবটা এমন যেনো স্কলারশীপ টাও বাবা ম্যনেজ করে দিয়েছেন।

যইহোক।এটা পোস্টের মূল থিম নয়। আসুন দেখি পোস্টের মূল বিষয় নিয়ে কে কি বলেন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪০

হাল্ক বলেছেন: প্রাইভেট আর পাবলিক ইউনি নিয়া অনেক জল ঘোলা হইছে।

আমি জব করতে গিয়ে দেখছি, কম বেশি সবাই একই কোয়ালিটির। আর বিদেশে ত সব ইউনির সমান সুযোগ। সুতরাং, বাপে স্কলারশীপ যোগাড় করে দেয়- এটা ভাবা অন্যায়।

২৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২২

আহমেদ রাকিব বলেছেন: ইঞ্জিনীয়ার মাত্রই কামলা। মাঝে মাঝে মনে হয় 7-8 এ থাকতে যদি পড়াশুনায় একটু খারাপ হইতাম। বাপ মা ভয়ে বলত, থাক বাপ ম্যাথ এ পাশ করতে পারিস না, সায়েন্স পড়ে কাজ নাই কমার্স পড়। তারপর বিবিএ এমবিএ পড়তাম। এইচ,আর এ জব করতাম। কোম্পানী যার বাবারই হোক, ভাবটা নিতাম আমার শ্বশুড়ের। আফসোস লাগে। তবে এখনো দেশ ছাড়বোনা এই ব্যাপারে কোনো দ্বিধা নাই। শক্ত হয়ে বসে আছি। কি আর হবে? দেখা যাক কতদিন ধরে থাকতে পারি। আপনার পোষ্টটা অনেক টাচি হয়েছে। ভাল লিখেছেন ভাইয়া।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

হাল্ক বলেছেন: শক্ত হয়ে দেশে বসে থাকেন। আমরা হাল ছেড়ে দিচ্ছি বলে আপনিও যেন ছাড়বেন না। সবাই কি আর শক্ত হতে পারে?

২৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩১

নুভান বলেছেন: যখন আমি লেভেল-৪ এর ছাত্র, তখন থেকেই পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজন সবাই বলতে লাগলো, এই পাশ করেই তো উড়াল দিচ্ছো। গর্বে মাটিতে আমার পা পরেনা, নিজ দেশেই নিজেকে প্রবাসী মনে হতে লাগলো। কিন্তু বাবা-মার ইচ্ছে ছিলো দেশে কিছু একটা করি। আবার ভয়ও ছিলো। কারন আমার এক আত্মীয় খুলনা বি আই টি(বর্তমান খুয়েট) থেকে পাশ করে পানিসম্পদ প্রকৌশলে চাকুরী নিলেন। আয়ারল্যান্ড থেকে মাস্টার্সও করে এলেন। সৎ মানুষ ছিলেন তিনি। তীস্তা ব্যারেজের কাজের সময় টেন্ডারবাজরা তাকে পিস্তল ধরে সামনে ২ লক্ষ টাকার বান্ডিল ফেলে দিয়ে বলে, হয় টাকা নিয়ে টেন্ডার দিবি নাইলে গুলি খেয়ে মরবি! অতঃপর চাকুরী ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশে পিএইচডি করে এখন শিক্ষকতা করছেন।
আমি বেসরকারী চাকুরীর দিকে ঝুকলাম, সারাজীবন ঢাকায় থেকে গেলাম চিটাগাং-এ। শিফটিং ডিউটি, বেতন - নাই বা বললাম। তবুও স্বান্তনা ছিলো যে একটা দেশীয় প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করছি। কিন্তু যখন দেখি আমার বন্ধু যে কিনা পড়াশুনায় অনেক পেছনে ছিলো আজ চটকদার একটা প্রতিষ্ঠানে কাস্টমার কেয়ারের জব করে আমার দ্বিগুন কামাচ্ছে, তখন ঈর্ষাণ্বিত হইনি ঠিকই-শুধু মনে প্রশ্ন জাগলো, গাধার মত কেন এতগুলো বছর খাটলাম। সেটাও মানা গেল, মেজাজ চরমে পৌছালো আমাদের সবার (সেবার আমরা ৬ জন বুয়েট থেকে পাশ করে সে প্রতিষ্ঠানে জয়েন করেছিলাম) যখন দেখি অন্ডার মেট্রিক ভারতীয় অপারেটর আমাদের সাথে মাতবরী ফলাবার চেষ্টা করে। অভিযোগ করেও লাভ নেই জিএম, ডিজিএম নিশ্চুপ। যেহেতু তারা বিদেশী তাহলে তারা অবশ্যই বেশী জানে আমাদের থেকে ! ৬ মাস পর আমাদের বেতন বৃদ্ধির কথা ছিলো, বেতন বৃদ্ধি করল। কত জানেন? ১ হাজার টাকা মাত্র ! রাগে দুঃখে ৬ জন একসাথে রিজাইন দিয়ে চলে এলাম। এদের মধ্যে আমরা ৫ জন-ই এখন দেশের বাইরে ও ১ জন ইস্টার্ন রিফাইনারীতে জয়েন করেছে।

এখন বলুন, বিদেশে যেতে চাওয়া বা সেটেল্ড হবার ইচ্ছেটা কি অন্যায়? চেষ্টাতো কম করিনি দেশে থাকার জন্য, কিন্তু দেশ যে আমাদের চায় না।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

হাল্ক বলেছেন: কাছাকাছি কাহিনী আমাদেরও। ১০ জন একসাথে চাকুরিতে ঢুকেছিলাম, আজকে ২ জন বাদে সবাই বিদেশে।

আপনার মন্তব্যও পোষ্টে যুক্ত করা হলো।

২৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মুহম্মদ জায়েদুল আলম বলেছেন: এবার তাইলে আমার অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমি বুয়েটের না। শাহজালাল থেকে পাশ করা। ৪/২ এর পরীক্ষা শেষ হবার আগেই চাকরী পেয়ে গেলাম। র‌্যাংসটেল এ। দেশী কোম্পানী। জিপি,বাংলালিংক দেশের সব টাকা নিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং, দেশের জন্য কিছু একটা করতে হবে। আমাদের দেশের র‌্যাংকসটেল হবে ভারতের রিলায়েন্সের মতো দেশী কোম্পানী। একদিন জিপি, বাংলালিংক কেও আমরা কিনে নেবো। সবে মাত্র পাশ করে চাকরীতে ঢুকেছি। সুতরাং একটা কিছু করে সবাইকে চমকে দেবার জন্য মুখিয়ে আছি। আর দেশ দেশ করে প্রায় সবার মাথা খারাপ করে ফেলছি। সাথের বন্ধু বান্ধব দেশ ছাড়ছে। আমি ছাড়বো না। নিজেদের একটা বিলিং সলিউশন বানাবো। র‌্যাংকসটেলে ছিলেন জাকারিয়া স্বপন স্যার। তিনি সাহস করে নিজেদের একটা বিলিং সলিউশন দিয়ে র‌্যাংসটেল শুরু করেছিলেন। সেই সিস্টেমকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। দিন রাত কাজ করতাম। দারুন একটা বি,আই মডিউল করলাম। যেটা এখনকার ভালো ভালো সলিউশনের ও নাই। অথচ লাভ কি হলো? কিছুই না। দেখলাম কাজ না করে যারা কেবল উপরের মহলে তদবীর করে চলে, তারাই উঠি গেলো উপরে। দেশের প্রতি কাজের ইচ্ছে ততদিনে ধুলোয় মিশে গেছে।

এখন একটা ইন্টারনেশনাল বিলিং সলিউশনে কাজ করি। কিন্তু তারপরও বারবারই মনে হয়, আমরা বানিয়েছিলাম এমনই একটা সলিউশন যেটা কয়েকশ কোটি টাকা দিয়ে কিনে আনতে হয় বাইরে থেকে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫১

হাল্ক বলেছেন: এই দেশে যোগ্য লোকের সম্মান নাই...মেধার মূল্যায়ন নাই । :(

(মুল পোষ্টে আপনার অভিজ্ঞতাও যুক্ত হলো)

২৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫০

মেরিনার বলেছেন: পুরো ব্যাপারটাই আরেকভাবে চিন্তা করা যায়। বুয়েট হচ্ছে অনেক কষ্টে বানানো "কাকের বাসার" মত একটা আয়োজন - যা বানাতে কাক অনেক কাট-খড় পোড়ায় - যেখানে কাক অনেক কষ্ট করে ডিমে তা দেয়। একসময় যখন ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়, তখনও বোকা কাক খাবার যোগাড় করে এনে, নব-জাতকদের মুখে খাবার তুলে দেয়। কিন্তু নবজাতকরা যখন উড়তে শিখে, তখনই আসল সত্য ধরা পড়ে - কাকের বাসায় জন্ম নেয়া কোকিলের ছায়েরা উড়ে যায় কোকিল সাম্রাজ্যের বসন্ত উৎসবে - কোকিলদের একজন হয়ে, কোকিলদের মাঝে বসবাস করতে। আমদের দেশের বুয়েটিয়ানরা যেভাবে good living-এর জন্য Silicon Valley বা Australiaর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সেসব স্থানে পাড়ি জমান।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

