নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
আজ একটি ফেসবুকে পোস্ট দেখলাম। যেখানে লেখা আছে ঠিক এমন “মনে পড়ে? তুমার বাবা তুমাকে নিলামে তুলেছিলো আমার সাধ্য না থাকায় কিনতে পারিনি সেদিন,খালি হাতে ফিরেছিলাম!” ঐ দিন ঐ ছেলের ইনকাম থাকলে; পছন্দের মেয়ে বিয়ে করতে পারতেন। প্রেম ভালোবাসা সবার জীবনে আসে। আমি কিশোর জীবনের ক্ষণস্থায়ী ভালো লাগার কথা বলছি না। আমি প্রকৃত ভালোবাসা বলছি। ইনকাম একটি ছেলে কে পুরুষ এ পরিনত করে। ইনকাম একটি ছেলে কে বেডা মানুষ তৈরি করে।
আমি একদিন “বড়ছেলে” নামক একটি নাটক দেখি। যেখানে নায়ক অপূর্ব থাকে হিরো। এই নায়ক ছিলেন প্রচন্ড মেধাবী। কিন্তু চাকরি হয় না। চাকরি বা ইনকাম না থাকার কারনে পছন্দের মেয়ে কে বিয়ে করতে পারে নি। এই ছেলের যদি ইনকাম থাকতো তাহলে পছন্দের মেয়ে কে বিয়ে করিতে পারতো।
এখন আসল কথায় আসি। ইনকাম করাটাই আসল। হউক সেটা মুচি গিরি করে। বা সরকারি চাকরি করে। সঠিক দিক নির্দেশনা পেলে ও চোখ কান খোলা থাকলে মুচি থেকে জুতার কম্পনি তৈরি করা সম্ভব। পৃথিবীর কোন বৈধ কাজ ছোট না। আমি মনে করি ১৫ বা ১৬ বছর থেকে দোকানে কাজ শুরু করা দরকার। বাপের দোকান থাকলে, মাজে মাজে বাপ কে কাজে সাহায্য করা যায়। বাপের দোকান না থাকলে এলাকার পরিচিত দোকানে কাজ করলো। বা বাপের বাস বা ট্রাক থাকলে বাসের হেল্পারি করলো। ১৮ বছর হলে সেও বাসা চালাবে। সরকারি চাকরিই যে করতে হবে এমন তো কথা নাই। এই দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধগতি তে সরকারি চাকরিজীবীরাই কষ্টে আছে। তাদের বেতন বাড়ে নাই। বেসরকারি চাকরিজীবীরা ওভার টাইম ডিউটি করে কিছু বাড়তি টাকা পায়। জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়ে ব্যাবসায়ীরা এক একজনে ফ্র্যাট গাড়ি ইত্যাদির মালিক হচ্ছে। এখন যদি সরকারি চাকরি না পায় তাহলে তো তাকে অন্য কিছু করে খাওয়া লাগবে। যে ছেলে ১৫/১৬ বছর থেকে দোকানে পিতাকে সাহায্য করতো, বাপের বাসে হেল্পারি করতো, তার দাম বেশী? নাকি যে চাকরির প্রস্তুতি নিয়েও সরকারি চাকরি হয় নি তার দাম বেশী? নিশ্চই যে ১৫ বছর থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে আসছে তার দাম বেশী। কারন তার অভিজ্ঞতা বেশী। ছেলেটি যে কোন স্থানে সেলস ম্যান হিসেবে কাজ করিতে পারবে।
আমার বাসায় লেপটপ আছে। আমি বাসা বসে বসে মানুষের সিভি বানিয়ে দেই, অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম নিবন্ধন এর কাজ করে দিতাম। অনলাইনে চাকরির আবেদন করে দিতাম। মাসে দুই, তিনহাজার টাকা আসতো। এখন সামনে ফার্মেসী এর দোকান দিবো ইনশাল্লা। সাথে কনফেশনারী প্রিন্ট, ফটোকপি, মুদির আইটেম রাখা হবে। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০৫
নাহল তরকারি বলেছেন: তা অবশ্যই।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রেম-ভালোবাসার পিছে সময় নষ্ট না করে অনার্সে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উপার্জনের চেষ্টা করা দরকার।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:২০
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩
নতুন বলেছেন: আজ একটি ফেসবুকে পোস্ট দেখলাম। যেখানে লেখা আছে ঠিক এমন “মনে পড়ে? তুমার বাবা তুমাকে নিলামে তুলেছিলো আমার সাধ্য না থাকায় কিনতে পারিনি সেদিন,খালি হাতে ফিরেছিলাম!” ঐ দিন ঐ ছেলের ইনকাম থাকলে; পছন্দের মেয়ে বিয়ে করতে পারতেন। প্রেম ভালোবাসা সবার জীবনে আসে। আমি কিশোর জীবনের ক্ষণস্থায়ী ভালো লাগার কথা বলছি না। আমি প্রকৃত ভালোবাসা বলছি।
প্রথমত ফেসবুকের পোস্ট - ফালতু বিষয়, কিছু লাইক পাবার ধান্দা।
প্রেম ভালোবাসা যৌবনের শারীরিক টানের বহিপ্রকাশ মাত্র। বাস্তবতা চিন্তা করলে ঐ ছেলেও বড় হয়ে তার মেয়ের জন্য বেকার ছেলে পছন্দ করবেনা।
বাস্তবতা আর প্রমের ঘোরের ভাবনা দুটাই আলাদা।
আপনি বাস্তবতা বুঝতে চেস্টা করছেন ভালো লাগছে, আপনার ব্যবসার সাফল্য কামনা করছি।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৪৪
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: দিন দিন আপনি জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ হয়ে উঠছেন।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৪৪
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বড় ছেলে নাটকটা দেখে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। দেশে এমন হাজারো বড় ছেলে রয়েছে যাদের স্বপ্নগুলো সব অপুর্ণই থেকে যায়।
আপনার ফর্মেসীর ব্যবসার সাফল্য কামনা করছি, শুরুতেই বেশি আইটেম রাখলে তালগোল পাঁকিয়ে ফেলতে পারেন। আগে ছোট পরিসের ব্যবসা শুরু করেন তারপর ধীরে ধীরে আইটেম বাড়াতে পারেন।