নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
আজ গাইবান্ধা কে খুব মিস করছি। আব্বু গাইবান্ধা থেকে নওগাঁ তে বদলী হয়েছেন প্রায় ২ মাস হয়। গাইবান্ধায় যে সরকারি কোয়াটারে থাকতাম সেই বাসা কে খুব মিস করছি। মনে হচ্ছে যেন সেই বাসার এক একটি ইট আমাকে ডাকছে। আর বলছে “নাহল তুমি কই?”
এরা দুই জনই চা বিক্রেতা। আমি নিয়ম করে, দুই জনের দোকানেই চা খেতাম। আমি খেতাম লেবু চা। অনেক সময় আনাম একটি লেবু চা এ দিতাম। ঐ দিন তিন মিলে তিনটি লেবু দিয়ে চা খেয়েছি। এই ছবিটি সম্ভবত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের।
আমি এই রাস্তাদিয়ে হাটতাম। আর ভাবতাম ঝিনাস্বর সরকারি প্রাথমিক স্কুল এর কথা। কতই ছাত্র ছাত্রী এই স্কুল থেকে পাশ করেগেছে। সবচেয়ে বেশী মনে পড়ে সাইফুল আঙ্কেল এর কথা। তিনি ছিলেন আমাদের ড্রাইবার সাব। তিনি খুব রুচিশীল মানুষ। তাহার সুন্দর পরিষ্কার টয়লেট দেখেই বুঝা যায় তিনি খুব হাই প্রফাইল মানুষ। তাকে নিয়ে আমি অনেক বার পোস্ট অফিস, ব্যাংকম বাজার, রেল স্টেশন গিয়েছি তার কোন হিসাব নাই। আর মনে পড়ে আমাদের মোস্তফা আঙ্কেল এর কথা। তিনি আমার আব্বুর আরদালী ছিলেন। তাকে নিয়েও বাজার সদাই করতাম। তিনি আমাদের দেখা শুনা করতেন। প্রয়োজনে বিভিন্ন কাজে সাহায্য সহযোগিতা করতেন।
আর মনে পড়ে ফারুক ফার্মাসিস্ট, মোতালেব, আপেল, পবিত্র, অনিল, বাধন সহ আরো অনেকে। আর মনে পড়ে মমিন দোকানদার এর কথা। আমি তার দোকানে নানান জিনিস খেতাম। খেয়ে কুব তৃপ্তি পেতাম। আর মনে পড়ে আমাদের বাসার কাজের বুয়ার কথা। তিনি অনেক বৃদ্ধ ছিলেন। খুব সহজ সরল ছিলেন।
এবছর গাইবান্ধা থাকতে হোন্ডা চালানো শিখতে গিয়ে হাত ভেঙ্গে ফেলি। এ ছাড়া এই বছর কোন দুর্ঘটনা হয় নি।
আর মনে পড়ে রিয়ার কথা। সে মনে হয় আমাকে মিস করে। সরাসরি তো বলতে পারে না। ফেসবুক এর পোস্ট দেখলে সেটা বুঝা যায়। আমার ও তাকে ফিরে পেতে আচ্ছে করে।
আর মনে পড়ে গাইবান্ধা অনলাইন ব্রডবেন্ড এর কথা। তারা খুব ভালো সার্ভিস দিতো। গড়ে ৬০ এমবিপিএস স্পিড আসতো। ইউটুব বাফারিং করতো না। আমি তাদের অফিসে গিয়ে নিয়মিত বিল দিয়ে আসতাম। মাঝে মাঝে সাইফুল ড্রাইবার সাব, মাজে মাজে মোস্তফা আঙ্কেল কে নিয়ে যেতাম। আর সেখানে বগুড়া হোটেল নামে একটি হোটেল আছে। সকালে রুটি ও সবজি খেতাম। তারা সুন্দর করে সবজি বানাতেন।
পার্কে ঘুরতাম। সেখানকার পৌর পার্ক খুব সুন্দর। আর ডিবি রোডে “পল্লী ফুড” নামক একটি ফাস্টফুডের দোকান আছে। সেখানকার খাবার খুব সুস্বাদু।
সবাই কে একটি লুঙ্গি দিতে ইচ্ছে করে। আল্লাহ সবাই কে সুস্থ রাখুক।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৩
নাহল তরকারি বলেছেন: এটা বলতে চাচ্ছি না। তবে এটা বলবো যে আব্বুর সরকারি কোয়ার্টার গাইবান্ধা সদর উপজেলার ভল্লমঝাড় ইউনিয়নে ছিলো।
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৬
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ফেলে আসা গান, ফেলে আসা জলসা
ফেলে আসা বন্ধু, ফেলে আসা রাস্তা
ফেলে আসা কত কথা, ফেলে রেখে এসেছি
ফেলে আসা সময়
ফেলে আসা সাহস, ফেলে আসা ভয়
ফেলে আসা জুতো জামা ফেলে দিতে হয়
ফেলতে ফেলতে কিছু কথা থেকে গেছে, যেমন-
ভালোবাসি তোমায়
পোস্টটা দেখে অঞ্জন দত্তের গানটা মনে পড়ে গেলো।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৩
বিজন রয় বলেছেন: সেদিন গাইবান্দা ঘুরে এলাম।
আবার যাবো।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬
নাহল তরকারি বলেছেন: মাজে মাজে মনে চায়, এখানে বিয়ে করি।
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৩
স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: বেশ সুন্দর স্মৃতিচারণ।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমাকেও একটি লুঙ্গি দিবেন।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
নাহল তরকারি বলেছেন: আপনাকেও লুঙ্গি দেবার পরিকল্পনা করেছি।
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
বিজন রয় বলেছেন: লেখক বলেছেন: মাজে মাজে মনে চায়, এখানে বিয়ে করি।
ওখানে বিয়ে করার কি কি কার্যণ তাকতে পারে বলুন তো!!
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৬
নাহল তরকারি বলেছেন: এলাকার মায়া।
৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনার পোস্টের মান কিছুটা বেড়েছে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৮
প্রামানিক বলেছেন: সরকারী কোয়ার্টারটা কোথায় ছিল?