নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষা।

১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:১৬

এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী একাকিত্বে ভোগে কারা জানেন? প্রতিবন্ধীরা। বিশেষ করে যারা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তাদের কে সমাজ পিষে ফেলার চেষ্টা করে। এক সময় আমিও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছিলাম। বলতে পারেন এখনো আছি। তবে অনেক কষ্টে মাষ্টার্স পাশ করেছি। বলতে পারেন আমি এমএ পাশ প্রতিবন্ধী। আমার রাস্তা সহজ ছিলো না।

আমি তখন মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তাম। কি যে পড়তাম! কিছুই মনে থাকতো না। বাংলা সাত দিনের নাম, ইংরেজিতে সাত দিনের নাম, ইংরেজিতে ১২ মাসের নাম, বাংলার ১২ মাসের নাম শিখতে শিখতে ৬ মাস লেগে গিয়াছিলো। Saturday, Sunday, Monday বানান সহ শিখতে আমার একমাস সময় লেগেছিলো। আমি একদিক থেকে একটি প্রশ্ন মুখস্ত করতাম, আরেক দিক থেকে ভুলে যেতাম। স্যারেরা গণিত বুঝাতো ঠিক। যেমন এই চ্যাপ্টারের সব যোগ হবে। এই অধ্যায় এর সব বিয়োগ হবে। পরে যদি আপনারা যোগ বিয়োগ আলাদা করে করতে দিতো, তাহলে আমি প্যাচ লাগিয়ে দিতাম। এই কি ঐ চ্যাপ্টারের অংক? তাহলে যোগ হবে। এটা কি সেই চ্যাপ্টারের অংক তাহলে এটা বিয়োগ হবে। এমন কনফিউশনে থাকতাম।

পরে আমি ভয়ে মতিঝিল সরকারি প্রথমিক স্কুল থেকে চলে আসি। পরে আমি ক্লাস ফাইভে নরসিংদী তে অবস্থিত “সরকার রেডিয়েন্ট স্কুল” এ ভর্তি হই। সেখানে অবশ্য মনে রাখার বেরাম চলে যায়। কিন্তু আচরণে প্রতিবন্ধীর ছাপ রয়ে যায়। আর মানুষ আমার সাথে মশকরা করতো। আর ঘৃণার সাথে বলতো “এই উমুক অফিসারের পোলা।” মানুষ কেমন যেন করিয়া বলতো “এটা উমুক অফিসারের পোলা” কথার সুরে কেমন যেন বিদ্রুপ ছিলো।

এখন আসি আসল ঘটনায়ঃ
ক্লাস সিক্সে আমার বাব্বু জয়পুরহাট বদলী হয়। ২০০৬ সালে আব্বু জয়পুরহাট বদলী হয়। তখন বিএনপি সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। তত্ত্ববধায়ক সরকার আসে। এটা সেই সমযের ঘটনা। আমি তখন একটি স্কুলে ভর্তি হই। স্কুলেরর নাম বলবো না। সেই স্কুলের একজন স্যার ছিলো। হুজুর স্যার। আমি প্রতিবন্ধী বলে আমাকে শুধু মারতেন। আরেকজন মেডাম ছিলেন। মেডামের নাম মনে নাই। মেডামের শাড়ি পড়ার ধরন দেখে মনে হতো তিনি আধুনিক মনস্ক। সারা রাত্রি মনে হয় স্বামীর সাথে ঝগড়া করতো। আর ক্লাসে সেই রাগ ঝাড়তেন। একদিন তো মেডাম সবার সামনে আমাকে অপমান করেছে। আর কাউকে অপমান করে নাই। শুধু আমাকেই অপমান করেছে। এখন আমি ইসলামিক মাইন্ড এর কাছ থেকেও খারাপ ব্যাবহার পেয়েছি। আর আমি বিজ্ঞানমনস্ক মুক্তমনা মেডামের কাছ থেকেও বাজে ব্যাবহার পেয়েছি। এই দুই টিচার যখন ক্লাস নিতো আমি ভয়ে তটস্থ থাকতাম। কখন যেন কোন ভুলে পিটাবে।

