নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা...

আল ইফরান

হৃদয়ে বাংলাদেশ

আল ইফরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংবিধান, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও প্রাসংগিক কিছু কথা: একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের জবানীতে

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

ফটো কার্টেসিঃ egiye-cholo.com

নবীন রাস্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধানের মত আর কোন দেশ এতবার তাদের সংবিধানের পরিবর্তন করেনি অথবা পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় নি। কেন সংবিধান এতবার পরিবর্তনের প্রয়োজন হল সেটা অনুধাবন করতে হলে যতটুকু না আইনের দখল থাকা প্রয়োজন তারচাইতে রাজনৈতিক জ্ঞান প্রয়োগ করাটা বেশী জরুরী। অর্থব্যবস্থার মেরুকরনের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের এই সংবিধান ঐতিহাসিকভাবেই বেশী জোর দিয়েছে সিভিল ও পলিটিক্যাল অধিকার বাস্তবায়নের বিষয়ে; সমাজন্তন্ত্রের প্রতি একধরনের প্যারানয়া থেকেই অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার আদায়ের প্রতি এক ধরনের ঐদাসিন্য দেখা দেয় সংবিধানের প্রায়োগিক পরিপ্রেক্ষিতে। আর এই লিগ্যাসিকে ধারন করে সাম্য ও ন্যায়বিচারের বাস্তবতা-বিবর্জিত এক ইউটোপিয়ান রাস্ট্রীয় দলিল হিসেবে আমাদের সংবিধানের পথচলা স্বাধীন বাংলাদেশে। যার সাথে পরবর্তীতে যুক্ত হয় দেড় যুগের বেশি সময়ের দুঃসহ একনায়কতান্ত্রিকতার পথ চলা।
ঠিক যেই মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিলো, তার একটা বাস্তব ও নিরেট প্রতিফলন এই সংবিধানের শুরুতেই দেখা যায়। শোষনবিহীন সমাজব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে যেখানে বিবৃত হয় এই মর্মে যে রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে। ভালো করে খেয়াল করলেই দেখা যাবে যে আমাদের ৭১'এর স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলচেতনা কিন্তু বৈষম্যবিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রতিই জোর দিয়েছে। যদিও পুজিবাদী সমাজব্যবস্থায় এই ধরনের সমাজ ইউটোপিয়ান চিন্তাভাবনার প্রতিফলন হিসেবে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার মধ্যে থেকেও কিন্তু একধরনের সাম্য বা সাম্য ধারনার স্থিতিবস্থা ধরে রাখা সম্ভব ছিলো। ধনতান্ত্রিক অনেক রাস্ট্রই এই ধারনাকে সামনে রেখে তাদের রাস্ট্রীয় নীতি ও কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সেটা কেন সম্ভব হয় নি তা সামাজিক ও রাজনৈতিক গবেষণার বিষয়বস্তু, সেই বিতর্কে এই পোস্টের মাধ্যমে জড়াতে চাই না। এই সাম্যের ধারনার প্রতিফলন আমরা আবারো দেখতে পাই সংবিধানের ২৭ ও ২৯ অনুচ্ছেদে যেখানে রাস্ট্র তার জনগনের নিকট প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় এই মর্মে যে সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং প্রজাতন্ত্রের চাকুরীতে সমতা নিশ্চিত করা হবে
এই অনুচ্ছেদের ফলশ্রুতিতে যদিও সরকারি চাকুরিতে সমতার দাবী করা যায়, কিন্ত তার বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে আরেকটি অনুচ্ছেদ (২৯.৪) যেখানে বলা হয়েছে যে নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান-প্রণয়ন হইতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই রাষ্ট্রকে নিবৃত্ত করিবে না। এই অনুচ্ছেদের সমস্যা হচ্ছে এই যে অনগ্রসর অংশ বলতে ঠিক সমাজের কোন অংশকে বোঝানো হচ্ছে তা সুস্পস্ট করে কিছুই বলা হয় নি। এই অস্পস্টতার সুযোগ নিয়েই যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে এই নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্যের ইতিহাস। আর মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রজন্মদের যদি অনগ্রসর অংশ হিসেবে ধরেই নেয়া হয় তাহলে তার ঐতিহাসিক দায় কার উপর বর্তাবে সেই প্রশ্ন এক অমিমাংসীত ও তিক্ত বাস্তবতার মুখোমুখি আমাদের দাড় করিয়ে দেয়। আর রাস্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে ওঠা এই বৈষম্যকে মুক্তিযোদ্ধারা কি আদৌ সমর্থন করেছেন কি না তা জনসমীক্ষা ছাড়াই মেনে নেয়া বড্ড কঠিন। জনসমীক্ষার বাইরে গিয়ে আমরা যদি সাধারন নৈতিকতার মানদন্ডে বিচার করি সেখানেও এই অসমতাকে খুব বেশি প্রাধান্য দেয়ার উপায় নেই।
অভ্যন্তরীন এই বিষয়গুলো ছাড়াও বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইনের অধীনেও বাধ্য রাস্ট্রীয় পর্যায়ে সমতা নিশ্চিতকরনে। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশনের রাস্ট্রীয় সদস্য হিসেবে অনুচ্ছেদ ২.২ এর অধীনে সকল ক্ষেত্রে সাম্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ নৈতিক ও আইনগতভাবে বাধ্য। সমস্যা ঠিক এখানেই যে রাস্ট্র যেখানে সাংবিধানিকভাবে বৈষম্যকে লালন-পালন করে তাকে এক মহীরুহের আকার দিয়েছে সেখানে আন্তর্জাতিক আইন ঠিক কতটুকু অসহায় হতে পারে তা আমাদের সকলেরই বোধগম্য।
এই কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েও আমাদের সরকারগুলো অনেকটাই উটপাখীর বালুতে মুখ গুজে থাকার মত আচরন করে চলছে। এই ৩০% কোটার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধাদের পরবর্তী প্রজন্ম যে সম্মানের জায়গাটি হারাচ্ছে তা নীতি-নির্ধারকরা একবারও ভেবে দেখার প্রয়োজন মনে করছেন না। ব্যক্তিগতভাবে, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি কখনোই রাস্ট্রের কাছে এই করুণা ভিক্ষা করতে চাই নি ও চাইবো না। যে স্বাধীন রাস্ট্রে আমার পিতা বা তার সহযোদ্ধাদের জীবন এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো অদৃশ্য কারো ইশারায়, সেই রাস্ট্রই যখন কোটার নাম করে তাদের ধারন করা আদর্শ-চেতনাকে ভূলুন্ঠিত করে প্রতিনিয়ত সেই রাস্ট্রের ভিক্ষের চালের নামান্তরে কোটাকে আমি অস্বীকার করি। যে রাস্ট্রে রাজাকারদের গাড়িতে স্বাধীন দেশের পতাকা উড়তে পারে আর রাজাকারের সন্তানদের শয্যাসঙ্গিনী হয় চেতনার দন্ডধারকদের সন্তানরা, সেই রাস্ট্রের দেয়া কোটাকে আমি অস্বীকার করি। যে রাস্ট্রে কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে দালিলিকভাবে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার জন্ম হয়, সেই রাস্ট্রে শুধু আমি নই, আমার পরবর্তী প্রজন্মও লজ্জা পাবে নিজেকে পুর্বসুরীকে খাটি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উপস্থাপনের ইঁদুর দৌড়ে। খুব ব্যক্তিগতভাবে যদি বলি, যেই খাতা-কলম ছেড়ে আমার পিতা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন, স্বাধীন রাস্ট্রের দায়িত্ব ছিল তাকে সমাজে পুনর্বাসিত করে আবার হাতে কলম তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা। কলম-পেষা কেরানি হওয়ার জন্য নয়, স্বাধীন দেশে মাথা উচু করে বাচিয়ে রাখার দায়িত্বে ব্যর্থ হয়ে যারা কোটার মত আত্ববিদ্ধংসী ব্যবস্থা চালু করেছেন তাদের জন্য শুধুই করুণা হয়। আমি আমার পিতার অর্জিত একটুকরো কাগজকে অবলম্বন করে কখনো বাচতে চাই নি কখনোই, চেয়েছি তার আত্বত্যাগের আদর্শকে ধারন করে সম্মান-মর্যাদার সাথে আর অন্য সবার সাথে সুষম প্রতিযোগীতার মাধ্যমে আমি যা চেয়েছি তা অর্জন করতে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও কোটার নামে করুনা ভিক্ষা চাই নি, চেয়েছি স্বাধীন দেশে মাথা উঁচু করে দাড়াতে, নিজের পায়ে নিজে দাড়াতে। সমতা যদি না হয়, তবুও সাম্য যেন কায়েম হয়। যে চেতনাকে লালন করে আমার পিতা ও তার সহযোদ্ধারা মুক্তির সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন ১৯৭১ সালে, সেই আত্বত্যাগ ও মহান আদর্শের অবমূল্যায়ন করার অধিকার এই রাস্ট্রের নাই। যেই রাস্ট্রের স্বপ্ন তারা দেখেছিলেন সেটা আমরা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছি। এই ব্যর্থতার দায়কে যত দ্রুত আমরা মেনে নিতে পারবো, ঠিক তত দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে আলোকিত বাংলাদেশের পথে।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ড: কামাল হলেন কর্পোরেট আইনবিদ ও গলাকাটা ক্যাপিটেলিজমের বাবা; উনি শেখ সাহেবকে কাগজ একখানা ধরায়ে দিয়েছেন; উহা দেশ চালনার ম্যানুয়েল, যা সরকার, সংসদ সদস্য, প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের জন্য দেশের মালিকানা ও সম্পদ দখলের সুযোগ করে দিয়েছে; ওখানে মানুষের অধিকার ও দায়িত্বকে প্রতিষ্টিত করার জন্য বলা হয়নি।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

আল ইফরান বলেছেন: আপনার কথার সাথে পুরোপুরি সহমত জ্ঞাপন করছি।
কয়েক মাস আগে তার সাথে এক সেমিনারে দেখা, ভেবেছিলাম এই বিষয়ে কিছু বলবেন।
দূর্ভাগ্যবশত তার কথার মূল উপজীব্য বিষয়ই ছিলো উনি কিভাবে কোথায় বহিঃদেশীয় বিষয়ে সালিশি বৈঠক করেছেন (যেখানে বাংলাদেশের কোনধরনের স্বার্থই নেই)। আমি কিছুটা আশাহত হয়েছি উনার বক্তব্য শুনে।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমি চাঁদগাজী ভাইয়ের সাথে সহমত পোষণ করছি। এরচেয়ে সুন্দর করে বলার কিছু নেই।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

আল ইফরান বলেছেন: সহমত পোষণ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, কাওসার ভাই :)

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজনীতিতেও কোটা ব্যবস্থা চালু করা হোক। শতকরা ৩০% মন্ত্রী/এমপি মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ে, নাতিপুতি দিয়ে পূরণ করা হোক। এভাবে ৩০% সচিব, ৩০% বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক/ভিসি আর ৩০% রাষ্ট্রদূত করা হোক। এটা এখন সময়ের দাবী। আর আগামী ৩০ বছরে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি বাধ্যতামূলক ভাবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা থেকে বানানো হোক। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

আল ইফরান বলেছেন: এ কথা বললেই দেখবেন কিভাবে তাদের আঁতে ঘা লেগে যায়। এই ব্যবস্থা নিয়ে আসলে তারেক-জয়-ববিদের রাজনীতিতে আসার পথ অনেকটাই সীমিত হয়ে যাবে।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: আল ইফরান,




প্রথমেই একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে এমন চমৎকার ও বলিষ্ঠ উচ্চারণের জন্যে সাধুবাদ জানাই ।

আপনার মতো আমিও জানি, কোনও সাধারন মুক্তিযোদ্ধাই দেশের কাছে কিছু প্রাপ্তির আশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে যোগ দেয়নি । আজও দেয় না । দেবেনা কোনওদিন ।
এমন কথা আমি লিখেছি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে করা আমার সাম্পতিক পোস্টে এবং অনেক পোস্টের মন্তব্যে ।

এই চেতনাকে ধারন করে যে সাহসী প্রত্যয় নিয়ে বলেছেন - “ যে স্বাধীন রাস্ট্রে আমার পিতা বা তার সহযোদ্ধাদের জীবন এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো অদৃশ্য কারো ইশারায়, সেই রাস্ট্রই যখন কোটার নাম করে তাদের ধারন করা আদর্শ-চেতনাকে ভূলুন্ঠিত করে প্রতিনিয়ত সেই রাস্ট্রের ভিক্ষের চালের নামান্তরে কোটাকে আমি অস্বীকার করি ।” তা অনবদ্য । আমার বিশ্বাস সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানরা আপনার মতোই এমন গর্ব ও অহংকার নিয়ে বেঁচে আছেন, বেঁচেও থাকবেন ।

আরও লিখেছেন, “ বাংলাদেশের সংবিধানের মত আর কোন দেশ এতবার তাদের সংবিধানের পরিবর্তন করেনি অথবা পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় নি। কেন সংবিধান এতবার পরিবর্তনের প্রয়োজন হল সেটা অনুধাবন করতে হলে যতটুকু না আইনের দখল থাকা প্রয়োজন তারচাইতে রাজনৈতিক জ্ঞান প্রয়োগ করাটা বেশী জরুরী ।”

আমার তো মনে হয় কোনও জ্ঞানেরই প্রয়োজন নেই কারন এদেশের মানুষ জানে কেন ঘনঘন সংবিধান পরিবর্তন করা হয়েছে । যে দল যখনই পেরেছে তখনই তাদের ক্ষমতাকে মৌরসী পাট্টার মতো চিরস্থায়ী করতে বারবার সংবিধান পরিবর্তন করেছে । দলের পদলেহীদের, সংসদ সদস্যদের, প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের রুটি হালুয়ার ভাগ দিয়ে নতজানু দাসে পরিনত করার জন্যেই যে এই সব পরিবর্তন করা হয়েছে তা অক্ষর না জানা লোকটিও জানে । চাঁদগাজী ও তেমনটাই বলেছেন । এইভাবে নিজেদের আজন্ম শাসন ক্ষমতায় রাখতে একদল আরেক দলকে নিষ্পেষিত করার মানসে এমনকি আপামর জনগনের অধিকার হরণ ও কন্ঠরোধ করতেও বারেবারে সংবিধান পাল্টিয়েছে ।

আপনার মতো আমিও বলি , যে চেতনাকে লালন করে বাংলার ৯৮% মানুষ মুক্তির সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন ১৯৭১ সালে, সেই আত্বত্যাগ ও মহান আদর্শের অবমূল্যায়ন করার অধিকার এই রাষ্ট্রের নেই।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

আল ইফরান বলেছেন: ধৈর্য্য সহকারে পড়ে এত বড় ও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, আহমেদ ভাই।
আমার মনে হয়েছে এই পরিস্থিতিতে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহনকারী একজন যোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমাদের অবস্থান ইতিবাচকভাবে পরিষ্কার করার সময় চলে এসেছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে এখনো পর্যন্ত এই সুবিধা ব্যবহার করতে হয় নি্‌, আশা করি সামনের দিনগুলোতেও ব্যবহার না করতে হয়।

'কোনও সাধারন মুক্তিযোদ্ধাই দেশের কাছে কিছু প্রাপ্তির আশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে যোগ দেয়নি । আজও দেয় না । দেবেনা কোনওদিন' - আপনার এই অবস্থানের সাথে আমি নিজেও কঠিনভাবে সহমত পোষণ করছি।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: হিসাব করলে দেখা যায় দেশের মাত্র.......... ০.১১% ভাগ (শুণ্য দশমিক এগার) !!! ......... (মোট জনসংখ্যার ১% এর নয়ভাগের এক ভাগ...........!!!! সত্যি বিষ্ময়কর) মানুষের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০% কোটা সংরক্ষিত!!!!!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

আল ইফরান বলেছেন: এই নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্যের বিলুপ্তি এখন সময়ের দাবী।
অনেক হয়েছে, আর না- এভাবে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মের সম্মান ও মর্যাদার লংঘন করার অধিকার হাসিনা-খালেদাকে কেউ দেয় নাই।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান পর্যন্ত মানা যায়, কিন্তু তাদের নাতি-পুতি কিংবা অন্য কোটাগুলো মানা যায় না...

