![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Nationalism এর ভিত্তিতে সারা পৃথিবীটাই খন্ড বিখন্ড হয়ে গেছে । একটি সৌর গ্রহের ভিতর শত শত দেশ ও জাতির জন্ম হয়েছে । বিংশ শতাব্দিতে এসে “জাতিয়তাবাদের” জন্ম থেকে যৌবন সবকিছুরই পুর্নতা । ভাষা,দেশ, অঞ্চল ও বর্নের ভিত্তিতে যে জাতিয়তাবাদের ইমারত গড়ে ওঠেছিল তা যে ছিল হাজারো দোষে দুষ্ট তার প্রমাণ এখন বর্তমান । Internationalism/ Globalization বর্তমান সময়ে জাতিয়তাবাদের মাথার উপরে যে কুঠার আঘাত হানছে তা পরিষ্কার । সত্য এইযে, একটি ভাংগা বা দুর্বল ফাউ্ন্ডশনের উপর ভিত করে বহুতল বিশিষ্ট ভবন দাড়িতে থাকতে পারেনা । সামান্য বাতাসই তার ধংব্ষ সাধনের জন্যে যথেষ্ট ।
জাতিয়তাবাদের বহুতল বিশিষ্ট ভবনগুলো যে ফাউন্ডেশন বিহীন দাড়িয়েছিল তার প্রমণ ই হল এই গ্লোবালাইজেশন প্রক্রিয়া । মানব জাতির সম্পর্ক যে কখনো সীমানা , ভাষা কিংবা কালার দ্বারা নির্ণয় করা যায়না তা আবারো প্রমাণ হতে যাচ্ছে । এই জাতিয়তাবাদের কারণে পৃথিবীতে কত রক্ত,কত জিবন ঝরল তার হিসাব করাটাই কঠিন । বর্তমান সময়ে আজও পৃথিবীর যত সমস্যা যত সংঘাত তার পিছনে দাড়িয়ে কলকাঠি নাড়ছে ঐ জাতিয়বাদী নেতা ও কর্মীরা । মানব সভ্যতা জাতিয়তাবাদের হাত থেকে বাচার জন্যে আজ “আন্তর্জাতিকতাবদা” বা মানবতাবাদ এর দিকে ক্রমক ঝুকছে ।
আমরা একথা বলছিনা যে বর্তমান আন্তর্জতিকতাবাদ যে মানবতার মুক্তির জন্যে যথেস্ট ,সেকথা বলা এখানে আমাদের উদ্দেশ্যও নয় বরং এতটুকুই বলতে চেয়েছি যে, যে জাতিয়তাবাদের উপর ভর করে ভারতীয় উপমহাদেশ সহ পৃথিবীর সকল দেশ ভাগ হল , তাদের নিজস্ব পরিচয় দাড় করাল সেই বিশ্বই এখন এক গ্রামের থিউরি হাজির করছে । ওপেন মার্কেট থিউরি দিচ্ছে । হতে পারে এ সবকিছুর পিছনে পুজিবাদী বা বর্জুয়া শ্রেণীর স্বর্থ জড়িত ।সব কিছু ছাড়িয়ে এই কথাটা ই সত্য যে জাতিয়তাবাদ এখন আর বিশ্বের মানুষ খাচ্ছে না ।
ইসলাম জাতিয়তাবাদের ভিত্তিকে সবার আগেই অস্বিকার করেছিল । যদিও পৃথিবীর অধিকাংশ মুসলিম দেশ এই জাতিয়তাবাদের ভিত্তিতে দাড়িয়ে আছে । জাতিয়তাবাদকে ইসলাম মৃত্যু সমতুল্য মনে করে । কুরআনতো পৃথিবীর সকল মানুষকে এক পিতা ও মাতার সন্তান বলেছে يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا- وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاً ( সুরা নিসা ) ,
মহান আল্লাহ জাতিয়তাবাদকে পদ দলিত করে ঘোষনা সুরা হুজরাতের ১৩ নং আয়াতে দিলেন সকল মানুষ্ ই এক ও অভিন্ন ।কোন গোত্র কিংবা জাতির ভিত্তিতে সম্মান নির্নিত হয় না , বরং সম্মান ও মর্যাদা নির্ভর করে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক এর ভিত্তিতে । (
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِنْ ذَكَرٍ وَأُنْثَىٰ وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوبًا وَقَبَائِلَ لِتَعَارَفُوا ۚ إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ (أَتْقَاكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ [٤٩:١٣)
পৃথিবীর মানুষ জাতিয়তাবাদের সংকির্ন মানষিকতা থেকে মুক্ত হওয়ার বিরাট আলামত হচ্ছে একবিশ্ব একগ্রাম থিউরি । গ্লোবালাইজেশন তারই এক সুত্রপাত ।
#মাহফুজ
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২৬
ভারসাম্য বলেছেন: সহমত। তবে জাতীয়তাবাদ অনেকক্ষেত্রেই মন্দের ভাল, যখন সামগ্রিক ঐক্যে পৌঁছানো এক ধাপে সম্ভব না। এখনো পর্যন্ত বাস্তবতা এই যে, সার্বিক গ্রহণযোগ্য কোন একতাবদ্ধ মতবাদ আমাদের সামনে নেই, ধর্মীয় মতবাদ্গুলো ( আসলে একমাত্র ইসলামই ধর্ম হিসেবে এখনো জীবন্ত আছে, অন্য সব কেবল সংসকৃতি হয়ে গিয়েছে)। ইসলামেও অনেক বিভেদ আছে বিশ্বাসীদের মধ্যে। তাই জাতীয়তাবাদ খারাপ সমাধান হলেও, উপেক্ষা করার সুযোগও নেই।
+++