নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সাধারণ ছেলে

ইমরান আল আতিক

আমি একজন সাধারণ ছেলে ।

ইমরান আল আতিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মোহন written by - Ali Zulfikar

২১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

-বাজান জারজ মানে কি??
কথা শুনে চমকে ওঠে গফুর মিয়া।
-কওনা বাজান জারজ মানে কি??এইডা কি খুব খারাপ জিনিস??
-তোরে এই কথা ক্যাডায় কইলো মোহন??
প্রশ্ন করে গফুর মিয়া।
-ব্যাবাক লোকেই কয়,আইজক্যা রতনের সাথে খ্যালতেছিলাম তহন রতনের বাপ ওরে কইলো চইলা আয়,জারজের সাথে খেলবিনা,যার বাপ মায়ের ঠিক নাই তার সাথে যেন মিশতে না দেহি।
সেদিন কোন জবাব দিতে পারেনি গফুর মিয়া।
রিক্সা চালিয়েই সংসার চলে গফুরের,এটাকে ঠিক সংসার বলা যায় কিনা জানিনা,,মোহনকে নিয়েই শহরের এক বস্তিতে ভারা থাকে সে।কয়েক বছর আগে তার স্ত্রী মারা গেছে,জীবনের পরন্ত বেলায় তাই আর কাউকে জড়ায়নি নিজের সাথে।
হঠাৎ একদিন খুব অসুস্থ হয়ে পরে গফুর মিয়া,,২১ দিনের দিন মারা যায় গফুর,মৃত্যুর আগে মোহনকে সব বলেছিল সে।
-প্রতিদিনের মতই ফজরের নামাজ পড়ে রিক্সা নিয়া বের হয়েছিল,হঠাৎ ড্রেনের পাসে কয়েকটা কুকুরের ডাক শুনে সেখানে গিয়ে দেখে একটা পলিথিনের ব্যাগের মধ্যে অচেতন অবস্থায় একটা শিশুকে,সমস্ত শরিরে ড্রেনের ময়লা,নাকে,কানে,মুখের মধ্যে ড্রেনের কাদা ঢুকে গেছে,তারাতারি করে হাসপাতালে নিয়া সপ্তাহ খানেক চিকিৎসার পর সেই বস্তির ঘরটিতে নিয়ে আসে।সেদিন থেকেই গফুর মিয়ার সাথেই থাকতো মোহন।
সেদিন থেকেই মা শব্দটা প্রচন্ড ঘৃনা করে মোহন।মা কেমন হয় জানেনা সে,এখন আর জানতেও চায়না।
গফুর মিয়ার মৃত্যুর পর একা হয়ে যায় মোহন।রাস্তার পাশে বসে কাঁদতে দেখে এক লোক এসে বলে,
-কিরে কাঁদছিস কেন,বাড়ি কই তোর,নাম কি।
কোন কথারই জবাব দিতে পারেনা ছেলেটা।পরে সেই লোকটি তাকে নিয়ে যায়,,নাহ এবার আর কোন বাড়িতে ঠাঁই হয়নি তার,সেই লোকটা অনাথ আস্রমে রেখে যায় তাকে।
সেখানেই বেড়ে ওঠা।
তখন থেকেই একদম চুপচাপ হয়ে যায়,কারও সাথে কথা বলতোনা,খেলতোনা।
নাহ এখন আর কাঁদেনা সে,কচি হৃদয়ে হয়তো পৃথিবীর অনিয়ম গুলোই ঢুকে গিয়েছিল চরম কঠিন ভাবে,মেনে নিয়েছিল হয়তো সব কিছু।
কেটে গেছে অনেক গুলো বসন্ত,ঋতুর পালাবদলে তার শরিরের পরিবর্তন আসলেও তার মনে কোন রঙ লাগেনি।সমাজের নিষ্ঠুরতা তাকে কোন রঙ চিনতে দেয়নি,তার কাছে জীবনের প্রতিটি দিনই একই রকম,প্রতিটি সকাল,বিকেল রাত সবকিছুই ঠিক আগের মতই।
কিছুদিন আগেই সে পাবলিক ভার্সিটি থেকে লাষ্ট ইয়ার পরিক্ষা দিয়েছে,
লেখা পড়ায় ভাল হওয়ায় অনাথ আস্রম থেকেই ভার্সিটি ভর্তি হওয়া পর্যন্ত তাকে তারা সাপোর্ট দিয়েছে।ভর্তির পর হোস্টেলে উঠে যায়,টিউশনি করে তার খরচ চলে যায়।
