নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবতাকে সব পরিচয়ের উপরে স্থান দিতে পারলেই পৃথিবী আরও সুন্দর হবে।

চলো স্বপ্ন ছুঁই

একটু পড়ি, একটু লিখি

চলো স্বপ্ন ছুঁই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামুদ্রিক ঢেউকে বেড়ে উঠার সুযোগ দিন

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৫

বৈশ্বিক দুর্যোগ মোকাবেলায় যারা জাতির পাশে দাড়াতে পাড়ে সেইসব সূর্য সন্তানদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত সেইফগার্ড জরুরী।

মনে রাখা উচিত তারাও কারো সন্তান,কারো ভাই-বোন,কারো পিতা,কারো মাতা। আমরা যদি সেবকদের সুস্থ রাখতে না পারি তাহলে সেবা করবে কে??? আমার মনে হয়, এই মুহুর্তে দেশকে বাচানোর জন্য সবার আগে ডাক্তারদের বাচানো উচিত। ডাক্তারদের বাচিঁয়ে রাখতে পারলে দেশ বাচবে, একটি প্রজন্ম বাচবে, বাচবে পরিবারের প্রিয় মানুষটি।

রাষ্ট্র কর্তৃক ডাক্তাদের সুরক্ষা, ডাক্তাদের প্রতি যথাযথ ব্যবহার করা জরুরি। একটিবার ভাবুন তো করোনা চিকিৎসায় এই পেশার মানুষ ছাড়া অন্য কেউ রোগীদের পাশে দাড়াতে কতটা প্রস্তুত ????

রাষ্ট্র পরিচালনায় সকল নাগরিকের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা থাকলেও মহামারি মোকাবেলায় ডাক্তার,গবেষক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের অবদান অনস্বীকার্য। শুধু বৈশ্বিক দুর্যোগের সময় নয়, রাষ্ট্রের উচিত ডাক্তারদের মহানব্রতকে সম্মান দেখিয়ে তাদের অবদান স্বীকার করে তাদের যথার্থ মযাদার আসনে অধিষ্ঠিত করা।

আজকে যদি আমাদের প্রতিটি জেলায় বিশ্বমানের হাসপাতাল থাকতো, ২০ হাজার প্রশিক্ষিত ডাক্তার থাকতো, প্রতিটি উপজেলায় একদল সূর্য সন্তান থাকতো আমাদের কি এত দুশ্চিন্তায় কাটাতে হতো???

বৈশ্বিক ক্রান্তিলগ্নে বার বার একটি অভাব অনুভূত হচ্ছে সরকারি অমুক তমুক অফিসকে বিশ্বমানে উন্নীত করার আগে দরকার নিজেরা যেভাবে বেচে থাকবো তার জন্য হাসপাতাল ও ডাক্তারদের জীবনকে সুন্দর করা।

গাড়ি সুবিধা যদি কারো জরুরী হয় তা প্রাপ্য ডাক্তাদের,প্রয়োজনে সে আপনাকে বাচাতে আসবে। আধুনিকায়ন যদি দরকার হয়, সবার আগে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে সেবাদেয়ার পরিবেশ সৃষ্টিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হউন। জাতিকে বাচাতে গবেষনা খাতে বরাদ্দ বাড়ান,শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিন।

অমুক তমুক অফিসারদের মূল্যায়ন করবেন ঠিক আছে তবে স্বাস্থ্যসেবা কিন্তু মৌলিক অধিকার এটা মাথায় রাখুন।

ঢাকা মেডিকেল,সলিমুল্লাহ মেডিকেল তথা সরকারি মেডিকেল থেকে পাস করা একজন শিক্ষার্থী যদি বাধ্য হয়ে তার পেশা পাল্টাতে চায় বুঝতে হবে জাতির মস্তিষ্কে পচন ধরেছে, ক্যান্সারের বিস্তার অবশ্যম্ভাবী।

বুয়েট পাস একজন যখন ব্যাংকে চাকুরী খুজে তখন জাতির দিকে তাকিয়ে আফসোস ছাড়া আর কিছুই করতে পারিনা।

অনেকে হয়তো বলতে পারেন ডাক্তাররা চেম্বার করে কোটি কোটি কামায়!!! আমার প্রশ্ন হলো অমুক তমুক কিভাবে চাকুরী নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারে???? তাদের কেন চেম্বারের প্রয়োজন পড়ে না,ডাক্তাররা কেন চাকুরির পর পরিবারের জন্য বরাদ্দ রাখা সময়ও প্রিয়জনের সাথে ভাগাভাগি করতে পারে না???? যদি মনে করেন তাদের প্রচুর চাহিদা,ঠিক বলেছেন, আপনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আপনাকে পরিবারের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে চেম্বার করতে হবে না,আপনি আগামীর অমুক তমুক অফিসার।

কয়েকদিন যাবত দেখলাম বাজারে স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না, বেশতো,সমাজের অবহেলিত সম্প্রদায় তৈরি করলেন স্যানিটাইজার,যাদেরকে অবজ্ঞা করে সমাজ যাদের নাম দিয়েছে মাস্টার।

রাষ্ট্রকে আগামী দিনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কি কষ্ট করে দিন রাত ত্যাগ স্বীকার করে যারা ডাক্তার হয় তাদের মেধাবী বলবো??? তাদের গুরুত্ব দিব???? না, স্কুল,কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে প্রতিদিন আডডা দেয়া, সিনেমা দেখা,ঘুরে বেড়ানো শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ আসনে বসাবো??????!!!! মানব সেবাই যাদের পেশা তাদের এগিয়ে রাখবো??? না, যাদের নিজস্ব কোন কাজ নেই তাদের নিয়ে কাতুকুতু খেলবো।

কামার দিয়ে যতদিন কুমারকে কাজ শিখাবো, রাখাল দিয়ে যতদিন ডাক্তারকে শাসন করবো, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের যতদিন সাধারণ ডিসিপ্লিনরা কিভাবে রাস্তা বানাতে হয় এই জ্ঞান বিলাবে ততদিন আমাদের নিজেদেরকে ঈশ্বরের কাছে শপে দেয়া ছাড়া কিছুই করার থাকবে না। আল্লাহ সহায় হোন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.