এক উপমহাদেশে ছিলো এক দেশ।

২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ৯:১৪

আমার গল্পের সাথে বাস্তবে কোন মিল নাই। যদি বাস্তব জীবনে মিল খুজতে গিয়ে সময় নষ্ট করিবেন না। এই ব্লগে কোন জাতি গোষ্ঠীকে কষ্ট দেবার জন্য করি নাই। কষ্ট পাইলে আমি দায়ী না।

কোন এক উপমহাদেশে একটি দেশ ছিলো। ঐ দেশে সবাই খারাপ লোক ছিলো। কিন্তু সে দেশে গনতন্ত্র ছিলো। দেশের লোকেরা বেছে বেছে খারাপ লোকদের ভোট দিতো। এমন এমন লোকদের ভোট দিতো যারা ছিলো মাদক ব্যাবসায়ী, ভূমি দস্যু, ইভটিজিংকারী, বউ কে মারনে ওয়ালা ইত্যাদি ইত্যাদি। যারা এসব লোকদের ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি বানায়, তাদের চরিত্র কেমন হতে পারে; একবার ভাবেন।

ঐ দেশের জণগন ছাত্র অবস্থায় খুবই সৎ, চরিত্রবান থাকে। মুখে খুব নীতিবান কথা বলে। তারা একজন যুবক হয়। সরকারি চাকরি তে যায়। বিয়ে করে। বউ নিয়ে সংসার চালাতে যখন কষ্ট হয়, সংসারে অভাব আসে তখনই ঘুস খাওয়া শুরু করে। টাকা ছাড়া ফাইল পাস করে না। এই ঘুসের টাকা দিয়ে শ্যালা বা শালীকে গিফট দেয়। আর তাদের বউ নিজেদের হাই সোসাইটির বিশেষ কেউ প্রমাণ করায় ব্যাস্ত। অতছ তাদের জন্যেই স্বামী ঘুস খাই।

এমন ঘুস খোর কর্মচারী দিয়ে ৯৯% পোস্ট পদায়ন করা হয়েছে।

আর ঐ দেশের বিচার ব্যাবস্থা নিয়ে কি আর বলবো! একটি ধর্ষিত মেয়ে কেইস করছে। তাকে বিচারের নামে কোর্ট ৯ বছর ঘুরাইছে। শেষ কোর্টের আগে বিরোধী উকিল হাসপাতাল এর ওয়ার্ড বয় কে লাখ টাকা দিয়ে একটি মিথ্যে মেডিকেল সার্টিফিকেট বানায়। মেয়ে ভার্জিন এমন সার্টিফিকেট। সে দেশের আইন তো অন্ধ্। তাই সত্য মিথ্যে যাচাই করে নি। সে দেশের আইনের হাত লম্বা। কানা ব্যাক্তি লম্বা হাতের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছি না্। তবে সেই হাত খা্লি বড়লোকের পকেটে আতায়।

২ টি +১/-০