হাল্ক বলেছেন: এইটা পুরাতন আর সত্য অভিযোগ... কোকিলের বাচ্চা গুলা যদি কাক সমাজে মিশ না খাইতে পারে, তাইলে অগো কোকিল সমাজে চইলা যাওন ভালো।

এই কথা দিয়ে আমি বুঝাতে চাচ্ছি না যে, বুয়েটের পোলারা বিরাট , হেন তেন কিছু। কথা হইলো, খাপ খাওয়াতে না পারলে বিদায় নেয়াই ভালো।

২৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৮

মুরুববী বলেছেন:
এই ব্যাপার ফাইনাল ইয়ারে থাকতেই উপলদ্ধি করতাম পারছিলাম।

পেটে ভাত না থাকলে দেশপ্রেম আসতো না আমার। আর দেশে হয়ত পেটে ভাত যোগার দেয়া তেমন কঠিন না, কিন্তু নিজের উপযোগি আর প্রাপ্য একটা লিভিং ষ্ট্যান্ডার্ড ম্যানাজ করা আসলেই দু:স্বাদ্ধ ব্যাপার- বিশেষ করে ইলিগাল একটিভিটিস না করে।

তাই এত চিন্তা বাদ দিয়া ভাগেন। আগে নিজের দিক দেখেন, নিজে ঠিক ঠাক হইতে পারলে পরে দেশের কাজ করতেই পারবেন।

ভালো থাকেন। শুভ কামনা।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৮

হাল্ক বলেছেন: আমারো একই কথা, পেটে ভাত চাই আগে... আগে বাচতে ত হবে।

২৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৯

সামিউর বলেছেন: আমার খুব কাছের এক বন্ধু ১৮ তারিখে চলে যাবে। আমার খুব কষ্ট হয় যখন দেখি কেউ দেশ ছেরে চলে যায়। বিশেষ করে খুব ঘনিষ্ট কেউ চলে গেলে। কিন্তু বাস্তবতা আমি জানি। ওদেরো কষ্ট হয়, তার পরো চলে যেতে হয়।


যাদের বুঝা দরকার তারা এই কষ্ট বুঝেনা। আফসোস। হয়তো আমিও কোনোদিন চলে যাব। সুধু চাই অভাগা এই দেশ আর দেশের মানুষের জন্য কিছু করে যেতে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২১

হাল্ক বলেছেন: অভাগা মানুষগুলোর জন্য কিছু করার সুযোগ পান আপনি- এই শুভ কামনা থাকল।


অফটপিক- প্রোফাইল পিকটা মনে হয় জাহাঙ্গীর নগর ইউনির।

২৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৫

একাকী বালক বলেছেন: আমি আমার জবের টাইমে, অনেক মজার ব্যাপার দেখছি, বুয়েট গ্রাডদের।

১. বুয়েটের ভাইজানেরা পরিচয়ের প্রথমেই বলে, কই দিয়া পাশ করছেন? এইটা যতটা না অন্যজন কই দিয়া পাশ করছে তা জানার জন্য বরং তার চেয়ে বেশী হইল নিজে যে বুয়েট দিয়া পাশ করছে এইটা জানান দেওয়ার জন্য।

২. ঢুকার পর পরই প্রথমে খালি বুয়েট বুয়েট করে এরা। যারা সিনিয়ার এবং অন্য জায়গা দিয়ে পাশ করছে তাদের তো কোন দামই দেয় না কিছুদিন পর নিজেগো বুয়েটের সিনিয়রগো নিয়াই বাকী অন্য জায়গা দিয়া পাশ করাদের বলে, আরে উনিতো তেমন ভাল ছাএ ছিল না। উনার ব্যাচের অন্য ভাইগো দিয়া শুনছি। এমনকি নিজের ব্যাচের বন্ধু সম্পর্কেও এমন বলে।

জানি সবাই এমন না। তারপরও বেশীরভাগই এমন দেখছি।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩২

হাল্ক বলেছেন: buet এর পোলাপাইনের খাসলত কোন কালেই ভালো ছিল না।


আমার ছাত্রের মা আমাকে একবার বলছিল, তাদের সময়েও বুয়েটের পোলাপাইন এর স্বভাবে গেঞ্জাম ছিল। ( উনি ঢাকা ইউনির, ৮২ এর দিকের ছাত্রী)

খাসলত খারাপ হতে পারে, নিজেরে জাহির করার স্বভাব থাকতে পারে, কিন্তু মোটের উপ্রে পোলাগুলা ভালো। দেশ এদের কাজে লাগাতে পারছে না- এইটাই দুঃখ।

৩০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৩৪

অবয়ব বলেছেন: আমার চাচাতো ভাই যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডী করতে গেছে। অসম্ভব মেধাবী একজন ছাত্র ছিল। সেও মনে হয় না আর আসবে। সে ওখানে ন্যানোটেকনোলজীর উপর গবেষনা করছে যা বাংলাদেশে অদুর ভবিষ্যতে আসবে কিনা সন্দেহ আছে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৪

হাল্ক বলেছেন: ন্যানো টেকনোলজী? আপনার ভাইয়ের একশ বছরেও আর দেশে ফিরা আসার চান্স থাকল না...

৩১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:০৩

অদ্ভুতুড়ে বলেছেন: বুয়েট থেকে পাশ করে দেশের জন্য কিছু করব ভেবেছিলাম,

সে আশা উবে যেতে সময় বেশি লাগেনি, এখনও দেশে আছি তবে আর ভাল লাগে না। ইউনিভার্সিটি লাইফে যা ভেবেছি তার কিছুই হয়নি। যা হয়েছে তার কিছুই চাইনি।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৮

হাল্ক বলেছেন: হমমম

সবার জীবন কাহিনী দেখা যাচ্ছে একই রকম।

৩২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:০৮

মুভি পাগল বলেছেন: আপনার পোস্টটা পুরোটা কয়েকবার পড়েছি। বেশ কয়েকবারই পড়েছি।

এরকম একটা ইউনিক এবং ইম্পর্টেন্ট পোস্টের জন্য আপনাকে অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আর সামুতে কেবল একবারই প্লাস দেয়া যায়। তাই একবারই দিলাম। কিন্তু আমার হৃদয় থেকে যে কতবার প্লাস দিয়েছি সেটা না হয় আপনাকে নাই বা বললাম।

আপনার পোস্টটি পড়ে একেকজনের একেকরকম প্রতিক্রিয়া হবে এবং হয়েছে, অন্তত কমেন্টগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে। আপনি যে পোস্টটি লিখেছেন সেটার একটা আভ্যন্তরীণ ম্যাসেজ আছে। যে এই ম্যাসেজটি ধরতে পারবে এবং উপলব্ধি করতে পারবে একেবারে ভেতর থেকে সে-ই কিন্তু সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। আপনার এই পোস্টটি একটি মানুষের চিন্তাধারা এবং পাশাপাশি জীবন পরিবর্তন করে দিতে সক্ষম। এরকম উপাদান আপনার পোস্টের প্রতিটি লাইনে লাইনে লুকায়িত আছে, এটা আমি নিশ্চিতভাবেই বলছি।

আপনার এই রকম একটা পোস্ট আমার জন্য অত্যন্ত জরুরী ছিল। এটা যে আমার জন্য কতটুকু মূল্যবান সম্পদ হয়ে থাকল তা আমি আপনাকে বোঝাতে পারব না।

your post must be realized, only seeing it and leaving a comment would do nothing.

আমরা বাস্তবতা প্রত্যেকেই বুঝি কিন্তু তার সাথে লড়াই করতে চাই না। বরঞ্চ তাকে দাঁতে দাঁত চেপে মেনে নিতে চাই। এর কোন মানে হয় না। মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এজন্য বানায়নি যে তারা এইরুপ আচরণ করবে।

অথচ আমরা সব জেনে শুনে বুঝেও কিছু না জানা শোনা এবং বোঝার ভান করে থাকি। এভাবে আর কতদিন?

+++++++++++++++++++++++++++++++
++++++++++++++++++++++++++++++
++++++++++++++++++++++++++++++++

৩৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:১৩

মুভি পাগল বলেছেন: ওহ হো, আরেকটা কথা। আমি কিন্তু বুয়েটের ছাত্র নই। সত্যি কথা বলতে বুয়েটে এপ্লাই করার যোগ্যতাও আমার ছিল না। ইন্টারমিডিয়েটের রেজাল্টের অবস্থা একেবারে যাচ্ছেতাই ছিল। অথচ মেট্রিক পাশ করার আগ থেকেই চিন্তা করতাম বুয়েটেই পড়ব কারণ চারপাশে তখন শুধু বুয়েট বুয়েট শুনতাম আর ভাবতাম, বুয়েটই বুঝি একজন সায়েন্সের ছাত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ ঠিকানা; এ ঠিকানায় যেতে না পারলে লাইফ হেল হতে সময় লাগবেনা। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডও আমাকে অনেক হাতছানি দিয়ে ডাকত কিন্তু দু:খের বিষয়, সেই ক্যাম্পাসের মাটিতেও আমার পা পড়েনি।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১১

হাল্ক বলেছেন:

মুভি পাগল ভাই, আপনার কমেন্ট পড়ে ভালো লাগল।

:)

৩৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:২৩

লুথা বলেছেন:
আমি দেশে আছি শুধুমাত্র আমারা বাবা-মা'এর জন্য...যেদিন বাবা-মা মইরা যাবে (আল্লাহ আমাকে যেন সেইদিন না দেখায়) সেদিন আমি দেশ ছাডবো...

