নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি যদি বিয়ে না করি, তাহলে সন্তান হবে না। এখনই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বৃদ্ধ অবস্থায় কি হবে? তখন আমাকে সেবা করবে কে?

১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:০২

একাকীত্ব, অসুস্থতা ও রোবটের প্রয়োজনীয়তা


আগে আমি আমার নানা-নানীর সাথে থাকতাম। কেন থাকতাম, সে গল্প আপনারা জানেন। সময় বদলায়, জীবনও নতুন মোড় নেয়। বিয়ের পর আমি, আব্বু, আম্মু ও স্ত্রী একসাথে থাকতে শুরু করি। কিন্তু ২০২২ সালে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে আমি একাই থাকি এবং ফ্রিল্যান্সিং করি।

নানীর বাড়ি গেলে এখনো ভালো লাগে। কিন্তু আমার আজকের লেখার উদ্দেশ্য তা নয়। কিছুদিন আগে আমি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। জ্বর এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে শরীর পুড়ে যাচ্ছিলো। একা থাকা, নিজের যত্ন নেওয়া, রান্না করা, ঘর পরিষ্কার রাখা—সব মিলিয়ে কঠিন এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তখন মনে হলো, যদি স্ত্রী পাশে থাকতো, তাহলে অন্তত একটু সহযোগিতা পেতাম। কিন্তু এখন বিয়ের প্রতি আমার কোনো আগ্রহ নেই। অভিভাবকরা নানা প্রস্তাব দেন, কিন্তু কিছুতেই আগ্রহ বোধ করি না। আমার এই উদাসীনতা আব্বু-আম্মু বুঝতে পারেন না।

সেই জ্বরের সময় এক গভীর রাতের কথা মনে পড়ে। প্রচণ্ড তৃষ্ণা পেয়েছিল, কিন্তু বিছানা থেকে ওঠার শক্তি ছিল না। মনে হচ্ছিল, যদি আম্মু বাসায় থাকতেন, তাহলে পানি এনে দিতেন। যদি স্ত্রী থাকতো, তাহলে কি একটু পানি এগিয়ে দিতো? জানি না। অনেকেই স্বামীর সেবা করাকে কৃতদাস মনে করে। তবুও ভাবছিলাম, যদি এমন কেউ থাকতো, যে অন্তত খাবার রান্না করে দিতো, পানি এনে দিতো, তাহলে কতটা স্বস্তি পেতাম।আমি যদি বিয়ে না করি, তাহলে সন্তান হবে না। এখনই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বৃদ্ধ অবস্থায় কি হবে? তখন আমাকে সেবা করবে কে?

এই ভাবনার সূত্র ধরেই একটা কল্পনা মাথায় এলো—যদি কোনো রোবট থাকতো, যে অসুস্থ সময়ে যত্ন নিতো, তাহলে কেমন হতো? ইলন মাস্কের মতো কেউ হয়তো একদিন এমন রোবট বানিয়েও ফেলবে, যেটা সুলভ মূল্যে বাজারে পাওয়া যাবে। তখন একাকীত্ব বা অসুস্থতার সময় এই রোবটই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।



জীবন কত অদ্ভুত! কখনো কখনো প্রযুক্তির উন্নতির স্বপ্নই হয়তো আমাদের বাস্তবের কষ্ট কমানোর সমাধান হয়ে উঠবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: রোবট যদি কখনও কিনেন, পুরুষ রোবট কিনবেন। নারী রোবট বিভিন্ন ঝামেলা করে। আপনি সহজ-সরল মানুষ, তাই এই উপদেশ।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:




ভুম যেভাবে বললো, মনে হচ্ছে নারী রোবট নিয়ে ঝামেলার অভিজ্ঞতা আছে :)


৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মিরোরডডল বলেছেন: ভুম যেভাবে বললো, মনে হচ্ছে নারী রোবট নিয়ে ঝামেলার অভিজ্ঞতা আছে :) না, তা নাই। তবে শুনেছি, ভবিষ্যত রোবটদের মধ্যে মানবিক অনুভূতি ইন্সটল করা হবে। সেইজন্য অগ্রীম সাবধানবাণী!! হোপফুলি ইউ নো হোয়াট আই মিন!!!! ;)

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: আপনি যেমন রোবটের কথা বলছেন তেমন রোবট এখনও তৈরি হওয়া অনেক দেরি আছে। আর তৈরি হলেও আমার আপনার মত মানুষদের সেটা কেনার সামর্থ হবে না।

অন্য দিকে বুড়ো বয়সে ছেলে মেয়ে যে আপনাকে দেখবে এখন সেটার কোন নিশ্চুয়তা নেই, এই যুগে তো নেই ই। এর থেকে কাজ করুন টাকা পয়সা জমান, সম্ভব হলে ভাল কোন পেন্সন স্কিম কিনুন। নিজের টাকা পয়সা থেকে বুকে বল আসবে। তারপর যখন কাজ করার অক্ষম হয়ে যাবেন তখন একটা বিদ্ধাশ্রমে চলে যাবেন ।

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৫৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: বেশ চিন্তাশীল, খাসা একটি লেখা হয়েছে। শুভকামনা আপনার জন্য।

৬| ১৬ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:৪৪

জনারণ্যে একজন বলেছেন: শেষ লাইনটা বেশ অর্থবহ, ভালো লেগেছে।

@ নাহল, জাস্ট কিউরিয়াস - এত সুন্দর করে, গুছিয়ে কে লিখে দেন? যিনিই লিখে দেন, তিনি এই প্লাটফর্মের শতকরা আশি শতাংশ পোস্টদাতাদের চেয়ে ভালো লেখেন।

এই মেধাশূন্য-নির্বোধগুলি ছাত্রজীবনে নকল করার বদ-অভ্যাস এখনো ছাড়তে পারেনি। সো কলড পান্ডিত্য জাহির করার জন্য এরা চ্যাট জিপিটি-গুগল কে ভরসা করে এখানে, এমনকি মন্তব্য করার নামেও, আবর্জনা বিসর্জন করছে।

নিজের মেধা দিয়ে একটা লাইন লিখতে পারেনা, তারপরেও এখান-ওখান থেকে কুড়িয়ে-বাড়িয়ে নিয়ে এখানে বস্তাপচা ইনফরমেশন ডাম্প করতেই হবে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.