নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইল্লু

ইল্লু › বিস্তারিত পোস্টঃ

Paulo Coelho এর Adultery (পরকীয়া)

০৬ ই মে, ২০২২ রাত ২:৫৪

(৩)

কিছু বলার ছিল না আমার।আনন্দটা তো শুধু জেকবের,যৌন অনুভুতির চরমে পৌছে সে তখন স্বর্গ আনন্দে,সেখানে আমি শুধু এক পরিদর্শক।

পাপবোধ না,বরং মানুষের চোখে পড়ার ভঁয়েই কিছুটা কাঁতর হয়ে ছিলাম।অফিস যাওয়ার রাস্তায় টুথব্রাশ আর টুথপেস্ট কিনলাম,তারপর ঘন্টায় ঘণ্টায় মুখ ধোঁয়া,বারে বারে কাপড়চোপড় দেখছিলাম কোথাও কিছু লেগে আছে নাকি।চোখের কোনের আড়ালে সবাইকে পরখ করছিলাম,কেউ কিছু বলাবলি করছে নাকি,বিশেষ করে ঐ রাডার নাকের মেয়েরা।

কেন যে এইসব বদল,কে জানে?আমার শরীরটাও যেন অন্য কারও দখলে,কারও হাতের ধাক্কায় আমি সরে গেছি নতুন এক অবস্থানে-শুধু যান্ত্রিকতা,যৌনতার আনন্দের কোন গন্ধ নেই সেখানে।জেকবের কাছে আমি কি প্রমান করতে চাচ্ছিলাম?স্বাধীন,বাঁধন ছাড়া মানুষ আমি!যখন যা ইচ্ছে করতে পারি।সেটা প্রমান করার জন্যেই কি ঐ শরীর খেলায় মত্ত হলাম,নাকি,আমার বন্ধুর কথামত সেই হতাশার “নরক”,থেকে বের হয়ে আসার আশায়।আমি বদলাতে চাই,আমি চাই না অবসরের জীবনে গাড়ী পরিষ্কার করাটাই যেন জীবনের লক্ষ্য না হয়ে দাড়ায়।অবশ্য সময়ে হয়তো অনেক কিছুই বদলে যাবে,আর যা হোক মনে হয় এখনও বেশ কিছু সময় আছে হাতে।অন্ততঃ সেটাই আমার বিশ্বাস।

বাড়ীতে পৌছানোর পর চেহারাটা অদ্ভুত হয়ে ছিল,না আনন্দের প্রভাব,না দুঃখের ছাপ।ছেলেমেয়েরা কিছু একটা সন্দেহ করে জিজ্ঞাসা করলো, “কি হয়েছে মা,তুমি আজকে এরকম ব্যাবহার করছো কেন”?

বলতে ইচ্ছা করছিল,যদিও বলতে পারিনিঃআমি এমন কিছু একটা করলাম যা করাটা ঠিক উচিত হয়নি আমার,অথচ নিজেকে একটুকুও দোষী মনে হয়নি,শুধু ভয় হচ্ছিল কেউ কি জেনে ফেললো?

স্বামী যথারীতি বাসায় এসে চুমু খেয়ে জিজ্ঞাসা করলো,কেমন কাটলো দিনটা,রাতের খাবারে কি কি আছে আজকে।যথাযথ উত্তরটা দিলাম,কোন কিছু সন্দেহ করার কথা না,জানা সম্ভব ছিল না তার,একজন রাজনীতিবিদের লিঙ্গ মুখে নিয়ে খেলা করার কথা।
কোন শারীরিক আনন্দ হয়নি আমার,সেই খেলায়।আমি কামনায় মাতাল,একজন পুরুষ দরকার,একটা শরীর চাই আমার,ঠোটে চাই একটা চুমু,শরীরের দলন মর্দনে মাতাল হতে চাই,মাতাল হতে চাই আমি যৌন যন্ত্রনায়,আমি চাই একটা শরীর আমার শরীরে।