টিউশনিতে গিয়ে বাচ্চার মা যখন তার বাচ্চাকে নিয়ে আদর করতো,জোর করে এটা ওটা খাইয়ে দিতো তখন মোহনের ভিষন রাগ লাগতো,প্রচন্ড রকমের আদিখ্যেতা মনে হয় এগুলো।ইচ্ছা করে কষে দুগালে চড় বসিয়ে দিতে।
একদিন মোহন বলেই ফেলে
- দেখেন আন্টি পড়ার সময় ওর কাছে আপনি আসবেন না তাতে ওর মনযোগ নষ্ট হয়।
সেদিন ছাত্রের মা শুধু তার মুখের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে ছিল,বলেনি কিছুই।
ক্যাম্পাসের পূর্ব পাশের ছাতিম গাছের নিচে বসে আছে মোহন,ভার্সিটিতে ভর্তির পর থেকেই এই কয়টা বছর প্রায় প্রতিদিনই এই গাছের নিচে বিকেল টাইমটায় বসে থাকে,খুব ভাল লাগে তার।একমাত্র এই গাছটাকেই তার কেন জানি আপন মনে হয়।
গাছটা কথা বলতে পারলে ভাল হতো,তার কিছু প্রশ্ন জমা আছে মনের ভেতর যেগুলো কাউকে বলা হয়নি কখনও।
হঠাৎ একটা বৃদ্ধ মহিলার ডাকে ফিরে তাকায়,দেখে একজন মহিলা দাড়িয়ে আছে,
-বাবা কিছু টাকা হবে? ওষুধ কিনবো,আমার কাছে ওষেধ কেনার মত টাকা নাই,,
-আমার কাছে কোন টাকা নাই,যান ওদিকে।
মোহনের কাধে হাত দিয়ে মহিলাটি আবার বলে
-বাবা আমিতো তোমার মায়ের মত,দাওনা কিছু টাকা।
মায়ের কথা শুনে মাথায় রক্ত চড়ে যায়,নিজেকে আর সামলাতে পাড়েনা।
ধাক্কা দিয়ে শরিয়ে দিয়ে বলে,কিশের মা?বললাম টাকা নাই,যাও এখান থেকে।
এদের কিছু না বলে সাহস বেড়ে গেছে,কোন সাহসে গায়ে হাত দাও তুমি।
বৃদ্ধা আর কিছু বলতে পারেনা,চোখের কোনে দু ফোটা লোনা জ্বল চিকচিক করে ওঠে।আস্তে আস্তে সেখান থেকে চলে যায়।
রাগে গজ গজ করতে থাকে মোহন,হঠাৎ এক মধ্য বয়সি লোক এসে পাশে বসে,আস্তে করে বলে
-একজন অসহায় মানুষের সাথে এমন ব্যাবহার করতে খারাপ লাগলোনা তোমার??
অসুখ বলেইতো চেয়েছিল না??আজ যদি ওনার জায়গা তোমার মা হতো,,,,,,
মুহুর্তেই মাথায় রক্ত উঠে যায়,
-মা?আচ্ছা মা দেখতে কেমন হয়?এই ছাতিম গাছের মত?যে ছায়া দিয়ে আগলে রাখে??নাকি মরুভুমির মত যে জালিয়ে পুরিয়ে শেষ করে দেয়??
-মানে?কি বলছো এসব।মা কখনো তার সন্তানের জন্য এমন কঠিন হতে পারে??
মা তো হয় নদীর মত,যে নদীতে সন্তানের সকল কষ্ট ভেসে যায়।
-হ্যা ভেসে যায়,তবে কষ্ট না,একটা সন্তান ভেসে যায়।
মা যদি সন্তানের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ আস্রয়ই হবে তবে আমার মা কোথায়??কেন সে জন্মের সাথে সাথেই আমাকে ড্রেনে ফেলে দিয়েছিল??ড্রেনের ময়লা লাগার সাথে সাথেই কেন সেদিন আমার গায়ে জারজ শব্দটাও লেগে গিয়েছিল??
আর বাবা কেমন হয় দেখতে??রাক্ষসের মত?যে তার নিজের সন্তানের প্রানটাই চিবিয়ে খায়।
কি দোষ করেছিলাম আমি,,আমার জন্মটা কেন পাপের হলো?
চাচা বলতে পারেন কেন জীবনের ২৪ টা বছর আমাকে ঠোকর খেতে হয়েছে??যখন স্কুলে পড়তাম তখন সবাই জারজ বলে কেন গালি দিতো?আমার সাথে কেন কেউ বসতোনা??
আমার গায়ে কোথায় অনাথ লেখা আছে?কেন আমাকে অনাথ আস্রমে থাকতে হলো?
