নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মুসলীম । সবার প্রতি আহ্ববান জেনে, বুঝে এবং আনুগত্যের মাধ্যমে মুসলীম হোন ।

হুমায়ুন কবির (সুমন)

আমি একজন মুসলীম । সবার প্রতি আহ্ববান জেনে, বুঝে এবং আনুগত্যের মাধ্যমে মুসলীম হোন ।

হুমায়ুন কবির (সুমন) › বিস্তারিত পোস্টঃ

আর কত রক্ত ঝরাবে মৌলবাদীরা ?? হুমায়ুন কবির (সুমন)

৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১



আর কত রক্ত ঝরাবে মৌলবাদীরা ?? এই কথাটি বিশ্বজুড়ে আলোচিত এবং বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বোদ্ধ ও দলমত নির্বিশেষে বেশীর ভাগ লোকেরই এই প্রশ্ন । প্রথমে বলব মৌলবাদী শব্দটির অর্থ হচ্ছে মূল জিনিসকে আকড়ে ধরা । এই হিসেবে যে কুরআন ও সুন্নাকে আকড়ে ধরবে সেই হবে মৌলবাদী মুসলীম, ভগবত গীতা ও মহাভারতকে আকড়ে ধরলে হবে মৌলবাদী হিন্দু , বাইবেলকে আকড়ে ধরলে হবে মৌলবাদী খ্রিস্টান, ত্রিপিটককে আকড়ে ধরলে হবে মৌলবাদী বোদ্ধ । আকড়ে ধরা মানে হল সঠিক ভাবে জ্ঞান অর্জন করে সব বিসর্জন দিয়ে সেইটার প্রতি অনুগত থাকা । কিন্তু বর্তমানে মৌলবাদী শব্দটিকে গালী মনে করে তা শুধু মুসলমানদেরকেই বলে থাকে যা নিতান্তই অন্যায় । শুধু তাই নয় বিশ্বের যেকোন গুষ্ঠির যখনই কোন সমস্যা হয় তখন সবাই মিলে মৌলবাদী মুসলীমকেই দোষারোপ করে কোন ধরনের তথ্য প্রমান ছাড়া । বিশ্বের অন্যান্য ধর্ম ও দল মত সহ মুসলমান নামের লোকেরাও মৌলবাদীকে চিনে দাড়ি টুপি পাঞ্জাবী দেখে যা আসলে সঠিক পন্থা নয় । বিশ্বের অন্য সকল ধর্ম ছাড়া একমাত্র ইসলাম বলেছে যে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না এবং তোমরা অন্য ধর্ম নিয়ে মন্দ বলো না । অপর দিকে এখন ইসলামকে নিয়ে কুটক্তির মহাউৎসব চলতেছে । এই উৎসবকে আরো গতিশীল করতে কাজ করতেছে পৃথিবীর সকল নামীদামী সংঘঠন ও নেতারা । যার প্রমান হচ্ছে সামান্য একটা মেয়ে তসলীমার জন্য বিল ক্লিনটনের সুপারীশ, বাংলাদেশের অন্য নাস্তিকদের জন্য জার্মানীর সিটিজেন শীপ, সর্বশেষ নিলয় নীলের জন্য যুক্তরাজ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর শোক । এটা এখন এমন যে কুরআন আর মুহাম্মদ (সাঃ) কে গালী দাও আর বিনিময়ে জনপ্রিয় হও এবং আরাম আয়েশের জীবনকে উপভোগ কর । এবার আসি মূল কথায় .............

আপনি যদি কাউকে রক্ত দিতে যান তাহলে অনেক টেষ্ট করে দেখে যে আপনার রক্ত ভাল কিনা । কিন্তু কোন একজন বা কোন গোষ্ঠির রক্ত বন্যা বইয়ে দেবার টেষ্ট কি জানেন ? সেটা হচ্ছে মুসলীম মানে দাড়ি টুপি, হিন্দু মানে সিথিঁ বা ওম চিহ্ন, খ্রিস্টান মানে ক্রুস চিহ্ন, এইগুলো দেখেই রক্ত ঝরাচ্ছে । এই রক্ত ঝরানোর খেলাই মুসলীমরা একদম পিছনে ইতিহাস তাই বলে যদিও তা প্রচার হয় কম । হাজার হাজার, লহ্ম লহ্ম ইরাকী শিশু, ফিলিস্তানের শিশু, আফগানিস্তানের শিশু, বার্মার শিশুসহ পুরো বিশ্বে নিরীহ শিশুকে এবং অগনিত মুসলীমদের হত্যা করতেছে কারা ?? উত্তর দিন তখন মানবধিকার সংঘঠন, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবিরা সহ আপনি চুপ থাকেন কেন ? আর অন্য দিকে মৌলবাদী মুসলীমরা হত্যা করতেছে সামান্য সংখ্যককে যারা কিনা সত্যিই তা প্রাপ্য , তা দেখে আপনি হতাশ এবং মর্মাহত, শোকাহত হয়ে থাকেন কেন ?? আপনার মাকে গালী দিলে আপনি প্রতিবাদী হয়ে উঠেন, সামান্য অর্থের জন্য হত্যা করাটা সমস্যা নয়, হ্মমতায় টিকে থাকতে হত্যা করলে তা অপরাধ হয় না অথচ এইসব থেকে মৌলবাদী মুসলীমরা আল্লাহ ও তার রাসূলকে অধিক ভালবাসে তাহলে তাদের অপমানে হত্যা করাটা কেন দোষ হবে ?? ঐসব কুলাঙ্গার ও নাস্তিকদের কি এমন লাভ যার জন্য আল্লাহকে ও মুহাম্মদ (সাঃ)কে গালী দিতে হবে ?? আসলে আমি মনে করি এখানে লাভের প্রশ্ন নয় বরং দুনিয়ার কুফফাররা দেখতে চায় মুসলীমরা কেমন প্রতিবাদী এবং শক্তিশালী । যেমন করে বাংলার বুকে থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াতে রাজাকারকে ফাসীঁ দেওয়া যদি ন্যায়ের কাজ হয় তাহলে মৌলবাদী মুসলীমরা মনে করে আল্লাহর জমীনে থেকে যে আল্লাহ বিদ্বেষী হবে , আল্লাহর জমীনে তার বেচেঁ থাকার অধিকার নেই ।

