নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
২০১৪ সালে থ্রি জি প্রযুক্তি সারা দেশে সম্প্রসারণ হয়। সেই সাথে সম্প্রসারন হয় এন্ডোয়েট মোবাইল এর। এন্ড্রোয়েট মোবাইল এর ইন্টারনেট খরচ খুব বেশী যদি সেটা ডাটা কিনে চালানো হয়। সে সময়, টাকার মান অনুযায়ী থ্রি জি এর ডাটা প্যাক এর দাম খুব বেশী ছিলো।
২০১৪ সালে আমিও একটি এন্ড্রোয়েট মোবাইল কিনি। তখন আমি সদ্য ইন্টার পাশ করা। আমার আব্বু তখন নোয়াখালী চাকরি করতেন। আমি মাইজদী বাজারে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলাম। ওরা Broadband Internet নিয়েছিলেন। সম্ভবত বিটিসিএল এর। ওরা আমাকে ওয়াই ফাই এর পাসওর্য়াড দেয়। ক্লাস ছিলো এক ঘন্টা। আমি ঐখানে দুই ঘন্টা থাকতাম। ওয়াই-ফাই চালাতাম। ফেসবুক চালাতাম। সফটওয়্যার ডাউনলোড দিতাম। ভূত এফ এম নামাতাম। গান নামাতাম।
২০১৭ সালে আমার আব্বু চুয়াডাঙ্গা বদলী হয়। সে সময় সরকার, সকল সরকারি অফিস ও সরকারি কোর্য়াটারে Broadband Internet এর ব্যাবস্থা করে। আমি আব্বুর কোয়ার্টারে গেলে সারাদিন রাত ইন্টারনেট চালাতাম। তখন আমি অনার্সের ৩য় বর্ষে পড়তাম। থাকতাম নানীর বাড়ি।
২০১৯ যখন আমি ফাইনাল ইয়ারে তখন আমি আমার নানীর বাড়িতে Broadband Internet আনি। সে সময় দেখা গেছে আমি দিন রাত মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকতাম। মুভি দেখতাম। গেইম খেলতাম। এখন সম্পন্ন গ্রামে Broadband Internet যায় নি। রাস্তার সাথে যাদের বাসা ওদের বাসাতেই শুধু Broadband Internet আছে আর কারো বাসায় নাই।
২০১৯ সালের আগষ্ট মাসে যখন লেপটপ কিনি তখন ২৪ ঘন্টার ৬ ঘন্টা লেপটপ নিয়ে পড়ে থাকতাম। খুব মজা লাগতো। নানী বাড়িতে থাকতো না। যার কারনে আমি সারাদিন ইন্টারনেট নিয়ে পড়ে থাকতাম। খুব মজার দিন গেছে।
২০২১ ও ২০২২ সালের দিকে আমার আব্বু গাইবান্ধা পোস্টিং ছিলো। আমার আবার ঘুরাঘুরির অভ্যাস। আমি দেখতাম কার কার বাসায় আশে পাশে ওয়াই ফাই এর সিগনাল আসে। দেখতাম অনেকের বাসার সামনে ওয়াই-ফাই সিগনাল আসে। এখন অনেকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগায়। এখন Broadband Internet এর চাহিদা আরো বেড়েছে। আগে চাহিদা ১০ জনের হলে, এখন ৫০ জন কাষ্টমার তৈরি হয়েছে। আগে মানুষ ১০০ কেবিপিএস স্পিড পেলেও খুসি হতো। এখন ১ জিবিপিএস লাগবে।
এখন আমার আব্বুর পোস্টিং নওগাঁ তে। আজ হাটতে হাটতে একটি অঝপাড়া গ্রামে গিয়েছিলাম। মেইন রোড থেকে বেশ ভিতরে। খুব সুন্দর রাস্তা। মনোরম পরিবেশ। সেখানেও দেখলাম ওয়াই-ফাই এর সিগনাল আসে। তখন বুঝলাম Broadband Internet এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৬ সালে টেলিভিশন, ডিশ এর ডিমান্ড বেড়ে যায়। এর পর ঘরে ঘরে টেলিভিশন। আগামী ১৫ বছরের মধ্যে হয়তো বাড়ি বাড়ি Broadband Internet থাকবে।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১৩
নাহল তরকারি বলেছেন: আমি ব্রডবেন্ড ইন্টারনেট এর ব্যাবসা করতে চাই। খরচ কেমন পড়তে পারে?
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
প্রামানিক বলেছেন: ইন্টারনেট বিল সহনীয় পর্যায়ে আনা দরকার। ভারতে মোবাইলে ২৬৫টাকা রিচার্জ করলে প্রতিদিন এক জিবি ইন্টারনেট ফ্রি পাওয়া যায় এবং যত ইচ্ছা তত মোবাইলে কথা বলা যায়। ভারতের এই সুবিধাটি আমি নিজেও ভোগ করে এসেছি। অথচ বাংলাদেশে কথা বললেই মিনিট হিসাবে টাকা কেটে নেয় আবার ইন্টারনেট ব্যাবহার করলে জিবি হিসাবে ইন্টারনেটের বিল নেয়।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১৪
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের মোবাইল কোম্পানী গুলো সেই প্রথম থেকেই গলা কাটছে।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫২
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনি জানলে খুব সম্ভবত অবাক হবেন যে আমরা ব্রডব্যান্ডকে সারা দেশে দ্রুত ছড়িয়ে দেবার জন্য প্রথম কাজ করেছিলাম ২০০৫ সালে!
২০০৮ সালে ঢাকায় আসবার পর আমরা এটা নিয়ে অনেক কাজ করেছি। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ব্রডব্যান্ডের জন্য আশির্বাদ স্বরূপ। সৌদীতে যেখানে দুই কিলোমিটার রাস্তা খুড়ে ২০০ কাষ্টমার পাওয়া প্রায় অসম্ভব, বাংলাদেশে ৫০০ মিটারেই সেখানে ২০০ কাষ্টমার পাওয়া কোন বিষয়ই না!
বাংলাদেশে ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে হলে ব্রডব্যান্ডের কোন বিকল্প এখন পর্যন্ত নাই, হয়ত খুব শিগ্রহী কিছু হবেও না।
ব্লগার মুনির হাসান এ নিয়ে অনেক কাজ করেছেন।