| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
আবু রায়হান ইফাত
	একজন বিশিষ্ট সাইকো, নির্জনতা প্রিয় অদ্ভুত প্রকৃতির একজন মানুষ, মাঝে মাঝে আত্মমস্তিষ্কে এমন কিছু কল্পনা করি যা হয়তো কারো নিকট ভিত্তিহীন, কিন্তু আমার নিকট মহামূল্যবান ।
 
 
আজ আমি আমার গল্পটা আপনাদের সম্মুখে বলবো,  আপনারা সবা'ই আমাকে চেনেন।  আমার উপর অত্যাচার না করে আপনারা ক্ষান্ত হননা।  আজকাল এটা আপনাদের চিরাচরিত স্বভাব। বছরে ৩৬৫টি দিন ২৪ ঘন্টা করে আপনাদের মাধ্যমে অত্যাচারিত হয়ে আজ আমি অতিষ্ঠ।  আমার তো একটু বিশ্রাম দরকার তাই না...? কিন্তু  আপনারা তো অামার অনুভূতি বুঝতে পারেন না,  প্রতিটি মুহুর্তেই আমাকে জর্জরিত করে যাচ্ছেন।  
চিনতে পারছেন আমাকে..? আমি কে...?
আমি হলাম আপনাদের অত্যাচারে  জর্জরিত,  নিপিড়িত সবার পরিচিত মুখ ফেসবুক। আমার জম্মটা হয় যুক্তরাষ্ট্রে সেই ২০০৪ সালের দিকেে।  মার্ক জুকারবার্গ নামে এক অত্যাচারী মানুষের মস্তিষ্কে প্রথম জম্ম নেই আমি, এরপর জুকারবার্গ তা বাস্তবে রূপান্তরিত করে  নাম দেয় ফেসবুক।  আর আমি'ই হচ্ছি জুকারবার্গের ক্রোধানলে পড়ে জম্মনেওয়া  সেই নিপিড়িত  ফেসবুক।
  
আমার জম্মের প্রথম দিকে  অত্যাচারের মাত্রা নামেমাত্র ছিলো।  সামান্য কিছু সংখ্যক মানুষ দ্বারাই অত্যাচারিত হতাম।  কিন্তু ২০০৭ সালের পর বেড়ে যায় অত্যাচারের মাত্রা । আমার  উপরে  সামান্য অত্যাচারে তুষ্ট ছিলো না আমার জম্মদাতা জুকারবার্গ,  অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমাকে  অত্যাচার করার জন্য বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্টকেও যোগ করে।  ব্যস !!  খেল খতম ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে অত্যাচারের মাত্রা।  তবুও তখন কিছুটা ভালো ছিলো বর্তমানের তুলনায়।  হাতে গুনা কয়েকজন'ই অত্যাচার করতো।  কিন্তু এখন ..? প্রায় বাংলাদেশের অধিকাংশ  ছেলে-বুড়োর হাতে আমি জর্জরিত।
আজকাল বাচ্চা-কাচ্চা পোলাপাইনগুলাও আমার উপর অত্যাচার করার জন্য নিবন্ধন করে।  কেমন লাগে বলুন তো ..? বয়স্কদের তুলনায় তারাই খুব বেশি অত্যাচার করে আমার উপরে।  যেথায়-যেভাবে পারে ঠিক সেভাবেই ঝাপিয়ে পড়ে,  আমি অাত্মচিৎকার করে যাই... ওমাগো!  আমি গেলুমরে,  এবার তো একটু মুক্তি দে ! আমায় একটু বিশ্রাম দে ! 
কিন্তু কে শুনে কার কথা ! আমাকে এভাবে  জ্বালিয়েও তারা তুষ্ট না।  অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে  আজকাল তারা লাইভ নামক এক মহা অত্যাচারের সম্মুখীন করছে আমাকে। যে কষ্টানুভূতি কেউ বুঝবে না,  তারা মজা নেয় কিন্তু আমার যে প্রাণ বেরিয়ে যায় তা তাদের উপলব্ধি হয়না। 
আজকাল অত্যাচারী মানুষগুলো যেখানেই যায় সেখানেই হাজির হয়ে যায় লাইভ নামক অত্যাচার নিয়ে। মাঝে মাঝে লাইভ নামক অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে খুব বিভৎস ভাবে অত্যাচার করে আমার উপরে।  সে কি ! বিশ্রী রূপ নিয়ে হাজির হয় তারা যা দেখে আমার দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। বিভৎসরূপে আমার উপর অত্যাচার করে তাদের মাঝে সৃষ্টি হয়... হিরো আলম, রইসুল, মডেল আরিফ খান, আলি গে স্টার, হলিপু, হাতিপু, মামলাপু, রেশমি অ্যালন, নাঈলা নাঈম,  গাঁজাপু নামক কিছু অত্যাচারী সেলেব্রেটি। তারা যখন লাইভ নামক অত্যাচারটি আমার উপর প্রয়োগ করে তখন আমার শিরা-উপশিরায় বেঁচে থাকার উপায়গুলো হারিয়ে ফেলতে হয়, কষ্টে চৌচির হতে থাকে অনুভূতি,  কিন্তু থামে না তারা তবুও থামে না, অনবরত'ই রোলার স্ট্রীম চালিয়ে যায়।   তাদের কার্জক্রম গুলো প্রকাশ মতো শক্তি আমার নাই,  আমি আজ বড্ড  ক্লান্ত তাদের  অত্যাচার সইতে সইতে। 
প্রতিটি দিন ২৪ ঘন্টা করে আমার অত্যাচারের কবলে থাকতে হয়,  কিন্তু আর কত পারা যায়..? যেখানে যেভাবে পারে তারা,  সেখানে সেভাবে  আমাকে অত্যাচার করে তারা।
  
