নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইল্লু

ইল্লু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিলিতিসের গান Songs of Bilitis(ধারাবাহিক)

০৭ ই মার্চ, ২০২২ রাত ২:১৬

প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৯৪ সালে,গ্রীসের নামকরা কবি,সাপ্পোর সমসাময়িক,বিলিতিস নামের কোন এক কবির অনুবাদ হিসাবে,ফরাসী লেখক পিয়ের লুইসের অনুবাদ।বিরাট এক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে লেখাটা অনুরাগীদের মনে-খ্রীষ্টপূর্ব ৬০০ সালের এ ধরনের সর্ম্পূন লেখা খুঁজে পাওয়া ছিল অনেকটা অবিশ্বাস্য।আর প্রকাশ্য ভাবে সমকামিতা নিয়ে প্রকাশনা সেটা তো আরও অভাবনীয়।পরে অবশ্য জানা যায়-বিলিতিস বলে কোন কবির অস্তিত্বই ছিল না,ঐ সময়।ওটা আর কিছু না পিয়ের লুইসের তৈরী করা একটা অভাবনীয় ফেরেপবাজী।সাজানো হলেও, তবুওএক পুরুষের লেখা মেয়েদের নিয়ে বেশ সাহসী এক প্রকাশনা,লেখার মর্যাদাটা আজও কমে যায়নি।



(১২) সরাইখানা

সরাইখানার মালিক-আমরা চারজন,রাত কাটানোর একটা ঘর দরকার আমাদের,দুটো বিছানা হলেই হবে।রাত হয়ে গেছে অনেক,এখন আর শহরে ফিরে যাওয়া সম্ভব না,বৃষ্টি বাদলায় রাস্তাটাও ধ্বসে গেছে অনেক জায়গায়।

কালো মদের একটা বোতল আর ঝুড়িতে পনীর,কটা ডুমুর,হলেই চলবে রাতের খাবার।তার আগে একজন কাউকে বলে দাও খুলে দিতে স্যান্ডেলটা,কাদাতে ভঁরে আছে একেবারে,একটু ধুয়েও দেয় যেন,বড্ড কষ্ট হচ্ছিল হাঁটতে।

হ্যা,শোন দুটো গামলায় জল,সাথে বাতি,জগ আর থালা ওটাও ভোলে না যেন।বিছানা, বালিশগুলো একটু ঝেড়ে দিলে ভাল হয়।

বিছানাগুলো বেশী শক্ত না তো আবার,শব্দ না করে যেন।আর হ্যা,সকালে আমাদের তাড়াহুড়া করে জাগানোর দরকার নাই কোন।



গৃহস্থালী

চারটা ক্রীতদাস দেখাশোনা করে,আমার বাড়ীঃদরজায় পাহারায় থাকে থারেস থেকে আসা বিশাল দুজন দারোয়ান,রান্নাবান্না করে সিসিলিয়ান বাবুর্চি,বিছানায় আমার সাথে ঘুমায় ফিরিগিয়ান বোবা ক্রীতদাস।

থারেসের দারোয়ান দুজনই বেশ সুপুরুষ।তাদের হাতের লাঠিটা,আমার গরীব প্রেমিকদের দূর করার জন্যে,হাতের হাতুড়িটা উপহার দেয়া অর্ন্তবাসগুলো দেয়ালে ঝোলানোর জন্যে।

সিসিলিয়ান বাবুর্চির রান্নার প্রতিভা সত্যিই অতুলনীয়,ওকে কিনতে বারটা রুপার টাকা খরচ করতে হলো,আমাকে।ওরকম চমৎকার কেক আর ক্রোকেট মনে হয় না,বানাতে পারে আর কেউ।

ফিরিগিয়ান মেয়েটা আমাকে স্নান করায়,গা মুছে দেয়,চুল তুলে দেয় ত্রিভুজ এলাকার।আমার সাথেই ঘুমায় বিছানায়,আর মাসে তিনদিন আমার জায়গায় শরীর খেলায় মত্ত হয় আমার প্রেমিকদের সাথে।




স্নানপর্ব

দরজার দিকে খেয়াল রাখবে,কাউকে ঢুকতে দিও না,আমি আর ছজন কিশোরীর সাথে স্নান করতে যাচ্ছি,গরম একটা পুকুরে।

