নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাফেলার এক মুসাফির

মুসাফির মাহফুজ

মুসাফির মাহফুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিথ্যার অট্টহাসিতে সত্যের আর্তচিৎকার: ঐতিহাসিক ১১ই মে

১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:২৯

ঐতিহাসিক ১১ই মে, ১৯৮৫ সাল,

চিত্র এক :

ইসলাম প্রিয় লে.জে.হু.মুহাম্মাদ ইরশাদ সাহেব বাংলার মসনদে আসীন। আল্লাহর পবিত্র কিতাবকে ভারতের বুক থেকে নিশ্চিন্ন করে দেয়ার দাবী তুলল ২ উগ্রবাদী হিন্দু পদ্মমল চেপারা ও শীতল শিং তাদের আদালতে । ফলে যা হবার তাই শুরু হল ।সার পৃথিবী ব্যাপী সমালোচনা আর আন্দোলনের সুত্রপাত হল । মুসলমানদের সবথেকে প্রিয় পবিত্র কুরআনের বিরোদ্ধে এত বড় আঘাত বাংলার মুসলিমরা মেনে নিতে পারে নি । জেলায় জেলায় প্রতিবাদ উঠল । সব থেকে হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটল ভারত সীমান্তঘেষা চাপাইনবাবগঞ্জে । সেদিনের শান্তিপুর্ন প্রতিবাদ সভায় বর্বরভাবে হামলা চালায় ইসলাম প্রিয় এরশাদ সরকারের বাহিনী । নেতৃত্ব দিলেন জেলা প্রশাসক আর সেই সরকারের এক মেজিস্ট্র্যাট মোল্লাহ ওয়াহীদুজ্জামান। সেদিনের পুলিশি হামলায় একজন দুইজন নয়, বরং আট জন খোদার বান্দার জীবনের সমাপ্তি হল ।

চিত্র দুই :

বর্তমানে হুসাইন মু. এরশাদ বাংলাদেশে ইসলাম কয়েমের অগ্রদুত হিসেবে নিজেকে দাবী করেন । সেই কুখ্যাত মোল্লা ওহিদুজ্জামান সাহেব বর্তমান সরকারের একজন সম্মানিত সচিবের মর্যাদায় আসীন। সেদিনের আটজন শহীদের পরিবার আজও অশ্রুতে চোখ ভাসাচ্ছে । কিছু ইসলামী দল বা সংগঠন আজও এই দিনটিকে স্বরন করে রেখেছে ।

চিত্র তিন:

এই দেশে সেদিনের হত্যা কারীরা সম্মান- মর্যাদা লাভ করেছে । আহত আর শহীদেরা ইতিহাসের পাতায় স্থানটুকুও পায় নি । তারা আজ হারিয়ে গেছে অনেক দুরে ।

চিত্র চার :

কেয়ামত দিবসে যখন আবার সেই শহীদেরা নতুন করে মামলা দিবেন, সেদিন নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তাদের প্রতি ইনসাফ করবেন । সেদিন ওয়াহিদুজ্জামান সাহেব আর তার উপরের নির্দেশদাতারা আল্লাহর দরবারে কি হিসাব দিবেন তার জন্য তারা কি প্রস্তুত ?

আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন । সেই ‍দিনের সকল শহীদদেরকে শাহাদাতের পরিপুর্ন মর্যাদা দান করুন। আমীন ...............

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.