নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের গজারিয়াতে মুক্তিযুদ্ধ সময়ে কিছু কথা।

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫



আমার লেখাতে বানান ভুল হলে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ব্যাকরণ সংক্রান্ত কোন ত্রুটি থাকলেও সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সাজিয়ে গুছিয়ে লেখার দক্ষতা কম। তাই আগে থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।


আমার নানা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমার নানা মৃত্যু বরণ করেন ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে। তখন আমি এসএসসি পরীক্ষার্থী। আমার নানীর কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছি অনেকবার। আর নানার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছি একবার। এখন যদি নানা বেচে থাকতেন; তাহলে হয়তো আরো বিস্তারিত বর্ণনা সহিত শুনতে পারবতাম। এবং আপনাদের সাথে সেটা শেয়ার করতে পারতাম।

মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার নানা ভারতে যান। ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার নানার বাড়ি ছিলো হোগলাকান্দি গ্রামে। নানা বলেন এই ভাটেরচর ব্রীজে রাজাকারেরা ডিউটি করতো। এখানে রাজাকারদের চেক পোস্ট ছিলো। তাদের টাকা পয়সা দিলে বেশী আতাআতি করতো না।

আমি যখন ট্রেনিং এ ছিলাম তখন একটি দলকে কোন এক স্থানে মিশনে পাঠায়। কিছু অস্ত্র ও হাতিয়ার দিয়ে। সেদিন চেক পোস্টে রাজাকার ডিউটিতে ছিলো না। তখন সেখানে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ডিউটি করছিলো। রাতের বেলা অস্ত্র বোঝাই একটি নৌকা এই ব্রীজ দিয়ে যাচ্ছিলো। একটা বেডায় সিটারেট খাচ্ছিলো। পাকিস্তানী হালারা এতটাই দক্ষ ছিলো যে সিটারেটের আলো কে নিশানা করে গুলি করে। আর একটি মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়। পরে আমরা আমাদের ট্রেইনার কে জিগাইলাম। এটা কিভাবে হলো। আমাদের ট্রেইনার বলে “এরা তো প্রশিক্ষিত সেনা সদস্য। ও অভিজ্ঞ সেনা সদস্য হবে। আর কেউ হয়তো পাকিস্তানের সেনাদের আগেই জানিয়ে দিয়েছিলো যে এই দিক থেকে মুক্তিযোদ্ধারা যাবে।”

উল্লেখ্য যে মুক্তিযুদ্ধের সময় অধিকাংশ ব্রীজ ভেঙ্গে দেয়া হয়। তার মধ্যে আমাদের ভবেরচর এর ব্রীজ অন্যতম। একদল তরুন ঐ ব্রীজের নিচে গিয়েছিলো। দেই দলে আমার এক বন্ধুর বাবা ছিলো। হঠাৎ একদল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এসে পড়ে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী দেখে তারা পালিয়ে যায়। এবং গোরস্তানে পালিয়ে যায়। এই গোরস্তানে সৌভাগ্যক্রমে আমার বন্ধুর বাবা বেচে চায়। আর বাকি সবাই পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে শহীদ হয়।

আজ এই পযর্ন্তই। আমার নানীর মুখ থেকে শোনা গল্প আরেকদিন শেয়ার করবো।



চিত্র: ভবেরচর ব্রীজ, ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে সংলগ্ন, গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ। গুগল পজিশন: 23.560330687354448, 90.65439495065954

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: মুক্তি যুদ্ধের সময়কার ছবিটা অকটা দুর্লভ ছবি।

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:



ব্রীজস হ যেই রাস্তার ছবি দিয়েছেন, এই রাস্তার নাম কি? ব্রীজ কি খালের উপর, নাকি নদীর উপর?

আপনার নানার যুদ্ধের সাথীরা কি জীবিত আছেন

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

নাহল তরকারি বলেছেন: এই ব্রীজটি একটি খালের উপরে। আমার নানার সহ যোদ্ধারা এখনো বেচে আছেন। এর মধ্যে একজন অসুস্থ। অন্যজন ঢাকাতে থাকেন।

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

নাহল তরকারি বলেছেন: রাস্তার নাম ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক। উত্তরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাওঁ উপজেলা। দক্ষিণে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা। পূর্বে কুমিল্লার মেঘনা ও তিতাস থানা। পশ্চিমে মুন্সীগঞ্জ সদর।

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বানান ভুল অনেকটাই কমেছে, তবে এখনো আছে। আপনার লেখার হাত আসলেই কাঁচা। আপনি অন্যদের লেখাগুলি বেশী বেশী পড়তে শুরু করেন।

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি এখন কি গজারিয়াতে আছেন? ঐ েলাকায় চাষবাস হয়?

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

নাহল তরকারি বলেছেন: আমি এই মুহুর্ত্তে গাইবান্ধা জেলাতে আছি। আমাদের গজারিয়া তে মেইল ফ্যাক্টরি হবার পর চাষাবাদ কমে গেছে। ২০১০ সালেও আলু লাগাতো। ধান লাগাতো। ২০১৫ সালের পর কাউকে তেমন চাষাবাদ করতে দেখি না। সবাই মেইল ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০২

সোনাগাজী বলেছেন:



কল-কারখানা হওয়ার পর, চাষের জমি কি অনাবাদী পড়ে থাকে?

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২০

নাহল তরকারি বলেছেন: আমাদের সাতকাহনিয়া গ্রামে চাষের জমিগুলোতে ঘাস জমে আছে।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:০২

স্মৃতিভুক বলেছেন: আপনার লেখা পড়তে ভালোই লাগে আমার। কোনো ভনিতা নেই, সহজ বাক্য জটিল করে লেখার কোনো প্রবণতা নেই....মাটির গন্ধ পাই আপনার লেখা পড়লে।

আপনি এখন যেভাবে লিখছেন, সেভাবেই লিখে যান। কি দরকার, তথাকথিত বুদ্ধিজীবী কিংবা সুলেখকদের অনুকরণ করার! আপনি আপনাকেই অনুকরণ করুন, কখনো অন্য কাউকে নয়।

আপনার জন্য শুভকামনা সবসময়েই থাকবে। বুদ্ধিমান, কৃত্রিম মানুষ দেখতে দেখতে যখন ক্লান্ত, আপনি তখন আমার কাছে ভেজা মাটি আর গাছপালার গন্ধ নিয়ে আসেন।

ধন্যবাদ, নাহল।

০৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: গজারিয়া সমৃদ্ধ এলাকা।

০৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০১

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.