![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধনীদের শহরের একদিন!!
ঘন কুয়াশায় পুরো শহর ঢেকে আছে!
গত তিন দিনে একবার ও দুচোখ মেলে সূর্য টাকে দেখতে পারিনি! তবে
এই প্রথবার নয় আরও বহুবার আমি এ শহরকে এমন কুয়াশায় ঢেকে থাকতে দেখেছি!
দেখেছি আরও অনেক কিছু!
সেই প্রথমবার যখন ঢাকায় এসেছিলাম!
ঘুরেছিলাম শহরের রাস্তায় অলিতে-গলিতে গার্মেন্টস - কারখানার দুয়ারে দুয়ারে !
দেখেছিলাম কতগুলো দুঃখী মুখ!
খেয়ে পরে বেঁচে থাকার তাগিদে নিজের শ্রম বিক্রি করার জন্য এ শহরে ছুটে এসেছে তারা।
বহু আগেই উৎপাদনের সমস্ত উপকরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে এরা!
পুঁজিপতি উৎপাদনের সমস্ত উপকরণের মলিক হয়েছে! তাই
সর্বহারা হয়ে অন্য সবার মত এরাও পুঁজিপতিদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে।
পরিণত হচ্ছে শ্রমদাসে!!
এশহরের উঁচু উঁচু দালানে বড়লোকেরা থাকে,
পিচ ঢালা রাস্তায় শিরশির করে তাদের গাড়ি চলে!
রোজ সকালে একদল ধনী রমনী রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে ব্যায়াম করতে!
আর একদল শ্রমদাস বের হয় হাতে খাবারের পুটলী নিয়ে, গন্তব্য কারখানা!
তারপর নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে পুঁজিপতির জন্য পুঁজি তৈরী করবে!
তৈরী করবে ধনীদের সব বিলাসিতার সামগ্রী!
বিকেলে একদল যুবক-যুবতী বিনোদনের জন্য ছুটে যায় পার্কে, গার্ডেনে, সিনেমা হলে!
সুন্দরী দেখে দেখে ভাবতাম, কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে আটকে যেতাম!
যখনই কোন সুন্দরী ললনা খুব কাছ দিয়ে যেত, তখন ঘোর কেটে যেত ললনার শরীরের-
কড়া পারফিউমের ঘ্রানে!! তরপর -
তারপর যখন সন্ধ্যা নেমে আসতো, আবার মলিন মুখ নিয়ে একদল শ্রমদাস পথে নামতো,
গন্তব্য বাসা, বস্তি অথবা কোন রাস্তার ফুটপাত, অথবা ষ্টেশনের খোলা যায়গা!
যেখানে তাদের রাত্রি যাপন হবে।
আরও কত কিছু দেখতাম!
দেখতাম এই শহরের দেবালয়ে মানুষের দেবতার আরাধনা হয় আর-
দেবালয়ের সামনে মানুষের ভিক্ষার আসর বসে,
অনেকে আবার রাত্রি যাপন ও করে দেবালয়ের বারান্দায়!
রাতের শহরে মোড়ের পাশেই দাড়িয়ে থেকে খদ্দের অপেক্ষায় থাকা একদল মেয়েকেও দেখতাম,
যাদের ঠোঁট লাল রঙ্গের লিপস্টিকে রাঙ্গা থাকতো, চোখে থাকতো প্রতিক্ষা!!
আরও কত কিছুই দেখতাম!
এখনও দেখি!
তবে বুঝতে পারলাম এ শহর মানুষের নই,
এ শহর ধনীদের!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: শুধু এই শহর না, এই দেশ আমাদের সকলের।