নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেডিও।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৯



রেডিও আবিষ্কার করেন ইতালীয় উদ্ভাবক গুগলিয়েলমো মার্কোনি। তিনি প্রথম সফলভাবে ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফ ব্যাবস্থা শুরু করেন। মূলত তার তত্ত্বাবধানে ১৯০১ সালে প্রথম ট্রান্সঅ্যাটল্যান্টিক রেডিও সংকেত সম্প্রচারিত হয়। বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু রেডিও সম্পর্কে অনেক কিছু জানতেন এবং তিনি রেডিও সংকেত পাঠানোর প্রথম প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন।



রেডিও একটি বিন্যাস যা তরঙ্গ ব্যবহার করে সংকেত প্রেরণ ও গ্রহণ করে। রেডিও তরঙ্গ হল তড়িৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গ যা অ্যান্টেনার সাথে সংযুক্ত ট্রান্সমিটার দ্বারা উৎপন্ন হয়। এই তরঙ্গ বিকিরণ করে এবং একটি রেডিও রিসিভারের সাথে সংযুক্ত অন্য একটি অ্যান্টেনা দ্বারা গ্রহণ করা হয়। রেডিও সংকেত পাঠানোর জন্য উচ্চ কম্পাঙ্কের তরঙ্গের সাথে যুক্ত করা হয়। এই উচ্চ কম্পাঙ্কের তরঙ্গকে বাহক তরঙ্গ বলে। বাহক তরঙ্গের সাথে সিগন্যালকে যুক্ত করার এই প্রক্রিয়াটিকে মডুলেশন বলা হয়। এই মডুলেটেড তরঙ্গ অ্যামপ্লিফায়ার দিয়ে বিবর্ধন করা হয় এবং অ্যান্টেনার সাহায্যে চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ বা রেডিও তরঙ্গ ভূমি তরঙ্গ হিসেবে কিংবা বায়ুমণ্ডলের আয়োনোস্ফিয়ারে প্রতিফলিত হয়ে বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। রেডিও বা গ্রাহক যন্ত্রের ভেতর যে অ্যান্টেনা থাকে সেটি এই রেডিও তরঙ্গকে বিদ্যুৎ তরঙ্গে রূপান্তর করে নেয়।

১৯৮০ ও ১৯৯০ দশকে রেডিও ছিলো বাংলাদেশের মানুষের বিনোদন এর একটি মাধ্যম। তবে গ্রামে মুষ্টিমেয় কিছু পরিবারের কাছে রেডিও ছিলো। মনে করেন এলাকার চেয়ারম্যান, মাতব্বর, থানার দাড়োগা, ওসি, শিক্ষক ও পোস্ট মাষ্টরের নিকট রেডিও ছিলো। একটা ইউনিয়নে মোট ১০ টা রেডিও ছিলো কিনা সন্দেহ। এখন তো ঘরে ঘরে টিভি ও মোবাইল। আগামী ২০ বছরে ঘরে ঘরে ব্রডব্যান্ড এর লাইন চলে যাবে বলে আমি মনে করি।


রেডিও তে কি প্রচারিত হতো তা আমি জানি না। এটা মুরব্বিরা বলতে পারবেন। বাংলাদেশে প্রথম এফ এম রেডিও চালু হয় প্রায় ২০০৬ সালে। রেডিও টুডে হচ্ছে বাংলাদেশে প্রথম এফএম রেডিও। আমি শুনতাম রেডিও ফূর্তি এর ভূত এফ এম যা ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পযর্ন্ত সম্প্রচারিত হয়। এটি ছিলো সে সময় বিখ্যাত একটি রেডিও অনুষ্ঠান। এর পরে এবিসি রেডিও এর ডর ও কুয়াশা ছিলো বিখ্যাত রেডিও অনুষ্ঠান। আমিও যে কত রেডিও শুনেছি তার কোন হিসাব নেই। আমার কাছে ভালো লাগতো পডকাষ্ট জাতীয় অনুষ্ঠান গুলো। এখন ইন্টারনেট এর যুগ। ইউটুব আর ফেসবুকের যুগ। এখন সবাই ফেসবুক ও ইউটুবে ভিডিও দেখে। এখন পডকাষ্ট ও গল্প জাতীয় অনুষ্ঠান ইউটুবে পাওয়া যায়। এফ এম রেডিও ঢাকার বাহিরে তেমন ভালো সিগনাল পাওয়া যায় না। অনেক জেলায় রেডিও এর কোন সিগনাল পাওয়া যায় না। তাই এখন অনেকে এফ এম রেডিও বিমুখী। রেডিও একদিন ইন্টারনেট বেইস হয়ে যায়। হয়তো।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাংলাদেশ বেতারের সব অনুষ্ঠান অনলাইনে প্রচারিত হয় বাট শোনার লোক নাই।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৩

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: কোন এক সময় নিযমিত শ্রোতা ছিলাম। খুব ইচ্ছে ছিলো এই এই রেডিওর যেকোন প্লার্টফর্মে জব করার...
সুযোগ পাইনি...
মিস করি সেইসব দিনগুলি...

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আগে আমি নিয়মিত বাংলাদেশ বেতার শুনলাম।

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৪

বিজন রয় বলেছেন: ক সময় রেডিও ছাড়া চলতে পারতাম না। আর এখন!!!
অনেক দিন পর রেডিওর কথা মনে করিয়ে দিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.