নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজধানী তে দিনে তালাক ৩৬। আবেদনে মেয়েরা এগিয়ে।

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩



ছেলেরা মেয়েদের অত্যাচার করে, এমন কাপুরুষ আমি কমই দেখেছি। আর বউ কে ভালোবাসে নিজের জীবন বাজি রাখতে পারে এমন সু পুরুষ, আসুল পুরুষ আমি অহরহ অহরহ দেখেছি। কিছু কিছু ব্লগার শুধু কাপুরুষদের দেখা পায়। বেডা মানুষের দেখা কম পায়।

তালাকের জন্য আবেদন মেয়েরা বেশী করছে। ১০ টা আবেদন এর মধ্যে ৭ টি আবেদন মেয়েদের পক্ষ থেকে আসছে। এর কারন কি? যৌতুক যেমন ব্যাবসা, অতিরিক্ত কাবিন এখন একটি ব্যাবসা। অতিরিক্ত কাবিন হলে সুবিধা কি? তালাক হলে সেই টাকাটা পাবে। মনে করেন একটা মেয়ে ১০ লাখ টাকা কাবিন করলো। সে যদি ১০ ছেলেকে বিয়ে করে ১০ বার তালাকেদেয় তাহলে তাহলে সে কোটিপতি। আমি মনে করি অতিরিক্ত কাবিন তালাকের কারন।

আপনারা বলতে পারেন, ছেলের যৌন সক্ষমতা নাই্ বা ছেলে অত্যাচার করে। তাই থাকতে পারে না। সেক্ষেত্রে নারীর উচিত কাবিনের টাকা ছেলের মুখে ছুরে মেরে চলে আসা। এটাই উচিৎ জবাব বলে মনে করি।

আমি আমার আগের বউ এর প্রতি এতটাই আবেগপ্রবণ ছিলাম যে আমি তার জন্য জীবন দিয়ে দিতে পারতাম। আগে বাহিরে বার্গার, চিফস, ফাস্টফুড একা একা খেতাম। বিয়ের পর বউ এর সাথে ভাগ করে খেতাম। বউ এর জন্য জামা কিনে দিতাম। বউ এর জন্য তেল সাবান কিনে দিতাম। কোন কাজ করার আগে বউ এর সাথে আলাপ আলোচনা করে নিতাম। এত পরিশ্রম করেও সংসার টিকাতে পারি নাই। আসলে মেয়েরা কি চায়?

১০ টা আবেদন এ ৭ টা আসে মেয়েদের পক্ষ থেকে। এর জন্য ২ জন হয়তো সত্যিকারে তালাক পাওয়ার যোগ্য। হয়তো তাদের সমস্যা আছে। আর বাকি ৫ জন এর কি সমস্যা, জানেন? আগে প্রেম ছিলো, পরকীয়া, বা টাকার লোভ।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: কাবিন ব্যবসা। মেয়ের পরিবার কাবিনের টাকাকে অনেক কিছু মনে করে।
যে সব পরিবারে পুরুষ থাকার পরও নারী অভিভাবক সেসব পরিবার থেকে বিয়ে না করাই ভালো।
বেশিরভাগ মেয়ে হচ্ছে মুনাফেক। এরা পল্টি দিতে সময় নেয় না।

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। বাংগালীরা মুনাফেক। সকালে এক কথা বলে, আর বিকালে আরেক কথা বলে।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:২২

বাকপ্রবাস বলেছেন: মেয়েরা তালাক দিতে পারছে এটাই বড় সাফল্য।
মেয়েরা তালাক দিচ্ছে কারণ দুইটা, একটা হল তারা সচেতন, স্বামীর পরিবার অত্যাচার করলে তারা প্রতিবাদ করছে। তারা অসহায় বোধ করছেনা, আগে এমনটা ছিলনা, খাই মরি জামাই এর ভাত খেয়ে যেতে হতো, কিলও সয়ে যেতে হতো
আরেকটা কারণ মেয়েরা টেকনলজির খারাপ বিষয়গুলো ফলো করছে উল্টো ছেলেদের উপর অত্যাচার করতে না পারলে তালাক দিচ্ছে
অন্যদিকে কাবিন এর ব্যাপারটা কাউকাউ, এটার সাথে ধর্ম থাকেনা, এটা ব্যাপসা হয়ে আছে। কাবিন এর ব্যাপার হলো সহনিয় হবে এবং বিয়ের আগে দিয়ে দিবে। যৌতুক টাও ফালতু, খাবার ব্যাপারটাও, খাওয়া করবে ছেলে পক্ষ, ফার্ণিচার কিনবে ছেলে পক্ষ্য, কাবিন এর টাকা দিয়ে বউ নিয়ে আসবে। জাস্ট ইট, আমরা করি উল্টো।