বাংলাদেশের মুসলমানদের উদ্দেশ্যে : হে ভাই হয়ত আপনার অজ্ঞতার কারনে বা অন্যরা আপনাকে ভুল বুঝানোর কারনে আপনিও প্রশ্ন করেন, কেন এমন হত্যা, এটা কি ইসলামে জায়েয ?? আসুন জেনে নিন এবং সত্যকে উপলব্দি করুন । মক্কা বিজয়ের পরে রাসূলের ঘোষনা ছিল দশ ব্যক্তিকে যেখানেই পাবে সেখানেই হত্যা করবে এমনকি যদি কাবার গিলাপের নিচেও পাও, যদিও কাবার আশে পাশে হত্যা করা হারাম ছিল । ঐ দশ জনের দোষ কি ছিল ?? তারা মুরতাদ ও আল্লাহ রাসূলকে নিয়ে কুটক্তি মূলক কবিতা ও গল্প করত । এরপর দেখুন কেন এবং কিভাবে কাব বিন আশরাফকে হত্যা করা হয়েছে । এমনকি এই কাব বিন আশরাফকে হত্যা করতে হত্যাকারীকে হেকমতের জন্য রাসূলের বিরুদ্ধে বলারও অনুমতি ছিল এই থেকে বুঝে নিন আল্লাহ ও রাসূলের বিরুদ্ধে বলাটা কত জঘন্য অপরাধ । অনেকেই বলেন বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্র নয় তাই এমন করা যাবে না বা এটা বৈধ নয় । আমি বলব ইসলামের কোন সীমানা নেই পুরো বিশ্বটাই হচ্ছে ইসলামের । ইসলামের সীমানা হচ্ছে তাওহীদ এর ভিত্তিতে । আমার মায়ের পেটের ভাই আমার ভাই নয় যদি তার মধ্যে তাওহীদ না থাকে আর একটা লোক যদি তাওহীদ বাদী হয় তাহলে সেই বিশ্বের যে কোন প্রান্তের হোক সেই আমার ভাই এটাই হচ্ছে মূলনীতি ইসলামের । যে দেশের মানুষ ফজরের সালাতে উপস্থিত হয় মাত্র ৪% তারও আবার অনেক বিশ্বাস নিয়ে , তাকে কেন আপনি মুসলীম দেশ মনে করেন ?? এরপর দেখুন আগে নাস্তিক মুরতাদ নিয়ে এমন প্রতিবাদ হয়নি যার জন্য আমাকে দেখতে হয়েছে গনজাগরন মঞ্চ এর মত নাস্তিকদের আড্ডা খানা । যদি আমরা মৌলবাদী মুসলীমরা এখনো প্রতিবাদ ছেড়ে দিই তাহলে আপনি ভবিষ্যতে মুসলীম থাকবেন কিনা সন্দেহ । আর যদি মুফতী শফী আর ভন্ড পীরদের মত প্রতিবাদ করেন তাহলে দাড়ি টুপি থাকবে ঠিক তবে মুসলীম থাকবেন না । কারন এই মুফতী শফী অনেক কথা মুখে বলেছে যা কাজে দেখা যায়নি তার একটা প্রমান নিন উনি বলেছে লতিফ সিদ্দিকীকে ছাড়লে কঠোর আন্দোলন করবে অথচ আজ ঐ মুরতাদ জামীনে বাহিরে আর মূফতী শফী সাহেব ঘরের ভিতরে । আমি মনে করি যারা নাস্তিকদের নির্মূল করতে কাজ করতেছে অবশ্যই তাদের আমীর আমীর আছে তাই এই বিষয়ে ফালতু প্যাচাল করে লাভ নেই । সবশেষে বলতে চাই যতদিন পর্যন্ত আল্লাহ ও তার রাসূলকে নিয়ে কুটক্তি বন্ধ না হবে ততদিন মৌলবাদীরা রক্ত ঝরাবে । আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে সঠিক সত্য বুঝার ও তার আনুগত্য করার তওফিক দান করেন । আমীন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.