সত্যি কথা বললে, দেশের জন্য আমার কোন মায়া-দেশপ্রেম নাই... আমি দেশে আছি শুধুমাত্র আমার বাবা-মা'এর জন্য...

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৫

হাল্ক বলেছেন: ভাই এমনভাবে বইলেন না।

৩৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২৭

ফারহান দাউদ বলেছেন: তোর এই লেখার কথাগুলিই মনে হয় গত দেড় বছরে অন্তত ৫ বার লেখসি ৫টা চাকরি ছাড়ার সময়, ৬ নম্বরটা ছেড়ে দিয়ে ভাবলাম, খামোকা আর লিখে কি হবে, কিছুই বদলাবে না। বুয়েট একটা উদাহরণ, কিন্তু আসলে দেশে টেকনিক্যাল পার্সোনেলদের অবস্থাই খারাপ (একাকী বালকের মত যেসব গর্দভের বুয়েটের নাম শুনলেই গা জ্বলে তারা কমন ধরে নিয়ে পড়লেই ভাল করবে, যদিও গর্দভটার মাথায় ঐ বুদ্ধি থাকলে আর বলা লাতো না।) তেল মারতে না পারলে বা ২ নম্বুরি করতে না পারলে বাংলাদেশে কোন চাকরিতেই উন্নতি নাই, তুই সরকারি চাকরিতে যা দেখিস, বেসরকারীতে তারচেয়েও খারাপ অবস্থা। এটা একটা দুষ্টচক্রের মত, টেকনিক্যাল পারসনদের দাম নাই দেখে ভাল টেকনিক্যাল হ্যান্ড আসে না, আর যারা ব্যবসা করে তারাও এই দাম দিতে তৈরি না, তারা বোঝে লাভ, দেশসেবা বা প্রোডাক্ট কোয়ালিটির কথা ভাবার সময় কই তাদের? টিকে থাকার সমাধান ২টা, হয় লাইন বদলে ফেলো, নয়তো বাইরে যাও। জুনিয়রদের বলি, ২ বছর ধাক্কা খেয়ে শেখার চেয়ে এখনই এই সমাধান ধরো, যে দেশ যেটা চায় না তাকে জোর করে সেটা দেয়া যায় না। আপাতত লাইন বদলে ফেলেছি, সরকার সুযোগ দিলে সেখানেও কিছুদিন ঘাড়ত্যাড়ামি করার ইচ্ছা আছে, দেখিই না কি হয়! বাইরে যাওয়া সর্বশেষ সমাধান, এত বড় দুনিয়ার কোথাও না কোথাও জায়গা তো আছেই, আগে নিজের ঘরে শেষ চেষ্টা করে দেখি।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৬

হাল্ক বলেছেন: "দেশে দেশে মোর ঠাই আছে, আমি সেই ঘর নিব খুজিয়া"

৩৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৪১

মনুমনু বলেছেন: ব্লগিং এ মনে হয় এভাবেই হতাশা প্রকাশ করা যায় । চাপ একটা হতাশা কাজ করছিল আমার মাথায়, কিভাবে উঠাব , ভাবে পাচ্ছিলাম না। হাল্ক মামায় চিমটি দিয়া হতাশাটা ফাটায়া দিল।
দাউদ ভাইজানের মত "আপাতত লাইন বদলে ফেলেছি" টাইপ কাজটা ০২ এ পাশ করবার পরই করসিলাম। এরপর লং ৮ বছর- ড্যাম ৮ বছর !!
পৈতৃক কিছু পূজি নিয়ে চেয়েছিলাম নিজের পায়ে দাড়াতে ! চেয়েছিলাম পরিবারে সবার মত আমেরিকায় না যেয়ে , দেশে মোটামুটি করে জীবন চালাতে। সততা'র ব্যবসায় "বোকার সততা"ই কুড়ে খেয়ে নিল সব পূজি। নিজেকে এখন বিচার করি একজন প্রকৌশলী হিসেবে নয়- গবেট লুজার হিসেবে। হয়ত অন্যর গোলামি করে শিখিনি কিভাবে গোলাম বানাতে হয়, তাই এখন আবার চাচ্ছি , আগে গোলামি শিখে গোলামি করব, পরে 'সুযোগ দিলে সেখানেও কিছুদিন ঘাড়ত্যাড়ামি করার ইচ্ছা আছে'(--দাউদ মামার ডায়ালগ) । বাহিরে যাবার ইচ্ছা হচ্ছে এখন- কাজের জন্যই-

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৮

হাল্ক বলেছেন: এই দেশ তার যোগ্য সন্তানদের অবহেলাই করে গেল। :(

৩৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:০৩

কঁাকন বলেছেন: ভালো থাকবেন

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৯

হাল্ক বলেছেন: ধন্যবাদ কাকন। :)

৩৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৩৭

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: দুঃখজনক কিন্তু সত্য..........:(

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৯

হাল্ক বলেছেন: :(

৩৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৪৮

বিডি আইডল বলেছেন: কিছু করার নাই

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২০

হাল্ক বলেছেন: কি জানি কিছু করার পাওয়া গেলেও যাইতে পারে।

৪০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:০৪

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: বাইরের পরিবেশ যদি এত খারাপ হয়,তবে আমরা আর পাস করে কি লাভ?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২১

হাল্ক বলেছেন: GRE -IELTS এর পড়া শুরু করে দাও।

৪১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৫৫

সামিউর বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রোফাইল পিকটা মনে হয় জাহাঙ্গীর নগর ইউনির।

হ্যা ভাই , আমার কাজিনকে দেখতে গিয়েছিলাম। তখন তুলেছি।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২১

হাল্ক বলেছেন: :)

৪২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৫৮

অাগন্তুক বলেছেন: View this link

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২২

হাল্ক বলেছেন: পইড়া আসছি। :)

৪৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:০৯

মুভি পাগল বলেছেন:
আইইএলটিএস পরীক্ষায় আমার স্কোর ছিল ৬.৫ কিন্তু তবু্র ইংল্যাণ্ডের মাটিতে পা রাখতে পারিনি। কারণ, কেউ স্পন্সর করতে চায়নি। সেদিন ঠিকই বুঝেছিলাম টাকার মূল্য কি

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৩

হাল্ক বলেছেন: অর্থ অনর্থের মূল কথাটা কত টুকু সত্য আমার সন্দেহ আছে।

৪৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:১৪

রাগিব বলেছেন: শুভকামনা রইলো।

বিপ্লবকান্তির কথা পড়ে আরেকটা পরামর্শ দিচ্ছি। বাংলাদেশী প্রফেসরের অধীনে কাজ করতে যাবেন না :) । বিদেশে থাকলেও তাদের দেশী অভ্যাস যায় না। একই কথা ভারতীয় কিংবা চীনা প্রফেসরদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৫

হাল্ক বলেছেন: রাগিব ভাই, আপনার কমেন্ট পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। :D


বাঙ্গালী ,চীনা আর ভারতীয় প্রফেসরদের পুরা এড়িয়ে চলব- কসম।

৪৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:০৬

বিপ্লব৯৮৪২ বলেছেন: ভাই , আমি বিপ্লবকান্তি না বিপ্লব । ব্লগে নয়া আমদানি –এখনো আমার হাত পা বাঁধা।
তবে প্রথম থেকেই এর পাঠক –এ হিসেবে পুরান নাপিত । পান্ডিত্যপুন্যলেখার পন্ডিতদের ভক্ত-তাদের দিকে পুরা নজর থাকে।
আপনার লেখাগুলো পড়েছি,বহু প্রশ্নে দিমত ছিল – হাত পা বাঁধা ছিল কিছু বলিনি।
’৯৬ এ আপনি যখন চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বের হন আমি তখন পিছন দিয়ে ডুকে এক কোনায় গিয়ে বসে পড়ি ।
সেই হিসেবে অবশ্য না চিনলেও সমস্যা নেই ।
বদ্দা গম আচন না ?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৭

হাল্ক বলেছেন: কমেন্ট টা রাগিব ভাইয়ের উদ্দেশ্যেই করা মনে হয়।

৪৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৭

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: @রাগিবঃ

দুই-একজন বাংলাদেশী প্রফেসরকে দেখে বিদেশের সব বাংলাদেশী প্রফেসরকে জেনারালাইজ করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৮

হাল্ক বলেছেন: রাগিব ভাইকে অনেক অভিজ্ঞ বলেই ত জানি।

৪৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

অপরিচিত_আবির বলেছেন: যাব্বাবা, দেশে থাকার যাও কিছু চিন্তাভাবনা ছিল আপনারাতো সবই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছেন!!

