নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
ভূমিকা: বিশেষ করে ইংরেজ থেকে স্বাধীনতা পাবার পর; ভারত আর পাকিস্তান দুইটি দেশ হলো। আমরা ছিলাম পাকিস্তানের অধীনে। কোন একদিন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোসনা করেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা। এই মধ্যে উপস্থিত ছাত্র জনতা এর কিছু অংশে জিন্নাহের এই রায় এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলন আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। ছাত্রদের সাথে আম জনতাও সামিল হতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ১৪৪ ধারা অমান্য করে; ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এর সামনে দিয়ে মিছিল করতে থাকে একদল আন্দোলনকারী। এই মিছিলের দিকে গুলি করে একদল পুলিশ। সেই গুলিতে শহীন হন রফিক, জাব্বার, সালাম, বরকত এবং আরো অনকে। আসুন, আমরা তাদের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যাতে তারা শান্তিতে থাকেন।
০১। বাংলা ভাষাতে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। এটা কি ইলেকট্রনিক ডিবাইসের জন্য কি না জানি না। তবে মাতৃভাষাতেই কথা বলাটা কত মধুর সেটা বুঝাতে পারবো না। আবার বাংলা অক্ষরে অনলাইনে লেখা যে কত মজা লাগে তা বলে বুঝাতে পারবো না।
অনেকে দেখেছি “I'm eating rice” এর পরিবর্তে "AMI BHAT KAHCCAY" লেখে। আমার একটা প্রশ্ন "AMI BHAT KAHCCAY" এর পরিবর্তে “I'm eating rice” লিখলে অসুবিধা কই? বা “আমি ভাত খাচ্ছি” লেখলেই হয়। নিজেকে ইংলিশ ম্যান প্রমান করার জন্য "AMI BHAT KAHCCAY" লেখে। অনেক সময় ইংরেজি অক্ষরে যারা বাংলা লেখে তাদের কে আর কি বলবো। অনেক সময় লেখাটি উচ্চারণ করতে দাত ভেঙ্গে যায়।
০২। পাকিস্তানের সরকার আমাদের উপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিতে চাইছিলো। কিন্তু আমরা তা গ্রহন করি না। কিন্তু হিন্দী নাটক দেখে আমরা ঠিকই হিন্দি তে কথা বলতে পারি। আমি একদিন সুপার সপে গেছিলাম। সেখানে একবাচ্চা হিন্দী তে কথা বলছিলো। কিন্তু তার বাপ ঠিকই বাংলা ভাষায় কথা বলছিলো। তার মানে পাকিস্তান আমাদের উর্দু চাপিয়ে দিতে পারে নি। কিন্তু ভরত আমাদের হিন্দী শিখিয়ে দিয়েছে।
০৩। বাংলা ভাষার বিকাশ ১৩০০ বছর পুরানো। সম্ভবত বঙ্গকামরুপী থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি। আবার বঙ্গকামরুপি আবর ইন্দো ইউরোপীয় ভাষা পরিবার এর অন্তর্গত।
এই প্রাচীন ভারতে অনেক সম্পদ ছিলো। তাই এই দেশে অনেক দেশ থেকে বণিক এসেছিলো। তাদের সংমিশ্রণে আমাদের ভাষাতেও অনেক বিদেশী ভাষা প্রবেশ করেছে। যেমন চেয়ার, আনারস, বেহেস্ত, চাকর, বাদশা ইত্যাদি।
যাই হউক। আমরা এক ভাষার সাথে আরেক ভাষা ঢুকাবো না। বাংলা অক্ষরে বাংলা ভাষা লেখবো।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১১
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ভালো লিখেছেন। সমর্থন করছি।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১২
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪১
নাজিম সৌরভ বলেছেন: বাংলা অক্ষরে বাংলা লিখতে পারছি, এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যপার।
সুন্দর লিখেছেন।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:৪৬
সোনাগাজী বলেছেন:
ভুমিকা থাকলে, কমপক্ষে উপসংহার তো থাকতে হয়; গরুর রচনা ভুলে গেছেন?
৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলায় লিখতে পারি, বলতে পারি এটা অনেক শান্তির। আনন্দের।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৭
জ্যাকেল বলেছেন: কাক নাকি ময়ুরের পুচ্ছ লাগিয়ে সুন্দর্য বাড়াইতে চাইছিল। ইহাতে তাকে যে আরো বেদখত লেগেছে সেইটা বুঝতে তার ঢের সময় লেগেছিল। আমাদের কাউয়ারা ইহা জীবনের শেষ সময়ে আইসাও বুঝিবে কি-না কে জানে।