আমি মাঝে মাঝে একটু বিশ্রাম চাই তাদের কাছে,  তখন যৌথভাবে হামলা শুরু করে আমার  উপরে,  ওমাগো!  তখন আমার প্রাণ যেনো বেরিয়ে যায়,  কিন্তু বেরোয় না। 
 
আজকাল আমার আরো দুইটা সঙ্গী হয়েছে,  মেসেঞ্জার আর ইনস্টাগ্রাম নামে।  ভাবছিলাম যেহেতু তাদের ও জম্ম হয়েছে তাহলে তো আমার কষ্টটা একটু কমবে, অত্যাচারের মাত্রা একটু কমবে।  কিন্তু দেখতে পেলাম তার উল্টোটা।  তাদের উপর তো অত্যাচার হয়'ই তার সাথে আমার উপর অত্যাচারের মাত্রা আরো বৃদ্ধি।
কেউ কেউ তো নিজেরা অামাদের উপর অত্যাচার করে ক্ষান্ত না হয়ে আমাদের অত্যাচার করার জন্য খুলেছে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান।
ও অাল্লাহগো ! কোন পাপটা জানি করছিলাম কে জানে ..? যার কারণে সইতে হচ্ছে এতো কষ্ট।  শুধু এখানেই ক্ষান্ত নয় তারা । আজকাল ভালো খারাপ সব কাজেই রোলারস্ট্রিম চালিয়ে যায় আমার  উপর দিয়ে।
স্কুল-কলেজ পড়ুয়া স্টুডেন্টগুলা পড়া লেখা না কইরা, ব্যস্ত হয়ে থাকে আমাকে নিয়া,  আর কষ্ট কত প্রকার ও কি কি যা আছে সব আমার  উপর প্রয়োগ করে।  
পৃথিবীর মাঝে  এমন কোনো অত্যাচার বাকী নাই যে অত্যাচার আমার উপর প্রয়োগ করে নাই।  মার্ক জুকারবার্গ কে বলতে চাই ১৩টি বছর তো হয়ে গেলো, অার কত সহ্য করবো অমানবিকতা..? কি ক্ষতি করছি ভাই তোমার..? যার জন্য আমারে জম্ম দিলা..? জম্মদিয়েছো ভালোকথা নিজের মধ্যে রাখতা সবাইকে জড়ানো কি দরকার ছিলো...? সবাই কে জড়াইছো তাও মেনে নিলাম কিন্তু বাংলাদেশের মানুষগুলোকে না জড়ালে হতো না...? তাদের দ্বারা আমি কতটা নিপিড়িত হই তা তোমার বাপেও জানে না।  সব ধরণের অত্যাচার করার পরও তারা তুষ্ট নয়,  প্রতিদিন নতুন নতুন চিন্তা নিয়ে হাজির হয় আমার মাঝে, আর অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে।  তারা শুনতে চায় না আমার আত্মচিৎকার। তুমি তো আমার জম্মদাতা হয়ে শুনার কথা আমার অাত্মচিৎকার,  এবার তো একটু মুক্তি দাও আমাকে।  নইলে অভিশাপ দিয়া যামু তোর কোনো দিন ছেলে হইবে না, কারণ তুই আত্মচিৎকারের মর্ম বুঝোস না। 
[বিঃদ্রঃ ইহা একটি ব্যাতিক্রম ধর্মী রম্য গল্প, সুতারং  বিভ্রান্ত হওয়ার কিছুই নাই ]
 
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭  রাত ১০:৪৬
আবু রায়হান ইফাত বলেছেন: ধন্যবাদ ।
২| 
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭  বিকাল ৫:৪৩
রিএ্যাক্ট বিডি বলেছেন: ভালো ভালো
 
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭  রাত ১০:৪৬
আবু রায়হান ইফাত বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৩| 
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭  সন্ধ্যা  ৭:৩৩
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ভালো লাগল
 
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭  রাত ১০:৪৭
আবু রায়হান ইফাত বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| 
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭  রাত ৮:৪৩
সুমন কর বলেছেন: হাহাহা.........মজার।
 
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭  রাত ১০:৪৮
আবু রায়হান ইফাত বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| 
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭  রাত ৮:৪৮
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: মজা লাগলো
 
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭  রাত ১০:৪৮
আবু রায়হান ইফাত বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭  বিকাল ৫:৩৭
তারেক ফাহিম বলেছেন:
  
  
  
মজা পাইলাম রম্যে।