নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আমি একজন সাধারন ছেলে। আমার বিশেষ কোন বৈশিষ্ট নেই।

বারমুডা ড্রাগন ট্রাইঙ্গেল

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আমি একজন সাধারন ছেলে। আমার বিশেষ কোন বৈশিষ্ট নেই।

বারমুডা ড্রাগন ট্রাইঙ্গেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বারমুডা ট্রাইএংগেল, শয়তানী সমুদ্র ও ফ্লাইং সোসার্স।

২৪ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

বারমুডা ট্রাইএংগেল, শয়তানী সমুদ্র ও ফ্লাইং সোসার্স এমন রহস্যময় বিষয়, যা আপনি বিভিন্নভাবে শুনে এবং পড়ে আসছেন। রহস্যময় ঘটনাবলী, ভয়ানক বিজ্ঞানী আর অবিশ্বাস্য সত্য ও বাস্তব কাহিনী সম্বলিত ঐতিহাসিক সাক্ষীসমুহকে এমনভাবে গড়বড় করে দেয়া হয়েছে যে, পাঠক পাঠান্তে কোন সঠিক ফলাফলে পৌছাতে সক্ষম হচ্ছেনা। বরং তার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এটি এমন একটি অনানুভুবনীয় আকৃতি ধারণ করে, যাতে থাকে কিছু তদন্ত, কিছু ভয়, জনমন আকৃষ্ট করার মত কিছু নতুন নতুন তথ্য আর বানোয়াট কাহিনী।

কিন্তু বাস্তবে তা আসলে কি? এবং একজন মুসলমান হিসেবে এ বিষয়গুলিকে কোন দৃষ্টিতে দেখা উচিত??। দুনিয়ার সামনে এ মুহূর্তে যা কিছু এ সম্পর্কে বলা হচ্ছে, এর সবই কি বানোয়াট নাকি বাস্তব??!! যদি বাস্তবই হয়ে থাকে, তাহলে সমুদ্রের ঐ পানির ভিতরে এমন কি আছে যা আজ পর্যন্ত হাজারো মানুষকে গিলে ফেলেছে, অজস্র সামুদ্রিক জাহাজ তাতে গায়েব হয়েছে, কারো কাছে এর কোন জ্ঞান নেই??!! তাহলে কি ইবলিসের সাথে ঐ এলাকার কোন সম্পর্ক আছে??!! নাকি কানা দাজ্জাল ঐ এলাকায় বিদ্যমান??!!

বড় বড় বিশালাকৃতির জাহাজসমুহ নিরব নিস্তব্ধ সমুদ্র এলাকায় কোন প্রকার ক্ষতি বা দুর্ঘটনা ছাড়াই আকস্মিক অদৃশ্য হয়ে যাওয়া। কখনো যাত্রীদের বেচেঁ যাওয়া এবং শুধু জাহাজকে গায়েব করে দেয়া। আর কখনো জাহাজ নিরাপদে বেচেঁ যাওয়া এবং যাত্রীদের হারিয়ে যাওয়া। এগুলি এমনসব ঘটনা ও রহস্যময় বিষয়, যার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আজ পর্যন্ত মনকে তুষ্ট করতে পারেনি। এদের গায়েব হওয়া এত দ্রুত প্রকৃতির হয় যে, বিমানের পাইলট বা জাহাজের ক্যাপ্টেনদের পর্যন্ত জরুরী সংবাদ বা সংকেত প্রেরণেরও সুযোগ হয়না। এত্থেকেও আরো আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে- গায়েব হয়ে যাওয়া বিমান, জাহাজ বা যাত্রীদেরও পরবর্তীতে কোন অস্তিত্ব বা খোজ খবর পাওয়া যায়নি। যদিও কতিপয় গবেষকের পক্ষ থেকে এর উত্তর এভাবে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যে, ওখানকার সমুদ্রের গভীরে এমনসব তুফান আর মারাত্মক দ্রুত বাতাসের সৃষ্টি হয়, যারফলে জাহাজগুলি ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে যায় এবং পানির বিশালাকৃতির ঢেউ এগুলিকে বহুদুর পর্যন্ত নিয়ে যায়। কিন্তু এ ব্যাখ্যা মানুষের জ্ঞান এজন্য মেনে নিতে অস্বীকার করে যে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ যুগে যেখানে বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের সুগভীর এলাকায় পৌছে মৎস এবং পানির অন্যান্য প্রাণীদের সার্বিক মতিগতি নিয়ে সর্বদাই দৃষ্টি রাখছে। তারা কি আজও বারমুডার ঐ ট্রাইএংগেলে গায়েব হয়ে যাওয়া বড় বড় জাহাজগুলির কোন হদিস বের করতে পারেনি??!! এটাও স্মরণ রাখার বিষয় যে, অদ্যাবধি ওখানে অদৃশ্য হওয়া সকল বিমান, সামুদ্রিক জাহাজ আর পাইলট-ক্যাপ্টেন-যাত্­রীরা ছিল যুগের অত্যাধুনিক আর সুদক্ষ সব মানুষ। পাশাপাশি অদৃশ্য হবার সময় ওখানকার আবহাওয়াবস্থাও ছিল খুবই স্বাভাবিক। সুতরাং ঋতু খারাপ হওয়ারও কোন ব্যাখ্যা এখানে করা ঠিক না। এসব বিমান আর জাহাজগুলির সাথে হেডকোয়ার্টারের যোগাযোগও হঠাৎ এমনভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল যে মনে হচ্ছিল কে যেন রেডিও সিগনাল জাম করে দিয়েছে।

