![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি জাফলং ভ্রমণে গিয়েছিলাম আজ থেকে দু'বছর আগের এক ঈদের ছুটিতে। সাথে ছিল আমার তিন বন্ধু বাধন, সাইফুল এবং তামজিদ। সিলেটে আমার নানু বাড়ি। উঠেছিলাম সেখানেই। সিলেটে পৌঁছানোর পরের দিন আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী জাফলং এর উদ্দেশ্যে বের হই। সিলেট শহরের নয়াবাজার থেকে আমরা বাস ধরি। বলা বাহুল্য, সিট খালি থাকা সত্যেও আমরা বাসের ছাঁদে চড়ে যাই।
জাফলং যাওয়ার পথে অসম্ভব সব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমরা অনুভব করতে পারি এই ছাঁদে বসে যাওয়ার কারণেই। তবে যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় রাস্তায় প্রচুর বালু থাকায় কিছুটা অস্বস্তিতেও পরতে হয়েছিল।
আনুমানিক আড়াই ঘণ্টার মধ্যে বাস আমাদের নামিয়ে দিল জাফলং অঞ্চলে। যেখানে নেমেছি সেখান থেকে আবার অটোতে করে সামান্য একটু পথ পেরোতেই দেখা মিলল মূল পর্যটন স্থানের। সেখান থেকে হেঁটে একটু ঢালুতে নেমে গেলেই 'প্রকৃতি কন্যা'র অস্তিত্ব।
এইতো সেই জাফলং। আহা! প্রকৃতি যেন সব সৌন্দর্য এখানে ঢেলে দিয়েছে। সিলেট শহর থেকে ৫৬ কিলোমিটার দূরের গোয়াইনঘাট উপজেলার এই জায়গায় এসে চোখ দুটি যেন আমার সার্থকই হইল।
তবে এখানেই সব কিছু নয়। আরও কিছুটা পথ এগিয়ে যেতে হবে 'জিরো পয়েন্ট' নামক স্থানে। যেটা এই জাফলং এর মূল স্থান হিসেবে চিহ্নিত। আমরা হাটা শুরু করলাম। দূর থেকে দেখাই যাচ্ছে জায়গাটি। তবে কিছু দূর হাটার পরেই আমাদের থামতে হল। হাটা পথ এখানেই শেষ, এখন নৌকা নিতে হবে। চট করে সবাই নৌকায় উঠে পরলাম। দেড়ি যে আর সহ্য হচ্ছিল না।
অতঃপর আমরা এসে পরলাম ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা জিরো পয়েন্টে। কি অপরূপ দৃশ্য! ওপারে খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়, এপারে নদী। আর নদীর বুকে সাজানো রয়েছে নানা রঙের পাথর।
আমরা বেশিক্ষণ ডাঙ্গায় দাড়িয়ে থাকতে পারলাম না। কাপড়-চোপড় চোখের কাছাকাছি রেখে নেমে পরলাম পানিতে। সে কি আনন্দ! সে কি উৎসব!
পানি কোমর পরিমাণ। এর নিচে রয়েছে বিশাল বিশাল পাথর। তবে মাঝে মাঝে ভয় হচ্ছিল পাথরে পা আটকিয়ে যায় কিনা। তবে আশে পাশের অবস্থা দেখে সে ভয় আমার দৌড়ে পালিয়েছিল।
অবশেষে প্রায় এক-দেড় ঘণ্টা পানিতে দাপাদাপির পর ডাঙ্গায় এসে আশে পাশে হাঁটাহাঁটি করতে লাগলাম। দুচোখ যেদিকে চায় সেদিকে শুধু সৌন্দর্যেরই দেখা পায়। কি সুন্দর পাহাড়, কি সুন্দর পানির বাহার। কত কোটি কোটি পাথরের আনাগোনা! আশে পাশে বেশ কিছু দোকান খেয়াল করলাম। দোকানের প্রায় সকল পণ্যই মনে হচ্ছে ভারতীয়। এগুলো খুব সম্ভবত চোড়াই ভাবে এদেশে আসে। যাক গে, কিছুই কিনলাম না। বাইরে বেড়িয়ে লাঞ্চ করে টেম্পু যোগে সিলেটের দিকে রউনা দিলাম।
সিলেটের এই জাফলং ভ্রমণ আমরা চার বন্ধু অনেক অনেক উপভোগ করেছিলাম। সেদিনটা ছিল আমাদের জীবনের অন্যতম সেরা উপভোগ্যময় দিন। যারা ভ্রমণ পছন্দ করেন, প্রকৃতি ভালোবাসেন তাদের জন্যে এই জায়গাটি দর্শন করা অত্যাবশ্যক।
-১৬/০৭/২০১৬ ইং
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০৬
ওমর ফারুক কোমল বলেছেন: হুম..
২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সত্যিই অনেক সুন্দর, বার বার যেতে ইচ্ছে করে
২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:১৬
ওমর ফারুক কোমল বলেছেন: আসলেই...
৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:১৫
পবন সরকার বলেছেন: দারুণ
৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১৩
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: এক সপ্তাহ আগে আমি গিয়েছিলাম জাফলং!!!!!
পানির নিচে এত পাথর কোথায় দেখিনি, তবে অসম্ভব সুন্দর একটা ঝর্ণা দেখেছি!!!
৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:১১
আফিফ ভাই বলেছেন: আসলেই দেখার মতো একটা জায়গা
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৫৬
মহা সমন্বয় বলেছেন: অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে