নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মানুষ রাজনৈতিক ভাবে সচেতন না। কে এমপি হলো বা না হলো এটা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নাই। তারা শুধু টাকা কামিয়ে; স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখে থাকতে চায়। তারা গ্রামে চাষাবাদ করবে। তারা মাছ ধরবে। পরে তাদের পন্য বাজারে বিক্রি করবে। পরে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে আরামে থাকবে। তারা জাতীয় রাজনীতি নিয়ে তেমন মাথা ঘামায় না। ওরা শুধু চেয়ারম্যান ইলেকসানের সময় একটু আগ্রহ নিয়ে নির্বাচনের ফলাফল এর জন্য অপেক্ষা করে। আমি ২০১০ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমাদের গ্রামের এক লোক মেম্বর পদে প্রতিদন্দ্বীতা করেন। উনি ছিলেন আমাদের প্রতিবেশী। আমি তখন কিশোর বয়সী। হিসাবে তিনি আমার এলাকার মামা। তার নির্বাচনী প্রচারণায় আমাকে নিয়ে যান। ২০১৮ সালের এমপি ইলেকসানে আওয়ামীলীগ থেকে মননোয়ন প্রাপ্ত এক পদপ্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় আমি ছিলাম। আমি ঐ দিন রাস্তা দিয়ে হাটতে ছিলাম। হুমায়ন মামা আমাকে গাড়িতে ওঠায়। আর বলে “তুমি তো ফ্রিই আছো। চলো আজ এমপির নির্বচানী প্রচারনা করি।” জীবনে এই প্রথম কোন সংসদ সদস্য কে সামনা সামনি দেখেছিলাম। আমাদের এমপি ছিলেন মৃনাল কান্তি দাস, মুন্সীগঞ্জ ৩ আসন।
২০১০ সালের চেয়ারম্যান ইলেকসানে জন মানুষের যে আগ্রহ দেখেছিলাম, ২০১৮ সালের এমপি ইলেকসানে মানুষের আগ্রহ তেমন দেখি নাই। ২০১৮ সালের ইলেকসানে মানুষের আগ্রহ ছিলো ০%। ভাবখানা ছিলো এমন “যার মনে চায় এমপি হউক। আমার কি?” সিটি করোর্শোন ও পৌর এলাকার ভোটার গণ একটু সচেতন। তারা যোগ্য লোক খুজেন। কে তার এলাকায় উন্নত করবে। রাস্তাঘাট সংস্কার, ব্রীজ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষন, ব্যাবসা প্রসার করাতে সাহায্য করবে ইত্যাদি বিষয়ে কোন প্রার্থী ভূমিকা পালন করবে সব হিসাব নিকাশ ভোটারগণ হিসাব করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটারগণ ভোট দেওয়ার নিয়্যাত করে নাই। আমার পরিচিতদের মধ্যে অনেকে ভোট দিতে যায় নাই।
আমি ২০১৬, ও ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, ২০১৮ সালের সাধারন নির্বাচন (সাধারন নির্বাচন মানে এমপি নির্বাচন), ও ২০১৮ সালের উপজেলা নির্বাচন এ ভোট দিয়েছি। আমি ঘুম থেকে ওঠে দাত ব্রাশ করেই ভোট কেন্দ্রে গিয়েছি। সবকয়টাতে সাড়ে ৮টার মধ্যে ভোট দিয়ে বাসায় এসে নাস্তা খেয়েছি।
এবার আমি ভোট দিতে যেতে পারবো না, মনে হয়। আমি এখন নওগাঁ জেলায় আছি। নির্বাচনের আগে বাড়ি যাওয়া হবে না মনে হয়। ভোট দিতে পারলে শান্তি পেতাম। আমাদের গজারিয়াতে দুইটি ব্রীজের অভাবে মুন্সীগঞ্জ সহরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এই দুইটি ব্রীজ যে বানয়ে দিতে পারবে, তাকেই ভোট দিতাম।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এ জাতি অভাবের মধ্যে পড়ে অচেতন হয়ে পড়েছে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: ডামি ভোট হচ্ছে, দিতে না পারলেও অন্যরা দিয়ে দিবে, দুধের স্বাদ ঘোলে সমাধান
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আসলে যোগ্য লোকেরাই জিতে। সংসদ নির্বাচনে যদুমধু অনেকেই সংসদ হন। এবার দেখা যাক কী হয়।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: নওগা'তে শীত কেমন?
ভোট দেওয়া জরুরী কিছু না। আপনি আমি ভোট না দিলেও যা হবার তাই হবে।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে একটা উৎসব উৎসব ভাব আছে না!!
৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: আগের সেই ইলেকশনের মজাই ছিল আলাদা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পেটে ভাত না থাকলে এতো কিছু হয় না।
সবার আগে পেটে ভাত দরকার।