বিছানায় যাওয়ার পর বুঝতে পারলাম কামনার অস্থিরতায়,সারা শরীর ভিজে গেছে কামরসে।স্বামীর সাথে যৌনসঙ্গমের জন্যে অপেক্ষাটা অসহনীয় হয়ে গেছে,তবে বেশী আগ্রহ দেখানোটাও ঠিক হবে না,তাতে কিছু একটা সন্দেহ জাগতে পারে স্বামীর মনে।গোসলটা সেরে বিছানায় শুয়ে তার হাতের টেবলেটটা নিয়ে রেখে দিলাম,পাশের টেবিলে।তার বুকের চুলে আলতো করে বিনি কাটা আরম্ভ করলাম,আমার পুজার যৌন দেবতা তখন জাগ্রত হয়ে গেছে,জাগ্রত দেবতা ছুটে আসছে তার সম্পুর্ন আক্রোশ নিয়ে।

যৌনসঙ্গম স্রোতে ভেসে গেল দুটো শরীর অভাবনীয় এক সুরে।আমি যখন যৌন আনন্দের সীৎকারে চীৎকার করছিলাম,স্বামী বারে বারে মনে করিয়ে দিচ্ছিল ছেলেমেয়েদের কথা,জেগে উঠতে পারে তারা।কিন্ত আমি যে তখন অন্য এক আকাশে,সব কিছু অবজ্ঞা করে আমি ভেসে যাচ্ছিলাম আনন্দের ঐ সমুদ্রে।

বেশ কবার আমি ছুটে গেলাম চরম সুখের রাজ্যে,সারা যোনী ভেসে গেছে র্নিগমনের বন্যায়।কত ভালবাসি আমি আমার এই মানুষটাকে!ক্লান্ত,ঘেমে যাওয়া দুটো শরীর,আবার গোসল করাটাই হয়তো ভাল হবে।স্বামীও গোসলখানায় এসে খেলা আরম্ভ করলো আবার,গোসলের ঝরনাটা আমার ভগাঙ্কুরে বসিয়ে পানি ছেড়ে দিল।বললাম তাকে আমি ক্লান্ত-আজকে আর না,তা ছাড়া ঘুমোনা দরকার,এ ভাবে আবার উত্তেজিত হয়ে উঠবো আমি।

একে অন্যের শরীর তোয়ালে দিয়ে মুছে দিতে দিতে,নাইট ক্লাবে যাওয়ার একটা প্রস্তাব করলাম,জীবনের একঘেয়েমিটা কিছুটা বদলানো দরকার।কেন জানি মনে হলো স্বামী হয়তো কিছু একটা সন্দেহ করছে।
“আগামীকাল যাবে”?
না,আগামীকাল হবে না,ইয়োগা ক্লাশ আছে।
“কথাটা যখন তুলেছ,একটা প্রশ্ন করবো”?
থমকে গেল পৃথিবীটা,যেন পায়ের নীচের মাটিটা সরে যাচ্ছে,তারপর সে বললো, “কেন তুমি যাও ইয়োগা ক্লাসে?তুমি তো এমন একজন মানুষ যে জানা,তার চাওয়াটা।তোমার মনকে শান্ত করার জন্যে ও স্ব করার কি দরকার?জানি না,কেন অযথা সময় নষ্ট করছো,তুমি”?

পায়ের ফিরে গেল আবার জায়গামত,উত্তর দেয়ার কোন কিছু ইচ্ছা ছিল না।
বিছানায়,চোখ দুটো বন্ধ করে ছুটে গেলাম ঘুমের রাজ্যে।আমি হয়তো সেই সমস্যায় ভুগছি দশ বছর পর পর যা মানুষের জীবনটাকে নাড়া দেয়,হয়তো কেটে যাবে এই দুর্যোগ একসময়।কারও জীবনের সময়গুলো সবসময় আনন্দে কাটে না,কারও পক্ষে সবসময় সুখী থাকতে পারে না।আমি জানতে চাই জীবনের বাস্তব চেহারাটা।

হতাশা,তুমি নিজেকে সরিয়ে রাখ,নোংরামী করো না আমার সাথে।যাও খুঁজে নাও অন্য কাউকে,তাকে গিয়ে বল, “এই বেঁচে থাকার কোন মানে আছে কি”?বিশ্বাস কর বা না কর,তুমি পরাজিত হবে আমার হাতে,অযথা সময় নষ্ট করো না,সরে যাও।

