নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ঝরে পড়া শব্দগুলোর আস্তানা!

জীবনের চরম সুখের মুহূর্তে চোখ মেলে দেখি আমার পাশে জনতার ভীড়, কিন্তু যখন এক ঝাঁক শকুন আমার মৃত্যুর অপেক্ষায় বসে থাকে তখন আমি বড়ই একা।।

মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন

ভালবাসি আমার দেশকে। ভালবাসি বিজ্ঞান। [email protected]

মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মারাত্মক মনোব্যাধি সিজোফ্রেনিয়া নিয়ে একটি গল্প লেখার চেষ্টা।

১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

__অস্তিত্বহীন অস্তিত্ব



১.

বাথরুমে ঢুকেই তুহিন একবার চারপাশটা ভাল করে দেখে নিল। তার ইদানীং সন্দেহ হয় বাথরুমে কেউ গোপন ক্যামেরা ফিট করে তার উপর সর্বদা নজর রাখছে। তাই বাথরুমের দেয়ালে ভালভাবে চোখ বুলিয়ে নিল সে। কিছুক্ষণ পর বাথরুম থেকে বের হয়ে পড়ার টেবিলে গিয়ে বসলো। টেবিলে একটা গল্পের বই খোলা অবস্থায় পড়ে আছে। বাথরুমে যাওয়ার আগে দুয়েক পৃষ্ঠা পড়েছিল। সে বইটি বন্দ করে রেখে দিল। পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে না। অস্থির অস্থির লাগছে। সে সবেমাত্র এইচ এস সি দিয়েছে। আগে বই নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারত। কিন্তু এখন পারে না। তার ইদানীং মনে হয় কেউ তাকে ফলো করছে। স্পাই লাগিয়ে দিয়েছে তার পেছনে। তার ক্ষতি করার চেষ্টা করছে কেউ। তাই খুব সাবধানে চলাফেরা করে সে। শুধু চলাফেরায় নয় খাবার দাবারের ব্যাপারেও সে সাবধানতা অবলম্বন করে চলে। তার শুধু সন্দেহ হয় খাবারে কেউ বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে। তবে সেটা সে বাড়ির কাউকে বুঝতে দেয়না। কিন্তু তার বাবা রহমান সাহেব কিছুদিন ধরে বিষয়টা খেয়াল করছেন। তুহিনের বয়স যখন দুই বছর তখন তার মায়ের রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়। লাশ পাওয়া যায় তাদের বাড়ির পেছনে পুকুরে। গ্রামের লোকজন বলাবলি করে তার মায়ের উপর জ্বীনের আছর ছিল। একের পর এক উদ্ভট ঘটনা ঘটত তার মাকে নিয়ে। জ্বীনই তার মাকে পানিতে ডুবিয়ে মেরেছে। এমনটাই বিশ্বাস তাদের। গ্রামের এক ওঝা বলেছিলেন জ্বীনটা এখনও তাদের বাড়ির আশেপাশে ঘুরঘুর করছে। যেকোনো সময় বাড়ির যে কারো উপর ভর করতে পারে। একথা শুনে তুহিনের দাদি বাড়ি ছেড়ে অন্যথা চলে যাওয়ার জন্য পীড়াপিড়ী শুরু করে দেই। শেষে এক প্রকার অনিচ্ছাকৃত ভাবে রহমান সাহেব তুহিন এবং তুহিনের দাদিকে নিয়ে শহরে চলে আসেন। তিনি কোলে পিঠে করে মা হারা ছেলেকে বড় করেছেন। তাই আর কেউ না বুঝলেও তিনি ঠিকই বুঝতে পেরেছেন তাঁর ছেলে আগের মত নেই। ধীরে ধীরে তার আচরণ পরিবর্তন হচ্ছে। উন্নতির দিকে নয় অবনতির দিকে। কিন্তু তিনি ঠিক কারনটা বুঝে উঠতে পারছেন না। তুহিন যখন তার রুমে তখন রহমান সাহেব অন্য এক রুমে তুহিনের দাদির সাথে কি একটা নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ তুহিনের রুম থেকে একটা ভয়ংকর চিৎকার ভেসে এল। তুহিনের গলা। সাথে সাথে রহমান সাহেব বিদ্যুৎ বেগে ছুটে গেলেন তার রুমের দিকে। রুমে গিয়ে দেখেন তুহিনের বিছানায় আগুন লেগে গেছে। এটা দেখে তিনি পুরো হতবাক হয়ে গেলেন। তবে কোন ক্ষতি হওয়ার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলেন। ততক্ষণে তুহিনের দাদিও চলে এসেছেন। তিনি তুহিনকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলেন। তুহিন তখন থরথর করে কাঁপছিল। তার চেহারায় ভয়ের চাপ স্পষ্ট।



__আগুন কিভাবে লেগেছে?



__জানি না। আমি লাগাইনি। কাঁপা কাঁপা গলায় জবাব দিল সে।



রহমান সাহেব আর কোন প্রশ্ন না করে কি যেন ভাবতে ভাবতে নিজের রুমের দিকে চলে গেলেন।



২.

