| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
আবু রায়হান ইফাত
	একজন বিশিষ্ট সাইকো, নির্জনতা প্রিয় অদ্ভুত প্রকৃতির একজন মানুষ, মাঝে মাঝে আত্মমস্তিষ্কে এমন কিছু কল্পনা করি যা হয়তো কারো নিকট ভিত্তিহীন, কিন্তু আমার নিকট মহামূল্যবান ।
..              গন্তব্যহীন পথে যাত্রা
                ( আবু রায়হান ইফাত) 
                        ( এক )
সময় টা ছিল পৌষ কিংবা মাঘ মাসের মাঝামাঝি তে,  প্রচন্ড শীত এবং কুয়াশায় ঘেরা ভোরে শিশির ঘেরা ঘেসের উপর দিয়ে হেটে চলছে ছেলেটি,  যে করেই হোক তাকে ভোর ছয়টার ট্রেন ধরতে হবে।
প্রত্যন্ত অঞ্চল  এই ভোরে গাড়ী কিংবা রিকশা পাওয়া দুষ্কর,  তাই আবিদ কে  ( ছেলেটির ছদ্মনাম)  হেটে হেটেই রেল স্টেশনে যেতে হবে।
গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আবিদ,  বাবা একজন শিক্ষক ছিল,  কিন্তু প্যারালাইসিস এ আক্রান্ত হওয়ার 
পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে আবিদ বাবার পরে সংসারের হাল ধরার জন্য  গ্রামের কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে কর্ম জীবনের দিকে মনোনিবেশ করে, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মাধ্যমে চাকরীর জন্য আবেদন করে।
হঠাৎ একদিন আবিদের বাসায় পোষ্ট মাষ্টার এসে একটি হলুদ রঙা খাম দিয়ে যায়, খামটি  হাতে পাওয়ার পর আবিদ খুলে দেখে উত্তরবঙ্গের  কোনো এক সরকারী কলেজে সে কেরানীর চাকরী পেয়েছে,  আবিদ দেরি না করে  পাড়ি দেয় চাকরীর উদ্দেশ্যে অজানা, অচেনা  সেই গন্তব্য পানে।
যথারীতি সে তার গন্তব্যে পৌছে এবং বহুলাকাঙ্খিত  চাকরীতে যোগ দান করে,   এবং কলেজের প্রিন্সিপ্যাল এর সাথে কথা বলে ঐ কলেজেই চাকরীর পাশাপাশি  ডিঘ্রী তে পড়ার অনুমোদন নিয়ে নেয়।
 আবিদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করার জন্য কলেজের প্রিন্সিপাল সাহেব  উক্ত এলাকার  একজন নামকরা ব্যাক্তির বাড়িতে লজিং ঠিক করে দেয়।
                       ( দুই )  
আশফাক সাহেব, ( আবিদ যে বাড়িতে লজিং থাকে ঐ বড়ির কর্তা ) তিনি একজন নামকরা ব্যবসায়ী,  এলাকায় অনেক নাম ডাক সেই  সুবাদে কলেজ কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। উনি দুই সন্তানের পিতা,  বড় মেয়ে সবেমাত্র মাধ্যমিক শেষ করে উচ্চমাধ্যমিক এ পদাপর্ণ করেছে, আর ছোট ছেলেটি  ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে।
রাহাত কে ( আশফাক সাহেবের ছেলে) পড়ানোর দায়িত্ব অর্পিত হয় আবিদের উপর।
আবিদ মেধাবী ছাত্র ছিল তাই রাহাত কে পড়াতে তার কোনো অসুবিধা হতো না, 
অল্প দিনেই আবিদ সবার মন জয় করেছিল।
রাহাত কে পড়ানোর সুবাদেই রিশিতার ( আশফাক সাহেবের মেয়ে ) সাথে পরিচয় আবিদের।
রিশিতা মাঝে মাঝে তার পাঠ্যবই সম্পর্কে ধারনা নেওয়ার জন্য আবিদের সাহায্য নিতো, বয়সের পার্থক্য বেশি না থাকাতে দুজনের মাঝেই গড়ে উঠে বন্ধুত্ব।
 আবিদের একটা গুন ছিলো সে খুব ভালো কবিতা আবৃত্তি  করতে পারতো, রিশিতা আবিদের আবৃত্তি  করা কবিতা শুনতে খুব পছন্দ করতো, আবিদ  রিশিতাকে প্রায় সময়ই কবিতা আবৃত্তি করে শুনাতো।
                                                  (  চলবে.......) 
©somewhere in net ltd.