নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা...

আল ইফরান

হৃদয়ে বাংলাদেশ

আল ইফরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামাজিক পরিবর্তনের স্বরুপ সন্ধানেঃ রুপান্তর পর্বের সূচনা-০১

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

আমাদের চারপাশে চলমান ঘটনাপ্রবাহের দিকে, খুব গভীরভাবে না হোক, অন্ততপক্ষে যদি যৌক্তিকভাবে অনুধাবনের চেস্টা করি তাহলে ব্যক্তিগত দায় এড়িয়ে সমাজের/ সিস্টেমের কাধে সকল দোষ চাপিয়ে দেয়াটা খুব সহজ হয়ে দাঁড়ায় না। চলমান প্রত্যেকটা ঘটনা সেটা যতই সংবেদনশীল হোক না কেন তাতে আমাদের (দায়িত্বশীলদের) অসংবেদনশীলতা প্রচলিত সমাজব্যবস্থার সাথে অনেকটাই অসঙ্গতিপূর্ণ। তবে কি আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এমন কোন ধরনের গুণগত পরিবর্তন অথবা ভাংগন ধরেছে যা আমরা সঠিক সময়ে অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছি? এই প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানেই অনেক বছর পরে ব্লগ লেখার ব্যর্থ প্রয়াস এই প্রথম লেখাটি।

বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় প্রাথমিক পরিবর্তন অর্থাৎ শিল্প বিপ্লবের আচ আমরা পাই ব্রিটিশদের হাত ধরেই কিন্তু সেটাও ঔপনিবেশিক কায়েমী স্বার্থের উপজাত হিসেবেই। যেমন যন্ত্রভিত্তিক বস্ত্র উৎপাদন জায়গা করে নেয় কৃষিভিত্তিক ট্র্যাডিশনাল অর্থ ব্যবস্থার। শহর-কেন্দ্রিক অর্থব্যবস্থা পল্লী অঞ্চলের আধিপত্যকে খর্ব করতে শুরু করে শিল্পায়নের শুরুতেই। শহুরে মানুষের হাতে পুজির নিয়ন্ত্রণ, শিল্পায়নের প্রধান চাবিকাঠি শিক্ষা সেটাও তাদেরই হাতে। শুরু হয় এক ভাংগনের মহাকাব্য যার লিগ্যাসি আমাদের ধমনীতে আজও প্রবহমান। আর এই ইতিহাসের সুচনাতেই একটু ভালো অথবা চাকচিক্যময় জীবনের প্রলোভনে মাটির মায়া ছেড়ে যন্ত্রের দাসত্বের জীবন মেনে নিতে একটা অংশের শহরে আগমন। আর এই অর্থনৈতিকভাবে অনুন্নত মানুষগুলোর আশ্রয়ের দায়ে শহুরে বস্তির সুচনা। কৃষকের যন্ত্রের দাসত্ব যেইদিন থেকে শুরু ঠিক সেইদিন থেকেই আমাদের এই সামাজিক ভাংগনের সূত্রপাত আর তার সাথে পল্লী অঞ্চলের ক্রমাগত পিছিয়ে যাওয়ার ইতিহাস আর ক্রমববর্ধনশীল বৈষম্য।

ড. আলী শরিয়তির ভাষ্যে বলতে হয় “এক সময় আমি ও আমার সমগোত্রীয়রা একত্রে বাস করতাম সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের মধ্যে। শিকার করতাম পশু ও মৎস্য। তখন সমাজ ছিল স্তরবিহীন, একীভুত। তারপর সে হল মালিক, আর আমি বঞ্চিতদের একজন, সে শাসক আমি শাসিত। বস্তুতে পরিবর্তন আসলো, পরিবর্তন আসলো উৎপাদন যন্ত্রে এবং পদ্ধতিতে। কিন্তু সে মালিকই থাকলো, কাজ সে করতো না । আর আমি থাকলাম বঞ্চিতদেরই ভিতর, কাজও করতাম আমি। একদা আমি হলাম দাস, সে প্রভু। তারপর আমি ভূমিদাস, সে ভু-স্বামী। এরপর আমি কৃষক, সে সামন্তপ্রভু। শেষে আমি যখন আমার কোদাল ছাড়লাম সে ছাড়লো তার ঘোড়া এবং আমরা উভয়েই শহরে এলাম, জমির উদ্বৃত্ত আয় দিয়ে সে কিছু টেক্সি কিনলো আমি হলাম তার ড্রাইভার। এখন তার কারখানা হয়েছে আমি নিঃস্বদের একজন তার ভিতর কাজ করছি”- আমার একজন শ্রদ্ধেয় গুরুর কাছ থেকে ধার করা এই অংশটুকু