বাবা মা ছারা একটা মানুষের জন্ম কি করে হয়??আমি কি আকাশ থেকে পরেছিলাম??
আজ কোথায় তারা??
-সব বাবা মা তো এক হয়না,,তোমার বাবা মায়ের জন্যতো সবাইকে দোষি করতে পারোনা।
-হ্যা পারিনা,আমার যখন অসুখ করতো তখন কেউ আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়নি,সবার বাবা মা যখন তাদের সন্তানকে আদর করে চুমু খায় তখন আমার ভিষন লোভ হতো,ইচ্ছা করতো আমারও আদর পেতে।আমার কি কোন অধিকার ছিলোনা স্বাভাবিক একটা জীবনের?আমার ক্লাসমেটদের বাবা মা যখন বারবার ফোন দিয়ে তাদের খোজ নিতো,ছুটি পেলেই যখন তারা তাদের বাবা মায়ের কাছে চলে যেতো তখন আমি একা একা হোস্টেলে পরে থাকতাম,খুব ইচ্ছে হতো আমারও বাবা মায়ের কাছে চলে যেতে।চিৎকার করে কান্না করতাম একা একা,তখন কেন আমার মা এসে বলেনি কাঁদছিস কেন খোকা এইতো আমি।কেন তার আচল দিয়ে আমায় আগলে রাখেনি??
মাঝ বয়সি লোকটি স্তব্ধ হয়ে যায়,কোন শান্তনার বানী তার মুখে আসেনি।
মোহন আস্তে আস্তে চলে যায় সেখান থেকে,লোকটি সেদিকে তাকিয়ে।
পড়াতে গিয়ে হঠাৎ মোহন বলে
-আচ্ছা রুদ্র তোমার মা কি তোমাকে খুব ভালবাসে??
-কি বোকার মত কথা বলছেন স্যার?বাসেতো খুব ভালবাসে,মা সারা রাত আমাকে জড়িয়ে ধরে রাখে বুকের সাথে।
আপনার মা আপনাকে ভালবাসেনা স্যার??
-হুহ,আমার মা??
পড়ো রুদ্র,বাজে গল্প করার সময় এটা না।
সেদিন আর পড়ায়না বেশিক্ষন,টিউশনির টাকাটা নিয়েই বেড়িয়ে পরে।
আজকে খুব মায়ের আদর পেতে ইচ্ছে করছে,জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদতে ইচ্ছা করছে।
হঠাৎ সেদিনের মহিলার কথা মনে পরে যায়,
মুহূর্তেই এক অপরাধবোধ কাজ করতে থাকে।
এক চায়ের দোকানদারের কাছ জিজ্ঞেস করে সেই মহিলাটিকে চেনে কিনা,,
-হ্যা উনিতো ঐ রেল ষ্টেশনের পাশের বস্তিতে থাকে।
মোহন সেই বস্তিতে গিয়ে খুজতে খুজতেই পেয়ে যায়,মোহনকে দেখেই কেমন অপ্রষ্তুত হয়ে ওঠে।
বিছানা ছেরে উঠতে উঠতেই বলে
-আপনি এখানে কেন,,
মোহন তার হাত চেপে ধরে,
-আমাকে মাফ করে দেন,সেদিন রাগের মাথায় আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি।
মহিলা কিছু বুঝে উঠতে পারেনা,
মোহনের জোরাজুরিতে বলে না বাবা আমি কিছু মনে করিনি,আমাদের এত কিছু মনে করলে চলেনা।
সেদিন অনেক্ষন তার সাথে গল্প করে,খুব ভাল লাগছিল মোহনের আসতে ইচ্ছা করছিলোনা কিছুতেই।
সন্ধা হয়ে আসাতে কিছু চাল,আর ওষুধ কিনে দিয়ে আসে তাকে।
আসার সময় বলে আসে,আবার আসবো আমি।
সেদিন সারা রাত মোহনের এক অজানা ভাল লাগায় পার হয়ে যায়।
এর মধ্যে মোহনের রেজাল্ট দিয়ে দেয়,
সেদিন দুপুরে মোহন আবার সেই বস্তিতে যায়,যাওয়ার সময় মিষ্টি আর কিছু ফল নিয়ে নেয়।
মোহনকে দেখে অবাক হয়ে যায় মহিলা,বলে ওঠে বাবা তুমি ??
-জি মা,আজকে আমার রেজাল্ট দিছে তাই আপনার সাথে দেখা করতে আসলাম।
-মা??এই গরিব রে মা কইতে কষ্ট হইতাছেনা বাজান??
-কি বলেন এসব?আমার আপন বলতে কেউ নেই,আপনাকে যদি মা ডাকি আপনি কি রাগ করবেন??
