জিএসপি বাতিল ও আমার বক্তব্য

৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

দুই দিন ধরে ফেসবুক ও ব্লগে একটা জিনিস দেখতে পাচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে দেয়া জিএসপি সুবিধা বাতিল করে দিয়েছে। প্রথমে বিষয়টাকে অত গুরুত্ব দেই নি? যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছে হয়েছে তারা স্থগিত করেছে তাতে আমার কি বলার আছে? তাছাড়া আমি জানিও না যে জিএসপি জিনিসটা কি?

কিন্তু হঠাৎ করে আগ্রহ বেড়ে গেল,, সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী ওয়াশিংটন টাইমস এ একটি কলাম লিখেছেন এবং এর ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি স্থগিত করে দিয়েছে। শুনে তো আমি হতবাক! খালেদা জিয়া যার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ছোটবেলা থেকেই কত কথা শুনেছি উনি কিনা নিবন্ধ লিখেন ওয়াশিংটন টাইমস এ। যাইহোক, উনি লিখুন কিংবা কাওকে দিয়ে লেখান এটা মূখ্য ব্যাপার না; মূখ্য ব্যাপার হল খালেদা জিয়ার একটি পত্রিকায় লিখা নিবন্ধের কারণে ওবামা প্রশাসন জিএসপি বাতিল করে দিয়েছে, এটা বিশ্বাস করা কি আদৌ সম্ভব?



এখন, জিএসপি নিয়ে সবাই লিখছে আর চুপ করে কিভাবে থাকি, কিন্তু কি করে লিখবো আমি তো জানিও না জিএসপি কি?

দ্বারস্থ হলাম আমার সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু গুগল এর। যাইহোক, গুগল থেকে জানলাম, GSP হল world trade organization (WTO) কর্তৃক অনুমোদিত অবাধ পণ্য বানিজ্য সুবিধা। এর দ্বারা WTO এর সদস্য দেশগুলো একে অপরকে এই সুবিধা প্রদান করে থাকে। আর যুক্তরাস্ট্রের মাটিতে এই সুবিধা বাতিল হওয়া মানে দেশের বানিজ্যের বিশেষকরে গার্মেন্টস সেক্টরের জন্য এক বিশাল ধাক্কা। তবে, ওবামা প্রশাসন কারো আর্টিকেল পড়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমি মনে করি না। বরং গার্মেন্টস শিল্পে শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা না দেয়া, এবং কয়েকটি দূর্ঘটনা এক্ষেত্রে নিয়ামক হিসেবে কাজ করতে পারে। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বাজার নষ্ট কড়যরতে অন্যকোন দেশের চালও হতে পারে।



সরকার যদি এর জন্য খালেদা জিয়াকে দায়ী করে তবে এতে সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতাই প্রকাশিত হয়। খালেদা জিয়া যদি একটি নিবন্ধ লিখে জিএসপি স্থগিত করিয়ে দিতে পারেন, তবে প্রধানমন্ত্রী ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘন ঘন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে কি করলেন? তারা ঘন ঘন সফরে গিয়ে কোন সুবিধা আনতে পারলেন না অথচ বিরোধীদলীয় নেত্রী এক নিবন্ধে এত বড় সিদ্ধান্ত আসলো। এটা বলে কি প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা তুলে ধরলেন?



পরিশেষে খালেদা জিয়ার এমন নিবন্ধের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করছি। যদিও তার নিবন্ধে জিএসপি বাতিল হয়েছে বলে মনে করছি না, তারপরেও এমন নিবন্ধ দ্রেশদ্রোহিতার শামিল।

০ টি +০/-০