![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
বন্ধুদের নিয়ে যুগে যুগে অনেক কালজয়ী গান, কবিতা ও মহৎ গল্প লেখা হয়েছে। আমিও কিছু কবিতা, গল্প ও উপন্যাস লিখেছি। এবার একটা গান তৈরি করলাম বন্ধুদের নিয়ে। গানের মূল কথাগুলো আমার শৈশবের বন্ধুরা কবিতা থেকে নেয়া।
তবে, গানটা সাজানো হয়েছে আমাদের কয়েকজন বন্ধুর কাছ থেকে টুকরো টুকরো লিরিক নিয়ে। আমাদের এক মেসেঞ্জার গ্রুপে বন্ধুদের লিরিক নিয়ে গান তৈরির ইচ্ছে পোষণ করলে বজলু, মাসুদ, করিম, শাহনাজ ও মীর মোশাররফ গানের টুকরো কথাগুলো জমা দেয়। কবি ইমরান আহমদকে স্মরণ করেও পাওয়া যায় নি, ওর দুটো লাইন পেলে গানের লিরিক আরো সমৃদ্ধ হতো নিঃসন্দেহে।
গানটা অনেক লম্বা হয়েছে। এ-আই কভার তৈরি করার জন্য প্রচুর ক্রেডিট খরচ হয়েছে, তার চাইতেও সময় খরচ ও পরিশ্রম হয়েছে অনেক বেশি। ভুল উচ্চারণ শুদ্ধ করতে করতে এবং জোড়াতালি, প্রতিস্থাপন করে ফাইনাল প্রোডাক্ট বের করতে যেয়ে আমার জান তেজপাতা হয়ে গেছে ও ইয়ে, এই ফাঁকে আরেকটা সুখবর দিয়ে নিই। সুনো টিমের কাছে আমার রিকোয়েস্ট ছিল 'কভার সং' তৈরির জন্য আপলোডেড অরিজিন্যাল গানের ডিউরেশন ২ মিনিট থেকে বাড়িয়ে অন্তত ৫ মিনিট করার জন্য। আমার এই দীর্ঘ গানটা তৈরির সময়ই লক্ষ করি হঠাৎ করে একটা নতুন ফিচার যুক্ত হলো, যার মাধ্যমে আপলোডেড গানের ডিওরেশন বাড়িয়ে এক লাফে ৮ মিনিট করা হয়েছে। আউটপুট গানের দৈর্ঘ্যও বাড়িয়ে ৪.৫ মিনিট থেকে ৮ মিনিট করা হয়েছে। এতে কভার সং তৈরির জন্য আমার ফ্লেক্সিবিলিটি কয়েক গুণ বেড়ে গেলো। ফলে, আমার এ দীর্ঘ গানটি করতে অনেক শ্রম দিতে হলেও আগের ভার্সনে এটি করতে আরো অনেক বেশি বেগ পেতে হতো।
চূড়ান্ত গানটি তৈরি করতে পেরে আমি নিজেই খুব সন্তুষ্ট এবং গানটা শুনে আমি নিজেই খুব মুগ্ধ ও এক্সাইটেড।
বন্ধুরা ছিল, বন্ধুরা আছে
মন শুধু পড়ে থাকে বন্ধুদের কাছে
বন্ধুরা ছিল বন্ধুরাই আছে
মন শুধু পড়ে থাকে বন্ধুদের কাছে
এখনো মনে হয় বয়স এখনো
আটকে আছে সেই ১৬ বছরেই
এখনো মনে হয় দুষ্টুমি ছাড়া আর
এ জীবনে কিছুই করবার নেই
আমাদের কখনো বয়স বাড়ে না
পৃথিবীর সবকিছু ভুলে যাই
যখন জমে ওঠে আড্ডাটা
আমাদের একদিনও বয়স বাড়ে না
আড্ডায় ডুবে গিয়ে দেখতে পাই
আমাদের সুপ্রিয় মালিকান্দা মেঘুলা হাইস্কুল
জ্বলে ওঠে দুপুরের উজ্জ্বল মাঠ
দেখতে পাই পশ্চিম ধারে দরাজ আম্রকানন
তার নীচে গোল হয়ে বসে
উচ্ছল কৌতুকে মেতে থাকা পোলাপান একদঙ্গল
ওরা তারছেঁড়া, ওরা বাউন্ডুলে, চির দুরন্ত ওরা
ওরা এখনো ১৬ বছরেই আটকে আছে
মনেই হয় না ওদের সংসার আছে,
মনেই হয় না সংসারের আষ্ট্রেপৃষ্ঠে
ওরাও আটকে আছে
শৈশবের বন্ধুরা বদলায় না
শৈশবের বন্ধুদের বয়সও বাড়ে না
বন্ধুরা ছিল বন্ধুরা আছে
মন শুধু পড়ে থাকে বন্ধুদের কাছে
বন্ধুরা ছিল বন্ধুরাই আছে
মন শুধু পড়ে থাকে বন্ধুদের কাছে
বজলু :
আমরা সবাই অন্তরের অন্তর ছিলাম
ছিটকে পড়েছি আজ পৃথিবীর প্রান্তে
কখনো মনে হয়, হয়তো এখন আর
কেউ কারো কাছের নই
অথচ এখনো বন্ধুদের দেখলেই
তীব্র আবেগে আপ্লুত হই
আমরা সবাই অন্তরের অন্তর ছিলাম
শাহনাজ :
যতই থাকি চেরি ব্লসমের দেশে,
মন পড়ে আছে মালিকান্দা হাইস্কুলের
বকুল ফুলের আবেশে
মাসুদ :
সেই বকুল তলার মুখরিত আড্ডা
আর কি পাব ফিরে?