আর সহপাঠীদের কথা কি বলবো। তাদের আচরন একদম দেখার মত। কেউ মনে হয় আমাকে সহ্য করতে পারতো না। তাই আমি ক্লাস সিক্স থেকে এইট পযর্ন্ত একাই কাটিয়েছি। কোন বন্ধু ছাড়া। সুজয় হালদার আর অরুপ কুমারের সাথে যদিও বন্ধুত্ত্ব হয়েছিলো, তারাও রেগুলার ক্লাসে আসতো না। আপনারা কি মনে করেছেন? বাসায় নিরাপদ ছিলাম? বাসায়ও নিরাপদ ছিলাম না। প্রায় সময়ই আমাকে ধমক থেতে হতো। বিশেষ করে “মা” এর কাছ থেকে বেশী ধমক থেয়েছি।

আমাদের কোয়াটার্র ছিলো দ্বীতিয় তলায়। আমার পড়ার রুম ছিলো বারান্দায়। সে সময় পড়া শেষে কিছু বারান্দায় বসে ঝিঝি পোকার ডাক শুনতাম। রাতের নির্জনতা উপভোগ করতাম। কোলাহল, উচ্চকন্ঠস্ব, মানুষের কটু কথা মুক্ত কিছক্ষণ। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে ঝিঝি পোকার ডাক আর রাতের নিস্তবতা খুব উপভোগ করতাম।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনি যে প্রতিবন্ধী(!!) সেটি আপনি নিজে নিজে ভেবে নিলেন নাকি কোনো ডাক্তারে কাছে কখনো আপনাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে?

১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫

নাহল তরকারি বলেছেন: ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলম। ডাক্তার রোগ ধরতে পারে নাই।

২| ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫০

জোবাইর বলেছেন: অল্প কয়েক লাইনে আপনার ছাত্র জীবনের যে বর্ণনা দিলেন তাতে আপনার সার্বিক পরিস্থিতি আমি মোটামুটি বুঝতে পেরেছি। পৃথিবীতে সব মানুষ একই বুদ্ধিমত্তা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না। তাই অন্য মানুষের থেকে বুদ্ধিমত্তা (intelligency) কম হলেই কেউ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হয় না।

আপনি আসলে আপনার সহজ-সরল চিন্তাভাবনা ও আচরণের কারণে ঘরে-বাইরে (bullying) বুলিং-এর শিকার হয়েছেন। বুলিং হচ্ছে কাউকে কথায় ও আচরণে অপমান করা, ব্যঙ্গ করা। এই বুলিং-এর কারণে আপনার মধ্যে হীনমন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। তাই আপনি নিজেকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মনে করেন। আপনি সত্যিকারের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হলে মাস্টার্স পাশ করতে পারতেন না। এখানে এতো ভালোভাবে পোস্ট লিখতে পারতেন না।

আপনার বুদ্ধিমত্তা মানুষের গড়পড়তা বুদ্ধিমত্তার চেয়ে একটু কম হওয়ায় ছোটোবেলায় একটু অতিরিক্ত সাহায্য-সহযোোগিতার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পেয়েছেন উল্টোটা! দুঃখজনক হলেও ষত্য যে, এখানে ব্লগে অনেক তথাকথিত "নামীদামী" ব্লগারও আপনাকে পরোক্ষভাবে বুলিং করে।

আপনি নিজেকে আর দশজন মানুষের মতো সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষ ভেবে এগিয়ে যান, আমাদের শুভকামনা রইলো।

১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৬

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর কথা বলার জন্য।

৩| ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৬

বিষাদ সময় বলেছেন: ব্লগের কুটিল মানুষগুলোর মতো কথাকে জটিল করে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে না হয় না`ই বলতে পারলেন। আপনার সহজ সরল কথাগুলোর একটা আলাদা মূল্য আছে। সহজ সরল ভাবেই আপনার কথাগুলো লিখুন, আমরা আছি আপনার সাথে।

১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৬

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৩ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১

নতুন বলেছেন: আপনি নিজেকে কেন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হিসেবে ভাবছেন?

হয়তো আপনি একটু অন্য ভাবে বোঝেন। সমাজের মানুষ নিজেদের কস্ট অন্যর উপরে ঝাড়তে পছন্দ করে, হয়তো তারা ইচ্ছা বা অনিচ্ছায়ই তা করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.