নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাফেলার এক মুসাফির

মুসাফির মাহফুজ

মুসাফির মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুমার খুতরায় হুজুরের মিথ্যাচার :

৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫



আজ পবিত্র জুমার সালাত আদায় করতে গেলাম আজিমপুরের এক মসজিদে । এক বিরাট মসজিদ । কয়েক হাজার মুসল্লি সেখানে সালাত আদায় করেন। খতিব সাহেব যথারিতি আলোচনা রাখছিলেন ।উনার কন্ঠ যেমন সমধুর তেমন জোড়ালও বটে ।আলোচনার এক পর্যায়ে হঠাৎ মনোযোগ ফিরে পেলাম ।মনোযোগ হারিয়ে যাওয়ার সব থেকে বড় কারন ছিল যে, উনার আলোচনা ছিল সম্পুর্ণ কাহিনী নির্ভর । তিনি তার আলোচনার ঐ পর্যায়ে এসে একজন সাহাবীর কাহিনী বললেন ।এতেই আমার মনোযোগ আকৃষ্ট করল ।এতদিন বিভিন্ন মসজিদে কেবল ওলী আউলিয়াদের কাহিনী শুনে আসছিলাম । হঠাৎ সাহাবীদের কাহিনী !

হুজুরের কণ্ঠেই কাহিনীটি শুনুন>.

একদিন রাসুল সা: তার সাহাবীদের সামনে খুতবা দিচ্ছিলেন । তিনি বলেন যে, মানুষের ব্যবসা ,চাকরী কিংবা কাজ কর্মে তাকে খাওয়ায় না । বরং তাকে খাওয়ান স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা । মহানবীর এই কথাটা শুনে সেখানে উপস্থিত একজন সাহাবী ভাবলেন যেহেতু আ্ল্লাহ ই খওয়ান তাহলে কাজ কারবারের দরকার কি ? তিনি এই ভেবে একটি পাহাড়ে চলে গেলেন ।সেখানে গিয়ে তিনি জিকির করতে শুরু করলেন । তিনি সেখানে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ , আল্লাহ , ইল্লাল্লাহ ইত্যাদির জিকির করতে থাকলেন । ( খতিব সাহেব এই বলে আমাদেরকে ও এই জিকিরের তালিম দিলেন )

তিন দিন পার হয়ে গেল । কোন খাবারের খবর নাই । এই সাহাবীরও খাবারের প্রতি কোন অভাব বোধ করছেন না । ঘটনাটি শুনে এদিকে আল্লাহর নবী সিজদায়ে পড়ে গেলেন । তিনি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানালেন হে আল্লাহ তোমার্ বান্দা আমার কথা বিশ্বাস করে তোমার ধ্যানে মশগুল তুমি তাকে খাওয়াও । তখন আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতা জিবরিল আ: কে নির্দেশ দিলেন তাকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা কর । তিনি তখন পানির ব্যবস্থা করলেন । পানি তার কোমর পর্য়ন্ত উঠে গেল । ফেরেশতা তখন এই সাহাবীকে বললেন, ও সাহাবী তুমি পানি পান করো । তখন ঐ সাহাবী বলছেন যে আমার মহান মালিক আমাকে খাওয়াবেন আমি কেন খাইতে যাব ? তখন আল্লাহ পানিকে হুকুম দিলেন আরো উপরে ওঠার জন্যে । পানি তার বুক পর্যন্ত উঠে এল । এবারো তিনি পান করলেন না । অতপর পানি তার নাক পর্যন্ত পৌছে গেল । ফলে পানি আপনা আপনিই তার পেটে যেতে থাকল । এমন সময় আল্লাহ জিবরাইলকে বললেন তার জন্যে জান্নাত থেকে সকল খাবারের সমন্বয়ে একটি খাবার পাত্র নিয়ে তার সামনে দিতে । যখন জিবরিল তা তার সামনে দিল তখনি সে জন্নাতী খাবারের ঘ্রাণ পেতে থাকল । এইবার ঐ সাহাবী ভাবল যে মহান আল্লাহ তায়ালা তার জন্যে জান্নাত থেকে খাবার পাঠালেন তাই এখন তার খাওয়া উচিৎ। তিনি যখন এক লোকমা খেয়ে দ্বিতীয় লোকমা তুললেন তখনী আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবী আওয়াজ এল “ ওহে বান্দা তুমি আমার জন্যে তিনদিন না খেয়ে থাকতে পারলে অথচ কয়েকটা সেকেন্ট অপেক্ষা করতে পারলে না ? তুমি যদি অপেক্ষা করতে তাহলে আমি তোমাকে আমার নিজ কুদরাতি হাতে তোমাকে খাওয়াইয়া দিতাম ”।