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫

নাহল তরকারি বলেছেন: “স্বামীর পরিবার অত্যাচার করলে তারা প্রতিবাদ করছে। তারা অসহায় বোধ করছেনা, আগে এমনটা ছিলনা, খাই মরি জামাই এর ভাত খেয়ে যেতে হতো, কিলও সয়ে যেতে হতো” এমন পরিবার কয়টি পাবেন, যারা বউ কে অহেতুক অত্যাচার করে। মিডিয়ার কথা শুনে বিভ্রন্ত হবেন না। আপনার মা কে কি আপনার পিতা অত্যাচার করে? আপনার নানীকে কে নানায় অত্যাচার করে? আপনার দাদীকে কি দাদায় পিটায়? তাহলে কে তার স্ত্রী কে পিটায়?

আপনি যেটা বলেছেন ট্যাকনোলজির সাইড এফেক্ট। এটা ঠিক যে এই মোবাইল, ফেসবুক এর জন্য মেয়েরা বেশী পরকীয়া তে জরিয়ে পড়ছে।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০১

অপু তানভীর বলেছেন: শুনেন তরকারি সাহেব, এখনও আমাদের দেশে ডিভোর্সী নারীকে ভালো চোখে দেখা হয় না । একটা ছেলের ডিভোর্স খেতাব পাইলে কিছুই যায় আসে না কিন্তু একটা মেয়ের নামের সাথে ডিভোর্স যুক্ত হয় তখন সেটা তার জন্য একটা দাগ আমাদের সমাজে । মেয়েরা তাই একেবারে বাধ্য না হলে ডিভোর্সের দিকে যায় না ।

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

নাহল তরকারি বলেছেন: মেয়েরা তাই একেবারে বাধ্য না হলে ডিভোর্সের দিকে যায় না । এটা মিথ্যে কথা। কারন এমন মেয়েও দেখছি যে কথায় কথায় তালাক, যৌতুকের মিথ্যা মামলা ইত্যাদির ভয় দেখায়। আপনি যেটা বলেছেন “মেয়েরা তাই একেবারে বাধ্য না হলে ডিভোর্সের দিকে যায় না ” এটা মনে করেন হাজারে দু একজন।

মেয়েরা তাই একেবারে বাধ্য না হলে ডিভোর্সের দিকে যায় না । এমন পরিস্থিতি শিকার আপনার বংশে কয়জন আছে? আমাকে দেখান। আমি তো অন্ধ। আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে না দিলে দেখি না।

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: অতএব নাহলে তরকারির আর কোন আফসুস নেই এখন

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠক বলেছেন।

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: বদমাশ ছেলেদের দিন শেষ।
এভাবেই প্রতিবাদ করে করে নারীরা এগিয়ে যাক।

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

নাহল তরকারি বলেছেন: ঔষুধ বেশী খাওয়া যেমন শরীলের জন্য ভালো না। তেমন এই আইনের অপব্যাবহার ভালো না। এই আইনের অপব্যাবহারের জন্য ভালো ছেলেদের ভোগান্তি হচ্ছে। আর বদমাশদের শাস্তি হলেও, তাদের তেমন গায়ে লাগে না। আমি কি বুঝাতে পেরেছি.......?