পরম এক মমত্ব বোধে জড়িয়ে ধরে মোহনকে।
বাচ্চাদের মত কেঁদে ওঠে মোহন।
কান্না দেখে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় মহিলা।
মোহন তার জীবনের গল্প বলে তাকে,চুপচাপ শুনে যায় সে।
হঠাৎ মোহন বলে আজকে যদি আপনার এখানে খেয়ে যাই আপনার কি কষ্ট হবে তাতে??
-মুচকি হেঁসে বলে,কি বলো বাজান পাগলের মত??তুমি এইহানে খাইতে পারবা??
-খুব পারবো।
মোহন সেদিন ওখানেই খেয়ে আসে,।
জীবনে এতো সুখ কোনদিন পায়নি,যতটা এই কদিনে পেয়েছে।
মোহন সময় পেলেই ছুটে যায় সেই বস্তিতে।
হঠাৎই মোহনের চাকরি হয়ে যায়,সেদিন সন্ধায় মোহন আবারও যায় মায়ের কাছে,
মা বলে ডাকতে ভেতর থেকে শাড়া দেয় তিনি, ভেতরে গিয়ে দেখে অসুখ আবার বেড়েছে।মোহন তারাতারি ওষুধ আর চাল কিনে নিয়ে আসে,কিছু খাবারও কিনে আনে বাইরে থেকে।মাকে খাইয়ে দিয়ে আসার সময় বলে,
-মা একটা বাসা নেবো বেতন পেলেই,তার পর তোমারে এখান থেকে নিয়ে যাবো।
-কি কও বাজান,আমি তোমার কে,কেন তুমি ঝামেলা বাড়াইবা নিজের??আমি যাইতে পারুমনা।
-ক্যান মা আমি কি তোমারে সুখি রাখতে পারবোনা??নাকি সবার মত তুমিও অনাথ জারজ বলে তাড়িয়ে দেবে??
বলতে বলতে কেঁদে ফেলে মোহন।
মাথায় হাত দিয়ে বলে
- এমনে কও ক্যান বাজান?মা কি তার সন্তানরে এই বাজে কথা কইতে পারে??
-তাইলে বলো তুমি যাবে আমার সাথে??
-আইচ্চা বাজান সে দেহা যাইবো।
খুশি মনে সেদিন ফিরে আসে মোহন,
অফিসের ব্যাস্ততা আর বাসা খুজতে গিয়ে পাঁচ দিন যাওয়া হয়নি,আজকে বেতন পেয়েছে।
বেতন পেয়েই মার্কেটে যায়,সেখান থেকে একটা গোলাপি রঙের শাড়ি কিনে হাটতে থাকে বস্তির দিকে।
আজকে মোহনের সবচেয়ে সুখের দিন।আজকে সে তার মাকে নিয়ে আসবে।
ছেড়া শাড়িতে কি আর মাকে আনা যায়??নতুন শাড়ি পরিয়ে মাকে নিয়ে আসবে,
মা যে কত খুশি হবে,ভাবতে ভাবতে বস্তির সামনে এসে দাড়ায় মোহন।
অনেক্ষন ধরে ডাকার পরেও কোন শাড়া পায়না,হঠাৎ এক মহিলা এসে বলে,
-কারে খুজতাছেন??
-এই,এই ঘরের উনি কই??অনেকক্ষন ডাকছি কিন্তু শাড়া পাচ্ছিনা।
-জমিলারে খুজতাছেন??সেতো কাইলক্যা দুপুরে মইরা গ্যাছে,আপনার নাম মোহন??মরার আগে আপনারে একবার দ্যাখবার চাইছিল।
বলে মহিলা চলে যায়।
মুহূর্তেই মোহনের মাথায় আকাশ ভেঙে পরে,চারপাশটা কেমন থরথর করে কেপে ওঠে।
এক বুক শুন্যতায় ছেয়ে যায় মনের মাঝে।
চোখ ফেটে অশ্রু গড়িয়ে পরতে থাকে,কোন ভাবেই সামলাতে পারছেনা নিজেকে।কি করে থাকবে নতুন বাড়িতে?কথা দিয়েছিল মাকে নিয়ে যাবে সে,কথা রাখতে পারেনি মোহন।
হাত থেকে শাড়িটা পরে যায়,,
উদাস চোখে চেয়ে থাকে শুন্য ঘরটার দিকে,,
একাকিত্ব আবারও গ্রাশ করেছে মোহনে।
শুন্য দৃষ্টি মেলে হাঁটতে থাকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

কানিজ রিনা বলেছেন: চোখে পানি নিয়ে ভাল লাগল গল্প। ধন্যনাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.