নতুন এই ব্যবস্থা প্রথমেই প্রভাব ফেলে অনেকগুলো চলমান কিন্তু স্থিতিশীল সামাজিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর। আন্ত:সম্পর্ক ও অন্ত:সম্পর্কের মাত্রাতে আসে বড় ধরনের পরিবর্তন। তবে এই পরিবর্তনগুলো এসেছে অনেক সময় নিয়ে সেটা আমরা অনুধাবনে সক্ষম হই নি সঠিক সময়ে, প্রতিরোধের বা প্রতিকারের দেয়াল তুলে ফেলা তো অনেক পরের বিষয়। এই সামাজিক রুপান্তরের যূপকাষ্ঠে বলী হয় সর্বপ্রথম আমাদের চিরায়ত কর্তৃপক্ষ (সোশ্যাল অথরিটি : সমাজ, ধর্ম, সালিশ ব্যবস্থা, মুরব্বীদের প্রভাব)। ম্যাক্স ওয়েবারের ভাষায় বলতে গেলে ট্র্যাতডিশনাল অথরিটি ধীরে ধীরে তার প্রভাব ও গুরুত্ব হারাতে শুরু করে। তার জায়গা দখল করে নিতে শুরু করে আমাদের র্যা শনাল লিগ্যাল অথরিটি অর্থাৎ লিখিত আইন, আদালত, থানা পুলিশ ও প্রশাসন ব্যবস্থা।

সামাজিক ও জাতিগতভাবে এই অবস্থানের জন্য আমি কাউকে দোষারোপ করতে রাজী নই, কিন্তু ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের পরে ইংরেজদের এই মর্মে বোধোদয় হয় যে ভারতীয় উপমহাদেশের চিরায়ত সামাজিক, রাজনৈতিক মেরুদন্ড দুর্বল না করতে পারলে খুব বেশীদিন তাদের পক্ষে শাষণের নামে প্রবঞ্চণার এই রাজত্ব চালানো সম্ভবপর হবে না। তাই তাদের প্রথম উপায়ই ছিলো আমাদের ট্রাডিশনাল অথরিটিকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মোড়কে র্যা শনাল লিগ্যাল অথরিটির মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত করা। সন্দেহাতীত ভাবে এতে তারা সফল হয়েছে আর আমরা দ্বান্দিকতায় পরিপূর্ণ অসংখ্য জাতি রাস্ট্রে ভাগ হয়ে তাদের পরিকল্পনার চূড়ান্ত সাফল্য এনে দিয়েছি। কলোনিয়াল শাসকদের এই সাফল্যের দায় আমরা আজও বয়ে চলেছি নিজেদের আত্মনুসন্ধানে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আর যার প্রতিফলন ঘটছে প্রতিনিয়ত আমাদের আন্ত:সম্পর্ক ও অন্ত:সম্পর্কের ক্ষয়সাধনের মধ্যে।

হয়তো এ কারনেই বৃটিশরা চেয়েছিলো আমরা জাতিতে হয়তো বাংলাদেশী, ভারতীয় বা পাকিস্থানী হবো, কিন্তু চিন্তায়, মেধায় আর মননশীলতায় তাদের অনুগত থাকবো। বৃটিশরাজের এই কৌশলের কাছে পরাজিত হয়েই স্বাধীন ভারতীয় উপমহাদেশ ভেঙ্গে পাকিস্তান আর ভারতের জন্মগ্রহন আর তার সাথে হামাগুড়ি দিয়ে চলতে থাকা পারষ্পরিক অবিশ্বাস, সন্দেহ আর সামন্ততান্ত্রিকতার যুগ থেকে শিল্পায়নের যুগে প্রবেশ। যেই যুগে কৃষক রুপান্তরিত হয় শ্রমিকে আর যৌথ পরিবার ব্যবস্থা থেকে একক পরিবারে। অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা যৌথ পরিবার ব্যবস্থার একেবারে মূলে গিয়ে আঘাত হানে।
পরবর্তী পর্বে আমরা দেখবো কিভাবে এই আর্থ-সামাজিক রুপান্তর পারিবারিক ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলেছিলো।

বি.দ্র. এই বিষয়ে অনেক দিন ধরেই লিখবো লিখবো বলে লেখা হচ্ছে না প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত কাজের চাপের মুখে। ব্লগের প্রথম পোস্ট হিসেবেও হয়তো খুব মানানসই নয়, তবুও সকল সম্মানিত পাঠকের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কোন ভূল ধারনা/ তথ্য/ শব্দগত বিভ্রাটের জন্য।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সামাজিক রূপান্তর ঘটা ছিল মানব সমাজের বিবর্তনের অংশ; বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ইহা কিছুটা ভিন্নভাবে ঘটেছে, সেটা নির্ভর করেছে সেই সমাজের লোকদের সার্বিক জীবনযাত্রার মানের উপর।