দুয়েকদিন পরের কথা। সকালে ঘুম থেকে উঠেই তুহিন চিল্লাফাল্লা শুরু করে দিল। তখন রহমান সাহেব বাইরে ছিলেন। তুহিনের চিৎকার শুনে তার দাদি ও কাজের ভুয়া ছখিনা দৌড়ে তার রুমের দিকে গেল। দাদি জিজ্ঞেস করলেন,

__কিরে কি অইছে? সকাল সকাল এত হৈ চৈ করস কিল্লাই?



__দাদু, দেখনা কে যেন আমার কাপড়গুলো কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে।



__ওমা তাই তো! এই ছখিনা বাড়িতে ইঁন্দুর কেমনে ঢুকল?



ছখিনা এক বুক আত্মবিশ্বাস নিয়ে জবাব দিল,

__দাদিজান কই আমি তো ঘর ঝাড়ু দেওনের সময় কুনু ইঁন্দুর ফিন্দুর দেহি নাই।



__তাইলে কাপড়গুলো কাটলো কেমনে? তুই সবসময় কাজে ফাঁকি দেস। অহন থেইকা ভালা কইরা ঝাড়ু দিবি। আর ইঁন্দুর দেখলেই মাইরা ফেলাবি।



ছখিনা দাদির কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বলল,

__দাদিজান, আমার মনে অই এই বাড়িতে জ্বীন ঢুকছে। ভাইজান রে পেরাই দেহি একা একা কার লগে জানি কথা কয়।



__চুপ হারামজাদি। অলক্ষণে কথা কইবি না একদম। যা এইখান থেইকা।



তিনি ছখিনাকে ধমক দিলেও মনে মনে কিন্তু কথাটা আমলে নিয়েছেন। তিনি নিজেই কিছুদিন ধরে এরকম কিছু একটা সন্দেহ করছেন।



৩.

__ছখিনা আপু, ও ছখিনা আপু।



তুহিন ছখিনাকে আপু বলেই সম্বোধন করে।

তুহিনের গলা শুনে ছখিনা রান্নাঘর থেকে জোরে জোরে জবাব দিল,



__জ্বে, কন ভাইজান। হুনতাছি। আপনের কিছু লাগবো?



__হুম। আমার জন্য তাড়াতাড়ি এক কাপ চা নিয়ে আসো তো। আর হ্যা চিনি কমাই দিবা।



__আইচ্ছা ঠিক আছে ভাইজান। আনতাছি।



কিছুক্ষণ পর ছখিনা চা নিয়ে তুহিনের রুমে গেল।

__ধরেন ভাইজান, আপনের চা।



তুহিন ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,

__তোমাকে চা আনতে কে বলছে আবার?



__আপনেই তো কিছুক্ষণ আগে কইলেন।



__আমি আবার কখন বললাম! আমাকে এই সময়ে চা খেতে দেখেছ কখনও? যাই হোক এনেই যখন ফেলেছ দাও দেখি।



চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই সে ধমকের স্বরে বলে উঠলো,

__চায়ে চিনি এত কম কেন? এটা কোন চা হল? এটা মানুষ খায়?



__আপনেই তো চিনি কমাই দিতে কইছিলেন।



__আমি বলছিলাম মানে? আমি তো চা ই আনতে বলিনি।



এই বলে সে চায়ের কাপটা মাঠিতে আছাড় মেরে ভেঙে ফেলল। ছখিনা খানিকটা অবাক হল। তার অবাক হওয়ার মাত্রা আরো বেড়ে গেল যখন সে দেখল তুহিন আশেপাশে যা পাচ্ছে তাই ভাঙা শুরু করে দিয়েছে। সে ভয় ভয় গলায় বলল,