জীবনের কোনো এক শেষ বিকেলে
আবার কি হবে দেখা আম্রকাননে?
করিম :
এসো বন্ধুরা, আজ এখানে বন্ধু-আসর হবে
পুরোটা সময় আজ মাতাবো আড্ডার কলরবে
বন্ধু, তোমরা এসো
কতদিন দেখি না প্রাণপ্রিয় বিদ্যালয়ের মুখ
আড্ডার কোলাহলে, চলো ঘুরে আসি
সেখানে জমে আছে আমাদের দুর্দান্ত সুখ
মীর মোশাররফ :
আড্ডা আগেও ছিল
আমাদের আড্ডা এখনো আছে
আড্ডা থাকবে ততদিন, যতদিন বন্ধুরা থাকবে
ভালোবাসবে, বন্ধুদের জন্য কাঁদবে প্রাণ
যুগে যুগে বন্ধুরাই বন্ধুকে করেছে মহান
বন্ধুরা ছিল, বন্ধুরা আছে
মন শুধু পড়ে থাকে বন্ধুদের কাছে
বন্ধুরা ছিল বন্ধুরাই আছে
মন শুধু পড়ে থাকে বন্ধুদের কাছে
এখনো মনে হয় বয়স এখনো
আটকে আছে সেই ১৬ বছরেই
এখনো মনে হয় দুষ্টুমি ছাড়া আর
এ জীবনে কিছুই করবার নেই
বন্ধুরা ছিল বন্ধুরা আছে
মন শুধু পড়ে থাকে বন্ধুদের কাছে
বন্ধুরা ছিল বন্ধুরাই আছে
মন শুধু পড়ে থাকে বন্ধুদের কাছে
০৪ জুন ২০২৫
কথা : বজলু, মাসুদ, করিম, শাহনাজ, মীর মোশাররফ ও খলিল মাহ্মুদ
সুর ও মূল কণ্ঠ : খলিল মাহ্মুদ
এ-আই কভার : সোনারু ও সহেলিয়া
গানের লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন। বন্ধুরা ছিল, বন্ধুরাই আছে
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
ঈদ মোবারক।
০৭ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জেনে খুবই ভালো লাগছে যে আপনিও দোহারের ছেলে। মালিকান্দা মেঘুলা মাল্টিলেটারেল হাইস্কুল থেকে ১৯৮৪ সালে আমরা যারা এসএসসি পাশ করেছি, তাদের নিয়ে এবং তাদের উদ্দেশ্যেই এ গানটি। কাভারে যাদের ছবি দেখছেন, তাদের সবাই আমাদের ক্লাসমেট নন, কিছু জুনিয়র বা সিনিয়র আছেন, যাদের আমি নিজেও চিনি না। এমনকি প্রায় ৪০ বছর যাবত দেখা না হওয়ায় অনেক ক্লাসমেটের চেহারাও ভুলে গেছি। মাঝখানে চেয়ারে বসা ব্যক্তি আমাদের একজন শিক্ষক ছিলেন, এখন অবসরপ্রাপ্ত। আমাদের এক ক্লাসমেট বন্ধুদের দাওয়াত দিয়েছিল, তাদের নিয়ে পদ্মাপাড়ের কোনো এক জায়গায় ফটোসেশন। আমি অবশ্য ছবিতে নেই।
কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ইফতেখার ভাইয়া।
ঈদ মোবারক।
২| ০৭ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:২৫
মামুinসামু বলেছেন: জীবন আনন্দময় হোক
০৭ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামু। ঈদ মোবারক।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার ভিডিওর কাভারে যাদের দেখা যাচ্ছে তাদের বয়সের রেঞ্জ আমার কাছে ঠিক বোধগম্য হলো না। কেউ দেখতে ৪০ তো কেউ ৬০ বলে মনে হচ্ছে। যাইহোক, বন্ধুত্ব অটুট থাক। আপনার বন্ধুদের মাঝে "শাহনাজ" সম্ভবত দোহারের মানুষ, উনি "মালিকান্দা" স্কুলের কথা বলেছেন মনে হচ্ছে। আমিও দোহারেরই ছেলে। ঈদ মোবারক।