হাসি ঠাট্টা করবো আমরা,সাঁতার কাটবো একটু,থাক না প্রেমিকেরা কিছুটা সময় একপাশে।ভেজা পায়ে,পাথরের সিড়িতে ছক্কা খেলবো কিছুক্ষন।হয়তো খেলা করবো বল নিয়েও কিছুক্ষন,কোন প্রেমিক আসতে পারবে না,তখন।
ভেজা চুল,রোমাঞ্চে শিউরে ওঠবে গলা,আঙ্গুলগুলোও কুচকে থাকবে কিছুটা সময় জলে ভিজে।

কেউ যদি দেখে আমাদের নগ্ন শরীরটা,দুঃখ করবে নিঃসন্দেহে না পাওয়ার হতাশায়।বিলিতিস কি আর দেবী এথেনা,তবুও সে দেখা দেয় হিসেব করে,
আগ্রহী চোখগুলো অবাক হয়ে দেখে তার চোখ জড়ানো রুপ।


কথাগুলো তার স্তনকে নিয়ে

আমার স্তন-ভঁরা কামনায় আর রুপে,সাজানো দুটো মাংসের ফুল যেন!
ছোঁয়ায় আছে,তুলতুলে নরম ফুলের পাপড়ির সুর-মাঝে ছড়ানো উষ্ণতা আর যৌবনের অদ্ভুত এক উচ্ছাস।

এক সময় তোমরা ছিলে,পাথর কাঁটা মুর্তির মত স্থবির,অনুভুতি ছাড়া সাদা মার্বেল পাথরের চোখ জুড়ানো চেহারা।নরম তুলতুলে চেহারায় নিয়ে গেলে আমাকে আনন্দের নতুন এক দেশে,সবাই যে এখন ভালবাসে তোমাকে।

গর্বে উঁচু হয়ে আছে আমার মাথাটা,এই বাতামী শরীরের গর্ব তোমরা,ভালবাসি তোমাদের।খোলা থাকো,বাঁধা থাকো কাপড়ে,সৌন্দর্য তোমাদের মুগ্ধ করে শুধু আমাকে না,সবাইকে।

আশা করি,সুখী হবে তোমরা,ভেসে যাবে রাতে আনন্দের জোয়ারে।আমার আঙ্গুলগুলো যদি আদর করে তোমাকে,রাত ছাড়িয়ে সকাল পর্যন্ত প্রতিটা মুহুর্ত- জানবে তুমিঃবিলিতিস দিবে তার প্রাপ্য বিলিতিসকে।


মাইজডিযোরিস

মাইজডিযোরিস,ফাজিল মেয়ে কাঁদবে না আর।তুমি আমার বন্ধু।অন্য কেউ তোমাকে জ্বালাতন করলে,তার সাথে বোঝাপড়া হবে আমার।এখানে এসে বুকে মাথা রাখ,কান্নাকাঁটি করো না আর।

জানি তুমি বড় দুষ্টু একটা মেয়ে,ছোটবেলায়ই মার কাছে শেখা হয়ে গেছে তোমার ভালবাসার শরীর খেলার নিয়মগুলো।বয়সটা কম হলেই বা কি,সব কিছুই যে মানায় তোমাকে।

বছর পনের তোমার,পবিত্রতায় ভঁরা একটা মুখ,যা কিছুই করুক না সে।বয়সের
মেয়েরা কুমারী হোক না হোক,সকলের চোখে অপবিত্র,কলুষিত।বয়সে কুচকানো,
বদলানো চেহারা অয্থাই টেনে দেয় কলঙ্কার চরিত্রে।

মাইজডিযোরিস,তোমার খোলামেলা চাওয়ার ধরণ খুবই পছন্দ আমার। তোমার নামটাও বলে দেয় অকপট ভাব,হাসিভঁরা মুখ কথা্র ধরণ,ছন্দে ছন্দে ভেসে যাওয়া অবিশ্বাস্য হাল্কা শরীরটা,তোমার।চল,আজকে,তুমি সঙ্গিনী হবে আমার। যখন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাব আমরা,অবাক চোখে বলবে সবাই, ‘বাহ!সত্যিই দেখার মত মেয়েটা’।