দেশ ছেড়ে যেতে মোটেও ইচ্ছে করে না, কারণ আমি জানি ফিরে আসা হবে না। আমার দুই মামা বুয়েটের সিভিল থেকে পাশ করে আটলান্টিকের ওপারে। বড়জন দেশের কাজ করবার উদ্দেশ্য নিয়ে বুয়েটে শিক্ষকতার হাতছানি ত্যাগ করে রাজউকে ঢুকেছিলেন, কিন্তু ঐ "সৎ" উদ্দেশ্য তার কলিগেরা মানতে চাইল না। উনিও নীতি থেকে পিছু হটবার মানুষ নন বলেই চাকরী ছেড়ে চলে গেলেন। আর পরে ছোটমামা আর দেশে চাকরীর চেষ্টাও করলেন না। এমন অবস্থা হবে জানলে আসলেই মেডিকেলেই ভর্তি হতাম।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৪

হাল্ক বলেছেন: সিভিলের পরিস্থিতি অন্যগুলো থেকে খারাপ। সিভিলে টিকে থাকাই বড় সমস্যা।
:(

৪৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৩

পৃথিবীর আমি বলেছেন: একাকী বালক বলেছেন: আমি আমার জবের টাইমে, অনেক মজার ব্যাপার দেখছি, বুয়েট গ্রাডদের।

১. বুয়েটের ভাইজানেরা পরিচয়ের প্রথমেই বলে, কই দিয়া পাশ করছেন? এইটা যতটা না অন্যজন কই দিয়া পাশ করছে তা জানার জন্য বরং তার চেয়ে বেশী হইল নিজে যে বুয়েট দিয়া পাশ করছে এইটা জানান দেওয়ার জন্য।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৪

হাল্ক বলেছেন: hmmmm.

কি আর বলব?

৪৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২১

মদন বলেছেন: এই ক্ষুদ্র গরীব দেশ আপনাকে অনেক দিয়েছে, আপনি দেশকে কিছু দেবার চেষ্টা করুন। আপনাদের মতো সব মেধাবীরাই যদি এভাবে চলে যায় তাহলে দেশ আরো মেধাবী শুন্য হবে, সব নষ্টদের দখলে চলে যাবে। যদি সম্ভব হয়, দেশে থেকেই যান, চেষ্টা করুন যেন আপনার উত্তরসূরীদের দেশ থেকে চলে যেতে না হয়। সেই পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা আপনিই না হয় শুরু করুন। পালিয়ে যাওয়া কোন সমাধান নয়।

খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি বুয়েটে পাশ করা ছেলেরা বিদেশে গিয়ে স্থায়ী আবাসের চেষ্টা করছে। :(

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৭

হাল্ক বলেছেন: পালিয়ে যাওয়া আমার প্রথম পছন্দ নয়। একেবারে বাধ্য না হলে যাব না।

৫০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৩৩

অদ্রোহ বলেছেন: গেঁয়ো যোগী আসলেই ভিখ পায়না ... :(

এমনিতেই যন্ত্রকৌশলে ব্যাপক যন্ত্রণায় আছি ,এখন আপনার কথাগুলা পুরাই বিষফোড়া মনে হচ্ছে :(

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:২১

হাল্ক বলেছেন: negative কথা বলতে ইচ্ছে করে না...কিন্তু কি আর করা...

৫১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

অরণ্যচারী বলেছেন: বাইরে যাওয়াকে আমি পজিটিভলিই দেখি। দেশের জন্য কিছু করতে চাইলে এখনকার যুগে বিদেশে থেকেও করা সম্ভব।

(লেখাটা ভালো লেগেছে, পড়েছিলাম আগেই।)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:২২

হাল্ক বলেছেন: হুমম...

৫২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪২

কাব্য বলেছেন:
দেখি বাইরে যাওনের ডাক কবে আসে, দেশে যেভাবে চলতেছে আলহামদুলিল্লাহ খারাপ নাহ :)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:০১

হাল্ক বলেছেন: দেশ কিন্তু আসলেই আগাচ্ছে। :)

৫৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:১৬

সিউল রায়হান বলেছেন: সিএসই'র বড় ভাইয়ারা নিজেদের সফটওয়ার ফার্ম ওপেন করতে পিছিয়ে গিয়েছে বহুবার..... দেশী ফার্মগুলি বলে বিদেশ থেকে জিনিস আনলে নাকি তার কোয়ালিটি ভাল হয়....

যেমন ৪-১ এ থাকতে স্যাড প্রজেক্টে গেলাম একটা জায়গায়.... তারা শ্রীলংকা থেকে ৪৫ লাখ টাকা দিয়ে সফট কিনেছে এটা গর্ব করে বলেছিল আমাদের,আরো বললো ওরা জানে দেশে এমন ভাল সফটওয়ার হয়না....মাইক্রোসফটের ডটনেট সফটওয়ার'টার মত কোন প্রডাক্ট বললে বুঝতাম, ওদের ওটা একটা নরমাল ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার /:) কিভাবে যে ওরে জুতাপেটা করার ইচ্ছাকে চাপা দিসিলাম আল্লাহই জানে.....

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:২৪

হাল্ক বলেছেন: আমি একটা কনসাল্টিং ফার্মে জব করেছিলাম যারা বছরে ৫৪ লাখ টাকা সফটওয়ার লাইসেন্স ফি দেয়। অইগুলা ৮-১০ wre আর cse এর একটা টিম ৬ মাসেই তৈরী করে ফেলতে পারবে। কিন্তু হায়! সেই সুযোগ কেউ পায় না।

পাস করছো? খবরদার দেশে থাকবা না। ভাগো...

৫৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৩

মুভি পাগল বলেছেন:

অর্থ অনর্থের মূল কথাটা আদৌ সত্য নয়। কারণ, যার কাছে অর্থ নেই সে বোঝে যে অর্থের মূল্য কি।

এই ভদ্রলোক আমার খুব পছন্দের একজন মানুষ। তার লেখা বই আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। আমি জানিনা আপনি তাকে চেনেন কিনা। যদি পারেন তবে তার লেখা "এই বইটা " কিনে পড়তে পারেন। নীলক্ষেতে বাংলা ভার্সন পাওয়া যায়। তার ভাষাতেই বলি:

অর্থ অনর্থের মূল নয়
বরঞ্চ অর্থের অভাবই অনর্থের মূল

৫৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৬

মুভি পাগল বলেছেন:
ওহ হো, তিনি ইয়াহহু ফিন্যান্সের একজন নিয়মিত কলামিষ্ট। তার সবগুলো কলাম এখানে একের পর এক পাবেন।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:০৩

হাল্ক বলেছেন: ওকে। পড়ে দেখব উনার লেখা। :)

৫৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৭:৪৩

একটি শিশিরবিন্দু বলেছেন: দেশের জন্য তো করতেই চাই, কিন্তু দেশ যে হাত পা বেধে আটকে রাখে... বিদেশে চলে এসেছি, তবু ভাবি, একদিন ফিরে গিয়ে কিছু করবো, কিন্তু ভয় লাগে। কারন অনেক সিনিয়র ভাইদেরকে আক্ষেপ করতে দেখি, যারা ২০- ৩০ বছর আগে দেশ ছেড়ে এসেছেন, সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, এখন নিজেদের অর্থ, অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং কোন প্রতিষ্ঠান শুরু করার চেষ্টা করতে গিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, দেশীয় প্রজুক্তিতে আমাদের জাতিগত অনাস্থা, এসব কারনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছেন। অনেকে অভিমান করে চেষ্টা ছেড়ে দিয়েছেন।

তবুও স্বপ্ন দেখি, একদিন দেশে ফিরে যাব। কিন্তু দেশ যদি আমাকে না চায়, সে যদি সাদা চামড়ার কম যোগ্যতার লোককেই ডলার দিয়ে পুষতে চায়, তবে আমরা কই যাব?

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:০৫

হাল্ক বলেছেন: তবুও স্বপ্ন দেখি, একদিন দেশে ফিরে যাব। কিন্তু দেশ যদি আমাকে না চায়, সে যদি সাদা চামড়ার কম যোগ্যতার লোককেই ডলার দিয়ে পুষতে চায়, তবে আমরা কই যাব?


কিছুই করার নাই । :(

৫৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৫৪

বাঙ্গাল বলেছেন: Human Development Report 2009 - HDI rankings এ বাংলাদেশ ১৪৬ তম। শুধু বুয়েটের ছেলেদের দোষ দিয়ে কি লাভ?

কেমনে প্রাইভেট জব কইরা টিকতে হবে...এইটা দেশে থেকে শিখা গেছিলাম।

১। আপনের যত জুনিওর কলিগ আছে এগুলার কাছে...দেখাইতে হবে, এইটা একটা ফাউল চাকরি। এই চাকরি না কইরা girls college এর সামনে আচার বেচাও ভাল। আর বসের কাছে কইতে হবে, জুনিওর গুলা কোন কাম পারে না...সব আপনেই করেন...আরোও কিছু বাতাস কানে দিতে পারলে আরো আপনি সাফল্যের সিড়ি দিয়া তরতর কইরা আগায়ে যাবেন…

২। অলঅয়েজ একটা বিজি বিজি ভাব নিতে হবে...হাটবেন ১০০মাইল স্পীডে। ফরফর আওয়াজ কইরা কাগজ উলটাইবেন। কাষ্টমার/ ক্লায়েন্ট ফোন করলে...বসের টেবিলের কাছে গিয়া রিসিভ করবেন। এক রিং এ রিসিভ করা যাবে না...কমপক্ষে ৫/৭ টা রিং হবার পর ফোন ধরবেন।
সাফল্য আপনের দরজায় আইসা দাড়ায়া থাকবে না, দরজা ভাইঙ্গা ঢুইকবে!