জেকবের সাথে দুপুরের খাবারটা যা হবে ভেবেছিলাম,ঠিক তাই হলো।লা পারলু ডু লাক নামে এক বেশী দামী রেস্তোরায় দেখা করলাম আমরা,এক সময় হয়তো বেশ নামডাক ছিল,তবে সরকারী তত্বাবধানে এখন হারিয়ে গেছে পুরোনো জৌলুষটা।খাবারের দামটা যদিও সেই আকাশচুম্বী,তবে স্বাদটা নেই ধারে কাছে।জেকবকে নিয়ে যেতে পারতাম আমার বন্ধুর সেই জাপানী রেস্তোরায়,তবে চেহারা আসবাবপত্র দেখে তার কাছে হয়তো মনে হতো বাজে একটা জায়গা,অনেকের কাছেই খাবারের চেয়ে চেহারা আসবাবের চমক,সৌন্দর্য্টা অনেক বেশী প্রয়োজনীয়।

বুঝতে পারলাম আমার ভাবনাটাই ঠিক,জেকব তার মদের অভিজ্ঞতার বহর দেখানোর জন্যে অস্থির হয়ে গেছে,মদ চেনার উপায়, “সুবাস”, “চেহারা”, “ঝাঁজ”,তৈলাক্ত একটা অংশ যেটা গ্লাস ছুঁয়ে যায়।সে যেন আমাকে বোঝাতে চাচ্ছে,কৈশোর ছেড়ে,স্কুল ছেড়ে সে এখন নতুন এক মানুষ।কি ভাবে জীবনের যুদ্ধে সিড়ি ধরে ধরে কত উচুতে পৌছে গেছে সে।কোথায় কি বলা দরকার সে জানে,সে জানে মদ,রাজনীতি,মেয়েমানুষের গল্পকথা।

অদ্ভুত এক উন্নাসিকতা!সারাজীবন আমরা মদ খেয়ে যাচ্ছি।খারাপ,ভাল মন্দের পার্থক্যটা যতটুকু জানা দরকার সেটা তো জানাই,তবে তা নিয়ে তর্ক বির্তক করে কি লাভ?স্বামীর সাথে দেখা হওয়ার আগে,পরিচিত সব ছেলেরাই কেন জানি কোন রেস্তোরায় গেলে মদের, “সমঝদার”,হিসেবে নিজেদের দেখানোর জন্যে অস্থির হয়ে যেত।সকলের একই চেহারা,গম্ভীর মুখে মদ বোতলের ছিপির সুগব্ধি নিয়ে,বোতলে লেখা বিস্তারিত ইতিহাসটা পড়া,ওয়েটার গ্লাসে একটু মদ ঢেলে দিলে,গ্লাসটা এপাশ ওপাশ করে,একটু চুমুক,তারপর গলায় ঢেলে বিজ্ঞের মত মন্তব্য প্রকাশ।

ঘুরে ফিরে একই দৃশ্য,শেষমেষ ঐ সব সমঝদারদের দল ছেড়ে,পড়ুয়া ছেলেদের সাথে ঘোরাফেরা আরম্ভ করলাম।আর কিছু না হোক,তাদের মধ্যে অত নাটকীয়তা ছিল না,মদের গ্লাসে বিশ্লেশণের ঝড় তুলতে হয় না।তারা অবশ্য আরও অনেক কিছু নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতো,যা আমার বোঝার ক্ষমতার বাইরে।তাদের ধারণা যেহেতু “ইনটেল” কথাটা বেশীর ভাগ কম্পিউটারেই ওটা সমন্ধে কিছু না জানাটা একেবারেই অস্বাভাবিক।পড়ুয়ার দল আমাকে বোকা মেয়ে মনে করতো,তাদের আগ্রহ আর্কষন ছিল না,আমার স্তন,শরীরের দিকে,তার চেয়ে বরং ইন্টারনেটের খবরগুলোও ছিল তাদের কাছে বেশী আর্কষনীয়।তাই নতুন বন্ধু পর্ব বেশীদিন টেকেনি,ফিরে গেলাম আবার মেকী বন্ধুদের সাথে,দেখা হলো এমন একজনের সাথে যার মধ্যে অযথার কোন অড়ং ভড়ং ছিল না।কথাবার্তায় ছিল না অজানা কোন গ্রহের গল্প,মনটা ভঁরা ছিল না কম্পিউটার পৃথিবীর যান্রি ীক পাতায়।একসাথে দুজনে যেতাম জেনেভার লেক লেমানের ধারের গ্রামগুলোতে।প্রায় মাস ছয়েক কাটলো ওভাবেই,তারপর বিয়ের প্রস্তাব,আর আমার কথায় “হ্যা”,ছাড়া অন্য কিছু বলার কোন কারণ ছিল না।

