নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
আমি কিছু মুরগি কিনে রেখেছিলাম। একটা মোরগ ও ছিলো। একটি মুরগি ডিম নিয়ে বসে আছে। আরেকটি মুরগির দুইটি বাচ্চা ফুটেছে। বাড়ির আঙ্গিনায় সিম গাছ, ধুন্দুল গাছ আর লাউ গাছ ছিলো। সামনে লাল শাক, পুই শাক, ডাটা লাগানোর নিয়্যাত আছে। এখানে ৫টা মুরগি। প্রতি কেজি মুরগরির দাম ২০০ টাকা কেজি। একটা মুরগি ১ কেজি ধরলাম। পাঁচটা মুরগি ৫ কেজি। মানে এই ছবিতে ১০০০
টাকার সম্পদ আছে।
আমাদের মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা তে এক সময় আলুর ব্যাপক চাষ হতো। অসময়ে বৃষ্টি তে অনেক আলু চাষী কে কান্না করতে দেখেছি। অনেক সময় আলু চাষ করে চাষীদের লাভবান হতে দেখেছি। আমাদের মুন্সীগঞ্জ ছাড়াও বগুড়াতে আলু চাষ হয়।
নরসিংদীতে যেমন নানা পদের তরকারি চাষ হয়, আমাদের গজারিয়াতে তেমন নানা রকম তরকারির চাষ হয় না। কেউ যদি বাড়ির আঙ্গিনাতে ব্যাক্তিগত ভাবে চালকুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, সিম লাগায়, সেটা অন্য হিসাব। সেখানে কোন ব্যাবসায়িক নিয়্যাত থাকে না। মনে করেন আপদকালীন সময়ের চালানোর জন্য বাড়িতে কিছু শাক সবজি চাষ করে।
আমাদের এখানে আগে খুব ধান চাষ করা হতো। মাঝে মাঝে গমও চাষ করা হতো। আমার বন্ধুর বাপ, যে সৌভাগ্যক্রমে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাত থেকে বেচে যায় (আগের পোস্টে মনে হয় বলেছিলাম) তাকেও একবার গম চাষ করতে দেখেছি।
আমাদের গ্রামে (ভবেরচর) এ তিতাস গ্যাস যায় ২০০৯ সালে। এর আগে জ্বালানি হিসেবে ধৈঞ্চা এর প্রচলন চিলো বেশী। মানে ধৈঞ্চা মাটির চুলাতে ঢুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যাবহার করতো। মুরব্বিরা হয়তো মাটির চুলা চিনবে। আমিও মাটির চুলার রান্না খেয়েছি। খুব মজা। যাই হউক। ২০০৮ সালেও এই ধৈঞ্চা চাষ করা হতো। এখন গ্যাস আসার পর ধৈঞ্চা কেউ চাষ করে না। ধৈঞ্চা চাষ করা হতো বর্ষা কালে, যখন বৃষ্টির পানিতে ক্ষেত সব ডুবে যেতো।
আমাদের এখানে আগে ধান চাষ করা হতো। শীতে শরিষা, ক্ষিরা, শসা ইত্যাদি চাষ করা হতো।
২০১৩ সালের পর কাউকে চাষাবাদ করতে দেখি না। আমাদের ভবেরচর ইউনিয়ন এর অধিকাংশ জমি অনাবদি পড়ে থাকে। সবাই মেইল ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে। লেবার/হেল্পার পাওয়া মুশকিল। এবার লেবার ভাড়া করে জমি বর্গা নিয়ে কিছু না কিছু আবাদ করার চেষ্টা করবো।
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৩৩
স্মৃতিভুক বলেছেন: প্রথম ছবিটা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। সেই ছোট্ট মফস্বল শহর, শ্যাওলা ধরা, মাঝে খসে পড়া ইটের দেয়াল। একতলা একটা রংহীন বাড়ি। বিকেল বন্ধুর সাথে গলা ধরাধরি করে হাঁটতে বের হওয়া। বাড়ির ছাদে বিকেলে ঘুড়ি উড়ানো।
চিলেকোঠায় প্রথম লুকিয়ে সিগারেট ধরানো কিংবা একটা অসমাপ্ত, ভীরু প্রেমের জন্ম দেয়া। টুং-টুং শব্দ শুনে দৌড় দিয়ে আইসক্রিমের গাড়ির সন্ধানে বের হওয়া। অনেক কষ্টে জমানো টাকা দিয়ে একটা ফান্টা কিনে ছোটভাইয়ের সাথে ভাগ করে খাওয়া।
চোখ বন্ধ করলে এখনো ফিরে পাই ছোট্টবেলার সেই গাছের গন্ধ, ভেজা মাটির গন্ধ, বাড়ির পিছনে মায়ের হাতে লাগানো ছোট্ট এলোমেলো বাগান আর আমার মায়ের শাড়ির আঁচলের সেই গন্ধ.....
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৫৮
সোনাগাজী বলেছেন:
কি পরিমাণ জমি অনাবাদী থাকে?
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯
নাহল তরকারি বলেছেন: প্রায় ৮০% ফসলী জমি এখন অনাবদী থাকে।
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৩১
অনামিকাসুলতানা বলেছেন: খুব ই ভাল উদ্যোগ।
০৮ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০০
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- গ্রামের ভিতরে ফসলি জমি বা অনাবাদি জমির শতাং কত করে এখন দাম?
০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩
নাহল তরকারি বলেছেন: যে মব গ্রাম ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ের সাথে পড়েছে সেগুলার দাম কম হলেও ১০ লাখ টাকা শতাংশ।
৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমি পরিষ্কার লিখেছি গ্রামের ভিতরে ফসলি জমি বা অনাবাদি জমি?
ধরেন আপনার নানা বাড়ির পাশের জমি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪৪
দারাশিকো বলেছেন: যদি চাষবাস না হয় তাহলে অল্প অল্প করে কিছু জমি কিনে রাখেন। ঐটাই কাজে দিবে।