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: বেশ অনেকদিন ধরেই ব্লগিং করছেন ।আপনি কি কাজ করেন ? কয়েকটা পোস্টে দেখেছিলাম যে আপনি পড়াশোনা করেন । আর্থিক সক্ষমতা না থাকা সত্ত্বে যারা বিয়ে করে , তাদের বৌ টীকে থাকবে কোন উপায়ে ? কাবিনতো বিবাহিত স্ত্রীকেও দিয়ে দিতে হয় আবার স্ত্রী তালাকপ্রাপ্ত হলেও দিতে হয়। এটা ধর্মীয় বিধান। যার যার সামর্থনুযায়ী তাই কাবিন স্থির করাই সহী। ধর্মীয় এই বিধানকে কাবিন ব্যবসা বলছেন কেন? আপনার অবস্থার জন্য সম্পুর্নভাবে আপনি দায়ী। তাই ভুল থেকে শিক্ষা নিন। নিজের পায়ে শক্তভাবে দাড়ান ।

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫

নাহল তরকারি বলেছেন: ০১। আমি ফার্মেসী তে কাজ করি। সামনে নিজের একটা ফার্মেসী দিবো। আর ইনপুট এর ব্যাবসা করার পরিকল্পনা আছে।

০২। আমার এই পোস্ট কি আর্থিক সক্ষমতা নাই তাদের জন্য কি? যে সব ছেলেরা টাকা কামাই করে না, তারা বিয়ে করবে কেন? আর মেয়েরাও আজাইরা ছেলের সাথে প্রেম করবে কেন, যেখানে তারা শুধু প্রেমিককেই বিয়ে করবে?

০৩। কাবিনতো বিবাহিত স্ত্রীকেও দিয়ে দিতে হয় আবার স্ত্রী তালাকপ্রাপ্ত হলেও দিতে হয়। এটা ধর্মীয় বিধান। যার যার সামর্থনুযায়ী তাই কাবিন স্থির করাই সহী। ধর্মীয় এই বিধানকে কাবিন ব্যবসা বলছেন কেন?
উত্তর ব্লগেই দেয়া আছে। নতুন করে লেখতে আলসেমি লাগছে।

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩

শায়মা বলেছেন: মেয়েরা আগের থেকে সচেতন ও নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে তাই ঘুরে দাঁড়াবার আর রুখে দাঁড়াবার শক্তি ও সাহস অর্জিত হয়েছে।

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭

নাহল তরকারি বলেছেন: মেয়েরা আগের জন্য সচেতন ও ঘুরে দাড়াবার শক্তি অর্জন করেছে। মেয়েদের অভিনন্দন। তবে আপনার এই কমেন্ট আমার এই ব্লগের সাথে কি সম্পর্ক?

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩

নাহল তরকারি বলেছেন: মেয়েদের অত্যাচার বন্ধ করুন। শীর্ষক ব্লক লিখেছিলাম। সেটা পড়ে আসতে পারেন।

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১০

শায়মা বলেছেন: শায়মা বলেছেন: মেয়েরা আগের থেকে সচেতন ও নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে তাই ঘুরে দাঁড়াবার আর রুখে দাঁড়াবার শক্তি ও সাহস অর্জিত হয়েছে।
১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭০

লেখক বলেছেন: মেয়েরা আগের জন্য সচেতন ও ঘুরে দাড়াবার শক্তি অর্জন করেছে। মেয়েদের অভিনন্দন। তবে আপনার এই কমেন্ট আমার এই ব্লগের সাথে কি সম্পর্ক?


সম্পর্ক- রাজধানী তে দিনে তালাক ৩৬। আবেদনে মেয়েরা এগিয়ে। এই শিরোনাম ও মূল বক্তব্যের সাথে আমার কমেন্ট এই সচেতনতা ও নিজের পায়ে দাঁড়াবার ক্ষমতার কারনেই শুধু অত্যাচার না বিরক্তিকর হাসব্যান্ড ও শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসবার সক্ষমতা অর্জন করেছে তারা। আগের দিন আর নেই যে সমাজ ও নিজে চলতে না পারার অক্ষমতার কারণে শ্বশুরবাড়ি ও হাসব্যান্ডের অত্যাচার বা বিরক্তি সহ্য করতে হবে।

