নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
ঢাকা জিপিও, বাংলাদেশের পোস্ট অফিসের অভিভাবক বলতে পারেন। চলুন ফিরে যাই ১৯৮০ সালের কথা। তখন ব্যাংক এবং মোবাইল ফোন ছিল না। সরকারি অফিস ছাড়া তেমন টেলিফোনের ব্যবস্থাও ছিল না। বড় ব্যবসায়ী ছাড়া কেউ টেলিফোন ব্যবহার করতেন না। নগদ এবং বিকাশের মতো সেবার কথা তখন কল্পনাও করা যেত না।
১৯৮০ সালের ১ জানুয়ারি। রফিক সাহেব বেতন পেয়েই চলে গেলেন জিপিওতে। বাবাকে এবং স্ত্রীকে আলাদা করে মানি অর্ডার করে টাকা পাঠালেন। স্ত্রীকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে একটি চিঠিও পাঠালেন। বাবা-মাকে শ্রদ্ধাভরে একটি চিঠি দিলেন।
নূরে আলম, বয়স ১২ বছর, মাত্র ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠলেন। নতুন বই ভিপি যোগে আসার কথা। সন্ধ্যায় পোস্টমাস্টার হাজির হলেন বই নিয়ে। নতুন বই পেয়ে নূরে আলম খুব খুশি।
জুলাই মাসের সাত তারিখ। রফিক সাহেবের স্ত্রী এবং রফিক সাহেবের বাবা মানি অর্ডার এবং চিঠি পেয়েছেন।
গত ৫ জুন ২০২৪ তারিখে আমি প্রায় ২৬ জনকে ঈদের শুভেচ্ছা চিঠির আকারে পাঠিয়েছি। ডাকযোগে তারা হয়তো এক সপ্তাহের মধ্যে পেয়ে যাবেন। এই ২৬ জনের মধ্যে আছেন পোস্টমাস্টার, যার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। আরও আছেন আমার কলেজ জীবনের সম্মানিত শিক্ষকগণ, স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধু, ব্যাংকের ম্যানেজারগণ। আর আছেন রফিকুল ইসলাম, আমাদের সাতকাহনিয়া গ্রামের প্রথম ইমাম সাহেব। তিনি দীর্ঘ ১৩-১৫ বছর অত্র মসজিদে ইমামতি করেছেন। ৫ জুন ২০১৯ তারিখে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।
আমি আরও দুইজনকে মানি অর্ডারের মাধ্যমে ঈদের সেলামী পাঠিয়েছি। আমার কাছে যদি আরও টাকা থাকতো, তাহলে লুঙ্গি কিনে ডাকযোগে পাঠাতাম।
এই ছিল তখনকার সময়ের ঢাকার জিপিও এবং আমাদের জীবনের ছোট ছোট আনন্দের গল্প। সময় বদলেছে, কিন্তু সেই স্মৃতিগুলো আজও মুরব্বীদের হৃদয়ে অম্লান।
০৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১:২৭
নাহল তরকারি বলেছেন: তাই?
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯
কালো যাদুকর বলেছেন: বিদেশে কিন্তু এই রিতী এখনও আছে। প্রতি ক্রিসমাসে মানুষ প্রিয়জনকে ডাকযোগে এখনো উপহার পাঠায়।