বিলিতিসের জয়জয়কার

জয় জয়কারের চীৎকারে,কোলে নিয়ে যাচ্ছিল আমাকে শোভাযাত্রার লোকজন।
আমি বিলিতিস,নগ্ন শরীরটা শোয়ানো কচ্ছপের মত দেখতে একটা গাড়ীতে,
হাজার দশেক গোলাপের পাপড়ি ছড়াতে ছড়াতে যাচ্ছিল সাথে রাতের ক্রীতদাসরা।

হাতটা ভাঁজ করা মাথার পেছনে,পায়ে সোনার নুপুর,চুল ছড়ানো শরীরে আর শোয়ানো শরীরটা ছড়ানো ঠান্ডা গোলাপের পাপড়ির বিছানাতে।

বারটা ছেলেমেয়ে সাথে,আমার কাঁধে লাগাঁনো ডানা,দেবী আমি,সবাই বন্দনা করছিল আমাকে।কেউ ব্যাস্ত ছাতি নিয়ে যাতে রোদ কষ্ট না হয় আমার,কেউ ছড়াচ্ছিল সুবাস,আগরবাতি জ্বালিয়ে অজানা মন্ত্র আওড়ে যাচ্ছিল,কেউ কেউ।

রাস্তার একপাশে দাঁড়ানো লোকজনের হৈচৈ,ধোঁয়া আর সুবাসের কুয়াশায়,আমার নগ্ন শরীরটা ছড়াচ্ছিল কামনার জোয়ার।


কাঠের দেবতার জন্যে

জ্ঞানী,প্রবীন দেবতা-প্রিয়াপস।তোমার কাঠের মূর্তিটা রাখা মার্বেল পাথরে বাধানো স্নানের জায়গায়,অযথাই তো আর লোকজন তোমাকে অভিভাবক হিসেবে মেনে নেয় না,তোমার শ্যেন দৃষ্টি কত না সাহায্য করে সব বারবনিতাদের।

দেবতা,কিনিনি বাজারে তোমাকে,আমাদের কুমারীত্ব রক্ষা করার জন্যে,আর কুমারীত্ব যা নেই,সেটা ফেরত পাওয়ার উপায় কোথায়,যুদ্ধের দেবী পালাসের ধর্মান্ধ ভক্তরা রাজত্ব করে না আমাথুস শহরের রাস্তায়।

তুমি সেই দেবতা অবজ্ঞা করে না যে গাছের শাখা প্রশাখা,ফুল,ফলের খোঁজটাও,তাই তুমিই প্রিয় দেবতা আমাদের।

রক্ষা কর আমাদের সোনালী চুল,দুর করে দাও ফোলা চোখের ভাব,
দূর করো চোখের কালিটাও।রক্ষা কর আমাদের স্তন-কাজে আসে যেন ভবিষ্যতে,আর আর্শিবাদ করো প্রেমিক পাই আমরা যেন,দেখতে তোমার মত।


করতালে নাচের পর্ব

প্রিয় মাইরিনডিনিয়ন,হাতের তালুতে ঝুনঝুনি বেধে,খুলে ফেলো কাপড়,
হাত দুটো উপরে তুলে নাচ আরম্ভ কর,তোমার।কবিতার ছন্দে ছুটবে তোমার হাত-চোখ ধাঁধানো লাল গোলাপের স্তন দুটো সাথে।

আগাবে এক পা,পিছাবে এক পা,একটু থেমে কখনও সরে যাবে এপাশে,কখনও ওপাশে,ছন্দে ছন্দে ছুটে যাবে শরীরটাও বাতাসে ভেসে যাওয়া রুমাল যেন।
হাতের ছোঁয়ায় কেঁপে উঠবে শরীর আর কামনার জোয়ারে ভেসে যাবে
যে কোন হ্রদয়।

বাজাবে তোমার করতাল,আঁকাবাঁকা ছন্দে ভেসে যাবে হাত,পা,ঘন্টার সুর আর ছন্দ আনবে ডেকে মরলোকে হ্রদয়ের নাচন।

উন্মাদ আনন্দে হাততালি বাজাও,কাঁধ এড়ানো মুচকি হাসি মুখে,উৎসাহী,পুরোনো মুখটা আসুক না হয় মনে।

০০০০০০


মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি দুবার এসেছে। এডিট করে ঠিক করে নিন।

০৮ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৩:৪৫

ইল্লু বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.