![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
এটা একটি টিউবওয়েল।
২০০৯ সালে, যখন আমি নানী বাড়ি থেকে লেখাপড়া করতাম, তখন প্রতিদিন এই টিউবওয়েল দিয়েই গোসল করতাম। স্কুল শেষে ক্লান্ত, ঘামাক্ত শরীর নিয়ে যখন ঠান্ডা পানির ঝাপটায় নিজেকে স্নান করতাম, তখন এক অপার স্বস্তি অনুভব করতাম। সেই মুহূর্তগুলো ছিল যেন প্রকৃতির পরম আশীর্বাদ।
আমাদের গ্রামে অনেক টিউবওয়েল ছিল, কিন্তু নানী বাড়ির টিউবওয়েলের পানি ছিল সবচেয়ে ঠান্ডা। এমন ঠান্ডা, যা শুধু শরীর নয়, মনে জমে থাকা ক্লান্তিকেও ধুয়ে মুছে দিতো। বিশেষ করে গরমকালে কিংবা রমজান মাসে এই টিউবওয়েল হয়ে উঠতো পুরো পাড়ার নির্ভরতার জায়গা। সবাই এখান থেকে পানি আনত—শুধু প্রয়োজন নয়, একরকম টান থেকেই।
আজ অনেক কিছুই বদলে গেছে।
নানী আর নেই।
জমি ভাগের আলোচনায় বাড়ির উঠোনে আগের সেই চেনা ছায়া নেই।
এখন এই বয়সে নানী বাড়িতে থাকা অনেকের চোখে অশোভন।
তবুও…
এই টিউবওয়েলটা এখনও দাঁড়িয়ে আছে।
স্মৃতির মতো—নীরব, ঠান্ডা, অথচ গভীর।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:০৫
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: আমার জীবনে প্রথম দিকে ছিল ইঁদারা থেকে দড়ি দিয়ে পানি তুলা তার পরে এলো টিউবয়েল যা বেশ অনেক দিন ছিল। ঢাকা টে প্রথম এলো পাইপ দিয়ে পানি সরবরাহ তারপর জেলা শহর গুলোই । জানিনা মফস্বল শহর গুলোতে পানি গেছে কি না ।
গ্রামে ? জানি না । ভালো লিখেছেন ।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:২১
সামিয়া বলেছেন: সময় ভীষণ স্বার্থপর, শত চেষ্টা করেও ফিরিয়ে আনা যায় না।
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: নদীতে গোছল করাই তো বেশি আনন্দের।
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:০৫
আহলান বলেছেন: সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যায় ... তাই ভাবি !
৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৬
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: ভাই আমারও খুব ইচ্ছা করছে নানির বাড়ির ঐ টিউবওয়েলে গোছল করতে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫০
নাজনীন১ বলেছেন: আমাদেরও দুটি টিউবওয়েলের গল্প আছে, মিষ্টি পানির। টিউবওয়েলের পানি আসলেই ঠান্ডা, প্রাণ জুড়ানো!
আজকাল সেগুলো অচল!