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:১০

হাল্ক বলেছেন: কঠিন টিপস দিলেন বস।

কাজে লাগব বহুত।

৫৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:১৪

আদার বেপারি বলেছেন: গত এক বছরে স্বল্পোন্নত কয়েক্টা দেশ ঘুরে, বাংলাদেশের সাথে তুলনা করে বুঝলাম কথায় পড়ে আছি আমরা। দেশের জনগন কত সহজেই না বিক্রি হয়ে যাচ্ছে রাজনীতিবিদদের কথায়!

যে একবার দেশের বাইরে পা রাখতে পেরেছে, দেশে এসে সব অন্যায় অনাচার দেখে টিকে থাকাটা কষ্টকর হয়ে যায় বইকি।

আর দেশের বাইরেও যে আমরা খুব সুখে গর্বের সাথে থাকতে পারবো, তাও কিন্তু না। বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেখলেই ইন্টারন্যাশনাল ব্যপার-স্যাপারে সব দেশের অচ্ছুত দৃষ্টি মনকে যথেষ্ট পীড়া দেয়।

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের যে নেতিবাচক ভাবমুর্তি, হোক তা আমাদের কালো চামড়া বা সীমাহীন দূর্ণীতির কারণে, তা কখনো কোথাও কোন বাংগালীকে মাথা উচু করে থাকতে দেয় না - সে নিজে যত ভালই হোক।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:১১

হাল্ক বলেছেন: সব দিকেই আমাদের জন্য বিপদ। তাইলে যামু কই আমরা?

৫৯| ২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১২:০০

ইব্রাহীম আহমেদ বলেছেন: এত্ত দিন পরে কমেন্ট করছি - জানি না আপনার চোখে পড়বে কিনা -


২-২ এর ফাইনাল হচ্ছে - আমি যে কথাটা বলি অন্যদেরঃ আমি বাইরে যাব ফিরে আসার জন্যে...

আপনার লেখাটা পড়ে একটু থমকে গেলাম ।

এমন না যে এগুলো সম্পর্কে আগে ধারনা ছিল না ; কিন্তু আপনার লেখাটা পড়ে আরোও বাস্তব মনে হল সেগুলো কে ।

কি যে করব ২ বছর পরে !

২০ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:২১

হাল্ক বলেছেন: আমিও ভাবতাম (এখনো ভাবি) বাইরে গেলে ফিরে আসব।

কিন্তু আসলে শেষ দিনে কেউ ফিরে আসে না।

৬০| ২৪ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১০:১৭

আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: মন খারাপ করা পোস্ট :( আমার দেশে থাকারই ইচ্ছা, দেখি কি হয়।

আর একাকী বালকের ক্ষেত্রে, ব্যাপারটা মনে হয় সেরকম নয়। বুয়েটে কারো লগে নতুন দেখা হইলে আমি জিগাই কোন কলেজ, কোন স্কুল ইত্যাদি। এইটা মূলত একই গোয়ালের গরুদের খুইজা বার করার জন্যে, তবে যার মন যেরকম সে সেইভাবেই চিন্তা করবে ;)

০২ রা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০২

হাল্ক বলেছেন: বুয়েটের পোলাপাইন আসলেই বদের হাড্ডি। ;)

৬১| ২৬ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:৪২

অডং চাকমা বলেছেন: অনেকদিন পরে মন্তব্য করতে চাচ্ছি। অনেকদিন পরে এই কারণে - আমি ব্লগে নতুন। ঘুরতে ঘুরতে আপনার এখানে ঢুকে পড়লাম।
বুয়েটের পোলাদের কথা কইলেন। দুর্দশার কথা বেশি কইলেন, সুখের কথাও কওন দরকার। আমি ইঞ্জিনিয়ার নই, কিন্তু বুয়েট পাস ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল একটি সরকারী উন্নয়ন প্রকল্পে। ইঞ্জিনিয়ারের কিছুই করতে হয় না, আপনাআপনি তার পকেটে টাকা চলে যায়, যাকে বলে পিসি। আমি প্রথমে মনে করেছিলাম পিসি মানে পার্সনাল কম্পিউটার। আরে না, পিসি মানে পার্সেন্টেজ। যে রকম পিসি চলে আসে তার পকেটে, আমার তো মনে হয় তার বিদেশে যাওয়ার দরকার নেই, সেখানে থাকারও দরকার নেই।

০২ রা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৫

হাল্ক বলেছেন: পার্সেন্টিজ কি আর সবাই পায় না সবাই খেতে চায়?

৬২| ২২ শে মে, ২০১০ ভোর ৪:০৬

মএসএইসভূইয়া বলেছেন: bhai,
buet theke bhalo result kore, deshe 3 year struggle korechi.
seshe sei bideshi ms kortechi..............

r likhlam na kichu

৬৩| ২২ শে মে, ২০১০ ভোর ৪:৩০

ব্রাইটসেন্ট্রাল বলেছেন: +

৬৪| ২২ শে মে, ২০১০ ভোর ৫:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি ভাই একটু দ্বিমত মারলাম। কারন আমার কথা কমু না, মেলা কইছি, সবই পুরান। বাংলাদেশে অনেক ভালো কাজের পরিবেশ আছে, তার সংখ্যা আমি কম কমু না। তবে এইটা ঠিক সাদা চামড়া বা অন্য পাসপোর্ট দেখলে হর্তাকর্তাগো মাথা ঠিক থাকে না, থাকবোই বা কেন কারন তারা যেইখান থিকা আসছে তাগো কাছ থিকাই কাজের মালপাতী আসে।


সমস্যা হইলো বাংলাদেশে মৌলিক কিছউ তৈরী করনের ক্ষেত্র তৈরী হয় নাই। যদি হইতো তাইলে দেখতেন ইন্জ্ঞিনিয়ারগো সবাই স্যালুট ঠুকতো। কারন টেকনোলজি নিয়ে যারা এগোয় তাদের অর্থনীতি ধুমাধুম আগায় যার বড় প্রমান ইউরোপের কয়েকটা দেশ।

যাই হোউক, আমি তাও মনে করি দেশে থাকন উচিত। আপনি কি চান: টাকা? তাইলে ঘুষ খান মেলা টাকা কামাইতে পারবেন। আপনি কি চান কিছু শুখতে তািলে একখান কাম করেন ভেন্ডর কোম্পানী বা ছোটখাটো ট্রান্সফর্মার বা জেনারেটর এ্যসেম্বেলারগো কোম্পানীতে ঢুইকা যান। শিখনের রাস্তা কেমন খোলা থাকে সেইটা বইলা বুঝান যাইবো না। অখনকার ইন্জ্ঞিনিয়াররাতো ইপিজেডের দিকে ভুলেও যায় না। ঐদিকে গিয়া কেউ একটু কামলা দিয়া খাটুক। তিন চার বছর যেই সব কাম শিখন গেছে বা ডিজাইন বুঝন গেছে সেগুলা দিয়া নিজেই কিছউ করা।

আমাগো ক্লাসের এক পোলা নাম শ্যামল। খুবই দরিদ্র ঘরের পোলা। পাশ করার পর টাকার জন্য জাহাজের কস্টকর জব বাইচা নিলো। ৩-৪ বছর বস্তা ভইরা টাকা নিয়া অখন ব্যাটা নিজেই শিপ ডিজাইন কইরা চায়নায় বেচনের ধান্ধা করতাছে। আরেকটা আছে ভন্ড (ওর আসল নামটা খেয়াল নাই মনে হয় ৫৬ রোল আছিলো) ও আমি আসনের কয়েকমাস পর শুনলাম হিমিটি স হ আরও কয়েকটার সাথে শলাপরামর্শ কইরা ডিজিটাল মিটার বানানোর ধান্ধা করতাছে। এই ব্যাটাও ওরকম কয়েকটা পরিবেশে কাম কইরা টাকা কামাইছে। অখন ধরেন এমুন বুকে সাহস যা শিখছি তাই নিয়া যদি কিছু করন যায় আর সেইটাতে ভালো ফল পাইলে তাইলে ধরেন একটা সেক্টর এগো উপরেই খাড়ায়া যাইবো। তাইলে দেখেন টেকনোলজিতে একখান অটোমেটিক বাজার তৈয়ার হইবো। এমন আরো অনেক উদাহরন আছে আমার কাছে কিন্তু সমস্যা হইলো এদের সংখ্যা খুব কম।

ভাই জীবনটা খুব কস্টের, একটু সাহস থাকতে হয় বুকে, যেমন একখান সাগর সাতরাই পার করনের সাহস। আর নাইলে সারা জীবন দেশে আলগা চাকরি কইরা মরতে হইবো অথবা বিদেশে আইসা দেশের লিগা আফসোস করতে হইবো!


কুনটা চান?