এখন সমাজ দ্রুত বদলাচ্ছে; কারণ, শুধু সমাজ নয়, বিশ্বও সমাজকে বদলাচ্ছে: বাংগালীরা দ্রুত হিন্দী শিখছে, হঠাৎ নিজ পরিবার পালনের জন্য ঢাকা না গিয়ে রিয়াদ চলে যাচ্ছে; ১০ বছর পর ফিরে এসে আরবী নিয়ম কানুন প্রবর্তন করার চেস্টা করছে।
মানুষ এরপরও নিজেদের ট্রাডিসানকে রক্ষা করে চলার চেস্টা করছে।

২০০০ সালের পর বিশ্ব হঠাৎ করে ভয়ংকর ক্যাপিটেলিজমে প্রবেশ করে, যারা সরকার ও বিভিন্ন ক্ষমতার সাথে যুক্ত তারা অন্যদের সকল সুবিধা দখল করার চেষ্টা করছে ও সফল হয়েছে ও সফল হচ্ছে।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

আল ইফরান বলেছেন: চাদগাজী চাচা, আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সামাজিক পরিবর্তন অবশ্যাম্ভবী, তাকে এড়িয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই এটা সত্যি। কিন্তু আমাদের যেই পরিবর্তনটা ইতিহাসের হাত ধরে এসেছে সেটা কিন্তু অটোমেটিক চয়েজের মাধ্যমে আসে নাই, এসেছে বাইরের থেকে চাপিয়ে দেয়া ম্যানিপুলেটেড পলিসির কারনে যেইটা আবার আমরা অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছি। আর সেই যায়গাতেই দ্বন্দ সৃস্টি হয়েছে আধুনিকতা আর রক্ষণশীলতার মধ্যে যার ক্রসরোডে পরে নতুন প্রজন্মের অনেক সম্ভাবনা হারিয়ে যাচ্ছে।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

এম আর তালুকদার বলেছেন: কৃষকের যন্ত্রের দাসত্ব যেইদিন থেকে শুরু ঠিক সেইদিন থেকেই আমাদের এই সামাজিক ভাংগনের সূত্রপাত আর তার সাথে পল্লী অঞ্চলের ক্রমাগত পিছিয়ে যাওয়ার ইতিহাস আর ক্রমববর্ধনশীল বৈষম্য।

সামাজিক রুপান্তরের যূপকাষ্ঠে বলী হয় সর্বপ্রথম আমাদের চিরায়ত কর্তৃপক্ষ (সোশ্যাল অথরিটি : সমাজ, ধর্ম, সালিশ ব্যবস্থা, মুরব্বীদের প্রভাব)

যথার্ত বিষয় তুলে ধরেছেন। ভাল লাগলো।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

আল ইফরান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য, তালুকদার ভাই।
আমাদের চারপাশে চলমান ঘটনাপ্রবাহের অন্তস্থলে যাওয়ার আগে আমার কাছে মনে হয়েছে তার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড জানার প্রয়োজন যা সমস্যাকে বুঝতে সহায়তা করবে।
পুজিবাদ এখানে একটা গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করেছে বটে কিন্তু তার চেয়েও বেশী দায় আমাদের না জানার আগ্রহ।
আজকের সমাজ এমনি এমনি এই খাদের কিনারায় এসে দাঁড়ায় নি, তার শক্তিশালী অথচ অমানবিক একটা ইতিহাস আছে।

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: এরূপ লেখা সাধারণত প্রত্যাশা করি, যাইহোক লেখাটি পড়লাম, আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে এধরণের একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্য ---
৥এম আর তালুকদার এর সাথে আমি একমত ------
হুমম যৌথ পরিবার ভেঙ্গে খান খান -----সুখ চলে গেছে দূরেরর কোন দেশে ----- সংস্কৃতি বলে যাকে চালানো হচ্ছে তা আসলে যান্ত্রিক দানব ----- যুব সমাজ তাকেই গিলছে আর আচরণে প্রকাশ করছে ---- কষ্ট লাগে ভাবতে --
চলুক লেখা --------
প্রিয়তে নিলাম লেখাটা

