![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার পড়ে কত বড় ভুল করছেন.?
জবাব নাম্বার ১ :
আমাদের দেশে সেরা চাকরি ধরা হয় বিসিএস ক্যাডারকে। যেখানে একজন বিসিএস ক্যাডার অথবা ভার্সিটির শিক্ষক চাকরির শুরুতে জয়েন করে ৯ম গ্রেডে ( ২২ হাজার টাকা বেসিকে) যেখানে একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী শুরুতেই জয়েন করে ১০ম গ্রেডে।
বিসিএস ক্যাডারদের পরের গ্রেডেই ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জয়েনিং।
আমি বাজি ধরে বলতে পারব, কেবল এবং কেবল ডিপ্লোমা করেই আপনি মাত্র ২০-২২ বছর বয়সেই ১০ম গ্রেডে চাকরি করতে পারবেন। যেটা জেনারেলে স্বপ্নের মধ্যেও সম্ভব না।
এটা ত গেল জয়েনিং এর বিষয়,
৫-৬ বছর চাকরি করার পরই ( মাত্র ২৭-২৮ বছর বয়সে ) একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বেতন প্রথম শ্রেনীর স্কেলে চলে আসে ( ২২ হাজার টাকা বেসিকে) ।
প্রমোশনেও কোনো সীবাবদ্ধতা নেই।
উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ত বটেই যদি বয়স থাকে এই বক্করচক্কর লেখাপড়া দিয়েই একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী নির্বাহী প্রকৌশলী পর্যন্তও প্রমোশন পেতে পারে।
জবার নাম্বার ২:
একটা ইঞ্জিনিয়ারিং মন্ত্রণালয় অথবা প্রতিষ্ঠানে যেখানে ১০ জন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার লাগে সেখানে ১০০ এর উপরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী লাগে।
তাই নিয়োগের সময় বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের চেয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ হয় প্রায় ১০-১৫ গুন বেশি।
জবার নাম্বার ৩:
একদল মানুষ যেখানে ডিপ্লোমাদের ৭-৮ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করবে বলে অবহেলা করছে সেখানে তারা জানেই না যে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাকরির শুরুতেই ৭০ হাজার টাকা মাসিক বেতনেরও চাকরি আছে।
জ্বি হ্যা, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বেশিরভাগ চাকরি ই PGCB, EGCB, DESCO, NESCO, RPCL, GTCL এর মত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
আর এগুলোতে চাকরির শুরুতে একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বেতন পড়ে প্রায় ৭০ হাজারের কাছাকাছি।
কেবল ২২-২৩ বছরের একটা ছেলে তার বয়সের চেয়েও তিনগুন বেশি বেতনের চাকরি করছে, এটা ভাবা যায়? , তাও আবার এই বক্করচক্কর লেখাপড়া দিয়ে..?
জবাব নাম্বার ৪:
অনেকেই দেখে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা ২২-২৩ বছর বয়সে ১০-১২ হাজার টাকা মাসিক বেতনের চাকরিতে ডুকছে , তাই তারা ধরেই নেই যে ডিপ্লোমাদের বেতন ১০-১২ হাজার টাকা ই থাকে। অথচ তারা জানেই না যে ৪-৫ বছর চাকরি করার পর এই ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর বেতনই প্রায় ৩০-৩৫ আপ চলে যায় ( মিনিমামটা বললাম) । যখন তার বয়স থাকে মাত্র ২৬-২৭ বছর। তারপর সময়ের সাথে সাথে অভিজ্ঞতা আর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে ( চাকরি করার পাশাপাশি) এই বেতন বাড়তে বাড়তে কোথায় যায় সে হিসাব না ই বা দিলাম।
জবাব নাম্বার ৫:
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যত বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার আছে তার প্রায় ৮০% ই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা বিদেশ থেকে মোটা অংকের যে বৈদেশিক মুদ্রা ইনকাম করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অবদান রাখছে সে খবর তাদের ধারনারও বাহিরে।
জবাব নাম্বার ৬:
অনেকেই ডিপ্লোমাদের ইন্টারের সমমান বলে অগ্রাহ্য করে, অথচ এসব কূপমণ্ডূকদের ধারণা ই নেই যে, ইন্টার পাশের চাকরিগুলো যেখানে ১৬তম গ্রেডে সেখানে ডিপ্লোমাদের চাকরিগুলো ১০ম গ্রেডে ।
আমাদের সাথে ইন্টার পাশের গ্রেড পার্থক্য ৫,
যেখানে বিসিএসদের সাথে আমাদের গ্রেড পার্থক্য মাত্র ১। [ কুচ ত কমন সেন্স এপ্লাই কার ইয়ার ]
জবাব নাম্বার ৭:
অনেকেই বলে ডিপ্লোমা করে বিসিএস দেওয়া যায় না।
এই বিষয়টা সত্যিই আমার কাছে খুব হাস্যকর লাগে।
আরে ভাই মাত্র এসএসসি পাশ করে একটা ছেলে কলেজে না পড়ে কলেজ লেভেলে ডিপ্লোমাতে ভর্তি হয়। ডিপ্লোমা ত তাদের চূড়ান্ত যোগ্যতা না, ডিপ্লোমা হচ্ছে তাদের ফাউন্ডেশন, যার উপর ভিত্তি করে তারা উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করে। আর মজার বিষয় হচ্ছে, একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পর আবার জেনারেলদের সাথে মিশে যেতে পারে।
শুধু তা ই না, যেখানে জেনারেলরা শুধু জেনারেল ক্যাডারে বিসিএস দেয় সেখানে তারা জেনারেল ও টেকনিক্যাল উভয় ক্যাডারেই বিসিএস দিতে পারে। শুধু বিসিএস না, ব্যাংক, মন্ত্রণালয়সহ সকল জেনারেল নিয়োগেই তারা ডুকতে পারে।
অর্থাৎ, তারা চাইলেই জেনারেল সেক্টরে ডুকতে পারবে, পরীক্ষা দিতে পারবে, কিন্তু জেনারেলরা আমাদের সেক্টরে আবেদনই করতে পারবে না। আর আশার বানী হল বর্তমানে ব্যাংক ও বিসিএসে ডিপ্লোমাদের প্রবেশ চোখে পড়ার মত।
সব কথার শেষ কথা হল, আপনি জেনারেলে বা পাবলিক ভার্সিটিতে পড়লেই যেমন বিসিএস ক্যাডার হয়ে যাবেন না তেমনি ডিপ্লোমা পড়লেই আপনি সফল হবেন না।
পরিশ্রম, ধৈর্য এবং পড়ালেখা ছাড়া কোনো জায়গাতেই সফলতা আসবে না। জেনারেলের স্টুডেন্টরা যেমন পাশ করে অনেকেই বেকার ঘুরতেছে তেমনই অনেক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরাও পড়াশোনা ভাল করে না করার কারনে এবং কাজ না জানার কারনে বেকার ঘুরতেছে ।
দিনশেষে আসলে জয়টা প্রতিষ্ঠানের নয়, পরিশ্রমীদের-ই হয়।
আসলে এই ধরনের স্ট্যাটাস দেওয়ার কোনো ইচ্ছে ই আমার ছিল না।
শুধু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে মানুষের কিছু ভুল ধারণা এবং কোনো শিক্ষাকেই যেন ছোট করে না দেখা হয় সেকারনেই স্ট্যাটাস টা দেওয়া।
শুধু এতটুকুই বলব ; মানুষকে মূল্যায়ন করুন তার মেধা এবং মানসিকতার ভিত্তিতে, কে কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ছে সেটার ভিত্তিতে নয়।
২| ২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:৩৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সবই আল্লাহ পাকের ইচ্ছা।
৩| ২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:২৭
নাসির ইয়ামান বলেছেন: আমার মতোদের আগ্রহ আরো বেড়ে গেলো!
কিছু জানিয়ে গেলেন! ইমরান ভাই,
৪| ২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৫৭
সুমন কর বলেছেন: তাহলে সবাই তো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারই পড়বে !! তবে ব্যাপারটা অনেকটা সত্য। যারা টার্গেট নিয়ে পড়ে শুধু তারাই ভালো করছে। বাকিদের অবস্থা তেমন ভালো নয়। আর বর্তমান পোলাপানদের লেখাপড়ার মান সম্পর্কে তো ধারনা আছে......!!
৫| ৩০ শে মে, ২০১৯ রাত ৩:৩৫
জাহিদ অনিক বলেছেন:
ডিপ্লোমা করা খারাপ কে বলল! ডুয়েট তো বেশ এগিয়ে।
এটা ভালো না সেটা ভালো না, এইসব বাঙ্গালীর অভ্যেস নিজেকে বড় দেখানোর।
৬| ৩০ শে মে, ২০১৯ ভোর ৫:০০
বিষন্ন পথিক বলেছেন: বাংলাদেশী ইন্জিনিয়ার বিদেশে কাজ করে তাদের ৮০% ডিপ্লোমা, এই তথ্য কোন গবেষনা থেকে পেয়েছেন? অন্য কারো ফেসবুক স্ট্যাটাস চোট্টামি কর্সেন নাকি?
৭| ৩০ শে মে, ২০১৯ সকাল ৭:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: বুঝলাম আপনার বক্তব্য।
৮| ৩০ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:০৭
অজানা তীর্থ বলেছেন: দাদা টাইটেলের সাথে লেখার কোনো মিল নাই, আপনিতো আপনার গান শুনানোর জন্যে টাইটেল লিখছেন, আর যে সকল তথ্য দিয়ছেন তার রেফারেন্স টা দিবেন। মনগড়া কথা হলে মানুষ অন্যের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্যে এমন ধরণের টাইটেল ব্যবহার করে।
৯| ৩০ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হুম। বক্তব্যের সত্যতা আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মে, ২০১৯ রাত ১০:১২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সম্পর্কে চমৎকার কিছু তথ্য জানলাম।
ধন্যবাদ নিন।