খতিব হুজুরের এই কাহিনী শুনিয়া মুসল্লিদের মাঝে সুবহানাল্লাহ পড়ার আওয়াজ শুনেতি পাইলাম । কিন্তু আমার আসতাগফিরুল্লাহ আর নায়ুযুবিল্লাহর আওয়াজ হয়তো অনেকেই শুনতে পায়নাই ।

আমার মনের কয়েকটা প্রশ্ন :

০১. সেই সাহাবীর নাম কি ? কত হিজরীতে এই ঘটনা ? কোন হাদিস গ্রন্থে এই ঘটনার বর্ণনা পাওয়া গেছে ?

০২. যেখানে কুরআন বলছে, তোমরা সালাত শেষ করে জমিনে রিজিক সন্ধানে ছড়িয়ে পড়( সুরা আজ জুমা ও আন-নেসা ) সেখানে ঐ সাহাবী কিভাবে এমনটা করলেন ?

০৩. যেখানে বিশ্ব নবী নিজে কাজ করে খেতেন সেখানে কিভাবে ঐসাহাবীর এমন কাজকে তিনি বৈধতা দিলেন ?

০৪.পাহাড়ের উপর পানি উঠে গেল তাহলে যারা পাহাড়ের নিচে ছিল তারা কিভাবে বেচে গেল ?কোন সিরাত গ্রন্থ তে একথা নেই যে মক্কা ও মদিনায় এত বড় বন্যা হয়েছিল

০৫.আল্লাহ ও তার রাসুল কিভাবে এতবড় একটি ঘটনাকে তাদের গ্রন্থে উল্লেখ নাকরিয়া পারিলেন ?

০৬. অসংখ্য সিরাত গ্রন্থ পড়লাম কোথাও তো এমন আজব ঘটনা শুনেতি পাইনাই ।

বি:দ্র; আমি এই কথা টুকু এই জন্যে পেশ করলাম যাতে সবাই বুঝতে পারি যে আমাদের আলেম শ্রেনীর একটি অংশ কিভাবে ইসলামকে বিকৃতি করছে ?

তারা কোন সাহসে আল্লহ ও তার রাসুলের নামে এমন সব কথা চালু করছেন যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট । তারা কি সেই কথা জানেনা যা আল্লাহ ও তার রাসুল বলেছেন । “তার থেকে বড় জালিম আর কে হতে পারে যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে ( আল –কুরআন )” “যে আমার নামে মিথ্যা কথা বলল তার স্থান জাহান্নামে (আল হাদিস )”। এত ভয়ংকর আযাবের কথা জানা সত্বেও তারা কিভাবে আল্ল্হর ঘরের মিম্বারে বসে তাদের নামে এমন মিথ্যা রটাতে পারে ?

তারাতো এও জানে যে, কোন সংবাদ আসলেই তা যাচাই বাচাই না করেই বিশ্বাস করা যাবে না ( সুরা হুজরাত ) তাহলে এই সকল মিথ্যা কথা তারা কেন যাচাই না করে বলে বেড়াচ্ছেন ?

আল্লাহ আমাদেরকে এমন সব মিথ্যা বলা ও শুনা থেকে হেফাজত করুন । আমিন





মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন:
এভাবেই ধর্ম সম্পর্কে সব মনগড়া গল্পের শুরু হয়।

২| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১২

সুমাইয়া আলো বলেছেন: আসলে এই সকল ইমামদের কুরআনিক ও হাদিসের জ্ঞান কম বিধায় এই রকম কাল্পনিক গল্প তইরি করেছেন