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

নাহল তরকারি বলেছেন: ০১। শুধু ছেলে আর শ্বশুর শাশুড়ি বিরক্তি কর বউ বিরক্তিকর হতে পারে না?
০২। কোন স্বামী তার বউ কে অত্যাচার করে? আপনার আব্বু কি আপনার আম্মু কে অত্যাচার করেছে? আপনার নানা আপনার নানী কে কোন দিন পিটিয়েছে? নাকি আপনার দাদা আপনার দাদী কে কোন দিন না খেয়ে রাখিয়েছে?
০৩। এখন তো সব মেয়েরা নিজ পছন্দে বিয়ে করে? বলতে পারেন বিয়ের আগেই শারিরীক মিলন হয়ে যায়। সেখানে একজন স্ত্রী কিভাবে বিয়ের পর অত্যাচারিত হয়? বর্তমানে নারী নির্যাতন মামলার যেখানে অবব্যাবহার বেশী, সেখানে কোন বেকুব ছেলে তার স্ত্রী কে অত্যাচার করে ফেসে যাবে?

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১১

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: মেয়েদের অত্যাচার বন্ধ করুন। শীর্ষক ব্লক লিখেছিলাম। সেটা পড়ে আসতে পারেন।

ব্লক না ব্লগ। আর সেটা পড়তে যাচ্ছি! :)

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৫

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১০| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪

মুগ্ধ নয়নের আগন্তুক বলেছেন: ছেলেরা শক্তিশালী ও নিজের পায়ে দাড়াতে সক্ষম হলে ভাবে কিভাবে পরিবারের সবাইকে আগলে রাখতে হবে কিভাবে পরিবারের ভাল কর যায়, আর মেয়েরা সাবলম্বী হলে ভাবে কিভাবে আরো উপরে উঠা যায় তখন আর তার সাবলম্বী হওয়ার সময় টায় যে তার পাশে ছিল তার কোন দাম থাকে না। নাসিরের বউ তামিমা এর বড় উদাহরণ!

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৫

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই।

১১| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭

নতুন বলেছেন: বিয়ের পরে একটা মেয়ে তার জীবনের সবটুকু নিয়েই নতুন সংসারে আসে, আপনার মা, খালা, নানী,দাদী সবাই কিন্তু বাবার বাড়ী ছেড়ে নতুন সংসারে এসে নতুন জীবন শুরু করেছে।

বিয়েতে নারী তার ১০০% নতুন পরিবেশে আসে, পুরুষ যদি তাকে ঠিকমতন ভালোবাসে, খেয়াল করে তবে নারী কেন ডির্ভোসী হিসেবে সমাজে থাকতে চাইবে?

সমাজে হয়তো কয়েক পরিবার পাবেন যারা হয়তো অহংকার, জেদ, লোভের কারনে মেয়েকে ডির্ভোস নিতে বুদ্ধি দেয়। কিন্তু তার সংখ্যা খুবই কম। এবং সেটা অবশ্যই আপনার মতন এই ব্লগ লেখার মতন না।

আপনি যেহেতু একটা ভুল ধারনা নিয়ে আছেন, তাই আপনার নিজের অভিঙ্গতা নিয়েই কিছু প্রশ্ন করি।

* আপনি কি মনে করেন আপনার প্রাত্নন স্ত্রী কাবিনের টাকার জন্য আপনাকে বিয়ে করেছিলেন?
* আপনার প্রাত্নন স্ত্রী কি কি অভিযোগ করে ডির্ভোসের আবেদন করেছিলো?
* আপনার কি মনে হয় আপনার প্রাত্নন স্ত্রী হয়তো কারুর কথায় ভুল বুঝে এমনটা করেছিলো?
* আপনার কি মনে হয় আপনার প্রাত্নন স্ত্রী আপনাকে ভালোবাসতো?
* আপনি কি আপনার প্রাত্নন স্ত্রীকে ফরিয়ে নেবেন যদি তিনি আসতে চায়?
* আপনি কি মনে করেন আপনার স্ত্রী কি এখনো আপনার কাছে ফিরে আসতে চায়?

