নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বন্ধু মহল।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫০



আমাদের জীবনে সহপাঠী বা বন্ধু হচ্ছে একটি গুরুত্বর্পূন বিষয়। বন্ধু আমাদের জীবনে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্কুলের বন্ধুদের সাথে প্রায়ই দেখা হয়। দূরে থাকলেও ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়। আর ইন্টারের বন্ধুদের সাথে তেমন যোগাযোগ হয় না। ওদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে বললেই চলে। অনার্স এর সহপাঠীদের সাথে দুই এক জনের সাথে ম্যাসেজ্ঞারের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় বটে।

আমি এসএসসি দেই নানী বাড়ি থেকে। স্কুলেও যেতাম নানী বাড়ি থেকে। থাকতাম ও নানী বাড়িতে। স্কুল জীবনের একজন সহপাঠী ছিলো নাম নূরে আলম। তারা বাসা ছিলো আমার নানী বাড়ির সাথেই। বলা যায় সে ছিলো আমার প্রতিবেশী কাম ক্লাস মেট। নাইন টেইনে ওর সাথে সম্পর্ক ছিলো ভালই। এখনো নানী বাড়িতে গেলে হাই হ্যালো করে। ২০১৩ সালে ইন্টার পরীক্ষার পর তার লাইন আর আমার লাইন আলাদা হয়ে যায়। আমি ২০১৪ সালে অনার্সে সোনারগাওঁ সরকারি কলেজে ভর্তি হই। ফ্রেন্ড সার্কেল চেইজ্ঞ হয়ে গেলো। উল্লেখ্য এই সোনারগাঁও সরকারি কলেজটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা সোনারগাওঁ নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত।

অনার্সে আমার ফ্রেন্ড সার্কেল ছিলো তিনটি। সোহেল (সোনারগাওঁ), আমি আর বিল্লাল ছিলো এক গ্রুপ। সোহেল (মেঘনা), সোহেল আর আমি। আরেটি গ্রুপে ছিলো আমি, রায়হান, আর মহিউদ্দিন ভাই। ১ম বর্ষে ৬০ জনের মধ্যে ছাত্রের মধ্যে ৫০ থেকে ৫৫ জনের মত ক্লাস করতাম। ২য় বর্ষে গড়ে ২০ জন ক্লাস করতাম। ৩য় আর ৪র্থ বর্ষে আমি আর মহিউদ্দিন ভাই ক্লাস করতাম। মহিউদ্দিন ভাই আর আমি ছিলঅম এক গ্রামেই। তাই শেষ পর্যন্ত মহিউদ্দিন ভাই আর আমার সম্পর্ক অটুট থাকে। মহিউদ্দিন ভাই আর আমি একসাথে ক্লাসে যেতাম। একসাথে পরীক্ষা দিতে যেতাম। বাড়িতে ফিরতাম ও একসাথে।

অনার্স পরীক্ষা শেষ। মাষ্টার্স এ আমি সরকারি তোলারাম কলেজ (নারায়ণগঞ্জ) আর মহিউদ্দিন ভাই তেজগাঁও কলেজে ভর্তি হই। তখনও আমাদের সম্পর্ক অটুট থাকে। মাঝে মহিউদ্দিন ভাই বিয়ে করে ফেলে। আমিও বিয়ে করে ফেলি। আমাদের দুইজনের শ্বশুড় বাড়ি ছিলো দাউদকান্দি উপজেলা, কুমিল্লাতে। মহিউদ্দিন ভাই এর সংসার ভেঙ্গে যায় ২০২২ সালের রমজান মাসে আর আমার সংসার ভাঙ্গে ১৯ জুন ২০২২ সালে। যার দরুন আমরা দুইজনে ট্রমায় ছিলাম এবং আমাদের মধ্যে তেমন যোগাযোগ হয় নি। তবে মেঘনার সোহেল, সোনারগাঁও এর সোহলে, বিল্লাল এই সার্কেল আবার একটিব হয়। অনার্স পরীক্ষার শেষে আমার ফ্রেন্ড সার্কেল পরিবর্তন হয়। এলাকার কিছু মুরব্বি বা যুবক বা কিছু ছোট ভাই মিলে ছিলো এক সার্কেল। যেমন এলাকার দোকানদার আপন ভাই। এলাকার শাহজালাল ভাই। হান্নান ভাই। আরো অনেকে।



আমরা এসব বন্ধুরা না হয় এলাকা ভিত্তিক। বছরে দুই ঈদে অনন্ত দেখা হবে। আল্লায় চাইলে বছরে একবারও দেখা হতে পারে। যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এসব প্রতিষ্ঠানে সারা বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী আসে। এদের মাঝে যে ফ্রেন্ড সার্কেল গড়ে ওঠে চার বছর পরে তো একে উপরের সাথে বিচ্ছেদ ঘটে। ৪ বছর পরে এরা এক এক লাইনে চলে যায়। ৫ বছর বা ১০ বছর পরে একবার হয়তো দেখা হয়। অনেক সময় তো দেখাও হয় না। এখন না হয় ফেসবুক। ম্যাসেজ্ঞার আছে। যথন ইন্টারনেট সহজলভ্য ছিলো না তাদের কি হবে। তারা তো শুধু বন্ধুদের স্মরণে জীবন পার করে দেয়।

আর সবচেয়ে ভালো হয় স্বামী স্ত্রী এর মাঝে বন্ধত্বপূর্ন সম্পর্ক থাকলে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৬

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: Nice.

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার বন্ধুদের সম্পর্কে জানলাম। ব্লগে আমরাও আপনার একটা বন্ধুচক্র।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮

নাহল তরকারি বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৩

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমার একজনই বন্ধু। এইচএসসি এর সময় একজনের পিছে লেগে থাকতাম, তাকে চ্যাতানো খুব সহজ ছিলো। সেই এখন আমার একমাত্র বন্ধু।

স্কুলের বন্ধুরা এলাকার হলেও কারও সাথে যোগাযোগ নাই।
কলেজের কাউকে তেমন মনে পড়ে না।
ভার্সিটির গুলা বদের হাড্ডি, প্রেম ভালোবাসা নিয়ে নিজেদের গ্রুপেই আলাদা গ্রুপিং হয়ে কেউ কাউকে পছন্দ করে না।
চাকরীর সুবাদে পাওয়া বন্ধু গুলি চাকরীর পর শেষ!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৯

নাহল তরকারি বলেছেন: চাকরী পাওয়ার পর তারা কেমন যেন দূরে চ্যেল যায়।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৭

ধূসর সন্ধ্যা বলেছেন: স্কুলের বন্ধুরা সব সময় সব থেকে কাছের হয় ।

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩০

অশুভ বলেছেন: আমার ক্ষেত্রে আপনার উল্টোট হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সাথেই এখনো যোগাযোগ আছে। প্রায় প্রতিদিনই কারো না কারো সাথে ম্যাসেঞ্জারে কথা হয়। অব্শ্য গ্রামে গেলে প্রাইমারী ও হাইস্কুল জীবনের অনেক বন্ধুদের সাথেও আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়। জীবনে বন্ধুদের গুরুত্ব অপরিসীম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.