নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাফেলার এক মুসাফির

মুসাফির মাহফুজ

মুসাফির মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাজহাবীয় সমস্যায় আমরা

২৫ শে মে, ২০১৪ ভোর ৬:৫৯

আজ কোন ইসলামিক সমস্যায় পড়লে অর্থাৎ মাসয়ালা কেন্দ্রীক কোন বিষয় আসলে আমরা সরাসরী কয়েকজন প্রখ্যাত ইমামের কাছে চলে যাই । না আমরা দেখতে চাই পবিত্র কুরআন কি বলছে, আর কি বলছেন আমাদের প্রিয় আল্লাহর বার্তাবাহক । বরং অনেক সময় কুরআন ও হাদিসের চেয়েও ঐ ইমামদের মতকে শুধু গুরুত্ব ই নয়,বরং তা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জিহাদ করতেও পিছপা হচ্ছিনা ।



আমরা আজ তাদের অনুসরন করছিনা,যাদের অনুসরন ঐ ইমামগন করতেন ।ফলে আজ মুসলিম সমাজ নানা গ্রুপে,নানা মতে বিভক্ত হয়ে গেছে । তাই একটি জাতি হিসেবে আমরা মুখ থুবড়ে পড়ছি এই চলন্ত পৃথিবীতে ।





মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:১৯

হাসান বিন নজরুল বলেছেন: একমত...আমি মুসলিম এটাই বড় পরিচয় হওয়া উচিত

২| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: সহমত

৩| ২৫ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:১১

সামুরাই_কাতানা বলেছেন: আমার একটি প্রশ্ন@মুসাফির মাহফুজ কাছে, "আপনি যদি অসুস্থ হন তাহলে কার কাছে যান? সমাজে অনেক ডাক্তার আছেন , তাদের কাছে যান নাকি ,নিজে নিজে ডাক্তারি বই পড়ে নিজে নিজে চিকিসৎা করেন?" এই প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য হলো, কোরআন ও হাদিস পড়ে তার ব্যাখ্যা করার যোগ্যতা আপনার কাছে আছে কিনা? কারন আল্লাহ তায়ালা এই কোরআনের মাধ্যমে অনেককে পথ দেখান আবার অনেককে পথভ্রষ্ট করেন। সেই জন্য একজন কোরআন বিষেষজ্ঞের প্রয়োজন যাদেরকে আমরা ইমাম/আলেম হিসেবে জানি।বর্তমানে যত আলেম দেখছেন তারা সবাই এই ইমামদের কাছ থেকে জ্ঞান পেয়েছেন।এই সব ইমামদের অনেক কস্টের দ্বারা রচিত কিতাব দ্বা্রা সারা বিশ্বে আজ এত আলেম দেখতে পাচ্ছেন।আর এই ইমামরা হলো ডাক্তারদের মতো যারা আপনার সমস্যা কি এবং সেটা কোরআন ও হাদিস দ্বারা কিভাবে সমাধান সম্ভব তা ব্যাক্ষ্যা করবেন।যদি সবাই নিজে নিজে কোরআন ও হাদিস পড়ে সব কিছু করতে পারে তাহলে তো আর সমাজে আর শিক্ষা প্রতিষ্টান দরকার পড়ে না কারন সবাই তাহলে নিজে নিজে পড়ে কেউ ডাক্তার কেউ ইন্জিনিয়ার কেউ প্রফেসর হতো ,তাই না!!!!!!!

২৫ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

মুসাফির মাহফুজ বলেছেন: আপনার যুক্তিমূলক মন্তব্যের জন্যে প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই ।আমি বুঝতে অক্ষম যে যখন কুরআন নিজে বলছে “ আমি এই কুরআন তোমাদের বুঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি ,কেউ কি আছে যে বুঝতে চায় ’ তখন কেন এমন প্রশ্ন উঠেছে যে কুরআন আপনার জন্যে বুঝা সম্ভব নয় ? তা কেবল মাত্র কয়েকজন ব্যক্তির পক্ষেই বুঝা সম্ভব ।
২, আর কুরআন বুঝার জন্যে তো হাদীস আছে । তাহলে কেন আপনি হাদিস না পড়েই ইমামদের কাছে চলে যাচ্ছেন ?