৩| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

ফায়ারম্যান বলেছেন: নাস্তিক- কাফেরদের চাইতেই ইসলামের বড় দুষমন এইসমস্ত মিথ্যাচারী আলেমগণ ।এদের কারনেই অমুসলিমেরা ইসলাম সম্পর্কে সঠিক বার্তা পায় না , উল্টো আরও তথাকথিত হুজুরীয় ইসলামে বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ পায়।যদিও প্রকৃত ইসলামের অবস্হান এসমস্ত বিতর্ক থেকে বহু উর্ধ্বে ।
পোষ্টে প্লাস + + +

৪| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

গ্রাসহোপার বলেছেন: হা আসলে এখন অনেক মানুষই নিজের ইচ্ছে মত ইসলাম কে নিয়ে কাহিনি বলে বেড়ায়...

৫| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

কেএসরথি বলেছেন: এসব বানানো গল্প। কিছু গন্ড-মূর্খের হাতে ইসলাম শিখলে, এই অবস্থাই হবে। মানুষ নিজের ধর্মকে সর্বশ্রেষ্ঠ করার জন্য বিভিন্ন সময় এই সব বানানো কাহিনীর প্রচলন করে - তারপর মুখ থেকে মুখে ছড়াতে ছড়াতে একসময় এই বানানো কাহিনীগুলো বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠে।

একমাত্র মানসিক ভাবে সুস্থ মানুষরাই পারে, ধর্মের সম্মান বজায় রাখতে। কোন পাগল-ছাগলে কখনও ধর্ম নিয়ে চিন্তা করেনা। তারা ঐটাই জিকির করে, যা শুনতে পায়। নিজের বুদ্ধি ব্যবহার করে একবার ভাবে না "এটা কি করে সম্ভব"।

৬| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

মুহাম্মদ এরশাদুল করিম বলেছেন: ভাই আপনার বিষয়টা বুঝতে পারলাম যে আপনি কষ্ট পেয়েছেন, স্বাভাবিকভাবে আমি ও পেতাম। তবে আমি আপনার জায়গায় হলে, পরে কোন একটা সুবিধাজনক সময়ে, ব্লগে আপনি যেই প্রশ্নগুলো করেছেন সেগুলো খতিব সাহেবকে জিজ্ঞাস করে নিতাম।

আমরা কেউ ভুলের উর্দ্ধে না। একটু ভেবে দেখবেন, ইসলামের কাজে নিয়োজিত কোন কোন মানুষের কোন ভুল ধরিয়ে দিতে ব্লগে লিখে উল্টা অন্যদেরকে ইসলামের বিরূদ্ধে বাজে কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছেন কিনা।

আমার কথায় কষ্ট পেলে নিজ গুণে ক্ষমা করবেন। শুভ কামনা ।

৭| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

নহে মিথ্যা বলেছেন: ফায়ারম্যান বলেছেন: নাস্তিক- কাফেরদের চাইতেই ইসলামের বড় দুষমন এইসমস্ত মিথ্যাচারী আলেমগণ ।এদের কারনেই অমুসলিমেরা ইসলাম সম্পর্কে সঠিক বার্তা পায় না , উল্টো আরও তথাকথিত হুজুরীয় ইসলামে বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ পায়।যদিও প্রকৃত ইসলামের অবস্হান এসমস্ত বিতর্ক থেকে বহু উর্ধ্বে ।


কিছুই বলার নাই... #:-S :||

৮| ৩০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

আরিফুর রহমান বাবুল বলেছেন: লেখক ভাই, আপনি কারো কথার উত্তর দেন্নাই কেন? যাক, আমার কিছু কথা। ভুল হলে ক্ষমা করবেন। মানলাম আপনি অনেক হাদিস , অনেক বই পড়েছেন। এটাতো বলতে পারবেন্না যে, আপনি দূনিয়ার সব হাদিস, বই পড়েফেলেছেন। যদি বলেন হা পড়েছি, তাহলে আপনি বড় ভুল করবেন। একটা মসজিদের ইমাম। ইমাম মানে বুঝেনতো, ইমাম হতে হলে কি কি গুন থাকার দরকার তা জানেনতো? একজন ঈমানের সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে হয় তার সমসাময়িক হতে হবে না হয়, তার ছেয়ে আরো বেশি জানলেওলা হতে হবে। আমি বলছিনা ঈমাম সাহেব ঠিক আপনি ঠিকনা। তবে আপনি যদি বুদ্বিমান হতেন, তাহলে নামাজের শেষে, ঈমাম সাহেবের কাছে গিয়ে বিস্তারিত বলে সহি উত্তরটা নিয়ে এসে ব্লগে লিখতে পারতেন। আপনি এভাবে লিখে ভাল করেন্নাই। যে মানুষের গিবত গায়, যে মানুষ একজনের আরালে হাজার জনকে তার বিরোদ্বের কথা বলে বেরায়, তাকে কি বলে ভেবে দেখবেন। গিবত গারিকে কি বলে হাদিস পড়ে জেন নিবেন।

