নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেদিন বৃষ্টি ছিলো।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯


==> বেশ অনেকদিন আগের কথা। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের দিকে। তখন আমি মাত্র স্নাতক এ ভর্তি হয়েছি। কিন্তু ক্লাশ শুরু হয় নি। আমি যেদিনের কথা বলছি সেদিন শৈত্য প্রবাহ ছিলো। দিনটি ছিলো শুক্রবার। আমি সেসময় নানীর বাড়িতে থাকতাম।

গোছল করে নামাজে গেলাম। নামাজ পড়ে এসে খাসির গোস্ত দিয়ে খিচুড়ী খেয়েছিলাম। খেয়ে দেয়ে একটু বারান্দায় বসে ছিলাম। আমার বরাবরই ঠান্ডা আবহাওয়া পছন্দ। সেদিন খুব শীত পড়েছিলো। সাথে মনে হয় বৃষ্টিও ছিলো। সেদিন আমার মনে কেমন যেন পবিত্র অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছিলো।

==> ২০১৭ সালের শেষের দিকের কথা। শীত আসার আগে, নিম্মচাপ ওঠে। সে সময়ের কথা। আমাদের গজারিয়া তে মাত্র ব্রডব্যান্ড এর লাইন আসে। ভবেরচর বাস স্ট্যান্ডে, মার্কেটের এক দোকানদ্বার আমাকে ওয়াই-ফাই এর পাসওয়ার্ড দেয়। আমি সকালে ঘুম থেকে ওঠতাম। বাহিরে বৃষ্টি কমলে নানার বাসা থেকে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ডে যেতাম। আর ওয়াই ফাই চালাতাম। আর ইউটুব থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান নামাতাম। পরে বাংলা হোটেল থেকে তুন্দুল রুটি আর ডাইল ভাজি খেতাম। তাহার হোটেলের ডাইল ভাজি খুব সুস্বাদু।

==> ২০১৯ সালের ঘটনা। অক্টোবর মাসের ঘটনা। আমি অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরছি। আমি তখন ও নানী বাড়িতে থাকতাম। কেয়ারটেকার এর মত। নানী তখন পুরোপরি খালার বাসায় শিফট করে। রাতে খালার বাসায় ঘুমায়। দিনে মাজে মাজে বাসায় আসতেন। মামা শহরের মানুষ। রেলের কন্ট্রক্টর। নানার বাসায় এসি লাগিয়ে দেয়। নানার বাসায় ততদিনে ওয়াই-ফাই লাগিয়ে ফেলি। আর ল্যাপটপ তো ছিলোই। কোন এক বৃষ্টি দিনের কথাআমি ল্যাপটপে সিনেমা দেখতেছিলাম। যেহেতু ওয়াই-ফাই। এমবি শেষ হবার দুঃচিন্তা নাই। এসি টা অন করে, ল্যাপটপ এ সিনেমা দেখতে ছিলাম। নানী নাই। কি মজা। কারন নানী থাকলে বলতো “কারেন্ট বিল ওঠতাছে। এসি বন্ধ করো। ল্যাপটপ বন্ধ করো। ঘুমাও”

আমি ঐদিন যে আরামে কাটিয়েছিলাম, যা বলার বাহিরে। একজন পুরুষ মনে হয় বাসর রাতে এত সুখ পায় না। একজন পুরুষ বাসর রাতে যে মানষিক সুখ পায়, তার থেকে হাজার গুন সুখে পেয়েছি। আমার এই ৩০ বছরে, ঐদিন ছিলো আমার জন্য সবচেয়ে তৃপ্তিময় রাত।

==> করোনার জন্য লক ডাউন শুরু হয়। লকডাউন এর কিছু দিন আগে নানার বাসায় মামা, খালা আর আম্মু আসে। বাসায় সুন্দর আবহাওয়া বিরাজ করছিলো। হঠাৎ করে নানীর সাথে খালার ঝগড়া শুরু হয়। পরে আম্মু ওদের ঝগড়া দেখে অভিমানে আব্বুর এখানে চলে আসে। আমিও এগিয়ে দিয়ে আসি। যেদিন আব্বুর কোর্য়াটারে আসলাম, এর পরের দিন থেকে লক ডাউন। সেই যে নানীর বাড়ি থেকে বিদায় নিছি, আর সেখানে স্থায়ী ভাবে থাকা হয় নি। আর আমার জীবন থেকে সকল সুখ উদাও হয়ে গেলো।

আজকে কেন যেন পুরানো দিনের সুখের কথা গুলো মনে পড়ছে। ২০১৯ সালের পর আমার জীবনে তেমন কোন সুখের ঘটনা আসে নি। এমন কোন ঘটনা বলতে পারবো না, যে এটা আমার জন্য সুখের ছিলো। অতিরিক্ত স্বস্থ্য, বেকারত্ব, পারিবারিক টেনসান ইত্যাদির জন্য শান্তি অনুভব করতে পারছি না। আগেও শরীলে ওজন থাকলেও মনে শান্তি ছিলো। সারাদিন দৌড় ঝাপ করলেও ক্লান্তি লাগতো না। এখন দুঃচিন্তা, মানষিক অস্থিরতার জন্য সারাদিন ক্লান্ত লাগে নাই। আবার কি ফিরে পাবো সুখের দিন গুলো??

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১১

রবিন_২০২০ বলেছেন: আপনার সব লেখাতেই দেখি ব্রডব্যান্ড, ফেইসবুক আর ইউটিউব এর গল্প। নাটক সিনেমা দেখা আর চ্যাট করা।
আপনি কি ইন্টারনেট কে শিক্ষামূলক কাজে ব্যবহার করেছেন কখনো ?

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:০৩

নাহল তরকারি বলেছেন: ইন্টারনেট থেকে কোন কিছু মুখস্ত করার মানে নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.