৬৫| ২২ শে মে, ২০১০ ভোর ৫:০৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভালো কথা, আমি ভাই বুয়েটি না, আমার মার্ক এতই কম আছিলো যে বুয়েটে পরীক্ষা দিবার পারি নাই!

৬৬| ১১ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ২:৫৯

সাগরের বুকে ঢেউ........ বলেছেন: +

৬৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৩:১৩

সাগরের বুকে ঢেউ........ বলেছেন: ৩-১ ইইই
পরামর্শ চাই।

৬৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:২৪

অর্ক হাসনাত বলেছেন: @উদাসী স্বপ্ন: সালাম ভাই ।

আমি নতুন পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার । এতক্ষন ভয়ঙ্কর সব কথা শুনে মনে সন্দেহ জাগছিলো । আপনার লেখা কিছুটা সাহস দিল ।

আমারো ইচ্ছা দেশে থেকে যাওয়ার ।

আমার লড়াই আমি চালিয়ে যাব ।

ধন্যবাদ ।

৬৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:০৬

মুভি পাগল বলেছেন: ভাই, পোস্টটা নিয়মিত আপডেট করলে ভাল হয়

৭০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:০০

গেসটাপো বলেছেন: অসাধারন লেখেছেন স্যার। নেভাল আরকিটেকচার এর অবস্থা ভাল। কিন্তু, খুব বাজে পরাশুনার কন্ডিশন।

৭১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৬

জাতীয়তাবাদী শুভ বলেছেন: পোস্টটি স্টিকি করা হোক...

৭২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২০

কাউসার রুশো বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে ভেতরে ভেতরে কাঁদছি। আমি সদ্য পাশ করা প্রকৌশলী। যদিও বুয়েট থেকে না। আর এ অবস্থা শুধু বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না। দেশের সব সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একই অবস্থা।
পাশ করে বেকার রয়েছি বেশ ক'মাস। যেসব চাকরির অফার পাই তার চেয়ে টিউশনি করে দ্বিগুণ আয় করতে পারবো। তাই বাস্তবতা অনেকখানিই এতদিনে বুঝে ফেলেছি। যে আমি দেশ ছাড়ার কথা কখনো চিন্তাই করতে পারিনি আজ সেই আমি শুরু করেছি IELTS । প্রয়োজন পড়লে হয়তো জিআরই ও করবো। :( :( :(

৭৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫২

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: আমিও প্রথমে যখন উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ আসি, আমার প্রফেসরকে বলেছিলাম, পিএইচডি শেষে আমি দেশে ফিরে যাব। কিন্তু এখন বলি বিদেশেই কিছুদিন চাকুরি করবো, দেশে ফেরার দেরি আছে। দেশের যেই দেখে আমাকে যুক্তি দেয় দেশে এসো না, বিদেশে আছো ভাল আছো। আমি নিজেও উপলব্ধি করি দেশে ফিরলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হতে পারবো, কিন্তু তার চেয়ে ভাল কিছু আমাকে দিয়ে হবে না। তার চেয়ে ভাল কিছু বলতে আমি বুঝিয়েছি দেশের কল্যানে বড় কোনো কিছু করা হবে না। বলতে পারেন প্রফেসররা কি কিছু করছে না দেশের জন্য? আমি বলবো, দেশের জন্য কিছু করতে হলে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে অবদান রাখতে পারাটাই প্রধানতম কাজ, যেখানে আমাদের প্রফেসরদের কাজ শুধুমাত্র ক্লাস নেয়া। ভালো রিসার্স ফ্যাসিলিটিও নাই বিশ্ববিদ্যালরগুলোতে, নেই কোনো গবেষণা কেন্দ্র যেটি দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব।

কিছুদিন আগে এক ভাই বললো, তুমি দেশের জন্য কিছু করতে চাও ভালো কথা, সেটি বিদেশে বসেই বরং বেশি করতে পারবে, বিদেশে ভাল একটা চাকুরি কর, দেশ তোমার কাছ থেকে মোটা অংকের একটা রেমিটেন্স পাবে, সেটিই হবে বড় উপকার। দেশে গেলে এতটুকুও করতে পারবে না তুমি।

আপনি নিজের কথা চিন্তা করেন, আপনি যে চাকুরিটি করেছেন, তার জন্য আপনার বুয়েটে পড়ার দরকার নেই, বুয়েটের প্রযুক্তিগত জ্ঞান আমার মনে হয় না আপনার কোনো কাজে লেগেছে ঐ চাকুরি করতে। তার চেয়ে কি ভাল না আপনি আপনার ঐ পজিশনটা দেশের অন্য একটি বেকার ছেলেকে দিয়ে আপনি বিদেশে এসে ভাল একটা চাকুরি করেন? একদিক দিয়ে চিন্তা করলে সেটাই হবে দেশের জন্য কিছু করা।

৭৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

এম্নিতেই বলেছেন: তিন বছর ছিলাম, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, বসের হারামিপানা আর পক্ষপাতিত্ব থাকতে দিল না... :( কষ্ট নিয়ে দেশ ছেড়েছি।

দেশে থাকতেও বুয়েট নিয়ে খোঁটা শুনতাম, বাইরে এসেও শুনি দেশের পয়সায় পড়ে বিদেশে পড়ে আছি।কই যাব?

৭৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫২

ত্রিভুজ বলেছেন: অনেকগুলো কষ্টকর সত্যকথা একটা পোস্টে পাওয়া গেল। এই পোস্টটা প্রিন্ট করে রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাগিয়ে রাখা গেলে ভাল হতো, আমরা যে কোথায় চলেছি এবং আমাদের ভবিষ্যত কি তা নিয়ে লোকজন ভাবার অবকাশ পেত, একটু হলেও।

৭৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৩

আশাহত বলেছেন: @উদাসী স্বপ্নঃ আমি আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেসি। আপনি যেটা বললেন, সেইটা বাইরে না যাওয়ার বিকল্প। ঠিক আছে, দেশে থাইকা নতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি করা যাইতে পারে। কিন্তু ধরেন, আমার এমন একটা ফিল্ডে ইন্টারেস্ট, যেইটা দেশে করতে গেলে কোন ফেসিলিটিই পাব না, তাইলে? একদম স্ক্র্যাচ থেকে শুরু করতে গেলে অনেক কিছু লাগে, এত কিছু সবার নাও থাকতে পারে। আন্ডারগ্র্যাডে পড়তে একটা সার্কিটের পিসিবি বানাইতে পারতাম না সহজে, কারণ সেরকম ফাউন্ড্রি নাই যারা স্টুডেন্টদের জন্য খুচরা বানাবে। ভাবসিলাম, নিজেরাই খুলব। টাকা কই পাব? নতুন বিজনেস শুরু করতে গেলে নানান ঝামেলা - সিম্পলেস্ট উদাহরণ - চাঁদাবাজি। এত সাহস সবার থাকে না।

দেশে কি আরামে ছিলাম, চাকরি করতে করতে রিল্যাক্সড লাইফ কাটাইসি। বাইরে আইসা সারাক্ষণ দৌড়ের উপরে, কম্পিটিশনে দম ফেলার টাইম নাই। কোন দরকার আছে এইটার? কিন্তু যেই পড়াশোনা করতেসি, সেই জিনিস শিখে দেশে গিয়ে টিচার হওয়া আর কম্পিউটারে সিমুলেশন করা ছাড়া আর কিছুই পারব না, যেটা দিয়া আমার কোন পাব্লিকেশন হবে না, পাব্লিকেশন না হইলে টিচারের চাকরিতে প্রমোশন নাই। কেমনে কি? ফান্ডিং নাই দেশে, সরকারি ফান্ডিংয়ে কয়েকটা ফেসিলিটি খুললেও কাম হয়। কোন সরকারই দলের লোক ছাড়া টাকা দেয় না। এগ্রিভার্সিটিতে দেখসি - আমেরিকান একটা ফান্ডিংয়ের অফার আসল। চারজোট সরকার এক প্রফেসরের ভাল রিসার্চ প্রপোজাল ফালায়ে দিয়া আরেকজনের ফালতু প্রপোজাল (যেটার কোন প্র্যাক্টিকালিটি নাই) পাঠাইল, কারণ প্রথমজন জামাতবিরোধী। আল্টিমেটলি, ঐ অফার আর পাওয়া গেল না। দল করা, ঘুষ খাওয়া, দেওয়া, চুরি করার ইচ্ছা নাই।

৭৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২১

প্রলাপ বলেছেন: লিমন, ভালো লিখছস

৭৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৪

এস.বি.আলী বলেছেন:

৭৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১১

শফিক বলেছেন: লেখাটি আর কমেনটগুলো পড়ছিলাম আর ওনেক দিন ধরে মনের মাঝে জমা কিছু কথা শেয়ার করার জন্য ব্যকুল হচছিলাম। আমি বিদেশে যাওয়ার ঘোর সমরথক। কারন:
১। এত ছোট দেশে এত লোক। যত লোক বাইরে যাবে তত লোক কমলো। resource absorber কমলো।
২।বলা হয় মেধা পাচার। কিনতু বিসিএস এ ১ লাখ থেকে ২/৩ হাজার মেধাবি নেয়া হয়। মেধাবি লোকের কমতি দেশে নাই। একই কথা বেসরকারি চাকুরিতেও।
৩। যে দেশের এত বেকার, সে দেশের একজন বাইরে গেলে আর একটা ছেলের জন্য চাকুরি জায়গা করে দিল।
৪।Remittance পাঠায় শুধু নিজের family না, ২/৪ টা relatives কে ও টেনে তুলছে।
৫।আমরা একজন যেটত পারলে ভাই,বোন,relatives even neighbors দের ও নেয়ার চেষটা করি। পরে যারা যায় তাদের জন্য ১-৫ কাজ করে।
৬।খুব মেধাবিরা তার মেধাকে দেশে কাজে লাগাতে পারবে না। সে রকম infrastructure, resource, backup কিছুই নেই। আমরা তো দেশ তো বটেই world এর ও এক জন। তাই মেধা যদি সারা মানব জাতির কাজে লাগে তাতে লাভ বৈকি।

সবাইকে ধন্যবাদ

৮০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৮

রোজেল০০৭ বলেছেন: সেই দুঃখেই পড়াশোনা শেষ হওয়ার আগেই দেশ ছাড়লাম।হায়রে বিদেশ ! এখানে থেকেও পড়াশোনা শেষ করতে পারব না হয়ত।সান্তনা এটকুই ডলার কামাইতেছি।

৮১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৪

জুবায়ের আহেমদ বলেছেন: আপনি ইঞ্জিনিয়ার তাই দেশ ছেড়ে যাওয়া আপনার জন্য মিডিওকর মেধাবীদের ছেয়ে সহজ। আপনি চাকুরি ক্ষেত্রে যে সমস্যার কথা বল্লেন এইটা কিন্তু সবার। যারা দেশে আছে তারা মেনে নিয়েছে বা মানিয়ে নিয়েছে। অথচ সমস্যাটা সমাধানের চেষ্টা কেউ করছে না। স্বাধীনতার পর গত চল্লিশ বছরে কতোজন ইঞ্জিনিয়ার দেশ ছেড়েছে ? তারা ওইখানে কতো টাকা উপার্জন করেছে, তার কতো টাকা দেশে বিনিয়োগ করেছে? আমার ধারনা আপনার মতো দুঃখ নিয়ে গত এক দশকে অন্তত ১০০০ ইঞ্জিনিয়ার দেশ ছেড়েছে, তাদের আন্তত ৫০ জন ভালো সম্পদের মালিক হয়েছে, তারা কি তাদের পরবর্তী প্রজন্ম আপনাদের জন্য কিছু করেছে? আপনারা আপনাদের অভিবাবক শিক্ষকরা তাদের কাছে চেয়েছেন কিছু?
এই ২০১০ সালে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ মেধা, অন্যের জোয়াল টেনে যদি সুখ না পান তাহলে নিজে, নিজেরা কিছু করুন। কিছু মনে করবেন না "হতাশা" অনেক বড় রোগ, অনেক বড় নেশা।
অনেকেই বলছেন এইটা করতে এইটা লাগে ওইটা লাগে এইটা নাই ওইটা নাই। আমি বলি সবি আছে শুধু সত্যিকারের স্বপ্নটা নাই, স্বপ্ন পূরণের সাহস টা নাই। এমন অনেক উদাহরন এই বাংলাদেশে আছে যারা শূণ্য থেকে শুরু করে ১০০ তে উঠে এসেছে। তাহলে আপনি কেন নয়?

৮২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:০০

নীল ভোমরা বলেছেন: কই?!... আমিতো যাইনি?!

৮৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৩৭

অবিবর্তিত বলেছেন: সত্য বলেছেন।

দেশকে ভালবাসতে হলে দেশেই থাকতে হবে কেন? আমরা যারা কারনে অকারনে দেশ ছাড়ি তাদের সাথে বিক্রীত পণ্যের (ফেরত লওয়া হয়না) মত আচরন দেখে খারাপ লাগে। দেশের বাইরে যারা থাকে তারা যেন বিশ্বাসঘাতক বা এমন কিছু। ইউ এস এতে বাংলাদেশী স্টুডেন্টদের যে সুনাম তা কি দেশের ভাবমূর্তিকে উন্নত করছে না? আমরা কি অন্তত এতটুকু বুঝাতে পারছি না যে হরতাল, ইভটিজিং, মেৌলবাদ এর বাইরেও এদেশে উন্নত মানসিকতা সম্পন্ন মানুষও আছে। আমার বাসার জানালায় বাংলাদেশের পতাকা ঝুলিয়ে দিয়েছি প্রথমবার লাগেজ খোলার আগেই। ১২ টা টি শার্ট নিয়ে এসছি আজিজ থেকে। বুকে লালন, রবীন্দ্রনাথ, সালাম জব্বারদের ছবি নিয়ে ঘুরে বেড়াই। আমার প্রফেসর জানে বাংলাদেশ ভাষার জন্য লড়াই করেছিল। আমার রাশান বন্ধু জানে এশিয়ার প্রথম নোবেল জয়ীর নাম। দেশকে ভালবাসি না বলেই গরজ নিয়ে এগুলি করি।

যাই হোক পোষ্টটা ভাল লাগল । আমরা যারা লিখে বুঝাতে পারি না তাদেরে মনের কথা গুলা তুলে এনেছেন। ধন্যবাদ।

৮৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:০৩

শেহাব বলেছেন: আমি এদিক দিয়ে সৌভাগ্যবান ৪ বছর দেশে কাজ করেছি এখানে পড়তে আসার আগে। অসম্ভব সুন্দর কাজের পরিবেশ ছিল। আর যোগ্যতা আর কাজের মান ছাড়া অন্য কোন কিছু নিয়ে অফিসে উপরে বা নিচে কেউ মাথা ঘামাত না। টাকাও অনেক ভাল দিয়েছে। কাজেরও চাপ তেমন ছিল না। এসাইনমেন্টগুলাও প্রচুর মাথা খাটানোর ছিল।

৮৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:৫২

একলোটন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
মন্তব্যগুলোও ভালো লেগেছে।

ভাইয়া, আমি সদ্য পাস করেছি তবে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং।বড় ভাইদেরই এই অবস্থা! আমাদের তো ঠাই নাই।দেশের বাইরে ভাগতে বললেও ভাগার পথ রুদ্ধ অনেক কারণেই আমাদের।
ভর্তি হয়েছি IEB এর AMIE. উচ্চ শিক্ষা যেন স্বপ্ন ডিপ্লোমাদের জন্য।ডুয়েটে ভর্তি হব? অসম্ভব সেখানে।
সাধারণরা যাবে কোথায়?
জায়গা নেই :(

৮৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৮

আশাহত বলেছেন: @জুবায়ের আহেমদঃ বলা সহজ, করা কঠিন, কখনো কখনো অসম্ভব।

৮৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৩৮

হাঁড়িচাচা বলেছেন: প্রায় ৪ বছর চাকরি করার পর আমিও এখন হতোদ্যম। GRE, IELTS এর প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছি। দেখা যাক কি হয়। /:)
@জুবায়ের আহমেদ, স্বপ্নকে বাস্তবে সফল করা এমনিতেই অনেক কঠিন। তার উপর বাংলাদেশের মত জায়গায় যেখানে মেধা কাজে লাগানোর মত সুযোগ নেই, গবেষণার সুযোগ-সুবিধা নেই, টেকনিক্যাল স্কিলের চেয়ে গলাবাজি আর দলবাজির কদর বেশি; সেখানে স্বপ্নকে বাস্তবে টেনে না আনাই হয়তো ৯৫ ভাগ ইন্জিনিয়ারদের জন্য মঙ্গলজনক।

৮৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:০৩

ধূসরধ্রুব বলেছেন: সত্য কথা বলি, আমার দেশে থাকতে বড় ইচ্ছে করে। দেশে থাকতে ইচ্ছে করে যখন দিন শেষে ছোটবোন দুইটাকে দেখি । শুক্রবার দুপুরে বাসার সবাইকে নিয়ে যখন এক সাথে খেতে বসি, তখন মনে হয়, এক জীবনে মানুষ আর কতটুকু পায়? আমি ত দেশেই ভালোভাবেই বেচে থাকতে পারি। বৃষ্টির দিনে অফিস কামাই করে ঘরে কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবি, এই বেশ ভালো আছি। কিন্তু এই সবই ক্ষনিকের জন্য। জীবনের অনিশ্চয়তা, দেশের কিছু মানূষের নীতি এবং কান্ডজ্ঞানহীন আচরনে বড় ভয় পাই।

ভাইয়া বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা । এই অংশটুকু পড়ে চোখ থেকে এক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ল । আমিও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি । আমিও দেশে থাকতে চাই । দেশের জন্য কিছু করতে চাই । জানিনা সামনে কি হবে ।

