![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘটনা ১ :- আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। আমাকে অংক আর ইংলিশ পড়াতেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ভাইয়া। আমার পড়ার টেবিলে একটা ব্রেসলেট ছিলো। আমার আব্বু যখন হজ্বে যায় তখন হজ্ব এজেন্সি থেকে ব্রেসলেট দেওয়া হয়। ব্রেসলেটের গায়ে ইংলিশে আর আরবিতে "বাংলাদেশ" লেখা। আরবিতে বাংলাদেশ লিখতে "লা" শব্দটা "লাম-আলিফ" দিয়ে লিখতে হয়। ভাই ব্রেসলেট হাতে নিয়ে আরবিতে "লাম-আলিফ" দেখে বললেন,
-এখানে কি "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" লেখা? আমি বললাম,
-না ভাইয়া। বাংলাদেশ লেখা।
ঘটনা ২:- ২০১৩ সাল। আমি কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। সৌদিআরব গেলাম হজ্ব করতে। মক্কায় মসজিদে হারামের প্রধান গেটের নাম King Fahad Gate. আরবিতে- "বাবুল মালিকিল ফাহাদ"।
আমাদের সাথে একজন মুরব্বি ছিলেন যিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে হজ্বে গেছেন। তিনি আমার দুঃসম্পর্কের নানা হন। কিং ফাহাদ গেট দিয়ে বের হবার সময় আরবিতে "ফাহাদ" শব্দের "ফা" দেখে তিনি তার স্ত্রীকে বলছেন,
-দেখো মসজিদে ঢোকার দোয়া, "আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রহমাতিক"।
আমি পিছন থেকে সব দেখছিলাম। বললাম,
- নানা, মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় আপনি ঢোকার দোয়া কোথায় দেখলেন? আর ওখানে তো "বাবুল মালিকিল ফাহাদ" লেখা!
নানা আপসেট হয়ে বললেন,
- আরে আমি তো ওকে মসজিদে ঢোকার দোয়া শিখাচ্ছিলাম।
মূলকথাঃ উপরোক্ত ঘটনা দুটি নিয়ে আমি অনেক মজা করছি। ফ্রেন্ডদের আড্ডায় হাসি ঠাট্টা করছি। কিন্তু একটা কথা চিন্তা করলে আর হাসি আসে না। তা হলো, উপরোক্ত ঘটনা দুইটাই শেষ নয়। এমন আরও অনেক ঘটনা আছে আমাদের সমাজে। আমি ঘটনা দিয়ে এটাই বুঝাতে চেয়েছি যে, আমাদের দেশের মানুষ নিজ ধর্ম সম্পর্কে কতটা অজ্ঞ। ধর্মের নুন্যতম যেই জ্ঞান সেটাও নাই। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ আরবি পড়তে পারে না। যে মানুষ আরবি পড়তে পারে না তার কোরআন পড়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা কোরআন পড়ি না, হাদিস পড়ি না; অথচ চায়ের দোকানে অথবা আড্ডায় ধর্মীয় কথা উঠলে সবাই দেখি সবার চেয়ে বেশি জানে। যে লোকটা বসে বসে গাঁঞ্জা টানে, সেও দেখি ঠাস ঠাস করে হাদিস বলে দেয়। এদের কাছে এখন কোরআনের আয়াত বললে এরা আবার জানতে চায় কোন সুরার কত নম্বর আয়াত। মনে হয় যেন, ঘরে গিয়েই কোরআন খুলে দেখবে।
আফসোস বাঙালি!
আফসোস বাংলার নামধারী মুসলমান!
০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০
ইমাম আবু হানিফা বলেছেন: দুর্ভাগ্য
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪
হাসান রাজু বলেছেন: " আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ আরবি পড়তে পারে না। যে মানুষ আরবি পড়তে পারে না তার কোরআন পড়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা কোরআন পড়ি না, হাদিস পড়ি না; অথচ চায়ের দোকানে অথবা আড্ডায় ধর্মীয় কথা উঠলে সবাই দেখি সবার চেয়ে বেশি জানে। "
কথা সত্য । মনে হচ্ছে আপনি অনেকটা আমার সম্পর্কেই বললেন ।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮
ইমাম আবু হানিফা বলেছেন: যেহেতু অধিকাংশ মানুষ বলেছি, তারমধ্যে দুর্ভাগ্যবশতঃ আপনিও পড়ে গেছেন
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১২
নাঈম ০০৯ বলেছেন: একদম সত্য বলছেন আমাদের ধর্মজ্ঞান খুব ই কম।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০
ইমাম আবু হানিফা বলেছেন: দুর্ভাগ্য
৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
মশিউর বেষ্ট বলেছেন: যে মানুষ আরবি পড়তে পারে না তার কোরআন পড়ার প্রশ্নই ওঠে না.......................ক্যান ভাই, বাংলাতে কোরআন পড়া যায়তো। বরং অনেক বড় বড় আরবী পন্ডিতরা আরবী কোরআনের বাংলা অনুবাদ করছেন। জ্ঞান অর্জনের জন্য , বোঝার জন্য নিজের ভাষাতে পড়ায় উত্তম নয় কি ? আরবীতে তোতা পাখির মত না বুঝে পড়ার চেয়ে!! তবে হ্যা বেহেস্তবাদীদের জন্য আরবী পড়া শ্রেয় মনে হতে পারে। আর জ্ঞানবাদীদের জন্য নিজের ভাষাতে পড়ায় উত্তম। “পড় তোমার প্রভুর নামে”- আল কোরআন। জ্ঞান লাভের জন্য।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭
ইমাম আবু হানিফা বলেছেন: বাংলায় শুধুমাত্র কোরআনের আক্ষরিক অর্থ করা যায়। কোরআন বুঝতে গেলে অবশ্যই আরবি জানা জরুরী।
৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪
মো:সাব্বির হোসাইন বলেছেন: বাস্তব কথা গুলো বলেছেন।
আর আরবী শিখাটা জরুরী।
আমরা অনেক ভাষাই শিখি। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয়... আরবি টা শিখি না।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১
ইমাম আবু হানিফা বলেছেন: দুনিয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকি। তাই অন্য ভাষা শিখখি
৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অল্প সংখ্যক ছাড়া বেশির ভাগেরই এই দূরবস্থা।
ঠিকমত কোরআন পড়তে পারেনা, কোনটার অর্থ জানেনা। আমি নিজেও অর্থ জানিনা, মাঝেমাঝে পড়ি।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩
ইমাম আবু হানিফা বলেছেন: না জানাটা দোষের না। কিন্তু না জানা সত্তেও জানতে না চাওয়া এবং জানার ভান করাটা দোষের
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪
এক ফোটা শিশির বলেছেন: এ রকমই হয়...