নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্নীয় স্বজন নিয়ে ফেসবুক বিড়াম্বনা।

২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:২২



ঘটনা ০১:

২০১১ সালের কথা। তখন মানুষ গণহারে ফেসবুক চালাতো না। মুষ্টিমেয়ো কিছু লোক ফেসবুক চালাতো। আমি সদ্য এসএসসি পাশ করে ইন্টারে ওঠি। বকশিসের টাকা দিয়ে নকিয়া ৫১৩০ মোবাইল কিনি। সেটা দিয়ে ফেসবুক চালাই। ফেসবুকে ক্লাসের বন্ধুজন ও মামা, মামী, মামীর বোন সহ আরো কিছু আত্নীয় স্বজনদের ফেসবুকে ফ্রেন্ডলিস্টে রাখি। আত্নীয় স্বজনদের ফ্রেন্ডলিস্টে রাখা ছিলো আমার জন্য ভুল সিন্ধান্ত। আমি ঘুরতে যেতাম। ফেসবুকে ছবি আপলোড দিতাম। দার্শনিকদের মত গুরুগর্ম্ভীর পোস্ট করতাম। ইন্টারের পোলাপান যেসব পোস্ট করে আরকি!! মামা মামীরা সে সব দার্শনিক মার্কা পোস্ট দেখে মনে করতো আমার মন খারাপ আছে বা আমি প্রেমে পড়েছি। এই পোস্ট এর কথাগুলো আবার তাহারা আমার আম্মুর কাছে বলতো। আম্মু দিতো ধমক। ধমক খেয়ে তাদের কে ফেসবুক থেকে ব্লক মেরে ‍দিলাম।

ঘটনা ০২:

আমি তো মামা মামীদের ব্লক মারা ছিলো। কিন্তু আমার খালাত্বো ভাই ও আমার আপন ভাই এর সাথে মামা মামীর ফেসবুকে এড ছিলো। কোন এক বিবাহ বার্ষিকীতে মামা মামী কে হীরার আংটি উপহার দেয়। সেটা আবার আমার খালাত্বো ভাই, নানী কে ও খালাকে বলেন। মামা কতৃক মামী হীরার আংটি উপহার পাবার কথাটি শুনার পর আমার নানীর কলিজা ফেটে যায়। আর খালায় তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে। খালা ও নানীর এমন আচরনের কারন হলো আমাদের নানীর পরিবার হলে রক্ষনশীল। আমাদের নান বাড়ির কাছে বিবাহ বার্ষিকী, জন্মদিন ইত্যাদি অনুষ্ঠান পালন করা অন্যায় হিসেবে দেখা হয়। তার মধ্যে বউ কে উপহার দেওয়া, তাও আবার হীরার আংটি। সব মিলিয়ে একটি বিশ্রী ঘটনা ঘটে। এখন মামা আর মামী মনে করেছিলো আমি এই আগুনটি লাগাইছি। অতছ আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। এই ঘটনাটি আমি জানতে পারি করোনার পরে। আর বিবাহ বার্ষিকী পালন করা হয়েছিলো ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে।

ঘটনা ০৩:

আমি তখন ও সামু ব্লগে আসি নাই। আমি একবার শিক্ষা নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত মতামত ফেসবুকে পোস্ট করছিলাম। যেখনে ইংরেজি মিডিয়াম এর ছাত্রদের প্রাপ্ত সুবিধা্ আর গ্রামের সরকারি প্রাইমারি ছাত্রদের প্রাপ্ত সুবিধা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। “ইংরেজি মিডিয়াম ছাত্র ছাত্রীদের পেছনে তাদের অভিবাক লাখ লাখ টাকা খরচ করে। আর প্রাইমারি স্কুলের অভিবাবক গরিব। তাই তারা তেমন টাকা খরচ করতে পারে না। ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্ররা বড়লোক হবার কারনে এটা করতে পারে, ওরা এটা পেয়ে যায়। আর প্রাইমারি স্কুলের ছাত্ররা এসব সুবিধার ১ ভাগও পায় না” ইত্যাদি ইত্যাদি।