৯| ৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৭:০৯

সকাল হাসান বলেছেন: আরিফুর রহমান বাবুল বলেছেন: লেখক ভাই, আপনি কারো কথার উত্তর দেন্নাই কেন? যাক, আমার কিছু কথা। ভুল হলে ক্ষমা করবেন। মানলাম আপনি অনেক হাদিস , অনেক বই পড়েছেন। এটাতো বলতে পারবেন্না যে, আপনি দূনিয়ার সব হাদিস, বই পড়েফেলেছেন। যদি বলেন হা পড়েছি, তাহলে আপনি বড় ভুল করবেন। একটা মসজিদের ইমাম। ইমাম মানে বুঝেনতো, ইমাম হতে হলে কি কি গুন থাকার দরকার তা জানেনতো? একজন ঈমানের সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে হয় তার সমসাময়িক হতে হবে না হয়, তার ছেয়ে আরো বেশি জানলেওলা হতে হবে। আমি বলছিনা ঈমাম সাহেব ঠিক আপনি ঠিকনা। তবে আপনি যদি বুদ্বিমান হতেন, তাহলে নামাজের শেষে, ঈমাম সাহেবের কাছে গিয়ে বিস্তারিত বলে সহি উত্তরটা নিয়ে এসে ব্লগে লিখতে পারতেন। আপনি এভাবে লিখে ভাল করেন্নাই। যে মানুষের গিবত গায়, যে মানুষ একজনের আরালে হাজার জনকে তার বিরোদ্বের কথা বলে বেরায়, তাকে কি বলে ভেবে দেখবেন। গিবত গারিকে কি বলে হাদিস পড়ে জেন নিবেন।

বাবুল ভাইয়ের কমেন্টে প্লাস।

৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১৮

মুসাফির মাহফুজ বলেছেন: আপনাদের কথা ‍শুনে আশ্চার্য হচ্ছি এই জন্যে যে, যে তেতুল বৃক্ষটির বীজ থেকে শুরু করে তার শৈশব কৈশর পেরিয়ে যৌবনে দড়িয়ে তার পাতা পল্লাব থেকে ফল ছাড়তে শুরু করেছে তার থেকে যখন আপনি হঠাৎ আম কিংবা জাম প্রত্যাশা করতে পারেন তখন আশ্চার্য না হয়ে উপায় কি ?

আপনারা গীবতের কথা বলছেন , আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করবো এই উত্তর টি দেয়ার জন্যে যে ,যখন আপনার কোন জিনিস কেউ চুরি করে নিয়ে যায় তখন আপনি কেন তার নামে আদালতে মামলা দেন ?কেন তার দোষ অন্যের কাছে বলে বেড়ান ?

আপনারা সমালোচনার জন্যে জ্ঞানের মানদন্ড দাড়করাতে চাচ্ছেন অথচ আপনিই আবার ইতিহাস পড়ে পড়ে কারো পক্ষ নিচ্ছেন আবার কাউকে সৎ ও অসৎ বলছেন । সেটা কি করে সম্ভব ।

আমি যেসকল প্রশ্ন করেছি তার কোন একটির জবাব না দিয়ে আপনারা বরং হুজুরের পক্ষে ‍যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করছেন ?

