|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 মোঃ ইমরান কবির রুপম
মোঃ ইমরান কবির রুপম
	আমার নিজস্ব ব্লগ - ikrupam.blogspot.com
সর্বপ্রথম পহেলা বৈশাখ চালু করেন সম্রাট আকবর। তখন থেকেই পহেলা বৈশাখ বাংলার সকল সম্প্রদায়কে একই বন্ধনে আবদ্ধ করে। কিন্তু আইয়ুব খান ১৯৬৭ সালে পহেলা বৈশাখ পালনকে হিন্দু সংস্কৃতির প্রভাব বলে আখ্যা দেন। এর পিছনে কিছু কারন ছিল। আইয়ুব সরকার দেখতে থাকে এই উৎসব ক্রমে বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসবে পরিনত হচ্ছে, এর প্রভাবে বাঙ্গালীরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। আর যেহেতু সমগ্র পাকিস্তানে ইসলাম ধর্মের মানুষ বেশী ছিল তাই কৌশলে পহেলা বৈশাখ পালন কে হিন্দু সংস্কৃতি বলে, তা থেকে মুসলমানদের দূরে রাখরা চেষ্টা করেছেন। তিনি চিন্তা করেছিলেন এর ফলে হিন্দু-মুসলিম বিরোধ সৃষ্টি হবে আর সে ফায়দা লুটবে। মূলত আইয়ুব খানের এরুপ ঘোষণা ছিল বাঙ্গালী জাতির শত বছরের সাংস্কৃতির মূলে কুঠারঘাত।
এরও আগে ১৯৪৯ সালে বাংলা বর্ণমালা সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হয়। এর কারন হিসেবে দেখান হয় যে, বাংলা বর্ণমালার কতিপয় সংস্কৃত বর্ণ আছে যেগুলো হিন্দুরা ব্যবহার করে। তাই বাংলাকে সংস্কৃত মুক্ত তথা পবিত্র করার লক্ষ্যে এ ভাষার বর্ণমালার সংস্কারের প্রয়োজন। ভাষা সংস্কার কমিটি বাংলা বর্ণমালা থেকে ঈ,ঊ,ঐ,ঙ,ঞ,ম,ষ,ঢ়,ক্ষ,ৎ,ঃ বর্ণ বাদ দিয়ে অ্যা বর্ণ যুক্ত করার পরামর্শ দেয়। সচেতন বাঙ্গালীরা আইয়ুব সরকারের ফাদে পা দেয় নি। বাঙ্গালীরা এটা করতে দেয় নি। কিন্তু তা পরও যে আইয়ুর খান ষড়যন্ত্র থেকে পিছুহটেনি। ষড়যন্ত্র লেগেই ছিল। এই পদক্ষেপ ব্যর্থ হলে আইয়ুব খান ১৯৫৯ সালে রোমান হরফে বাংলা ও উর্দূ লেখার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং একটি কমিটি গঠন করেন। তা ব্যর্থ হয়, ১৯৬৮ সালে আবার রোমান হরফে বাংলা লেখার উদ্যোগ গৃহীত হয়। আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালনের অপরাধে সরকার ১৯৬৬ সালে ইত্তেফাক সহ প্রগতিশীল বিভিন্ন প্রকাশনা নিষিদ্ধ ষোষণা করে। ১৯৬৯ সালের শেষের দিকে বাংলা ভাষার বিভিন্ন পুস্তুক বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং এগুলোর প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। বাংলায় অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ে তোলার পিছনে রবীন্দ্রনাথের উৎসাহ অনুপ্রেরণা হিসবে কাজ করে বিধায় পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগণ প্রথমে ১৯৬২ সালে পরবর্তিতে ১৯৬৭ সালে আবার রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তার পরও বাঙ্গালীদের দমিয়ে রাখা যার নি। বাঙ্গালীরা নিজস্ব গতিতে এগিয়ে গেছে কি হিন্দু কি মুসলমান, সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে একসাথে সামনে এগিয়ে গেছে।
>
>
>
উপরক্ত কথা গুলো এজন্যই বলা হল যে, এই দেখুন আর কয়েক দিন পর বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব "পহেলা বৈশাখ"। আর এর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধবাদিরা এখনো সোচ্চার।,এখনো তারা বলে চলছে এটা হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি, বিজাতীয় সংস্কৃতি, ইসলামে এটাকে না জায়েজ বলা হয়েছে, ইত্যাদি বলে বাংলার মানুষকে আবার ও সাম্প্রদায়ীক মনেভাব গড়েতুলার পায়তারা করছে।
এ সব কিসের লক্ষণ? এদের সাথে আইয়ুব সরকারের কি কোন মিল খুজে পান? মূল কথা হচ্ছে এরা এখনো বাংলাকে মেনেনিতে পারে না, এরা অন্তরে এখনে পাকিস্তান ধারন করেন। এদেশকে এরা এখন বাংলাস্তান বানাতে চায়।
আশা করি আমারদের বাঙ্গালীরা আগের চেয়ে অসচেতন নয় বরং আগের চেয়ে অনেক অনেক গুন বেশী সচেতন। তারা কখনই আমাদের শত বছরের সংস্কৃতি ধ্বংস হতেদিবে না। এটা কিভাবে সম্ভব হতে পারে, ১৯৬৭ সালে আইয়ুব সরকার যা করতে পারেনি আজ ২০১৬ তে এসে কি ভাবে পারবে?
