![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নিরীহ গোবেচারা মানুষ । তবে শয়তানি ভণ্ডামির বিরূদ্ধে সদা সোচ্চার ।
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আমরা জানতাম
শান্তিপ্রিয়, নির্বিরোধী। তারা গৌতম
বুদ্ধের অনুসারী, তিনি বলে গেছেন, জীব
হত্যা মহাপাপ। সে কারণে একটা মশাও
তারা টিপে মারবে না বা মাছ-মাংস
খাবে না। কিন্তু নিজের দেশের
রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর বেলায় এ
নীতিকথার প্রয়োগ নিয়ে তাদের
কোনো মাথাব্যথা নেই। ‘আমরা ফরসা ও
সভ্য। ওরা কালো কালো, দেখতে রাক্ষসের
মতো, ওদের সঙ্গে আমাদের বিন্দুমাত্র
মিল নেই।’ অতএব, নীতিবাগীশেরা যখন
রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণের পক্ষে সনদ
দিয়ে রেখেছেন, ওদের গলা টিপে ধরতে,
রোহিঙ্গা মেয়েদের হাত-
পা চেপে ধরে ধর্ষণ করতে, ওদের ঘরবাড়ি,
মসজিদ ও স্কুলঘর পুড়িয়ে দিতে আর
কোনো বাধা নেই। সেটাই ঠিক কাজ হবে, কারণ
ধর্মগুরু বলে দিয়েছেন,
ওরা বেঁচে থাকলে আমাদের নিজেদের ধর্ম
ও সংস্কৃতি বিপদাপন্ন হবে।
ওপরের এ কথাগুলো আমার বানানো নয়,
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে বৌদ্ধ
ভিক্ষুদের প্রচারিত বিভিন্ন
প্রচারপত্র ও সংবাদপত্রের বিবরণ
থেকে নেওয়া। রোহিঙ্গাদের
বিরুদ্ধে জাতিনিধনের যে সুপরিকল্পিত
চেষ্টা চলছে, রাজনীতিকদের
পাশাপাশি বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও তার
পেছনে রয়েছেন। হঠাৎ কোনো ঘটনা নয়, গত
অর্ধ শতক ধরেই এ নির্বিচার
গণহত্যা চলছে, যার প্রামাণিক বিবরণের
একাধিক সচিত্র প্রতিবেদনে প্রকাশ
করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক
মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস
ওয়াচ’।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
আশরাফুল ইসলাম লিংকন বলেছেন: এটা যেন একটা ট্রেন্ড হয়ে গেছে
২| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:০০
সুজন দেহলভী বলেছেন: লিংকন ভাই, আপনার ইতিহাস প্রসংগটুকু অর্ধশতক আগে কেন থেমে গেল ? পঞ্চাশ বছরেরও আগে এই রোহিংঙ্গারা (যাদের জাত, ধর্ম, সংস্কৃতি, শাররীক বৈশিষ্ঠ্য বার্মিজদের সাথে মিল নেই) কিভাবে বার্মায় আসলো ? তৎকালীন সময়ে বার্মায় অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের ভুমিকা কি ছিল ? ১৯৪৭ এর সময় কারা বার্মার একাংশকে পূর্বপাকিস্থানের অর্ন্তভূক্ত করার জন্য জিন্নার কাছে আবেদন করেছিল ( যে প্রস্তাবে জিন্নাহ্ রাজী হননি) ? আশা করি কষ্ট করে ইতিহাসটা খুজেঁ নেবেন, কষ্ট করে পড়া ইতিহাস ভালো মনে থাকে।
ধরুন, আজ আমাদের দেশের সকল উপজাতি (নাকি নৃ গোষ্ঠি?) একাট্টা হয়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করলো এবং নিজেদের জনবল বৃদ্ধির জন্য বেশুমার জনসংখ্যা বৃদ্ধি করলো। অতঃপর ৪০/৫০ বছর পর তাদের সকলে মিলে মায়ানমারকে আহ্ববান জানালো পার্বত্য চট্টগ্রামকে দখল করার জন্য। কারন জাত, ধর্ম, সংস্কৃতি, শাররীক বৈশিষ্ঠ্য সব আমাদের সাথে নয়, মায়ানমারের সাথে মিলে।
-- তাদের এ মানুষগুলোর প্রতি আপনার মনোভাব কি হবে ? (শুধুমাত্র উদাহরনসরূপ কথাটা বলা, রোহিংঙ্গার )
আমি কোন ধরনের হত্যাকান্ডে বিশ্বাস করি না। রাজনৈতিক কারন দেখিয়ে একদল মানুষরূপি পিশাচ একের পর একের এক হত্যাকান্ড ঘটিয়ে যায়। এক লাদেন টুইন টাওয়ার ধ্বংস করে যে কজন মানুষ মেরেছে, তার জের ধরে তারচেয়ে বহুগুন মানুষ আমেরিকা মেরেছে মুসলিম দেশ গুলোতে। লাদেন টুইন টাওয়ার ধ্বংস করায়, মুসলমানদের কি উপকারে এসেছে ? বরং লাদেন আমেরিকাকে সুযোগ করে দিয়েছে সাদ্দাম, মোবারক, গাদ্দাফী ইত্যদি মুসলিম রাষ্ট্রনায়কদের খতম করতে, যারা আমেরিকার জন্য যতো না রাজনৈতিক হুমকি ছিল তার চেয়ে বরং অর্থনৈতিক হুমকি ছিল।
গনহত্যা করে পৃথিবীতে কোন জাতি রেহাই পায়নি। আজ হোক কাল হোক আল্লাহ্ তাদের প্রকাশ্য বা পরোক্ষ শাস্তি দেন। হোক সে মুসলমান, হোক সে বিধর্মী। আসুন হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আমরা সকলে একত্র প্রতিবাদ করি। প্রতিবাদের পূর্বে আলাদা না করি কে কোন ধর্মের। রক্তচোষাদের কোন ধর্ম নেই।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৯
আশরাফুল ইসলাম লিংকন বলেছেন: এখন তাদের সাথে যা করা হচ্ছে তা আপনার মতে ঠিক???
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৭
ইউর হাইনেস বলেছেন: শুধু ইসলাম ধর্মের ক্ষেত্রেই সবাই সমালোচলায় এগিয়ে আসে