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:০৮

নাহল তরকারি বলেছেন: বিয়েতে নারী তার ১০০% নতুন পরিবেশে আসে, পুরুষ যদি তাকে ঠিকমতন ভালোবাসে, খেয়াল করে তবে নারী কেন ডির্ভোসী হিসেবে সমাজে থাকতে চাইবে?
উত্তর: বর্তমান ইন্টারনেট এর যুগ। একটা নারীর পিছনে হাজারো পুরুষ প্রেম করার জন্য ঘুরে। তাই একটা মেয়ে প্রেম করতেই পারে। বাপ মা যখন জোর করে অন্য স্থানে বিয়ে ঠিক করে দেয়, তখন মেয়ে সে মনে মনে আগের প্রেমিক কে কাছে পেতে চায়। কেউ কেউ পরকীয়া করে আগের প্রেমিকে সাথে। আবার কেউ রিক্স নিয়ে, আগের প্রেমিকের সাথে বিয়ে করার জন্য বর্তমান স্বামী তে তালাক দিয়ে থাকে।

স্বামী ভাত দেয় না, কাপড় দেয় না, অসুস্থ হলে চিকিৎসা করে না। স্বামী কোন দায়িত্ব পালন করে না। স্বামী পিটায়। এমন ঘটনা একদমই ঘটে না।

০১। আমার বউ এর বদনাম পাবলিক করতে চাই না। সে তো আমার প্রন্তন স্ত্রী। তার সম্মান রক্ষা করা আমার দায়িত্ব।
০২। এই ছেলের সংসার করমু না। ওর লগে থাকতে মনে চায় না। এই কারন বলেছে। আমাদের তালাক দুই পক্ষের আলোচনায়, খোলা তালাক হয়েছে।
০৩। তালাকটি শুধু মাত্র ভুল বুঝাবুঝি এর কারনে হয়েছে। রশি বেশি টাইট দিলে ছিড়ে যায়, সেটা সে বুঝে নাই। বউ যদি আমার বয়সে বড় হতো তাহলে সে সংসারে অভিজ্ঞ হতো।
০৪। সে আমাকে তেমন পছন্দ করতো না। আমাকে পাত্তা দিতো না। আমি ডাকলে কাছে আসতো না। ফোনে কার সাথে যেন কথা বলতো।
০৫। তাকে দেখলে এখন ডর লাগে। ভয় লাগে। সামনে সাপ দেখলে যতখানি ভয় লাগবে, গণিত স্যার কে দেখতে যতটুকু ভয় লাগবে, তারচেয়ে বেশী ভয় তাকে দেখলে লাগে। তাই সে না আসলে ভালো। শুধু সে না, আমি এখন কাউকে বিয়ে করতে চাই না।
০৬। সে না আসলেই ভালো। একা থাকতে ভালোবাসি।

১২| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

ধুলো মেঘ বলেছেন: ১০ টা আবেদনের ৭ টা আসে মেয়েদের পক্ষ থেকে। পুরুষেরা তালাকের আবেদন করেনা। তারা সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি করে। এই দূরত্ব যখন মেয়েদের কাছে অসহনীয় ঠেকে, তখনই তারা তালাকের আবেদন করে। পুরুষেরা চুপ থাকে, যাতে পুরো দায় বউয়ের উপর ফেলা যায়।

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:০৯

নাহল তরকারি বলেছেন: কমেন্ট কার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিষয়টা নিরপেক্ষভাবে দেখুন। আমি ছোটোবেলা থেকে দেখে এসেছি কী হারে মেয়েরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের ঘটনা অহরহ, কিন্তু স্ত্রীর হাতে স্বামীর খুন/মৃত্যুর ঘটনা খুবই কম। আগে মেয়েরা এবং তাদের অভিভাবকেরা সচেতন ছিল না, স্বামীরা মেয়েকে বিনা নোটিশে তিন-তালাক দিয়েই ছেড়ে দিবে, কাবিনের টাকা না দিয়েই (তখন কাবিনই হতো না), এই ভয়ে মেয়ে ও অভিভাবকরা সব অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করতো। আমার গ্রামে আত্মীয়স্বজনসহ পরিচিত এমন অনেক ঘটনার সাক্ষী আমি নিজে। সচেতনতা বাড়ানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকেই এবং এ সম্পর্কিত আইনও আরো সাবলীল হয়েছে। ফলে, মেয়েরা মুখ বুজে সহ্য করার বদলে আইনগতভাবেই মুক্তির পথ বেছে নেয়।