১০| ৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

নীল আকাশ ২০১৩ বলেছেন: এরশাদ ও বাবুল ভাই, আপনারা কোন ইমাম বা খতিবের কাছে এর আগে গিয়েছিলেন? বোধ হয়না। আমার যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তারপর তওবা করেছি, যে যা খুশী বলুক, আমি কোন প্রতিবাদ করতে যাব না।

জ্ঞানী ইমামেরা সাধারণত বিনয়ী হন। তারা ধৈর্য্য ধরে আপনার কথা শুনবেন ও জবাব দিবেন। কিন্তু মূর্খ প্রকৃতির এইসব ইমাম হয় একদম খাচ্চর টাইপের। এরা আপনার কথা শুনলেই রেগে যাবে এবং উত্তেজিত হয়ে উঠবে। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করবে। মাদ্রাসায় পড়েননি শুনে আপনাকে পারলে লাথি মেরে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেবে।

বেশি দূরে যাবনা। শোলাকিয়ার ঈদগাহের সরকার নিযুক্ত খতিবের মতে, "জীবনের সবচেয়ে বড় নেক কাজ করেছি শাহবাগের আন্দোলনে যোগ দিয়ে" - এরকম মূর্খের সাথে তর্ক করার ইচ্ছে বা রুচি কোনটাই বিবেকবান মানুষের থাকেনা

১১| ৩১ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: নীল আকাশ ২০১৩ এর কথা গুল তিক্ত হলেও সত্য। আলচনার জন্য পোস্ট ঠিক আছে আমি মনে করি। লেখক ইমামের নাম বা মসজিদ উল্লেখ করেন নাই এটা ভাল করেছেন।

৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২০

মুসাফির মাহফুজ বলেছেন: আমি হুজুরের দোষ বলার জন্যে বলিনি বরং আমি মুসলিম সমাজকে দেখাতে চেয়েছি সঠিক ভাবে কিভাবে ভাববেন কিভাবে জানবেন

১২| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩১

ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: ব্লগে এসে না বলে আপনার উচিত ছিল অই ইমামের সাথে নামাজের পরে কথা বলা, অথবা তাকে অন্য কোন ভাল ইমামের মুখোমুখি করা। এইসব পড়ে বিধর্মীরা হাসাহাসি করবে

১৩| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

আমি সাজিদ বলেছেন: আমাদের দেশে এইসব ইমাম রা তো একটা মাস্টারপ্ল্যান নিয়া চলে। আপনি খেয়াল করেছেন কিনা জানি না, উপরে আপনার ওই ইমাম মানুষকে অলস বানানোর ধান্দায় আছেন।

আল্লাহ মানুষকে শুধু তাঁর জন্য দিনরাত মসজিদে পড়ে থাকতে বলেন নি। কাজ না করে শুধু বসে থাকতে বলেন নি। পড়াশুনা বা বিদ্যা অরজন না করে দিন কাটিয়ে দিতে বলেন নি। আমি যা শুনেছি নামায থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা ভালো কাজ ইবাদত। বিদ্যা অরজন ইবাদত। কাজ করে রোজগার করা ইবাদত।

এটা দায়িত্ব।

কিন্তু ওই ইমাম যা বলতে চায়, তাতে মুসলমান দের কাজ না করলেও হবে!! মানে মুসলমানরা শুধু বসে থাকবে, আর পিছিয়ে যাবে! একটা জাতিকে অলস বানাতে চেষ্টা ছাড়া কিছুই না।




এই ধরনের মানুষ সাক্ষাত শয়তান।

১৪| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১০

আছিফুর রহমান বলেছেন: মসজিদের ইমামদের হাতে যত দিন ইসলাম থাকবে ততদিন এরকম অনেক কিছু শুনতে হবে, দেখতে হবে, ভাইরা যেভাবে বলছেন যে ইমামকে সরাসরি প্রশ্ন করলেন না কেন? ব্যাপারটা যত সহজ ভাবছেন তত সহজ না, আমার এরকম একটা অভিজ্ঞতা আছে, এক বার এক ওয়াজ মাহফিলে ঢাকার এক বিখ্যাত বক্তা বলেছিল ১ম আসমান থেকে ২য় আসমান ১০০০ বছরের পথ, ওয়াজ শেষে এই কথার ভিত্তি জানতে চাইয়া খালি মাদ্রাসার ছেলে পেলেদের হাতে মাইর খাওয়া বাদ ছিল, সেই সাথে চাচাদের বকা আর বেয়াদব উপাধি শুইন্না কান গরম হইয়া গেছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.