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩

আল ইফরান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তুব্যের জন্য, আপা।
আমাদের সোস্যাল ফ্রেমওয়ার্কের একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিস্ট্য ছিলো এই যৌথ পরিবার ব্যবস্থা যার ছিটেফোটা শৈশবে আমরা পেয়েছি। আর এই ব্যবস্থার ভাংগনের ফলাফল কিন্তু প্রকাশ পাচ্ছে আমাদের সমাজের সর্বস্তরে ক্রমবর্ধনশীল অসহিঞ্ছুতার প্রসারের মাধ্যমে। একক পরিবার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখন অনেকটাই ব্যর্থ এই আগ্রাসী পুজিবাদী ব্যবস্থার মুখে।
আপনাদের অনুপ্রেরণাতেই লেখা শুরু, সাথেই থাকবেন নিশ্চয়।

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

মো: নিজাম গাজী বলেছেন: সমাজ সর্বদাই পরিবর্তনশীল। অাজ আমাদের মধ্যে পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় ঢুকে পরেছে অপসংস্কৃতি। আর এর লালন পালন আমরা তরুন প্রজন্মই করে থাকি। আমাদের এটি থেকে বের হয়ে আসা উচিত। আপনার লেখাটি সময়োপযোগী এবং চমৎকার হয়েছে। শুভেচ্ছা প্রিয় ব্লগার।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৬

আল ইফরান বলেছেন: আপনার সুবিবেচনাপ্রসুত মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, নিজাম ভাই।
পরিবর্তনকে কোনোভাবেই রুখে দেয়া যাবে না এটা ঠিক, কিন্তু তার সাথে সাথে আবার গা ভাসিয়ে দেয়াটাও খুব বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। পরিবর্তনের মানদন্ড আমাদের নিজেদেরকেই ঠিক করে নিতে হবে।

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



অভিনন্দন, আপনার ১ম পোষ্ট একটি গরুত্বপুর্ণ বিষয়ের উপর লেখা।

পাঠকদের মন্তব্যের উত্তর দেয়ার জন্য আপনি মন্তব্যের উপরে, ডানদিকের "গ্রীন এরোতে ক্লিক করবেন, নতুন টেক্সট এরিয়া আসবে, সেখানে লিখুন, ও আপনার লেখার নীচে ডান পাশে মন্তব্য প্রকাশের বাটনে ক্লিক করুন"।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২২

আল ইফরান বলেছেন: আপনাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা থেকেই এই লেখার ক্ষুদ্র চেস্টা।
প্রথম প্রতিউত্তরগুলো মোবাইল ডিভাইস থেকে করেছিলাম, বুঝতে পারি নি এমন হবে।
আই এম স্যরি, ঠিক করে দিয়েছি।

দ্রস্টব্যঃ আমার বাবা '৭১ এ দুই নম্বর সেক্টরে (নারায়নগঞ্জ) যুদ্ধ করেছিলেন আর ৭১'এর পরে জীবনের সাথে যুদ্ধ করেছেন যেইটা এখনো চলছে। ব্লগে আপনাকে দেখে হয়তো এই কারণেই কেবল অন্যরকম একটা শ্রদ্ধা কাজ করে। আল্লাহ আপনার নেক হায়াত প্রদান করুন।

৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

আখেনাটেন বলেছেন: সোজা কথা পুঁজিবাদের তোপে মানুষের অাকাঙ্খা গেছে বেড়ে। বৈষম্য সমাজের সকল স্তরেই বিদ্যমান। তবে এই অসাম্য সময়ের সাথে সাথে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে।

আইনের শাসনের মাধ্যমে এর কিছুটা হয়তবা রোধ সম্ভব। তবে বিশ্বায়নের যুগে কোন কিছুই স্থিতিশীল নয়।

ভালো লেগেছে আপানার পোস্ট।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩০

আল ইফরান বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য, আখেনাটেন।
পুজিবাদ কেবল একটা অর্থ-ব্যবস্থার মধ্যে এখন আর সীমাবদ্ধ নেই, এটাকে একটা সার্বিক জীবন-ব্যবস্থাও বলা চলে। এই সিস্টেমটা অবভিয়াসলি ত্রুটিপুর্ণ কিন্তু সমস্যা কিন্তু আমাদের বোধগম্যতার সীমাবদ্ধতায় ও তার নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের মধ্যে। আর সমাজ তার জন্মলগ্ন থেকেই বৈষম্যকে লালন করে এসেছে, কোথাও প্রত্যক্ষ আবার কোথাও পরোক্ষ ভাবে। চেক এন্ড ব্যালান্স করাটা অত্যন্ত জরুরী সেইটা হোক আইন অথবা নৈতিকতার মানদন্ডে ফেলে।
ভালো লাগার জন্যও আবারো আপনাকে ধন্যবাদ।
জানি খুব কচি হাতের লেখা, তবুও আপনাদের মত অভিজ্ঞ ব্লগারদের অনুপ্রেরণাতেই এগিয়ে চলা।
ভালো থাকবেন নিশ্চয়ই।

৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই ধরনের লেখা ব্লগে খুব কম আসে।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

আল ইফরান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
লেখার চেস্টা করছি, আপনাদের অনুপ্রেরণায় এগিয়ে চলা।

৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬

চানাচুর বলেছেন: ভাল হয়েছে পোস্ট :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫২

আল ইফরান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
লেখালেখির চেস্টা করছি কেবল।

৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের সরকারগুলোর উপর বাহিরের ইনফ্লুয়েন্স ছিলো, কারণ, যারা সরকার চালায়েছেন, তারা নিজ পায়ে দাঁড়ানোর মতো শক্ত ছিলেন না

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আল ইফরান বলেছেন: বাহির থেকে আসা মানুষদের মধ্যে কারা আমাদের বন্ধু আর কারা শত্রু সেইটা বুঝতে আমরা ভুল করেছিলাম এবং এখনো করে যাচ্ছি। আসলে আমরা নিজেদের পরিচয় অনুসন্ধান না করলে কখনোই বুঝতে পারবো না কোনটি আমাদের জন্য ভালো আর কোনটি মন্দ। অন্যথায় সারাজীবন এভাবেই ফরেন ডোনার এর স্পেশালিস্টদের রিপোর্টের আশায় বসে থাকতে হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

শামচুল হক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আল ইফরান বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য।

১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগের প্রথম পোস্ট হিসেবেও হয়তো খুব মানানসই নয় - কথাটা মোটেই ঠিক নয়। বরং ব্লগের প্রথম পোস্টেই এরকম একটি মৌ্লিক চিন্তার অবতারণা করে আপনি সঠিক কাজটিই করেছেন।
সামাজিক পরিবর্তনের স্বরুপ সন্ধানে আপনার চিন্তাগুলো পাঠককে ভাবাবে নিঃসন্দেহে, তবে ভাবনাগুলো আরেকটু গোছানো এবং সংগঠিত হলে ভাল হতো।
ব্লগযাত্রা শুভ হোক! শুভকামনা রইলো...

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৯

আল ইফরান বলেছেন: আপনার মত সিনিয়র ব্লগারের সুচিন্তিত অভিমত পেয়ে আরো অনুপ্রাণিত অনুভব করছি।
সামুতে পড়ছি অনেকদিন যাবতই, কিন্তু লেখার সাহস করে উঠতে পারি নি।
আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আরো সুসংগঠিত ভাবে চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারবো লেখনির মাধ্যমে।
আন্তরিকভাবে দুঃখিত মন্তব্যের জবাব দিতে দেরী হওয়াতে, আল্লাহ আপনাকে ভালো ও সুস্থ রাখুন।

১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৯

রাকু হাসান বলেছেন: আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছিলো আমার নতুন ব্লগিং করছেন । তারপর দেখে অবাক বছর আপনি এই ব্লগে :|| । অনেক সিনিয়র আপনি । আপনার লেখাটি অসম্ভব রকমের ভালো লেগেছে । মৌলিক টপিক নিয়ে সুন্দর উপস্থাপনার একটি লেখা । বিক্ষিপ্ত ব্রইনটা এখন আর কিছু বললাম না । পরের পর্ব পড়ে মতামত রাখার চেষ্টা থাকবে ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

আল ইফরান বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্য ও মুল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বাংলা ব্লগের সাথে পরিচয় খুবই ক্রান্তিকালীন একটা সময়ে যখন ফিউশন ফাইভ, ত্রিভুজ, আসিফ, সবাক পাখি আর এ-টিম এর দাপট আর আস্তিক-নাস্তিক এটাক-কাউন্টার এটাকে ব্লগ গরম হয়ে আছে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে নকিয়া ৬৬৩০ পেয়েছি হাতে আর সেটা দিয়েই ব্লগ পড়া শুরু। এখনো পড়েই যাচ্ছি শেখার উদ্দেশ্যে, আর বাংলা লেখায় অভ্যস্ত না হওয়াতে লিখতে চাই একটা; আর হয়ে যায় আরেকটা। তাই চেস্টা করি যতবেশী পড়া যায়।
পরের পর্বে আপনার মন্তব্যের আশায় রইলাম, ভালো থাকবেন নিরন্তর :)

১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
লেখার চেস্টা করছি, আপনাদের অনুপ্রেরণায় এগিয়ে চলা।


ভালো থাকুন।

২১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

আল ইফরান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.