জেকবকে জিজ্ঞাসা করলাম ভাল কোন নাইট ক্লাবের নাম তার জানা আছে নাকি?জেনেভার রাতের পৃথিবীর খবর সমন্ধে তেমন একটা জানা নেই,তা ছাড়া অনেকদিন বাইরে যাওয়া হয়নি নাচ গান আনন্দের জন্যে।

জেকবের চোখদুটো জ্বলজ্বল করে উঠলো, “আমার সময় কোথায়?আমন্ত্রনের জন্যে ধন্যবাদ,তবে তুমি তো জানই আমি বিবাহিত আর তা ছাড়া একজন সাংবাদিকের সাথে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।লোকে কত কিছু বলতে পারে…”।
“লোকে বলতে পারে,তুমি প্রভাবিত হয়ে গেছ”।
“হ্যা ঠিক তাই বলতে পারে প্রভাবিত”।
ছলনার এই খেলাটা আরেকটু এগিয়ে নিলাম,বেশ ভালই লাগে খেলাটা।আমার হারানোর কিইবা আছে?আর আমার তো জানাই এ খেলার ফাঁদ,মোড়,উদ্দেশ্য।

জিজ্ঞাসা করলাম,তার নিজের সমন্ধে আরও কিছু বলার জন্যে,ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু কথা।আমি তো এখানে শুধু সাংবাদিক নই,একজন মেয়েমানুষ,এক প্রাক্তন প্রেমিক।
“মেয়েমানুষ”,কথাটা একটু জোর দিয়েই বললাম।

“ব্যাক্তিগত বলতে তেমন কিছু একটা নেই।চাইলেও সম্ভব হয় না,এমন একটা দায়িত্ব বল বা পেশা আমার জীবনটায়,যেখানে মানুষ অনেকটা যন্ত্রই হয়ে যায়।যা কিছু ব্লা,যা কিছু করা,
সব কিছুতেই চুল চেরা বিশ্লেষণ,আর আছে প্রশ্নের পর প্রশ্ন”।

কথাটা যদিও ঠিক,তবে অতটা না,তবে তার ভাবে ভঙ্গীতে তখন একটা নম্রতার ছাপ। বুঝতে পারলাম,তার কাছে মনে হচ্ছে সারা দেশটা দাড়িয়ে আছে মিথ্যার উপর।
তারপর নিজের সমন্ধে বলা আরম্ভ করলো জেকব,সংসার জীবনে সে বেশ অসুখী,আর মদের প্রভাবে অন্য পুরুষদের মত তার ক্ষমতার বহরের কথা জানানোর জন্যে অস্থির হয়ে গেল।

“গত বছর দুই এ সুখ বলতে যা বলা যায়,তার মুখ দেখিনি আমি,জীবনটা সাজানো অন্য সবাইকে খুশী করার জন্যে।আমার ভাললাগাগুলো নাইট ক্লাব,সিগারেট খাওয়া সবকিছুই বিসর্জন দিতে হলো শেষমেষ”।

একেবারেই বাজে কথা!কে মাথা ঘামাতে চায় তার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে।

“হয়তো এটা শনিগ্রহের প্রভাব,শনির ফিরে যাওয়া প্রভাব তার পুরোনো জায়গায়।জোতিষ শাস্রেগে বলে প্রতি কুঁড়ি বছর পর পর শনি গ্রহ ফিরে যায় তার পুরোনো জায়গায়”।

শনিগ্রহের প্রতাবর্তন?

