নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি প্রোফেশনাল লেখক নই। তবে লেখালেখি করতে ভাল লাগে।

ইমাম আবু হানিফা

ইমাম আবু হানিফা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমারদের স্মার্টনেস

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

আমাদের মধ্যে খারাপ হওয়ার প্রবণতা খুব বেড়ে গেছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দ্বায়ী মুভি। মুভিতে অনেক নেতিবাচক দিক ইতিবাচক করে দেখানো হয়। এজন্য আমরা নেতিবাচক দিকে আকর্ষন বোধ করি। বর্তমানে থ্রিকোয়ার্টার প্যান্ট পড়ে ঘোরাফেরা করা, ছেলেদের কানে দুল, গলায় চেন লাগনো, গাঁজা সিগারেট খাওয়া, হিপ্পি চুল রাখা ইত্যাদি কাজগুলো smartness হিসেবে দেখা হয়।
ফেসবুক আইডিগুলোর নামের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। ডার্ক, evil, ভ্যাম্পায়ার ইত্যাদি নামগুলো ব্যবহার হয়। যারা এইগুলা করে তারা সবাই খারাপ কাজ করে তা বলবো না; তবে এগুলোর প্রতি আগ্রহবোধ করাও আমার কাছে সুস্থ মানসিকতা মনে হয় না। কারন শয়তানি করা বা খারাপ কাজ করাও যেমন সুস্থ মানসিকতা নয়, তেমনি এগুলোর প্রতি আগ্রহবোধ করাও প্রায় সমপর্যায়।
এবার বলি এক্ষেত্রে মুভি কিভাবে অবদান রাখে।
প্রথমেই আমার প্রিয় অভিনেতা শাহরুখ খানের কথা বলি। 'ডন' মুভিতে তিনি আন্ডারওয়ার্ল্ডের একজন ডন। তিনি খুবই নিষ্ঠুর প্রকৃতির। ড্রাগ ব্যবসা, চোরাচালান এগুলোই এধরনের মানুষের কাজ। সাধারনত মানুষ এমন পেশাকে ঘৃণা করবে। কিন্তু মুভিতে তাকেই নায়ক বানানো হলো। চরিত্রটিও খুব জনপ্রিয়। সুতরাং মানুষের মধ্যে এই খারাপ পেশা সম্পর্কে একটু ইতিবাচক ধরনা তৈরি হলো।
চুরিবিদ্যা আমরা সবাই ঘৃণা করি। চোর দেখলেই গনপিটুনি দেই। অথচ 'ধুম' সিরিজের মুভি দেখে আমরা বাহবা দেই। তখন চোরই আমাদের হিরো।
এখানে মাত্র দুইটা উদাহরন দিলাম। এমন অনেক আছে। সেদিন শুনলাম একটা গ্রুপ আছে সাইকেলে বিভিন্ন কসরত দেখায়। তাদের গ্রুপের নাম Evil Riders. আমি জিজ্ঞাস করেছিলাম Riders ঠিক আছে কিন্তু Evil কেন? তার কোনো সদুত্তর পাই নি।
বর্তমানে দুটো শব্দ বেশ চলে। স্মার্ট আর ভদ্র।
শব্দ দুটোকে বিপরীত শব্দ হিসেবে দেখা হয়। আসলে এটা সমার্থক শব্দ হওয়ার কথা।
যে ছেলেটা ভদ্র সে স্মার্ট হবে; এমনটাই হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা এখন ভদ্র ছেলেগুলোকে ক্ষ্যাত বলি। স্মার্ট বলতে এমনকিছু মানুষ বুঝি যাদের বর্ণনা শুরুতেই দিছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.