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

আল ইফরান বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবেও আমি এই কোটা চাই না।
যদি ইনসেনটিভ দিতে এতই আগ্রহ থাকে রাস্ট্রের তাহলে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা হোক।
এই ভিক্ষের চালের জন্য আমাদের পুর্ববর্তী প্রজন্ম যুদ্ধ করেন নাই, যুদ্ধ করেছিলেন উপযুক্ত সম্মান ও মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকার জন্য যা রাস্ট্র দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

৭| ২০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২০

পবন সরকার বলেছেন: কোটা নিয়ে বড় কষ্টে আছি

২১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

আল ইফরান বলেছেন: যৌক্তিক কিছু কোটাকে (নারী, উপজাতি ইত্যাদি) রেখে এই ব্যবস্থা পরিবর্তন এখন সময়ের দাবী।
হাজারো বেকার ছেলেমেয়ের চাকুরির ব্যবস্থার করার সুব্যবস্থা না করে এই কোটাকে চালিয়ে যাওয়া ভয়াবহ অন্যায় জাতির প্রতি।

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২

সনেট কবি বলেছেন: ভাল বলেছেন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

আল ইফরান বলেছেন: ধন্যবাদ, সনেট কবি
আপনার মত সিনিয়র ব্লগারের মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো :)

৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার আত্মমর্যাদাবোধকে সম্মান জানাই। আপনি যেভাবে ভেবেছেন, সেভাবেই সবার ভাবা উচিত ছিল, নীতি নির্ধা রকদের তো বটেই।
স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই দেখে এসেছি, স্বাধীনতার সুফলকে পকেটস্থ করতে এবং কুক্ষিগত রাখতে এক শ্রেণীর রাজনৈ্তিক টাউট ও বাটপার কি ভীষণভাবে তৎপর হয়ে উঠেছিল। এ অসুস্থ প্রতিযগিতায় পরে একে একে নামকরা নেতারাও জড়িয়ে পড়েন। তাদেরকে বঙ্গবন্ধু স্বয়ং "চাটার দল" নামে আখ্যায়িত করেছিলেন। আর এখন তো নকল মুক্তিযোদ্ধায় ভরে গেছে দেশ, প্রকৃতরা ধুঁকে ধুঁকে হয়েছে নিঃশেষ!। ১৯৭১ সালে যারা মায়ের সাথে এক বিছানায় শুয়ে বিছানা ভেজাতো, এখন তারাই একেকজন বড় বড় বীর মুক্তিযোদ্ধা!
আহমেদ জী এস এর মন্তব্যটা ভাল লেগেছে।
পোস্টে প্লাস + +

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

আল ইফরান বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।
আমার নিজের কাছে সবসময়ই মনে হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ একটা সামগ্রিক প্রক্রিয়া ছিলো- যার সুবিধা আপামর জনসাধারনের পাওয়ার কথা। যে শোষণ-বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি পেতে এই সংগ্রাম, সেই শোষণের অনতিক্রম্য দূর্বিষহ চক্রে আমরা নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছি। আমি মুক্তিযোদ্ধার ঘরে জন্ম না নিয়ে একজন সাধারন শ্রমিকের ঘরেও জন্ম নিতে পারতাম। যেহেতু জন্মটা আমাদের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় না, সেহেতু এই জন্মসূত্রে পাওয়া যে কোন অতিরিক্ত সুবিধা (যা প্রকারান্তে বৈষম্যের নামান্তর) আমাদের কারো কাছেই গ্রহনযোগ্য হওয়া উচিত নয়। শুধু এই সামান্য চিন্তা থেকেই এই লেখার অবতারণা।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। :)

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: লেখাটা প্রিয়তে রেখে দিলাম। সময় করে পাঠ পরবর্তী মন্তব্য জানাব।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

আল ইফরান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম :)

১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

মাহের ইসলাম বলেছেন: আমি মনে করি যারা পিছিয়ে আছে শুধু তাদেরকেই কোটা সুবিধা দেয়া যেতে পারে।
পুরস্কার হিসেবে কিংবা বিশেষ সম্মান বাঁ সুবিধা হিসেবে না দেয়াই ভালো।

শুভ কামনা রইল।
ভালো থাকবেন।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪৩

আল ইফরান বলেছেন: অনগ্রসর জনগোষ্ঠী খুবই লিকুইড ধরনের আইডিয়া যেটা নিয়মমাফিক পরিবর্তিত হয়। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধারা পিছিয়ে পড়াদের অংশে কেন রইলেন সেইটা নির্ধারন করাও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১২| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আরো আরো লিখুন, অনলাইনে দেখা যায় অথচ লিখছেন না!
লিখুন।

১২ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

আল ইফরান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি আসলে লিখতে পারি না, পড়তে এবং মন্তব্য করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
উৎসাহ প্রদানের জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকবেন নিশ্চয়ই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.