সরকারি কার্যালয়ের কিছু সমস্যা ও আমাদের মানসিক ত্রুটি

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০২

আজকে এক বন্ধুর সাথে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের

অফিসে গেলাম। যদিও আগে বেশ কয়েকবার

সেখানে গেছি তবে আজকে বেশ কিছু অসঙ্গতি চোঁখে পড়লো।



১) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের গ্রাহকের

অনুপাতে সেবাদানকারী কর্মকর্তাদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। তাই কাজের গতিও

স্লো।



২) সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় সকল কর্মকর্তাদের মাঝে অফিসার

অফিসার ভাব। অর্থাৎ গ্রাহকরা তাদের কাছে নিতান্তই তুচ্ছ।



৩) অন্যান্য প্রাইভেট এয়ারলাইনসের তুলনায় প্রযুক্তির ব্যবহার কম।

এখনও গ্রাহকদের ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে সেবা নিতে হয়।

যেখানে প্রাইভেট এয়ারলাইনসে গ্রাহক যাওয়ার

সাথে সাথে তাকে একটি সিরিয়াল নাম্বার দেয়া হয় এবং সিরিয়াল আসার

সাথে সাথে তা কাউন্টারের সামনের স্ক্রিনে ভেসে উঠে।

গ্রাহকরা ঘন্টার পর ঘন্টা সিরিয়ালে দাঁড়ানো থেকে রক্ষা পায়।



৪) কর্মকর্তারা অযাচিত প্রশ্ন কিংবা কথাবার্তা বলে একেকজনের

সাথে বেশ সময় নষ্ট করে যার ফলে কাজের গতি কমে যায়।



৫) লাইনে ১০০-১২০ মানুষ দাঁড়ানো রেখে কোনরকম সিরিয়াল

না দিয়ে কর্মকর্তারা দুপুরের ভোজনে চলে যায়। কতক্ষন পর

ফিরবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। (আমার সামনে একজন গ্রাহক

অফিসের আনসারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করে ঝাড়ি খেল।

সরকারি অফিসের আনসারও কিন্তু সরকারি চাকুরে )



তাছাড়া একজন গ্রাহক আমাকে একটি অদ্ভুত অভিযোগ শুনালেন।

একজন কর্মকর্তা লাঞ্চে যাবেন, তার কাউন্টারের কার্যক্রম বন্ধ

করে দিয়েছেন। এমন সময় উনি কাউন্টারে উপস্থিত হয়ে উনার কাজ

করে দেয়ার রিকুয়েষ্ট করলে কর্মকর্তা না করে দিলেন।

পরে উনি পাঁচশত টাকা অফার করলেও ঐ কর্মকর্তা কাজ

না করে দিয়ে চলে গেলেন। এখন উনি বলছেন,, 'কত খারাপ অফিসার পাঁচশো টাকা দিয়ে কাজ করানো যায় না?'

চিন্তা করে দেখলাম, সরকারি অফিসাররা ঘুষ খায় না। আমরা জোর

করে ঘুষ খাওয়াই। আর খাওয়ার পরেও তাদেরকে গালি দেই আবার

না খেলেও গালি দেই।

আমরা বাঙ্গালীরা পারিও বটে।



উপরের সমস্যাগুলোর সমাধান সরকারকেই করতে হবে।

সরকারি অফিসের আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তির ব্যবহার জরুরী।

কিন্তু তার ও আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরী।

২ টি +০/-০