__ভাইজান আপনে এমন করতাছেন ক্যান? ঠিক আছে আমি না হয় আরেকটা চা বানিয়ে আনতেছি।



__চুপ মাগী। একদম চুপ। আরেকটা কথা বললে তুকে আমি বিছানায় ফেলে ** **।



__ছি! ভাইজান, এইসব কি কইতাছেন!!



__আবার কথা কস। তুরে আমি এখন সত্যি সত্যি……



তুহিন বিকট শব্দে হাসতে হাসতে দ্রুত তার প্যান্ট খুলতে লাগল। সাধারণ হাসি নয়। অপ্রকৃতস্থের মত হাসি। ছখিনা ভয়ে জমে গেল। তার মনে হল পা যেন মেঝের সাথে সুপার গ্লু দিয়ে আটকে গেছে। নাড়াতে পারছে না। অবশেষে অনেক কষ্টে এক দৌড়ে রুম থেকে পালিয়ে গেল। দৌড়ে রহমান সাহেবের রুমে গিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় কোনরকমে তুহিন শব্দটা উচ্চারণ করেই অজ্ঞান হয়ে গেল। রহমান সাহেব দৌঁড়ে তুহিনের রুমে চলে গেলেন। সে তখনও জিনিস ভাঙচুর করছিল। তিনি তাকে থামানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু কিছুতেই পারছেন না। তার শরীরে যেন অসুরের শক্তি চলে আসছে। ততক্ষণে ভাঙচুরের শব্দ শুনে দাদিও চলে এসেছেন। তিনি নাতির এ অবস্থা দেখে কান্না শুরু করে দিলেন। হঠাৎ কিসের একটা টুকরো এসে রহমান রহমান সাহেবের মাথায় লাগল। রক্ত ঝরতে লাগল মাথা থেকে। তুহিন সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করলো না। কিছুক্ষণ ভাঙচুর চালানোর পর সে অজ্ঞান হয়ে গেল। রহমান সাহেব ভাবলেন,



__”নাহ এভাবে আর নয়। এবার একটা সাইকিয়াট্রিস্টের সাথে যোগাযোগ করতেই হবে।“



৪.

তুহিন সম্পর্কে সব শুনে সাইকিয়াট্রিস্ট জামাল সাহেব কিছুক্ষণ কি যেন ভাবতে লাগলেন। অতঃপর মুখ খুললেন,

__আপনার ছেলে একটা ভয়ঙ্কর মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। যার নাম সিজোফ্রেনিয়া।



__সিজোফ্রেনিয়া!!! কিন্তু আমরা তো থাকে কোনপ্রকার মানসিক চাপের মধ্যে রাখিনি।



__দেখুন রহমান সাহেব, সিজোফ্রেনিয়া শুধু মানসিক চাপ, পরিবেশগত কারনে হয়ে থাকে আপনার এমন ধারণাটা ভুল। এটি বংশগত বা জেনেটিক কারনেও হয়ে থাকে। সাধারণত গ্লুটামেট, ডোপামিন এবং মস্তিষ্কের অন্যান্য নিউরোট্রান্সমিটারগুলোর মাত্রাগত বিপর্যয়ের কারনেই সিজোফ্রেনিয়া হয়ে থাকে।



__হুম। কিন্তু এখন কি হবে? এই রোগের চিকিৎসা কি আছে?



__এটি যদিও মারাত্মক মনোব্যাধি তবে দুরারোগ্য রোগ নয়। সঠিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা এবং পারিবারিক আন্তরিকতার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে যাবে। তবে আপনার ছেলেকে দেখে যা বুঝলাম আপনারা বেশি দেরি করে ফেলেছেন।



__কি করবো! আমরা তো আগে বুঝতে পারিনি। তবে আমি অনেক আগে থেকেই ওর আচরণের পরিবর্তনটা খেয়াল করেছিলাম। আমলে নেয়নি।



__আসলে না বুঝায় স্বাভাবিক। কারন এটি ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে ফলে আশেপাশের লোকজন তা সহজে বুঝতে পারে না। তবে চিন্তার কারন নাই। নিয়মিত ঔষধ খেলে আশা করি ধীরে ধীরে তার মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারের ইম্ব্যালেন্স ঠিক হয়ে যাবে।



তুহিনের দাদি এতক্ষণ চুপ করে সব শুনছিলেন। এবার তিনি কথা বলে উঠলেন,



__দেখুন ডাক্তার সাব, এসব ঔষধ টুষধ খেয়ে কিচ্ছু হবে না। আমার নাতি রে জ্বীনে ধরছে। গ্রামে নিয়ে ওঝা দিয়ে জ্বীন তাড়াইতে হবে।



__আপনি ভুল বুঝছেন। কোন জ্বীন টীন নয়। এটা একটা মানসিক রোগ।



__জ্বীন না অইলে ঐদিন ওর বিছানায় আগুন ধরাইল কেডা? কাপড়চোপড় কাটলো কেডা? জিনিসপাতি ভাঙচুর করাইলো কেডা? কন দেহি।



__এগুলো সে নিজেই করেছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগী এমন সবকিছুর মুখোমুখি হয় যা সম্পূর্ণ অবাস্তব। বিভিন্ন অদৃশ্য কণ্ঠ এদের কানে সারাক্ষণ ফিসফিস করে কথা বলে। এরা মনে করা জীন পরীর সাথে তার যোগাযোগ আছে। অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী সে। কাছের মানুষগুলোর সাথে খারাপ ব্যাবহার শুরু করে দেই। এমনকি অবস্থা গুরুতর হলে সবার সামনে কাপড় খুলে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করে না।



কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলে গেলেন সাইকিয়াট্রিস্ট জামাল সাহেব। তবে তার কথায় তেমন ভাবান্তর ঘটলো না তুহিনের দাদির। তিনি তার বিশ্বাসেই অনড় থাকলেন। অবশেষে তারা সাইকিয়াট্রিস্টের দিকনির্দেশনা নিয়ে বাসায় ফিরলেন।



৫.

