![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেহের ভেতর মাত্র তিন পাউন্ড ওজনের মস্তিষ্কের ওজনের গঠন সবচেয়ে জটিল এমনকি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট আবিষ্কার কম্পিউটারের চেয়ে হাজার হাজার কোটি গুণ জটিল। ডাক্তার ওয়াল্টারের মতে বৈজ্ঞানিক প্রনালীতে মানুষের মতো সমান ক্ষমতার একটি বৈদ্যুতিক বা এটমিক মস্তিষ্ক তৈরি করতে চাইলে পনের শত কোটি কোটি টাকারও বেশি প্রয়োজন হবে। সংখ্যাটিকে অংকে লিখলে দাড়ায় ১৫০০,০০০০০০০,০০০০০০০ টাকা। অর্থাৎ যে পরিমান টাকা দিয়ে বর্তমান সময়ের অত্যাধুনিক প্রায় দশ হাজার কোটি কম্পিউটার কেনা সম্ভব। এই মস্তিষ্ককে চালাতে এক হাজার কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুত এর প্রয়োজন হবে। প্রতিদিন চালু রাখার জন্যে প্রয়োজন হবে রাঙ্গামটির কর্ণফূলীর কাপ্তাইয়ের মতো তিন হাজার আড়াইশত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামগ্রিক উৎপাদন। এই যান্ত্রিক মস্তিষ্কের আয়তন হবে আঠারোটি একশ তলা বিল্ডিং এর সমান । আমাদের মাথার মস্তিষ্কের উপর সাদা সাদা ঢেউ এর মতো অংশকে বলে করটেক্স। স্তরে স্তরে বিন্যস্ত এই করটেক্সকে সমানভাবে সাজালে এর আয়তন হবে দুই হাজার বর্গমাইলের বেশি। প্রায় বলতে গেলে ব্রুনাই দেশের সমান। ১৪০০ কোটি নিরপেক্ষ জীবকোষকে নিউরন বলা হয়। এগুলি এতই ক্ষুদ্র যে কয়েকশত একত্রে একটি আলপিনের সূচালো মাথায় স্থান নিতে পারে। প্রতি সেকেন্ডেই শত শত হাজার হাজার নিউরন এসে ব্রেইনের প্রাথমিক স্তরে জমা হতে থাকে। এরা একেকটি ইলেকট্রনিক সিগন্যাল যা শরীরের বিভিন্ন অংশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং মূল নিয়ন্ত্রনের আদেশ অতি দ্রূত হাজার হাজার কোটি শরীরের কোষে ছড়িয়ে দেয় ।মস্তিষ্কের এই সকল প্রতিক্রিয়া অনেক সময় সেকেন্ডের দশ লক্ষ ভাগের মাত্র একভাগ সময়ে ঘটতে পারে। আমাদের দেহের মেরুদন্ডের মাধ্যমে নিউরনগুলি সারা শরীরের যন্ত্রপাতিগুলোকে সজিব ও তৎপর রাখে। এগুলির আবার অনেক স্বতন্ত্র বিভাগ রয়েছে যার সংখ্যা প্রায় ২৫০ টি। যেমন কোন অংশ শোনার জন্য, কোন অংশ বলার জন্য, কোন অংশ দেখার জন্য, আবার কোন অংশ অনুভূতিগুলিকে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল টাওয়ারে ট্রান্সমিট করার জন্য ব্যস্ত থাকে। এতে আবার বসানো হয়েছে একটি স্বয়ংক্রিয় শক্তিশালী মেমোরি সেল। যার কাজ হলো নিত্য নতুন সংগ্রহগুলিকে যথাযথভাবে সংরক্ষন করা এবং প্রয়োজনের সময় তাকে রি ওয়াইল্ড করে মেমোরিগুলিকে সামনে নিয়ে আসা্ । এই স্মৃতি সংরক্ষনশালা প্রতি সেকেন্ডে ১০ টি নতুন বস্তুকে স্থান করে দিতে পারে। পরম আশ্চার্য্য হওয়ার বিষয় হচ্ছে পৃথিবীর সর্বকালের সর্ব প্রকারের যাবতীয় তথ্যকে এক জায়গায় একত্রে করে যদি এই মেমোরি সেলে রাখা যায় তাতে এর লক্ষ ভাগের এক ভাগও পূরন হবে না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই জটিল মস্তিষ্কের কাঠামো কে ???? তৈরি করলো এতো সূনিপুন ভাবে। যারা বলে স্রষ্টা বলতে কেউই নাই নাই তারা কি ভেবে দেখে না ???
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ফাবি আইয়্যেআ লাই রাব্বিকু মা তুকাজ্জিবান - তোমরা আল্লাহর কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে????
হে মহান সৃষ্টিকর্তা , মহান প্রতিপালক, পরম দয়ালু অসীম দয়াময়, আমাদের বিনা চাহিদা, বিনা আবেদনে এতবড় শ্রেষ্ঠতর নিয়ামত দিয়ে আমাদের সৃজন করেছেন। আপনার দরবারে অনন্ত অসীম শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা। আমাদেরকে এর সঠিক ভ্যবহারের মাধ্যমে আপনার কৃতজ্ঞ বান্দা হবার তৌফিক দান করুন। এবং মানবতার কল্যানে, বিম্বা শান্তি ও সমৃদ্ধির কল্যানে সকল শুভ সুন্দর ও সৃষ্টিশীলতায় এর ব্যবহারের মাধ্যমে আমি যেন আমার প্রাপ্তির সর্বোত্তম ব্যবহার ঘটাতে পারি সে তৌফিক দান করুন।
নিশ্চয়ই আপনি অমূখাপেক্ষি, পরম দয়ালূ দাতা।