নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নদী বয়ে যায়।

০৯ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:০২

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২ মহররম ১৪৪৬ হিজরি।

ছবিট গতকাল তুলেছি। ট্রেন থেকে তুলেছি। গুগল ম্যাপের লিংক: গুগল ম্যাপ




ট্রেনের জানালা দিয়ে তোলা এই ছবিটি যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব ক্যানভাস। চিত্রটি একটি শান্ত নদীর দৃশ্যপটকে তুলে ধরেছে, যেখানে জলের মধ্যে তীরের গাছগাছালি ও বিদ্যুতের টাওয়ার দৃশ্যমান। মেঘলা আকাশ, নির্মল বাতাস, আর জলের সাথে মিশে থাকা সবুজ বৃক্ষরাজি সবকিছুকে এক অনবদ্য সুন্দর দৃশ্য তৈরি করেছে।

এ যেন এক চিরন্তন বাংলা গ্রামের রূপ। মেঘলা আকাশের নিচে বিশাল জলরাশি কেমন নিস্তব্ধতার সুরে ভাসছে। বিদ্যুতের টাওয়ারগুলো যেন প্রকৃতির মাঝে মানুষের উন্নতির স্বাক্ষর বহন করছে। কিছু দূরে দেখা যাচ্ছে সবুজাভ তীরভূমি, যেখানে গ্রাম্য প্রকৃতির স্বাভাবিক দৃশ্য ফুটে উঠেছে।

নদীর জলে ভেসে বেড়ানো কচুরিপানাগুলো এ দৃশ্যকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে। গাছগুলো যেন নদীর পানিতে নিজেদের ছায়া ফেলেছে, যা জলে ঢেউ তোলার সাথে সাথে মিশে যাচ্ছে। এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মনে হয় যেন সময় থেমে গেছে, আর সেই সাথে হৃদয়ের সব ক্লান্তি দূর হয়ে এক অদ্ভুত প্রশান্তি এসে ভর করেছে।

রেলগাড়ির গতিতে যখন এই দৃশ্যপট দ্রুত পেছনে চলে যাচ্ছে, তখন মন যেন সেখানে আটকে থাকে। প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে দেখতে দেখতে জীবনের ছোটখাটো সব উদ্বেগগুলো ভুলে যাওয়ার মতো। এ দৃশ্য শুধু চোখকে নয়, মনের গভীরেও প্রশান্তি এনে দেয়।

সত্যিই, এই ছবির প্রতিটি ফ্রেমে লুকিয়ে আছে গ্রামবাংলার সেই চিরচেনা রূপ, যা আমাদের প্রকৃতির প্রতি আরও ভালোবাসা জন্ম দেয়। এটি যেন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, ব্যস্ত জীবনের মাঝেও একটু সময় করে প্রকৃতির সান্নিধ্যে আসা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ট্রেনের জানালা দিয়ে দেখা ক্ষণিক দেখা প্রকৃতি আপনার মনে রেখাপাত করে গেছে।
আমার মনেও গোমতির অনেক সুখস্মৃতি জমা হয়ে আছে। সে অনেক, অনেক দিন আগের কথা!

১০ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।

২| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন:
কানাডার আলবার্টা প্রদেশের ক্যানমোর শহরের এই নদীটির পাশে আমি সেদিন অনেকখানি সময় বসে ছিলাম চুপচাপ। এ দেশের নদীগুলো আমাদের দেশের নদীর মত ততটা প্রশস্ত হয়না। তবে নদী ও নদী তীরের শোভা খুব সুন্দর।

নদীটির নাম “বাও রিভার“। ছবি তোলার সময় ও তারিখ: ৩০ জুন ২০২৪, ১৭:১৬।

১০ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।

৩| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমিও আপনার মতো নেচার ভালোবাসি। শ্রদ্ধেয় ব্লগার খায়রুল ভাই এর ছবি দেখে আমারও একটা ছবি শেয়ার করতে ইচ্ছা করছে। এটা নোয়াখালীর একটা গ্রামের পুকুর ও পুকুর পাড়ের দৃশ্য। ক্যানমোর শহরের চেয়েও মনে হয় বাংলাদেশ বেশী সুন্দর।
আমিও আপনার মতো নেচার ভালোবাসি।

১০ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ। কমেন্ট করার জন্য।

৪| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ১০০% কপি-পেস্ট মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন।

১১ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি কমেন্ট করেছেন। তাই আমি খুসি হয়েছি।

৫| ১০ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: সংশোধনীঃ
কথাটা হবে- ১০০% কপি-পেস্ট প্রতিমন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.