মনে হলো জেকবের যা বলার তার চেয়ে বেশী বলে ফেলেছে,তার নিজের কাজে ফিরে যাওয়াটাই হয়তো ভাল।

আমার শনি ফিরে গেছে তার পুরোনো জায়গায়।জেকব আমাকে জ্যোতিষশাস্ত্র শেখাচ্ছেঃ
শনির লাগে ঠিক উনত্রিশটা বছর তার পুরোনো জায়গায় ফিরে যেতে।সেটা ঘটে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সবকিছুই সম্ভব,আমরা খুঁজে পেতে পারি আমাদের স্বপ্নের আকাশ,আটকে রাখা দেয়ালগুলো ভেঙ্গে দেয়া তেমন একটা কষ্টকর কিছু না।শনি তার পুরোনো জায়গা ফিরে গেলে,সেখানেই শেষ আবেগের স্রোতের।আটকে থাকা সেই পুরোনো বেছে নেয়ায়,বদলানো নেই আর।

“আমি অভিজ্ঞ নই এ ব্যাপারে,তবে সন্দেহ নেই যে আমার পরের আবেগের স্রোতের ধাক্কাটা আসবে,সেই আটান্ন বছর বয়সে।যদিও শনিগ্রহ বলে দিচ্ছে,আমার পথ বদলানোর কোন উপায় নাই,তা হলে তুমি আমাকে দুপুরের খাবারে ডেকেছ কেন”?

আমরা কথা বলে যাচ্ছি,প্রায় ঘন্টাখানেক তো হবেই।

“তুমি কি নিজেকে সুখী মনে কর”?হঠাৎ জিজ্ঞাসা করলো জেকব।

কি?

“তোমার চোখে লুকোনো একটা দুঃখী ভাব,ওটা মানায় না তোমার মত সার্থক,
সুন্দরী মহিলাকে,চমৎকার এক স্বামী আছে যার।ওটা যেন আমার চোখের প্রতিফলন তোমাএ চোখে।আবার জিজ্ঞাসা করছিঃতুমি কি সুখী”।

এখানে এই দেশটাতে যেখানে জন্ম আমার,বড় হয়েছি যেখানে,সেখানে এ ধরণের প্রশ্নটা একেবারেই বেমানান।সুখ এমন কোন কিছু না যার বিশেষ কোন মাপকাঠি আছে,গনভোটে যা আলোচিত হয়,বা বিশেষজ্ঞদের আলোচনার বিষয়।এখানে কেউ কাউকে ব্যাক্তিগত কোন প্রশ্ন করা থেকে হাজার মাইল দূরে থাকে,আর এ ধরণের প্রশ্নের কথাই উঠে না।

“যাকগে উত্তর দেয়ার কোন দরকার নাই,মৌনতাই বলে দিচ্ছে উত্তরটা”।

না আমার মৌনতা কিছুই বলে দিচ্ছে না,আর ওটা কোন উত্তর না,শুধু আমার অবাক হওয়া,হতভম্ব হওয়ার লক্ষন।

“আমি সুখী নই।যদিও হয়তো সবকিছুই আছে আমার,যা একটা মানুষের স্বপ্ন সাধের,তবুও আমি সুখী নই”,বললো জেকব।

কেউ কি পানিতে কিছু মিশিয়ে দিয়েছে নাকি?কেউ কি আমাদের দেশটাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে,কোন রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে,যা সকলের মনে নিয়ে আসবে হতাশা।যার সাথেই আমি কথা বলি সবারই এক মানসিকতা।এ পর্যন্ত কিছুই বলিনি আমি,তবে হতাশার মন খুঁজে নেয় নিজের সঙ্গ,আর বাড়িয়ে দেয় হতাশা।

জেকবের মধ্যে এটা দেখিনি কেন,আমি?কেন তার মাঝে আন্তরিকতার অভাব,সব কিছুই বলা যেন বিরাট এক দূরত্ব নিয়ে।শনির প্রতাবর্তন।বিপক্ষ দল।অসুখী একটা মন।এমন সব বিষয় যা নিয়ে ভাবিনি জেকব কোনিগ কোনদিন আলোচনা করবে।

আমার ঘড়ির হিসাবে,ঠিক এখন দুপুর ১-৫৫,আমি আবার জেকবের প্রেমে পড়ে গেছি।
আমাকে কেউ কোনদিন জিজ্ঞাসা করেনি,আমি সুখী কি না,এমন কি আমার স্বামীও না।হতে পারে কৈশোরে আমার বাবা মা,দাদু হয়তো এ প্রশ্নটা করে থাকতে পারে,তবে তার পরে আর না।
“আবার কি দেখা হবে আমাদের”?
আমি আর আমার কৈশোরের সেই প্রেমিককে খুঁজে পেলাম না কোথাও আমার সামনে বসা ঐ লোকটায়,তবে আমি যেন হেটে তলিয়ে যাচ্ছি এক চোরাবালিতে আর কোন ইচ্ছা নাই আমার সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার।আমার বিনিদ্র রজনীগুলো হয়ে উঠবে আরও বিনিদ্র এখন সত্যি সত্যই একটা সমস্যা আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে,প্রেমে পড়েছি আমি।আমার মনের লাল বাতিগুলো জ্বলজ্বল করে উঠলো আবার।

