নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদে ওয়ার্ড থাকে ৯ টি। বাংলাদেশে যতগুলো ইউনিয়ন পরিষদ আছে, সব ইউনিয়ন এর ওয়ার্ড সংখ্যা ৯ টি। চেয়ারম্যান ১ জন। এবং ৯টি ওয়ার্ড এ ৯ জন মেম্বার। এবং মহিলা সংরক্ষিত আসনে মেম্বার থাকে ৩ জন। মোট ১৩ জন সদস্য থাকে একটি ইউনিয়ন পরিষদে।
ইউনিয়ন পরিষদ সচিব, হিসাব সহকারী, গ্রাম পুলিশ। ওরা স্টাফ বা কর্মকর্তা। ওরা কিন্তু জনপ্রতিনিধি বা ইউনিয়ন পরিষদ এর সমস্য না। তারা সরকার থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত। চেয়ারম্যান মেম্বার ওরা জনপ্রতিনিধি। ওরা আমাদের ভোটে নির্বাচিত।
ইউনিয়ন পরিষদের কাজ: বিভিন্ন রকম প্রত্যয়ন পত্র দেওয়া। যেমন আপনি উমুক এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। এই মর্মে একটি প্রত্যয়ন পত্র দিবে। আপনি উমুক মৃতব্যাক্তির ওয়ারিশ এমন একটি প্রত্যয়ন পত্র দিবে। ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম সনদ, মৃত্যু সনদ দিয়ে থাকে। আরো কি কি সনদ দিয়ে থাকে https://prottoyon.gov.bd/ এই লিংক এ ঢুকে দেখে আসতে পারেন। এই লিংক থেকে আমি চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট (নাগরিকত্বসনদ) সংগ্রহ করেছি। যা আমার পাসপোর্ট করিতে সহায়তা করেছে। এবং আমি ট্রেড লাইসেন্স ও সংগ্রহ করেছি।
গ্রামে নানান রকম বিচার হয়। যেমন ভাই ভাই এ জমি নিয়ে ঝগড়া। স্বামী বা স্ত্রী পরকীয়া করে। কোন ছেলে কোন এক মেয়ে বিরক্ত করেছে। এই ধরনের বিচার স্থানীয় ভাবে/ গ্রাম আদালতের মাধ্যমে করে থাকে।
এই ধরনের সার্ভিস আপনি পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন থেকেও পাবেন।
এখন বিচার, বিবিধ সনদ, মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ সনদ এবং শালিশী বিচার এগুলো গ্রামের মানুষের সাথে ওতোপ্রোত ভাবে জরিত। আবার মনে করেন গ্রামে নির্বাচনরে যারা অংশগ্রহন করে তারা আমাদেরই ভাই-বোন, মামা, চাচা, বন্ধু বান্ধব। যেমন আমাদের ভবেরচর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান আমার মামার বন্ধু। আমার ৬ নং ওয়ার্ড এর মেম্বার হচ্ছে আমাদের এলাকার বড় ভাই। যার কারনে কে ভোটে বিজয়ী হয়েছে সেটা জানার জন্য সবাই উগ্রীব হয়ে থাকে। অনেকে ইউনিয়ন পরিষদ ভোট দেবার জন্য ছুটি নিয়ে বাসায় আসে। এই ভোট এর উছিলায় আপনি এমন একজন বন্ধুর সাথে দেখা হয়েছে; যার সাথে এসএসসি পরীক্ষার পর দেখাই হয় নি।
আশা করি আমি বুঝাতে পেরেছি, কেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মানুষের কেন আগ্রহ থাকে, আর কেন জাতীয় নির্বাচনে মানুষের তেমন আগ্রহ থাকে না।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৬
নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ। কমেন্ট করার জন্য।
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সরল ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের কাজ এগুলো হলেও চেয়ারম্যান মেম্বারদের আরো কিছু কাজ আছে। ভাইয়ে ভাইয়ে বা একজনের সাথে আরেক জনের বিরোধ লাগিয়ে দেয়া,প্রতিপক্ষের বাড়ির ইউপি ট্যাক্স বাড়িয়ে দেয়া,গম চুরি করা ইত্যাদি
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৮
নাহল তরকারি বলেছেন: যে যেমন, সে তেমন জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে। মনে করেন সীমান্ত এলাকায় চোরা কারবারি পেশা হিসেবে গ্রহন করেছেন ৬০% লোক। সেই ৬০ লোক হেরোইন ব্যাবসায়ী ছেড়ে, সৎ লোকদের ভোট দিবে কি?
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আফসোস
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৮
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক।
৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১১
রাজীব নুর বলেছেন: নির্বাচন এলে গ্রামের মানূষজন খূশিই হয়। কারন চা নাস্তা ফ্রি পাওয়া যায়। সেই সাথে কিছু টাকাও ইনকাম হয়।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩
নাহল তরকারি বলেছেন: জ্বি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
পবন সরকার বলেছেন: আপনার লেখনিতে ইউনিয়ন কাউন্সিলের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য অনেক কিছু জানা হলো।