০৩, আপনি উদাহরন দিয়েছেন রোগী ও ডাক্তারের । চিকিৎসা বিজ্ঞানের আগে কিংবা এখনো যে এলাকায় ডাক্তার নেই তাদের কি রোগ হয়না ? তারা কি সবাই চিকিৎসা হীন অবস্থায় মারা যায় ? সত্যতো এই যে প্রকৃতি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছে ।

০৪, আপনি বলেছেন ইমামগনই হাজার হাজার আলেম বানিয়েছেন । আপনার একথার সাথে একমত হচ্ছ।তবে কেন সে আলেমরা আজ কুরআন হাদিস বুঝতে পারছেন না ? কিংবা বুঝতে পারলেও কেন তারা ফতোয়া দেয়ার অধিকার পাচ্ছন না ?

০৫, আমি একথা বলিছিনা যে ইমামদের কোন দরকার নেই । বরং এতটুকুই বলতে চেয়েছি যে কুরআন ও হাদিস বাদ দিয়ে অন্ধভাবে ইমামদের অনুসরন করাটা সত্যিই কল্যাণকর নয় ।

০৬, শিক্ষার জন্যে শিক্ষক দরকার , প্রতিষ্ঠান দরাকর কিংন্তু আমরা কেন এটা বেমালুম ভুলে যাচ্ছি যে, পুস্তক ছাড়া এই শিক্ষক আর প্রতিষ্ঠানের কিবা মুল্য আছে ?

৪| ২৫ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

সামুরাই_কাতানা বলেছেন: ০৬, শিক্ষার জন্যে শিক্ষক দরকার , প্রতিষ্ঠান দরাকর কিংন্তু আমরা কেন এটা বেমালুম ভুলে যাচ্ছি যে, পুস্তক ছাড়া এই শিক্ষক আর প্রতিষ্ঠানের কিবা মুল্য আছে ?

পুস্তক কি আগে এসেছে?যদি প্রশ্ন করি হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কোথায় হতে শিখেছেন? কোন পুস্তক হতে নাকি কোন শিক্ষক হতে? আমি তো জানি হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) শিখেছেন জিব্রাইল (আঃ) থেকে,জিব্রাইল (আঃ) শিখেছেন আল্লাহ তায়লা থেকে। উনাদের কেউ পুস্তক থেকে শিখেননি। সাহাবারা কোথা হতে শিখেছেন?অবশ্যই হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) কাছ থেকে, কোরাআন পুস্তক আকারে এসেচে তো আরও পরে, হাদিস পুস্তক আকারে এসেছে আরও পরে। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) শিক্ষা দিয়েছেন উনার সাহাবাদের কে , সাহাবারা শিক্ষা দিয়েছেন তাবেঈনদেরকে, তাবেঈনরা দিয়েছেন তাবে তাবেঈনদের আর এভাবে ই চলে আসছে শিক্ষা, তাই ইসলামে বলে প্রত্যেক লোকের শিক্ষক থাকতে হবে,পুস্তক থাকতে হবে এটা বলে নাই।

২৫ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯

মুসাফির মাহফুজ বলেছেন: আপনি পুস্তক বলতে যদি কেবল মাত্র কাগজে মুদ্রীত কোন জিনিস কে মনে করেন তাহলে আমি আমার বক্তব্য আপনার কাছে পরিষ্কার করতে ব্যার্থ হয়েছি । আমি পুস্তক বলতে জ্ঞান কে বুঝি, জ্ঞানের উৎসকে বুঝি । যদি জ্ঞানের উৎস না থাকে তাহলে শিক্ষক কি দ্বারা শিখাবেন ? সকল জ্ঞানের উৎস হলেন আল্লাহ । তিনি জিবরাইলকে যা শিখিয়েছেন তাই তিনি মুহাম্মদ কে শিখিয়েছেন। আবার তিনি তাই শিখিয়েছেন যা জিবরাইল তাকে শিখিয়েছেন । এভাবেই এই জ্ঞানটি এসেছে এ্রমান্বয়ে .......
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি কোন শিক্ষক এই জ্ঞানের উৎস থেকে হারিয়ে যান তখন আপনি কিভাবে বুঝবেন যে সে সঠিক নন ? নাকি তার পরেও তাকে অনুসরন করাকে ওয়াজিব করে দেবেন ?
আপনিতো এও জানেন যে শত শত হাদিস জাল হয়েছে । তাহলে আপনি সেই জ্ঞান ছাড়া কিভাবে একজন আলেমের উপর এত বেশি বিশ্বাস করতে পারেন যেখানে তিনি মানবীয় দুর্বলতা থেকে মুক্ত নন?