কাবিন কখনো কোনো ব্যবসা হতে পারে না। কোনো মেয়ের বাবা-মা এবং মেয়ে নিজেও কখনো ইচ্ছে করে বিয়ে ভেঙে দিতে চাইবে না। অপু তানভীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। আমাদের দেশে ১০ বিয়ে করা ছেলে বুক ফুলিয়ে হাঁটে, আর একবার তালাক খাওয়া মেয়েকে প্রতি পদে মানুষের কাছে খোটা শুনতে হয়, যে-যন্ত্রণার কোনো তুলনা নেই। একটা ডিভোর্সি মেয়ের বিয়ে হতে কত কষ্টকর, এটা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ জানে না।

এ বিষয়টা আপনি ভালো বুঝবেন তখন, যখন দেখবেন আপনার আপন বোনটির ঘর ভেঙে যাচ্ছে, কিংবা আপন খালার, বা ফুপুর, তখন দেখবেন, কাবিনের ১০ বা ১৫ লাখ টাকা তার অন্তরের ঘা কখনো মুছতে পারে না।

আর বুঝবেন ভবিষ্যতে, যদি আপনার ঘরে একজন মেয়ের জন্ম হয় এবং দুর্ঘটনাক্রমে সেও একজন তালাকপ্রাপ্তা নারী হয়ে বসে।

আমার ঘরে বিবাহযোগ্য ছেলে এবং মেয়ে দুই-ই আছে। বিষয়টা আমার পক্ষে বোঝা খুবই সহজ। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়র মধ্যে ডিভোর্সী মেয়েও আছে, যে-মেয়ের আরো বছর ২/৩ আগে ডিভোর্স হয়ে গেছে দুর্ঘটনাক্রমে, তাকে নিয়ে ঐ মেয়ের পরিবার কী দুর্বিষহ অবস্থায় আছে সেটা শুধু আমরা ফিল করতে পারি। মেয়েদের জন্য ডিভোর্স হলো একটা চরমতম অভিশাপ।

তবে, সব জায়গাতেই কিছু উলটো চিত্র থাকবেই। হয়ত দুর্ঘটনাক্রমে আপনি সেই উলটো চিত্রের শিকার হয়ে পড়েছেন। কিন্তু উলটো চিত্রটা বাংলাদেশের স্বাভাবিক চিত্র না। স্বাভাবিক চিত্র বোঝার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার বদলে মানুষের সাথে যোগাযোগ থাকা দরকার, যেটা আপনার নাই বলেই মনে হচ্ছে।

আপনার ভবিষ্যত শুভ হোক, এই কামনা থাকলো।

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১৫

নাহল তরকারি বলেছেন: বিষয়টি খুব সেনসেটিভ। আপনারা মুরব্বি মানুষ। আমার থেকে বেশী অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। আপনার কথাটি ভালো লাগলো। যদি আমার মেয়ে তালাক প্রাপ্ত হয় তাহলে আমার কি হবে?

যদি আমার মেয়ের দোষের কারনে জামাই বিরক্ত হয়। জামাই এর মানষিক টর্চার হয় তাহলে জামাই দোষী না। আমার মেয়ে দোষী।
আর যদি ছেলে দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়, তাহলে ছেলে দোষী।

বর্তমানে মেয়েরা প্রেম করে গাজ্ঞাখোর, বখাটে ছেলেদের সাথে। তারা দুইটা বিয়ে করে দিব্যি সুখে আছে। আবার তারা বউ পিটায়। তাদের বউ যায় না। আমার আমরা যদি ৯৯ বার আদর করি আর এক বার ধমক দেই তাহলে সেটা নারী নির্যাতন হয়ে যায়। কি অদ্ভত সমাজ।

১৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যা হওয়ার হয়েছে। এখন মনমতো এক মেয়ে দেখে প্রেম করুন, তারপর বিয়ে করুন। ভালোমন্দ মিলিয়েই মানুষ।