তুহিন বাড়ির ছাদের কিনারা ঘেঁষে বিপদজনক ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। রেলিং বিহীন ছাদ। হালকা রোদের মধ্যে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ভালো লাগার মত একটা পরিবেশ বিরাজ করছে চারদিকে। কিন্তু সেটা তুহিনের উপর প্রভাব ফেলতে পারছেন না। তার নিজেকে খুব একা মনে হচ্ছে। তার মনে হচ্ছে বাড়ির কেউ তাকে ভালবাসে না। সবাই তার শত্রু। এসব ভাবতেই তার অস্থির অস্থির লাগছে। সে ভাবছে বাড়ির সবাইকে মেরে একা একাই থাকবে এই বাড়িতে। এমন সময় হঠাৎ একটা অস্পষ্ট কণ্ঠস্বর শুনতে পেল। সে পেছনে ফিরে তাকাল। আশেপাশে কেউ নাই। তবুও সে বিচলিত হল না। কারন সে এটা প্রায় শুনে। মাঝরাতে আড্ডা দেই এটার সাথে। তার সমস্ত দুঃখের কথা শেয়ার করে। তুহিন কান খাঁড়া করে কণ্ঠটা কি বলছে বুঝার চেষ্টা করল।



__সেটাই কর। তোমার শত্রুদের বাঁচিয়ে রেখে লাভ কি? তাড়াতাড়ি কর। তুমি পারবে।



__ছি! আমি এসব কি ভাবছি। না আমি পারব না। আমার এত কাছের মানুষগুলো কে মারতে পারব না। কখনও না।



__তাহলে তোমাকে মরতে হবে। মরার জন্য প্রস্তুত হও। আমি আসছি। এখনই তুমি মরবে।



কন্ঠটা বিকট শব্দে হাসতে লাগল।



__না, আমাকে মের না। আমি মরতে চাই না। না না… ঠিক আছে আমি মারব সবাইকে। সবাইকে মেরে ফেলব।



হঠাৎ তুহিনের মনে হল কি একটা তার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। সে নিজের অজান্তেই ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে পিছন দিকে পা বাড়িয়ে দিল।

অতঃপর একটা তীব্র আর্তনাদ। কিন্তু বজ্রপাতের শব্দে সে আর্তনাদের শব্দ হারিয়ে গেল।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

ড্রীমার বলেছেন: ভয়ঙ্কর ভাল লাগা......... +

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন বলেছেন: ভয়ঙ্কর ধন্যবাদ...

২| ১১ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন, একটানে পড়ে ফেললাম.........। By the way, সিজোফ্রেনিয়া রোগ হলে কি সত্যিই এধরণের সবগুলো লক্ষণ দেখা দেয়?

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন বলেছেন: হুম। তবে প্রথম প্রথম এ ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায় না। ফলে রোগীর আশেপাশের লোকজন বুঝতে পারে না যে সে একজন মানসিক রোগী। অবস্থা গুরুতর হলে উপরের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।।

৩| ১১ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: মারাত্মক রোগ সিজোফ্রেনিয়া নিয়ে একটি মারাত্মক গল্প।

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:০১

মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।।

৪| ১২ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৬:০২

জাফরুল মবীন বলেছেন: সিজোফ্রেনিয়ার মত একটি জটিল ও ব্যাপক উপসর্গভিত্তিক রোগকে গল্পের মাধ্যমে সহজে ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস অভিনন্দনযোগ্য।

১২ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৬

মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ...

৫| ১২ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

সুমন কর বলেছেন: ভাল লাগল।
গোছানো লেখা।

১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৩

মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম..
ধন্যবাদ

৬| ১২ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


শেষটায় এসে বেশ জমেছে গল্পটা +++

১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৯

মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নিবেন....

৭| ১৩ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২

এইচ তালুকদার বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা।

১৩ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন বলেছেন: ধন্যবাদ। ধন্যবাদ। ধন্যবাদ।

৮| ১৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

সুফিয়া বলেছেন: মনেই হয়নি যে গল্প লিখেছেন। মনে হলো যেন কাছ থেকে দেখা এই ধরনের রুগীর ঘটনা তুলে ধরেছেন।

ভালো লাগা রইল।

১৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

মুহম্মদ ইমাম উদ্দীন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা নিবেন....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.