৫| ২৫ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ছোটদের একটা খেলা আছে 'কানে কানে বলা'। এই খেলায় এক সারিতে ২০-২৫ জনকে দাড় করিয়ে প্রথম জনের কানে কানে একটি গল্প বলা হয়। সে সেই গল্প দ্বিতীয় জনের কানে কানে বলে, সে বলে তৃতীয় জনকে . . . এ'ভাবে শেষের জনের কাছে গল্পটা যখন পৌছায় তখন প্রথমে বলা গল্পের সাথে মিলিয়ে দেখলে বুঝা যায় যে সেটা কতটা বদলে গেছে।

পৃথিবীর সকল ধর্ম প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সম্প্রচারিত হতে গিয়ে চরমভাবে বিকৃত হয়ে গেছে। যাদের মুল ধর্মগ্রন্থগুলি সংরক্ষিত হয় নাই তাদের পক্ষে আর প্রথম অবস্থা পুণ:উদ্ধার করা সম্ভব নয়। আমরা মুসলমানগন এ'দিক থেকে খুবই ভাগ্যবান যে আমাদের মুল গ্রন্থ কোরআন অবিকৃত ভাবে সংরক্ষিত আছে। তাই আমাদের সবার উচিত সরাসরি কোরআন থেকে শিক্ষা নেয়ার চেস্টা করা।

এখানে যে চিকিত্সক ও রুগির উদাহরণ দেয়া হল সেটা সঠিক নয়। কারণ ডাক্তারী একটা বিশেষায়িত বিজ্ঞান - সেটা সবাই জানবে না, সমাজের অল্প সংখ্যাক মানুষের জানাই যথেস্ট। কিন্তু ধর্ম বিশেষ করে ইসলাম কখনই ঐরকম বিশেষায়িত জ্ঞান নয় - এটা বরং প্রাত্যহিক ব্যাবহার্য নৈতিক শিক্ষা। এটা সবাইকে জানতে হবে যদি সে মুসলমান হিসেবে জীবন যাপন করতে চায়। আর এই জানার নুন্যতম হচ্ছে আর কোরআন বুঝে(নিজ ভাষায়) পড়া। তার পর যদি সেখানে কিছু বিষয় বুঝে না আসে, এবং সেগুলি যদি তার জন্য জরুরী হয় কেবলমাত্র তখন সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ জানার চেস্টা করতে হবে। কিন্তু যে বিষয়গুলি স্বাভাবিক ভাবে বুঝা যায় সেগুলি মানতে তো সমস্যা নাই।

আর যারা নিজেদের ইসলামের খেদমতে, প্রচারে, প্রতিষ্ঠায় পুরোপুরি নিয়োজিত করবেন তারাও সরাসরি কোরআন থেকে শিক্ষা নিয়ে সেটাই প্রচার করবেন। ইসলামের প্রথম ৩-৪শ বছর মানুষের হাতে কোন হাদীস গ্রন্থ ছিলনা, কোন তাফসীরও ছিল না। গ্রন্থ বলতে শুধুমাত্র কোরআন ছাড়া আর তেমন কোন ধর্মীয় গ্রন্থই ছিল না। তখন তারা সাবাই শুধুই কোরআন পড়তেন, কোরআন বুঝতেন আর কোরআনের নৈতিক শিক্ষা মানতেন। আর তারাই ছিলেন উত্তম মুসলমান।

৬| ২৫ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৮

সামুরাই_কাতানা বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা এই কোরআনের মাধ্যমে অনেককে পথ দেখান আবার অনেককে পথভ্রষ্ট করেন। তাই শুধু অনুবাদের উপর নির্ভর করে যদি আপনি স্টাডি করেন তাহলে আপনার ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সেই জন্য আমি বলছিলাম আপনি একাকি স্টাডি করেন সমস্যা নেই কিন্তু যদি আপনি কোন শিক্ষকের মাধ্যমে তা করেন সেটা আরও ভাল হয়।
শিক্ষক আপনার লাগবেই।শিক্ষক ছাড়া পড়াটা শুধু বোকামী কেন বিপজ্জনক ও বটে। কখন আপনি চেন্জ হয়ে যাবেন আপনি নিজেও টের পাবেন না।
ভাল থাকুন সবাই

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০৯

মুসাফির মাহফুজ বলেছেন: কুরআন তো হেদায়াতের জন্যে , হুদাল্লীন নাস ,সকল মানুষের জন্যে হেদায়াত তাহলে কিভাবে আপনি ভাবছেন যে কুরআনের কারনেই কিছূ মানুষ গোমরাহ হচ্ছে ?
কুরআন কিভাবে মানুষকে গোমরাহ করতে পারে যখন তা ও তার বাহক ‍উভয়ই হেদায়াতের উৎস ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.