নিজেকে বললাম আমিঃবোকা,তুমি আসলেই বোকা,বুঝতে পারছো না,ও তো শুধু তোমাকে বিছানায় নিয়ে শরীর খেলায় ব্যাস্ত হতে চায়,যৌন সম্ভোগের আনন্দটা খুঁজে নিতে চায় নতুন একটা শরীরে।কামুক এক পুরুষ,ও তোমার সুখ বা দুঃখ কোনটাই জানার ইচ্ছা নাই তার।
অনেকটা আত্মহত্যা করার মত আমি তার প্রস্তাবের সম্মতির দিকে এগিয়ে গেলাম।হয়তো এটা ভালই হবে আমার বিয়ের জন্যে,যে চুমে খেয়েছে,খেলা করেছে আমার স্তন নিয়ে ইচ্ছামত।যেমন গতকাল তার লিঙ্গ মুখে নিয়ে চোষাচুষি করার পর রাতে স্বামীর সাথে আমার যৌনসুখের চরমে পৌছানো,ও রকমভাবে যোনীর স্কাঙ্খলন হয়নি কোনদিন।

শনিগ্রহের কথা নিয়ে আবার আলোচনা করার ইচ্ছা ছিল আমার,দেখলাম জেকব রেস্তোরার বিলটা হাতে নিয়ে মোবিল ফোনে কাউকে জানাচ্ছে,আসতে মিনিট দশেক দেরী হবে তার।

“হ্যা,শোন তাদেরকে কফি,সোডা কিছু একটা দাও,আমি আসছি”,সে বললো।

জিজ্ঞাসা করলাম কার সাথে কথা বলছিল সে,জেকবের উত্তর ছিল তার বৌ এর সাথে।
বিরাট এক ওষুধ কোম্পানীর পরিচালকের দায়িত্বে আছে তার বৌ,ওষুধের কোম্পানী জেকবের র্নিবাচনে সাহায্য করতে চায়।র্নিবাচন ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে।

এটা ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না,সে বিবাহিত।সে তো অসুখী,আনন্দের যা,মোটানুটি সবকিছুই
তাকে বির্সজন দিতে হয়েছে।তাদের সংসার নিয়ে অনেক রটনা হয়।ভুলে যেতে হবে ঐ স্ফুলিঙ্গ যা ১-৫৫টায় প্রচন্ড ভাবে নাড়াচাড়া দিয়েছে,তা শুধু আমার শরীরটাকে ব্যাবহার করার জন্যে।কিন্ত সেটা আমার কাছে খুব একটা খারাপ লাগছে না যদিও,আমার যৌনসঙ্গমের জন্যে একটা শরীর দরকার।

রেস্তোরার বাইরের হাঁটার রাস্তায় বেশ কিছুক্ষন দাড়িয়ে থাকলাম আমরা।চারপাশে বেশ সন্দেহের চোখে জেকব তাকিয়ে দেখলো,কেউ তাদের দেখছে কি না।একেবারে নিশ্চিত হয়ে সিগারেট ধরালো,সে।

কিসের ভয় ছিল তার,কেউ কি দেখে ফেলবে সিগারেট খাওয়া?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: পাপবোধ নাহলে মানুষের চোখে পড়ার ভয়ে কাতর হবে কেন? তাহলে সেটা কিসের বোধ?

২| ১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১২:২৪

ইল্লু বলেছেন: পাপবোধ আর পাছে লোকে কিছু বলে দুটোর মধ্যে বেশ একটা পার্থক্য আছে মনে হয়-
একটাতে আপনি নিজেকে, বিচার করছে্‌ন,আপনার ভাল মন্দের রাজ্যে,
আরেকটায় আপনি অস্থির হয়ে আছেন আপনার চারপাশের পৃথিবী আপনাকে কি ভাবে দেখবে বা বলা যায় বিচার করবে ভেবে।
ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.