অধিকাংশ গবেষকই এ ব্যাপারে একমত যে, শয়তানী সমুদ্র এবং বারমুডার ট্রাইএংগেলে এমনসব রহস্যময় এবং ভয়ানক বস্তু রয়েছে যা, আমাদের স্বাভাবিক বিষয়াবলী থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং অস্বাভাবিক প্রকৃতির। বারমুডার ট্রাইএংগেল এবং শয়তানী সমুদ্র আশেপাশের মানুষের জন্য এমন ভীতিকর এলাকা হিসেবে পরিচিত, যা মানুষের জন্য জ্ঞানের চাহিদাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। কতিপয় মুসলিম গবেষকের ধারনা, শয়তানী সমুদ্র ও বারমুডার ট্রাইএংগেলের ভিতরে দাজ্জাল গোপন আস্তানা করেছে, যেখান থেকে সে দুনিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি কন্ট্রোল করছে। এ ব্যাপারেও বিস্তারিত পোস্ট করব ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২০

নতুন বলেছেন: কতিপয় মুসলিম গবেষকের ধারনা, শয়তানী সমুদ্র ও বারমুডার ট্রাইএংগেলের ভিতরে দাজ্জাল গোপন আস্তানা করেছে, যেখান থেকে সে দুনিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি কন্ট্রোল করছে। এ ব্যাপারেও বিস্তারিত পোস্ট করব ইনশাআল্লাহ।

আপনি কি মুসলিমদের হাস্যকর ভাবে উপস্হাপনের জন্য এই কথা গুলি বলছেন নাকি?

বারমুডা ট্রাইএংগেল এখন আর কোন রহস্য না। এখন প্রতিদিন তার উপর দিয়ে প্লেন যায়... জাহাজ যায়...

আপনিও ইচ্ছা করলে দেখতে পারেন... প্লেনের লাইভ ডাটা আছে যে কোথায় কোন প্লেন এই মুহুত` অবস্হান করতেছে।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

বারমুডা ড্রাগন ট্রাইঙ্গেল বলেছেন: দু:খিত অনেক দিন পর প্রতিউত্তর দেওয়ার জন্য। আমি মুসলিমদের হ্াস্যকার বিষয়ে উপস্থাপন করব কেন? জ্ঞান অনুযায়ী মানুষ গবেষনা করে সিন্ধিান্ত দিতে পারে। না বুঝে কেউ যদি নেগেটিভ নেয় তাতে যারা গবেষনা করে সিন্ধান্তে আসছে তাদের কিছুই করার নাই। আরা তাছাড়া যারা ক্ষতি গ্রস্ত তারও ওই বিষয়ে কলুপ এটেছে। কাজেই কেই না কেই গবেষনা করতে হবে। আমার সকল লেখাগুলো পড়বেন ও শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন। তার পর সিন্ধান্ত আপনি নিজেই নিতে পারবেন। ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২২

নতুন বলেছেন: অনেক দিন পরে এলেন... ভাল আছেন আশা করি।

কোন রেফারেন্স ছাড়া কতিপয় মুসলিম গবেষকের ধারনা, শয়তানী সমুদ্র ও বারমুডার ট্রাইএংগেলের ভিতরে দাজ্জাল গোপন আস্তানা করেছে, যেখান থেকে সে দুনিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি কন্ট্রোল করছে এই রকমের বললে এটা হাস্যকরই মনে হয়।

মানুষ রহস্য পছন্দ করে । রহস্যের বই পড়তে পছন্দ করে তাই এই সব কাহিনিগুলি নিয়ে বই লিখে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

সব শেষ কবে বারমুডা ট্রাইএংগেলে জাহাজ ডুবি/প্লেন গায়েব হয়েছে?? অনেক দিন হয়েছে...

ন্যসন্যাল জিইওগ্রাফির কয়েকটা ডকুমেন্টরি আছে এই বিষয়ে ব্যাক্ষা দিয়ে... দেখুন তবে অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১২

বারমুডা ড্রাগন ট্রাইঙ্গেল বলেছেন: ভাই অমুসলিমরা কখনো মসুলমানদের ভাল চাই না। মিডিয়া কারা নিয়ন্ত্রন করছে? সব চোখে দেখিয়ে দিব ইনশাঅল্লাহ। সে পর্যন্ত ওয়েট করতে হবে। ধারাবাহিক ভাবে পোষ্ট দ্চ্ছি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.