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:১৬

নাহল তরকারি বলেছেন: সমাজে যা দেখছি। বিয়ে করতে ভয় লাগে।

১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০৬

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ডিভোর্সের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া একটা হতাশার সংবাদ।

একমাত্র ডিভোর্সী মেয়েই জানে, স্টাবলিস্ট হওয়া কতটা চ্যালেঞ্জ বিশেষ করে বাংলাদেশে।

আমাদের সমাজ সাংস্কৃতিতে ডিভোর্সী মেয়েদেরকে এখনও ভালো ভাবে নেওয়া হয়না।

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:২০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এমন মেয়েও দেখছি যে কথায় কথায় তালাক, যৌতুকের মিথ্যা মামলা ইত্যাদির ভয় দেখায়

ওয়েল; এমন কতজন মেয়েকে আপনি চিনেন? আপনাদের পরিবার বা বংশে এমন কতজন মেয়ে আছে?

ধন্যবাদ।

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

নাহল তরকারি বলেছেন: আমাদের উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের সব মেয়ের বাপ এভাবে সংসার চালায়। আমার বংশের মেয়েরা খুব ভালো। কোন স্বামী তাদের কোন দোষ ধরতে পারে নাই। আমি আমার বংশের মেয়েদের নিয়ে গর্ব করি।

১৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:২৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অপু তানভীরের মন্তব্যের উত্তর থেকে কোট করেছি।

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

নাহল তরকারি বলেছেন: আচ্ছা।

১৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: আসলে আপনার এই মনভাবের কারণ আমি বুঝি । আপনি এই ব্যাপারে কোন দিন সঠিক ভাবে বুঝতে শিখবেন না বা বুঝতে চাইবেন না । কারণটা চাইলে বলতে পারি এখানেই কিন্তু সেটা আপনার জন্য ভাল হবে না । তাই আলোচনা এখানেই সমাপ্ত করলাম।

ভাল থাকুন !

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২

নাহল তরকারি বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে। আপনি যদি বলেন মেয়েদের পক্ষ থেকে যত তালাক আসে তারা ১০০% অত্যাচারিত হয়ে তালাকের ডিশিসান নেয় তাহলে সেটা ভুল। আর আমি যদি বলি ১০০% ছেলেরা্ দোষী সেটাও ভুল।

১৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

নতুন বলেছেন: উপরের কমেন্টগুলি থেকে বুঝতে পেরেছেন নিশ্চই মেয়েরা টাকার জন্য তালাক নেয় না।

চুরি বাটপারি সব খানেই মানুষ করে, হয়তো কয়েকটা কাহিনি শুনতে পারেন ইন্টারনেটের ভিডিওতে যে পরিবার মেয়েকে কাবিনের টাকার জন্য বিয়ে দেয়।

কিন্তু সমাজে ৯৯% নারীই চায় স্বামী সংসার নিয়ে সুখে সংসার করতে।

কিছু পরিবার মেয়ের প্রেমিক আছে যেনেও সেই সম্পর্ক লুকিয়ে জোর করে মেয়েকে বিয়ে দেয় যেটা ভালো ভাবে শেষ হয় না।

আরেকটা জিনিস হলো নারী যে পরকিয়া করে তারা তো ছেলেদের সাথেই পরকিয়া করে তাইনা? তাহলে পরকিয়ার জন্য পুরুষের দোষ কি আপনি দেখছেন না?

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪

নাহল তরকারি বলেছেন: ভাই আমি কি কমু। আমি তো তাই বলবো আমি যা দেখেছি। আপনারা শুধু ১০০% ভালো নারী হয়তো দেখেছেন। ১০০% দোষী ছেলে দেখেছেন। আচ্ছা ভালো।

২০| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলে কেউই পার্ফেক্ট না, সব সংসারেই কমবেশি ঝগড়াঝাটি আছে। আর ডিভোর্সকে এত খারাপ
চোখে দেখছেন কেন? যেখানে বিয়ে সেখানেই ডিভোর্স, ডিভোর্সের একমাত্র কারণ হচ্ছে বিয়ে। জোর করে সংসার টিকিয়ে রাখার কোন মানে হয় না।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৪৪

নাহল তরকারি বলেছেন: আমি বিয়ের বিপেক্ষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.