নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্তি নাই

ইমরান সামি ব্লগ

নাচন কুদন..অলস জীবন

ইমরান সামি ব্লগ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর মর্যাদা নারীকে শিখাবে কে?

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩৭


নারীকে মা জাতী ডাকার কারন কি? তাঁদের দ্বারা সন্তান প্রজনন হয় সে কারনে?শুধু নারীর একক ক্ষমতায় কি প্রজনন সম্ভব? সকল পুরুষকেতো বাবা জাতী বলা হয়না। তাহলে, নারীকে স্ত্রী জাতী ডাকলে কেউ অযুক্তিক বলবেন কিভাবে! অথবা মেয়ে জাতী ওতো হইতে পারে।
কথা হচ্ছে, মায়ের যেমন সম্মান আছে তেমনি স্ত্রীরও তার স্থলে নির্দিষ্ঠ একটা সম্মান আছে তেমনি মেয়েরও। একজন নারী একাধারে মা, স্ত্রী এবং কন্যা তিনটাই হতে পারেন। সে হিসেবে মায়ের মর্যাদা সর্বাধিক বলে পুরো নারী জাতীকে মা জাতি হিসেবে গন্য করা হয়। মুল বিষয় হচ্ছে এই ডাকাডাকির মধ্যে কোন সম্মান নিহিত আছে কিনা। যার যার স্থলে নারীকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দেয়াইতো আসল ব্যাপার। কিন্তু সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীর প্রতি অসম্মান, বঞ্চনা ও নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র আমরা দেখি। নারীর প্রতি ধিকৃত এসব আচরনের খবরা খবর খুবদ্রুততরই সবার কাছে পৌচে যায়।কারন সমাজের একটা লেভেলে সত্যিকারার্থে নৈতিক মুল্যবোধ জাগ্রত আছে। এদের উদ্দেশ্য থাকে নারীর প্রতি এহেন অপ্রীতিকর আচরন যাতে আর না করা হয়। সে জন্য তারা ভালো করে এসব খবরাখবর প্রচার করে থাকেন এবং ন্যায্য বিচার চান। প্রক্ষান্তরে এসব খবরকে পুঁজি করে অসাধুরা অনৈতিকতার পথকে সুগম করার জন্য কল্পিত অনেক ইতিহাস রচনা করে থাকেন, যেসবের দ্বারা সরলা নারীদেরকে নিজেদের কাছে টানা যায়। রঙিন দুনিয়ায় নারীর পদচারনা নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পিত বয়ান দিয়ে নারীকে প্রলুব্দ করার নগ্ন প্রয়াস চালায় তারা।

বর্তমান প্রযুক্তি বিকাশের আগে এদেশের নারী জাতির এরকম অধঃপতন ছিল না। তবে দোষ দিচ্ছিনা প্রযুক্তির। প্রযুক্তিকে সেই অসাধুরাই জুতসই ভাবে কাজে লাগাচ্ছে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে মূল্যবোধের ধারক বাহকরা। কারন প্রযুক্তির ব্যাবহারকে শুরুতেই তারা ভয়ঙ্কর কালসাপ ভেবে এটাকে বর্জনের ভুল রাস্তায় হেঁটেছিলো।
নারী সমাজের আগেকার সেই শালীনতাবোধ এখন আর নাই। চলছে আধুনিকতার নামে নারীদের শালীনতা থেকে বের করে এনে বাণিজ্যিক পণ্যে রুপান্তর করার রমরমা প্রতিযোগীতা। পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে অবাধে চলছে নারীদের অবাদ ব্যবীচার । কিছু কিছু মহল থেকে নারীদের যৌন বাণিজ্যকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চলছে । আজকাল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকৃত মস্তিষ্কজাত শিক্ষকেরাও তাদের ছাত্র ছাত্রীদের রোমান্টিক ভালবাসায় জড়িয়ে পরার জন্য উৎসাহিত করে থাকে যাহা পাশ্চাত্য সভ্যতার নগ্ন অনুকরন ।

প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে, নৈতিক অবক্ষয়ের চরম পর্যায়ে পৌচে গেলে একটা জাতির যেরুপ পরিনতি হওয়া দরকার আমরা আস্তে আস্তে সে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌচে যাচ্ছি- কেউ কেউ বলবেন লক্ষ্যে পৌচে গেছি।

(ফেসবুকে ২৪ ঘন্টা আগে পোস্ট করছিলাম। নাও সামুতে দিলাম। সেখানে ভালোই সাড়া পাইছি।নতুন লিখছি,তাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.