৮৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১১ ভোর ৬:০৭

আব্দুল্লাহ আফফান বলেছেন: ভাইয়া ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে যখন আপনার এ অবস্থার স্বীকার সেখানে আমি রিলিজিয়াস পড়াশুনার কথা নাহয়ই বাদই দিলাম। আমি বাংলাদেশে যখন পড়াশুনার একটা পাট শেষ করেছি আর বুঝতে পেরেছি যে এ দেশে পরে পচে মরা ছাড়া আর কিছু হবে না তখন একটানা ছয় মাস পাগলের মত খেটে সব কাগজ পত্র জোগাড় করে মিশরে সহ আরো পাচটা দেশে এপ্লাই করি আর কঠোর পরিশ্রম করার কারনে হাঁসপাতালের বিছানা বেছে নেই। টানা তিন মাস জন্ডিসে আক্রান্ত ছিলাম আর চেহারা আর দেখার মত ছিলো না। অবশেষে আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেন আর মিশরের আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ পাই। এখন মিশরে আছি আর এখন মাঝে মাঝে ভাবি যে দেশে গেলে কি করব? যারা গিয়েছে তারা এখন মাথা চাপড়াচ্ছে। জানি না কি করব তবে এটা জানি অন্য কোন এক দেশে বানিয়ে নিব আমার আগামি পৃথিবী। তবে এটা বাংলাদেশের প্রতি ক্ষোভ না বরং এটা আমার আগামি প্রজন্মকে একটি সুন্দর পৃথিবী দেয়ার উদ্দেশে। দোয়া করবেন এবং আপনার জন্যে দোয়া ও সহমর্মিতা।

আব্দুল্লাহ আফফান
কায়রো, মিসর

৯০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৫৬

আলোর অভিলাসী বলেছেন: PATHETIC :(

৯১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৫৬

আলোর অভিলাসী বলেছেন: PATHETIC :(

৯২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:০৮

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: :(:(:(:(:(

৯৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪৭

অসামাজিক লোক বলেছেন: অনেক আগে পড়ছিলাম, ভাবলাম আজকে কমেণ্ট করে যাই,আমি কেবল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করলাম, জিপিএ ভাল না, দুই এক জায়গায় এপ্লিকেশান করে ছিলাম কিন্তু কেঊ ডাকেনা, আর সবাই আশেপাশে দেখছি ভাই টাইকে ধরে চাকরিতে ঢুকছে, আমার আর ভাল লাগছেনা, আমি ভাবছি জি আর ই করে চলে যাওয়ার ধুমছে চেষ্টা করব

৯৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৩২

মাসুদ মারুফ বলেছেন: কি অবস্থা , হায় হায়

৯৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:৪৮

রক্তভীতু ভ্যাম্পায়ার বলেছেন: ভাই আর একটা বড় কারণ হল-দেশের commerce line এ যারা তারা bba,mba করে যে বেতন দিয়ে চাকরি শুরু করে,অনেক engineer রা তার চেয়ে অনেক কম বেতন দিয়ে চাকরী শুরু করে,দেশের প্রথম শ্রেণির ছাত্র হয়ে বুয়েটের অনেক ছেলেই এটি মানতে পারেনা!আর personally আমি যে dept. এ আছি সেই dept. এর চাকরীক্ষেত্র হল দেশের shipyard গুলো যেখানে নাকি naval architect দের পাত্তাই দেওয়া হয়না!এজন্য গত নবীন বরণে deparmental head বলেছিলো বুয়েট থেকে বের হওয়ার পর ৬০% naval architect বাইরে চলে যায়,৩০ জনের dept. এ যদি এই অবস্থা হয় তাহোলে বাকি dept. এর কি অবস্থা!

৯৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৩

মুভি পাগল বলেছেন: হাল্ক ভাই, আপনি কই ভাই? পোস্টটা আপডেট করেন প্লিজ

৯৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:২৭

আমি একজন যন্ত্রমানব বলেছেন: ২ বছর ধাক্কা খেয়ে শেখার চেয়ে এখনই এই সমাধান ধরো, যে দেশ যেটা চায় না তাকে জোর করে সেটা দেয়া যায় না। আপাতত লাইন বদলে ফেলেছি, সরকার সুযোগ দিলে সেখানেও কিছুদিন ঘাড়ত্যাড়ামি করার ইচ্ছা আছে, দেখিই না কি হয়! বাইরে যাওয়া সর্বশেষ সমাধান, এত বড় দুনিয়ার কোথাও না কোথাও জায়গা তো আছেই, আগে নিজের ঘরে শেষ চেষ্টা করে দেখি।

ভালো লাগছে।

৯৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:৩৭

দেশী পোলা বলেছেন: এইদিকে ঢু দিও

এসএসসি আর এইচএসসি'র বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকারীরা এখন কে কোথায় আছে?

৯৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৪১

আদম_ বলেছেন: কিছু একটা করেন ভাই। নর্দমায় না নামলে নর্দমা পরিস্কার হবেনা।

১০০| ০২ রা মে, ২০১৩ রাত ১২:১২

রকসটারডিমটিবি বলেছেন: Its very easy to give up.
I am not from BUET, I done my study from a Foreign University, done my BEng in Electronics, Ten years later when I came back to this country I was shocked.. All my friends from abroad advised me not to return but I listened to my heart. I was shocked to see broad daylight corruption. I been to every single govt offices related to my project and noticed how shameless each and every officers.
You know why this things happened because We gave up, We ran away without facing the problems.
I am suffering unbearable pains due to corruptions but I wont give up.
I will try harder.

I still rem abt the day when a SI from malibag SB office gave up his hope of taking money from my pocket for my NEW DIGITAL PASSPORT.
or the guy from cumilla education board when I went three times to get my duplicate certificate.
or the CNG driver, I took him straight to the police station.

We can change this country but it must be US not me or you alone.

I promised myself not to give up. I will continue...

১০১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

গেন্দু মিয়া বলেছেন: আসলে অন্য ভাবে দেখলেঃ বুয়েটে না পড়াটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।

চান্স পেয়েও পড়িনি অন্য একটা প্রতিষ্ঠানে পড়েছি, পাস করে বের হয়ে দ্রুত চাকরি পেয়ে যেন ছোটবেলার ভালোবাসা বেলা বোসকে ঘরে তুলতে পারি। তখন বুঝিনি, এটা করতে গিয়ে এরকম অদ্ভুত একটা পরিবেশে ফেঁসে যাবো।

শুধু প্রকৌশলীরাই নয়, সকল পেশাজীবি মানুষের জন্যই এটা সত্য - "দেশে থেকে কিছু হবে না, যদি না প্রয়োজন মোতাবেক অস্ত্রের মহড়া দিতে পারো। অতএব দেশ ছেড়ে ভাগো!"

আফসোস, বুয়েটে পড়ে দেশ থেকে ভাগার সুযোগ পেলে জীবনে আর কিছু চাওয়ার থাকতো না। দেশে থাকার চেয়ে বিদেশে চলে যাওয়াটা অবশ্যই বেশি বাস্তবসম্মত এবং যুক্তিযুক্ত। খালি পেটে দেশপ্রেম হয়নারে ভাই! :(

১০২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: পুস্টে পিলাচ+++++++++

১০৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

েবনিটগ বলেছেন: ++

১০৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০২

ধ্রুবআলো বলেছেন: বছর খানেক ধরে পাশ করে আমিও এদিক ওদিক এ দৌড়ের উপর আছি , জীবনে কত স্বপ্ন ছিল কিন্তু বাস্তবে এসে সব স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেছে । এখন একটা construction company তে কাজ করছি, যে পরিশ্রম করতে হয় আর মাস শেষে যে বেতন পাই তা দেখে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় আছি, এই শ্রম দেশের বাইরে দিলে মাসে অনায়াসে ১,৫০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা salary পাওয়া সম্ভব অথচ এখানে তার লেশ মাত্র নেই । হয়তো আর একটা বছর থাকা হবে এর মধ্যে ভালো কিছু না হলে আমিও চলে যেতে বাধ্য হবে । এখন শুধুই অপেক্ষা .....

১০৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: একই অবস্হা আমারও যা কিছুই হউক দেশে কিছু করতে চাই,দেশ ছাড়তে চাইনা।কিন্তু চারপাশের মানুষগুলোর অসততা আর প্রতারণায় ভরা চরিত্রগুলো দেখে আশা হারিয়ে ফেলছি।নতুন উৎপাত তরমুজ খেয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে আর এরচেয়ে খারাপ কিছুই হয়না।খাদ্য,পানি আর চিকিৎসা- এই ৩ টা খাতে তো অন্তত বিশুদ্ধতা থাকা উচিৎ।দেশ সন্ত্রাসী,হাইজ্যাকার থাকুক আমি অতটা সিরিয়াস হব না পুলিশ বা সরকারের বিরুদ্ধে-এগুলা সবদেশে সবসমাজেই থাকে।প্রশাসন দূর্নীতিবাজেরা দূর্নীতি করুক,বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে দেরী হোক,সরকারী বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে কালবিলম্ব হউক আমার কোন মাথাব্যথা নাই-কিন্তু যেগুলা আমাদের মৌলিক ব্যাপারসেপার যেমন খাদ্য,চিকিৎসা পানীয় এগুলাতে তো ১০০% বিশুদ্ধতা থাকা চাই।এসব খাতে যদি এমন অবস্হা হয় তাহলে সমাজের উপর শেষ আশাটাও হারাতে হয়।

১০৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: বারবার পড়তে ইচ্ছা করে বিশেষ করে কমেন্ট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.