 ৬ টি
    	৬ টি    	 +১/-০
    	+১/-০২|  ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬  রাত ১০:১৯
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬  রাত ১০:১৯
সমুদ্রতীর বলেছেন: উৎসব পালনে কোন বাধা নেই।কিন্তু সেই সাথে এটাও মনে রাখতে হবে যে তাতে যেন কোন ধর্মেরই প্রভাব না থাকে। মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে যে কথা উঠেছে ইদানিং তার কারন হচ্ছে , এটাতে বিশেষ ধর্মের প্রভাব আছে। 
ধর্ম ,বর্ন নির্বিশেষে নববর্ষ হোক বাঙ্গালীর প্রানের উৎসব এটাই সবার কামনা।
৩|  ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬  রাত ১০:৪২
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬  রাত ১০:৪২
খালি বালতিফারখালি বালতি বলেছেন: মির্জা বাড়ির বউড়া নামে এক বেশরম মাল্টির কারণে বেলের শরবত, শরণার্থী, আখের রস তিনটা নিক ব্যান হয়েছে আমার। তবুও আমি অগ্নিসারথির হয়ে চিকা মারা থামাব না। এখনকার অবস্হা দেখেন
জার্মান প্রবাসেঃ ১৬৪৬
অগ্নি সারথির ব্লগঃ ৩০৭
ইস্টিশন ব্লগঃ ১৯৫
প্রবীর বিধানের ব্লগঃ ৬১
ইতুর ব্লগঃ ৩২
আপনাদের বুঝা উচিত আপনাদের কম ভোট দেয়ার কারণে অন্যরা সুযোগ নিচ্ছে। জার্মান প্রবাসে ওয়েব সাইটটি টাকা দিয়ে ইন্টারনেটে ভোট কিনছে, ওদের প্রতিযোগিতা থেকে বহিঃস্কার করা উচিত। জার্মান প্রবাসে ব্লগ জার্মানীতে একটা চাকচিক্যময় জীবনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে চলা ব্যবসায়ি এজেন্সি ছাড়া কিছু না। সেখানে অগ্নি সারথি এই ব্লগের শতাব্দির সেরা ব্লগার। সেখানে আমার ভরষা শুধু নিজেদের ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট টি যেখানে বন্ধু মাত্র ১০২৪ জন। আর কিছু সহব্লগার।
মাননীয় জুরি বোর্ডের প্রতি আমার আকুল আবেদন, শুধু আমাকে আর ইতুর ব্লগকে বিবেচনা করতে, বাকিরা সব কয়টা ভন্ড। একজন ব্লগার শুধু ব্যাক্তি তথা ইউজার একজন আর একটি ব্লগ হল কয়েক হাজার ব্লগারের সমন্বিত রুপ। আর বিষয়টা যেহেতু যোগ্যতার চেয়ে যোগাযোগের এর সেহেতু আমাকে জয়যুক্ত করা হোউক। একজন ব্লগার কখনোই পুরো একটা ব্লগের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে টিকে থাকতে পারেনা। আশা করি আপনারাও বিষয়টা নিয়ে ভাববেন এবং আমাকে ব্লগে রেসিডেন হিসাবে নিয়োগ দেবেন।
নববর্ষের উৎসবে যাওয়ার আগে পরে আমাকে দুইটা করে ভোট দিয়ে যান, আমি জিতলে সামু জিতবে।
৪|  ০২ রা মে, ২০১৬  বিকাল ৪:১৭
০২ রা মে, ২০১৬  বিকাল ৪:১৭
মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: ভোট আগেই দিয়েছি
৫|  ০৩ রা মে, ২০১৬  সকাল ৯:৪৬
০৩ রা মে, ২০১৬  সকাল ৯:৪৬
জহিরুল ইসলাম (রেহান) বলেছেন: ভাল লেগেছে
৬|  ০৩ রা মে, ২০১৬  সকাল ১১:০৮
০৩ রা মে, ২০১৬  সকাল ১১:০৮
মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: ধন্যবাদ, রেহান ভাই
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬  রাত ১০:১১
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬  রাত ১০:১১
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