এই পোস্ট দেখে এক সাংবাদিক। সেই সাংবাধিক আবার আমার খালুর কাছে বিচার দিছে। আমি নাকি আবল তাবল লেখি। আমার খালু আমার খালাকে, আমার খালা আবার আমার মা কে বলে। পরে আমি আমার মা এর কাছ থেকে খেলাম ধমক।


ঘটনা ০৪:
আমি সমাজের কিছু অসংঘতি তে রোস্টিং জাতীয় প্রতিবাদী করতাম। পরে দেখতাম আমার ফেসবুক আইডিতে বারবার সমস্যা হচ্ছে। পরে বাধ্য হয়ে পাকনা আত্নীয়দের ব্লক মারি। ঐ সাংবাদিক হয়। পরে আর আমার আইডি তে কোন সমস্যা হয় নি। পরে আমার খালা, খালু, আন্টি আর আম্মুকে ফেসবুকে এড করি। তাদের ফেসবুকে এড করি কারন তারা যাতে আমার পোস্টগুলো নিজ চোখে দেখে আর বিচার করে। মাইন্সের কথায় যেন না নাচে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: ফেসবুকে আত্মীয় স্বজন ঢোকানর অর্থ হচ্ছে সিসিটিভি বসানো =p~ । কিন্তু এড করার পর আনফ্রেন্ড করলে আরো বিপদ। তাতে রিলেশনই নষ্ট হবার আশংকা তৈরী হয়। অবস্য ফিল্টার ইউজ করার যায়। ব্লগই সবচেয়ে ভাল। মনের সব কথা নিঃসংকোচে বলা যায় এখানে।

২| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:২০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ২টা আইডি রাখা ভালো। একটাতে আত্মীয়স্বজন, অন্যটায় সমমনা লোকজন।

৩| ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:০৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ফেসবুকে আমার অসংখ্য আইডি ছিলো। নিজ নামেই।
আত্মীয় স্বজনকে মাঝে মধ্যে এড করতাম।
এখন একটা আইডি চালায়। তবে কারও সাথে এড নাই।

৪| ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমার এক আত্মীয় ছিলো, কিছুটা সহজ সরল।
সে জানতো না,৷ কোন কিছুতে লাইক / কমেন্ট করলে সেটা তার ফ্রেন্ডলিস্ট এর লোকজন দেখবে।
সে প্রায় ১৮+ পেজে লাইক দিত।

৫| ২৫ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১০

ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: ২০১১ সালের দিকে ফেসবুকের কল্যাণে আমার উপজেলার টিএনও এর সাথে আমার একবার ক্যাচাল লেগে যায় একালাকার মাহফিলের পোস্টারের ৩য় আর ৩ তম নিয়ে। কমেন্টের আমি ঐ টিএনও কে বলে বসি "আপনি হইলেন চিংড়ী মাছ, চিংড়ী মাছের মাথায় যেমন গু থাকে তেমনি আপনার মাথায় গু।" ভাই রে ভাই আমি তো আর জানতাম না উনি টিএনও। তারপর আমারে কই থানায় দেখা করতে। আমি কইলাম আপনি আপনার যুক্তির পেছনে যে সব ডকুমেন্ট নেয়ার নিয়ে আমাদের মাঠে আসেন। মাঠেই খেলা হবে। পরে উনি বুঝতে পেরেছিলেন যে উনি ভূল ছিলেন। আমার ওয়ার্ডের মেম্বারের কাছে ফোন দিয়ে আমাকে দেখা করতে বলে আমিও বলে দিলাম যা বলার সকলের সামনেই বলবো। উনাকে মাঠে আসতে বলেন। পরে মেম্বার আমাকে বুঝিয়ে টুজিয়ে সেই কমেন্ট টি ডিলেট করিয়ে নেয়। সেই থেকে এলাকায় আমার অনেক নামডাক(বর্তমানের অনলাইন বা অফলাইন ভাইরাল যাকে বলে) হয়ে গেল। যার সুফল এখনো পেয়েই যাচ্ছি। :) মনে পড়লে এখনো হাসি পায়। :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.